গল্প পোস্ট ||| ‎শেষ চিঠি পর্ব-০৪ ||| original writing by @saymaakter.

in আমার বাংলা ব্লগ2 days ago

আসসালামু আলাইকুম।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল ভাই ও বোনেরা আশা রাখি সকলে সুস্থ আছেন এবং পরিবারসহ অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করছেন।আমিও মহান আল্লাহতালার রহমতে পরিবারসহ বেশ ভালো আছি।

woman-3037154_1280.jpg
source

আজকে আবারো আপনাদের মাঝে "শেষ চিঠি পর্ব-০৪" নিয়ে হাজির হতে চলেছি। জানিনা আমার গল্পটি আপনাদের মনপ কতটুকু স্থান পেয়েছে, তবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য গুলো আমাকে লেখার প্রতি আগ্রহী করে তুলেছে। তাই চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আজকের পর্বে কি লিখেছি তা দেখে নেওয়া যাক।

তখন তো আসবেই মা আমি নিজে গিয়ে নিয়ে আসবো। এই বলে প্রিয়াকে বিদায় জানালো তার মামা।কিন্তু আশিক জানতে পারল না প্রিয়া চলে যাচ্ছে।তিন চার দিন যাওয়ার পর আশিক প্রিয়ার মামার বাড়িতে চলে আসে প্রিয়ার খোঁজ নেওয়ার জন্য। প্রিয়ার মামা বলে উঠে কি আশিক বাবাজি হঠাৎ তোমাকে দেখা পেলাম। তখন আশিক বলে চাচা প্রিয়াকে দেখছি না। প্রিয়া তো চলে গেছে তিন দিন আগেই।ও আচ্ছা এই বলে আশেকে চলে যায়।

কিন্তু আসিফ কিছুতেই তার মনকে দোষ দিতে পারছে না প্রিয়া চলে গেল অথচ আমাকে একবারও বলে গেল না। তার মনে হচ্ছিল বারবার শহরের আদরের ঘরের দুলালী মেয়েরা মনে হয় এমনই হয় ভালোবাসা নিয়ে খেলে।এই বলে আসে সেই নদীর পাড়ে গিয়ে মন খারাপ করে বসে আছে। দুপুর গড়িয়ে যখন সন্ধ্যা চলে আসে তখন আশেকের মা আশেককে খুঁজছে নদীর পাড়ে এলো এবং তাকে বলল সারাদিন কিছুই খাস নি এখানে কি করছিস এত মন খারাপ কেন বাবা? আমার কাছে বল সব খুলে বল।

আশিক আর কোন কথা গোপন রাখলো না আসিফ সব কথা তার মাকে বলল তার মা বলল বাবা গরিবের আবার ভালোবাসা। তুই মনোযোগ দিয়ে লেখাপড়া কর।শহরে চলে যা তোর কলেজ হয়তো খুলেছে আবার ছুটি হলে বাড়িতে চলে আসিস এগুলো মনের ভিতর রেখে পড়ালেখার ক্ষতি করিস না বাবা বড়লোকদের ভালোবাসা এমনই সব কিছুই ভুলে থাকতে পারে তারা। তারপর আসেক তার মার কথা মত চলে গেল শহরে। তখন আবার পড়ালেখায় মনোযোগ দিল। এক কথায় নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করতে এসে প্রাণপণ চেষ্টা করছিল পড়ালেখার পাশে অন্য কিছু করার জন্য।

কারণ তাকে অনেক কষ্ট করতে হবে তার পরিবারের অবস্থা তেমনটা ভালো নেই কিছু পার্থ জমিয়ে তার মাকেও দিতে হয়।আশিক ও প্রিয়া একই ভারসিটিতে ভর্তি হয়েছে কিন্তু কেউ কাউকে দেখেনি বা দেখা হয়নি। ‎দুজনের ফোন ছিল কিন্তু ফোনের নাম্বার কেউ কাউকে দেয়নি।তাইতো কেউ কারোর সঙ্গে যোগাযোগও করতে পারেনি। হঠাৎ একদিন আশিক তার মায়ের অসুস্থতার খবর পেয়ে বাড়ি যায়।

সেখানে গিয়ে দেখে প্রিয়ার মামাতো ভাইয়ের বিয়ে। আশেপাশে অনেক সুন্দর আলোকসজ্জা এবং অনেক আয়োজন করা হচ্ছে। আশিক ভেবেছে হয়তো প্রিয়া আসবে তার কাছে।কিন্তু এই বিয়ে বাড়িতে প্রিয়ার মা প্রিয়াকে বাসায় রেখে একাই এসেছে তার ভাইয়ের বাসায়। কারণ প্রিয়ার মা চাইনা আশেকের সঙ্গে তার সম্পর্ক আরো অনেক দূর পর্যন্ত চলে যাক। দূরত্বে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হোক এটাই চায় প্রিয়ার মা। কিন্তু ভাগ্যের কে নির্মম পরিহাস।

আমার পরিচয়।

আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।আমি উদ্যোক্তা জীবনে সব সময় গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের নিয়ে কাজ করি।আর এই অবহেলিত মহিলাদের কাজ নিয়ে দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রোভাইড করি এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বিদেশেও রপ্তানি করছি।আর এসব কিছুর পিছনে আমার এই অবহেলিত মহিলাদের উৎসহ এবং উদ্দীপনায় সম্ভব হয়েছে।তাই সব সময় আমি অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।এজন্যই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।আমি ২০২১ সালের আগস্ট মাসে স্টিমিটে যুক্ত হই।আমার বাংলা ব্লগে শুরু থেকে আছি এবং এখন পর্যন্ত আমার বাংলা ব্লগেই ব্লগিং করে যাচ্ছি।

🇧🇩আল্লাহ হাফেজ🇧🇩

cyxkEVqiiLy2ofdgrJNxeZC3WCHPBwR7MjUDzY4kBNr81NHHer5pttSkxUWcabJpof3M5s5UtqChgwwfFjqBVeuxLYQFRXsHBuU6ggNYrPqsERfTQUhztnk5GB2KS6acVRY.png

Messenger_creation_FF6D906D-749B-4E07-8320-B599EE0CFF0F.png

Messenger_creation_2F56E3F2-027F-4EEF-9A13-7105084B0F77.png

Messenger_creation_5ECC1BDD-EC8B-4D17-9935-6B81DE8F1765.png




Coin Marketplace

STEEM 0.13
TRX 0.34
JST 0.035
BTC 111391.51
ETH 4339.37
SBD 0.84