চাচাতো বোনের বিয়ের গল্প (শেষ পর্ব)।১০% লাজুক খ্যাঁকের জন্য
আসসালামু আলাইকুম/নমস্কার
হ্যালো আমার বাংলা পরিবারের সদস্যরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই অনেক ভাল আছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আল্লাহর রহমতে এবং আপনাদের দোয়ায় অনেক ভালো আছি।
আজ আবারও চলে আসলাম নতুন আরও একটি পোস্ট নিয়ে। সবসময় চেষ্টা করি কোয়ালিটি পোস্ট আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আমি গত সপ্তাহে আপনাদের সাথে চাচাতো বোনের বিয়ের গল্পের প্রথম পর্ব শেয়ার করেছিলাম। আপনাদের সেই পর্ব পড়ে অনেক ভালো লেগেছিল। তারজন্য আজ শেষ পর্ব নিয়ে আসলাম। তাহলে চলুন শুরু করি।
সালমা সেই ছেলের সাথে একদম কাজি অফিসে চলে যায়। এরপর তাদের বিয়ে হয় এবং তার শ্বশুর বাড়ি যায়।কিন্তু তার শ্বাশুড়ি তাকে মেনে নেয়নি। একমাত্র ছেলে বলে বাড়ি থেকে বের করে দিতে পারেনি। প্রথম প্রথম তাদের সম্পর্ক ভালোই যাচ্ছিল। বিয়ের এক বছর পরই তাদের একটি মেয়ে হয়। কিন্তু তাদের সংসারে কোনো শান্তি ছিল না। বিভিন্ন সময় পুলিশ সালমার স্বামীকে ধরার জন্য বাড়ি আসতো। কারণ তার স্বামী নামে অনেক মামলা ছিল।
এরপর সালমার মেয়ের বয়স যখন তিন বছর তখন এক মাডার কেসের আসমি হিসেবে তার স্বামীকে পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। তাকে জেল থেকে নিয়ে আসতে অনেক টাকার প্রয়োজন ছিল। সালমার বিয়ের আগে তার শ্বাশুড়ি ছেলের বিয়ের জন্য মেয়ে ঠিক করে রেখেছিল। তারজন্য সালমাকে তার শ্বাশুড়ি মেনে নেয়নি। ঐ মেয়ে আবার একটু বড় লোক ছিল। যখন সালমার স্বামীকে পুলিশ নিয়ে যায় তখন সেই মেয়ে আবার ফিরে আসে।
সেই সময় ঐ মেয়ে সালমার শ্বাশুড়িকে বলে আমি আপনার ছেলেকে ফিরিয়ে আনবো তবে একটা শর্ত আছে। তার শর্ত হলো সালমাকে ডিভোর্স দিয়ে তাকে বিয়ে করতে হবে। এই কথা শুনে সালমার শ্বাশুড়ি রাজি হয়ে যায় আর অন্য দিকে সালমার স্বামীও এই শর্তে রাজি হয়ে যায়। সালমার স্বামীকে জেল থেকে বের করে আনতে দু'দিন সময় লেগেছিল। তারপর তাদের অত্যাচারে সালমা বাপের বাড়ি চলে আসে।
এর কিছু দিন পর শুনে তাকে ডিভোর্স দিয়ে ঐ মেয়েকে বিয়ে করেছে। এরপর থেকে সালমা বাপের বাড়িতেই আছে। তার মেয়ে এখন বড় হয়েছে বাবার কাছেও থাকে আবার মায়ের কাছেও থাকে। অন্যদিকে আছমা পরের দিন তার শ্বশুর বাড়ি যায়। সবাই তার সাথে ভালো ব্যবহার করেছে। আছমার স্বামীও খুব ভালো মনে করেছিল কিন্তু মানুষের মনের ভিতরের খবর কি কেউ বোঝতে পারে। আছমার স্বামী স্কুলের শিক্ষক ছিল। সারা দিন ভালোই ছিল যখন রাত হলো তখন আছমা তার স্বামীর আসল রুপ দেখতে পেল।
রাত যখন ১১টা বেজে গেল এখনো আছমার স্বামী বাড়িতে আসেনি। গ্রাম বলে কথা সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে শুধু আছমা ছাড়া। হঠাৎ শুনে তার দরজায় খটখট শব্দ হচ্ছে। আছমা দরজা খুলতে দেখে প্রথম রাতেই তার স্বামী নেশা করে এসেছে। তার পর আছমা জিজ্ঞেস করাতে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এরপর সকাল বেলাই আছমা তার বাপের বাড়ি চলে আসে। কিছু দিন পর আছমাও তার স্বামীকে ডিভোর্স পাঠিয়ে দেয়। তবে ডিভোর্সের পর ছালমার জীবন কাহিনি থেমে যায় কিন্তু আছমার জীবনে অন্য এক ঘটনা ঘটে। সেই কাহিনি অন্য একদিন শেয়ার করবো।
এতক্ষণ ধরে কষ্ট করে আমার সম্পূর্ণ পোস্ট পড়ার জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করি আমার আজকের পোস্ট আপনাদের সবার কাছে অনেক ভালো লাগবে। যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে সুন্দর কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়ে দেবেন। আমার লেখা আজ এখানেই শেষ করলাম। সবাই ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন এবং নিরাপদে থাকবেন।
আমি তানজিমা। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি ফিন্যান্স বিভাগ থেকে বিবিএ শেষ করেছি।
আমি ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে ফটোগ্রাফি, রেসিপি এবং ডাই বানাতে খুব পছন্দ করি। আবার আমি ভ্রমণ বা ঘুরাঘুরি করতে খুব পছন্দ করি। এছাড়াও আমি বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করতে খুব পছন্দ করি। আমি চেষ্টা করি সব সময় যেন নতুন কোনো কিছু করা যায়।






Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

নেশা বিষয়টি আমি সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করি, কারন এটি মানুষের জীবন নষ্ট করে দিতে পারে। আপনার ঘটনাতেও সেই বিষয়টি আপনি ফুটিয়ে তুলেছেন। আপনার উপস্থাপনার ধরন আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।
আপু আমিও নেশা বিষয়টিকে অনেক ঘৃণা করি।এই নেশার জন্যই অনেক মানুষের জীবন নষ্ট হয়ে যায়। ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মতামতের জন্য।
আপনার লেখা চাচাতো বোনের বিয়ের গল্পের শেষ পর্ব পড়ে খুব ভালো লাগলো। তবে গল্পের শেষ কয়টি লাইন পড়ে অনেক খারাপ লাগলো। তাদের পবিত্র বন্ধন ছিন্ন হয়ে গেছে । এটা আসলে আমাদের কারো কাম্য নয় । যাই হোক আপনার লেখা গল্পটি ভালো ছিলো আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া কিছু কিছু সময় ভুল সিদ্ধান্ত গুলো মানুষের জীবন ধ্বংস করে দেয় তাদের জীবনেও তেমনি ঘটনা ঘটেছে। ধন্যবাদ।
আপু আপনার লেখাটি পড়লাম, পড়ে যেটুকু বুঝতে পারলাম সেটা হলো, সিদ্ধান্ত জীবন এর অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। কেউ যদি সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করে তাহলে তার জীবনে সেই ভুলের মাসুল অবশ্যই দিতে হয়। যেমনটি দিয়েছে সালমা। অন্যদিকে আছমার জীবন এর এই অভিশাপের জন্য কিন্তু সালমাই দায়ী বলে আমি মনে করি।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া ভুল সিদ্ধান্ত নিলে সারা জীবন তার মাসুল দিতে হয়। সুন্দর মতামতের জন্য ধন্যবাদ।