পার্শিয়ান কাচ্চি হাউজে মজাদার ও অথেন্টিক কাচ্চি খাওয়ার অনুভূতি। ||১০% লাজুক খ্যাঁকের জন্য ||
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলা ব্লগের সকল বন্ধুরা কেমন আছেন? আশা করি সকলে মহান রাব্বুল আলামিনের মেহেরবানীতে ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান রাব্বুল আলামিনের রহমতে ভালো আছি।

তো কয়েকদিন আগে হঠাৎ কাচ্চি খেতে খুব ইচ্ছা হচ্ছিল। আমাদের ফরিদপুরে বিভিন্ন জায়গায় কাচ্চি পাওয়া যায় আমিও বেশ কয়েকটি জায়গার কাচ্চি এর আগে ট্রাই করেছি তবে আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করা পারসিয়ান কার্তী হাউজের কাজটি আমার কাছে বরাবরি বেশ ভালো লেগেছে। চলে গিয়েছিলাম সেদিন পারসিয়ান কাচ্চি হাউজে কাচ্চি খেতে। আমাদের ফরিদপুরে যতগুলো কাচ্চি পাওয়া যায় তার মধ্যে ফরিদপুরের স্টার বিরিয়ানি এবং কাবাব হাউস ও পারসিয়ান কাথি হাউজের কাচ্চি বেশ নামকরা এবং এদের কাচ্চিতে কাচ্চির অথেন্টিক ফিলটা পাওয়া যায়।

পার্শিয়ান কাচি হাউস টি ফরিদপুরের স্বনামধন্য রেইনবো স্কুলের মোরে অবস্থিত। আমি আপনাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য কিছু ফটোগ্রাফি করেছি যেগুলো আমি আপনাদের মাঝে তুলে ধরছি। এই চেয়ার ছবিটি পার্শিয়ানের প্রবেশ মুখের ছবি। বেশ সুন্দরভাবে গোছানো সিম সাম লাইটিং করা যা দেখে সকলেরই ভালো লাগার কথা। আমারও এখানকার সাদামাটা পরিবেশটি বেশ ভালো লাগে। তাদের কাচ্চি ঘরের দুপাশে দুটি নারিকেল গাছ রয়েছে যেগুলি ঘিরে তারা লাইটিং করে রেখেছে এবং একটি সাথে তাদের দোকানের নামের ব্যানার ঝুলিয়ে দিয়া আছে। যেটি দূর থেকে দেখেই বোঝা যাবে যে এটি পার্শিয়ান কাচ্ছি হাউজ।
পারসিয়ান কাছে হাউজে ঢোকার পথেই দেখা মিলবে কাচ্চির হাড়ির যেখান থেকে খুবই সুমধুর একটি ঘ্রাণ ভেসে আসছে। গ্যারান্টি নাকে আসার সাথে আমার আরো ক্ষুধা বেরিয়ে গিয়েছিল। তারা সেখান থেকেই কাচ্চি প্লেটে বেড়ে পরিবেশন করে থাকে। তাদের কাচ্চির সুঘ্রানের সাথে তাদের ভিতরে পরিবেশ টাও খুব সুন্দর খুবই সুন্দরভাবে কিছু সুন্দর ফটো ফ্রেম দিয়ে তাদের দেয়াল গুলি সাজানো।

তো এ পর্যায়ে আমি ভিতরে একটি সিটে বসে পড়লাম এবং আমরা দুজন ছিলাম। আমি দুজনের জন্য দুটি ফুল কাচ্চি অর্ডার করেছিলাম যেটির মূল্য তারা রেখেছিল ৩৫০ টাকা করে। বলে রাখা ভালো তাদের এখানে হাফ প্লেটও পাওয়া যায় যেটির মূল্য ২৫০ টাকা। তবে বলতে গেলে হাফ এবং ফুলের মধ্যে মূল পার্থক্য খুবই সামান্য। তাদের ফুল প্লেট কাচ্ছিতে ২ পিস খাসির গোস দিয়ে থাকে এবং সাথে একটি সেদ্ধ ডিম থাকে। হাফ প্লেটে ১ পিস খাসির গোস দিয়ে থাকে। হাফ এবং ফুল উভয় প্লেট এর সাথে তারা তাদের একটি স্পেশাল চাটনি দিয়ে থাকে যেটি খেতে খুবই সুস্বাদ লাগে। আমাকে যখন হাড়ি থেকে বেড়ে দিচ্ছিল আমি তখন একটি কাটুন দাও ছবি তুলেছিলাম আমি আপনার সাথে তুলে ধরেছি।

তাদের ফুল প্লেট কার্তীর সাথে তারা একটি কমপ্লিমেন্টারি জুতো দিয়েছিল আমাদের। আরেকটা কথা না বললেই নয় হয়তো আপনারা অনেকেই বিভিন্ন জায়গা থেকে কাচ্চি খেয়েছেন বিভিন্ন সময় অনেকে পরিমাণ এবং গোসের সাইজ নিয়ে কমপ্লেন করে থাকে তবে আমি পার্সিয়াম থেকে যতবারই খেয়েছি তাদের খাবারের পরিমাণ এবং অবশেষে সাইজ নিয়ে আমার কখনোই কোন কমপ্লেন ছিল না এবং আপনারা যদি ট্রাই করেন আপনারও হয়তো একই অভিজ্ঞতা পাবেন। দেশ মুখরোচক একটি খাবার সেখানে আমরা উপভোগ করেছি। তাদের খাবার আমার কাছে সাদী ও মানে চমৎকার লেগেছে। এই ছিল আমার পার্শিয়ান কাচি হাউজে অথেন্টিক কাচ্চি খাওয়ার অনুভূতি যা আমি আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছি।
তবে আজ এ পর্যন্তই দেখা হবে পরবর্তী কোনো পোস্টে নতুন কিছু নিয়ে ততদিন সকলেই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এটাই কামনা।
| ফটোগ্রাফার: | @shabab7 |
|---|---|
| ডিভাইস: | Realme Narzo 50 |






আপনার কাচ্চি খাওয়ার অনুভূতির পোস্ট পড়ে আমার তো খিদে পেয়ে গিয়েছে। আমার খুবই পছন্দের একটা খাবার খেয়েছেন আপনারা যা দেখে আমি তো লোভ সামলাতে পারছি না। আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য খুবই সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফিও করেছেন দেখছি। জাস্ট অসাধারণ ছিল আপনার আজকের এই পোস্ট।
আপনার কাচ্চি খাওয়ার মুহূর্তের পোস্টটি পড়ে ভীষণ ভালো লেগেছে আমার কাছে। বেশ মজা করেই খাওয়া হয়েছিল তাহলে কাচ্চি। আপনারা দুজনে মিলে বেশ মজা করে কাচ্চি খেয়েছিলেন। কাচ্চির ফটোগ্রাফি দেখে আমার তো খুবই খেতে ইচ্ছে করছে। আপনারা আপনাদের দুজনের জন্য দুটি ফুল কাচ্চি অর্ডার করেছিলেন যেগুলোর দাম ওনারা রেখেছিলেন ৩৫০ টাকা করে। ভালো লাগলো দেখে।