জেনারেল রাইটিং পোস্ট ||| ভালোবাসা কেমন হওয়া উচিত ||| original writing by @saymaakter.
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল ভাই ও বোনেরা আশা রাখি সকলে সুস্থ আছেন এবং সুন্দর সময় অতিবাহিত করছেন।আমি আল্লাহর রহমতে মোটামুটি বেশ আছি।
আজকে আবারো আপনাদের মাঝে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হতে চলেছে। ব্লগ লিখতে ভালো লাগে কারণ ব্লগ না লিখতে পারলে একটি অপূর্ণতা থেকে যায়। তাই যত সমস্যার মধ্যে থাকি না কেন একটি ব্লগ লেখে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে পোস্ট করতে পারলেই যেন ভালো লাগে।চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আজকের ব্লগে কি লিখেছি তা দেখে নেওয়া যাক।
বর্তমান সমাজটা কেন যেন একটু ব্যতিক্রম মনে হচ্ছে,অনেকে বলে এখন ডিজিটাল যুগ,সবকিছু আমার কাছে কেন যেন সে আগের যুগটাই বেশ ভালো লেগেছে।কারণ আগে মানুষ মানুষকে দেখানোর জন্য কোন কিছু করত না,যেটি আসলে করা দরকার ঠিক সেই কাজটিই করত,এখন ডিজিটাল যুগে এসে সকলেই আমরা হয়েছি অন্যকে কিভাবে আমার ভালোবাসাটা দেখানো যায় কিন্তু প্রকৃত ভালোবাসা বলতে কিছু নেই।
বর্তমান সময়ে সবচেয়ে আলোচিত একটি বিষয় হলো বিড়াল পোষা। বিড়ালটা এমন একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রতিটি বাসায়,প্রত্যেকটি বাচ্চা, মা কেন যেন বিড়ালকে নিয়ে অনেক বেশি মাতামাতি এবং বিড়ালকে এত বেশি ভালোবাসে যে বিকেলে হাটতে গেলে বিড়ালকে কোলে করে নিয়ে হাঁটে, যেটাকে অন্যদেরকে দেখায় যে আমি অনেক বিড়ালকে ভালোবাসি।কিন্তু আসলে কি এটি প্রকৃত ভালোবাসা, যদি এতটাই আমাদের ভালোবাসা বেশি হয় তাহলে কি শুধু বিড়াল কিভাবে ভালোবাসলেই আমাদের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ ঘটবে, নাকি এই পৃথিবীতে আরো অনেক জন্তু আছে যাদের প্রতিও আমাদের একটু হলেও ভালোবাসা দেখানো দরকার।
জীবজন্তু না হয় বাদ দিলাম কিন্তু দেখা যায় যে আমাদের পরিবারের মধ্যে বৃদ্ধ বা ছোট বাচ্চাদের প্রতি আমাদের যে ভালোবাসা দেখানোর দরকার আসলে কি আমরা সে ভালোবাসা সেখানে দেখাচ্ছি বা সেই সদস্যদের প্রতি ভালোবাসা প্রদান করছি।আসলে আমরা সেখানে কেউই ভালোবাসা আদান প্রদান করছি না কিন্তু লোক দেখানোর জন্য একটি বিড়াল নিয়ে ঠিকই আমরা রাস্তায় হাঁটছি বা বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছি সেখানে সঙ্গে করে নিয়ে যাচ্ছি বিড়ালটিকে, আসলে এটি আমাদের প্রকৃত ভালোবাসা।
এরপরে আমাদের নিজের জন্মদাতা বাবা মাকে আমরা কি আসলে ভালোবাসা দেখাচ্ছি, না তাদের যত্ন নিচ্ছি, না তাদের খোঁজখবর করছি এগুলো আসলে আমাদের করা উচিত এবং বিষয়গুলো আমাদের নজর দেওয়া উচিত কিন্তু কখনই আমরা এই বিষয়গুলোর প্রতি একটু খেয়াল করছি না বা নজর দিচ্ছি না, এতে দেখা যাচ্ছে আমাদের অনেক বাবা-মায় বৃদ্ধাশ্রমে জায়গা হচ্ছে এবং বৃদ্ধাশ্রমের পরিমাণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। আমাদের ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ যদি এমন হয়, তাহলে আগামীতে দেখা যাবে যে বৃদ্ধাশ্রম এর পরিমাণ এত বেড়ে যাবে যে বসবাসের গ্রামে থেকে বৃদ্ধাশ্রমের সংখ্যা বেশি হবে।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি আবারো নতুন কোন ব্লগ নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হবো,সে পর্যন্ত সকলের কাছে থেকে বিদায় নিচ্ছি আল্লাহ হাফেজ।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।আমি উদ্যোক্তা জীবনে সব সময় গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের নিয়ে কাজ করি।আর এই অবহেলিত মহিলাদের কাজ নিয়ে দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রোভাইড করি এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বিদেশেও রপ্তানি করছি।আর এসব কিছুর পিছনে আমার এই অবহেলিত মহিলাদের উৎসহ এবং উদ্দীপনায় সম্ভব হয়েছে।তাই সব সময় আমি অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।এজন্যই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে স্টিমিটে যুক্ত হই।আমার বাংলা ব্লগে শুরু থেকে আছি এবং এখন পর্যন্ত আমার বাংলা ব্লগেই ব্লগিং করে যাচ্ছি।
🇧🇩আল্লাহ হাফেজ🇧🇩