২০২২ এর সেরা পিকনিক সাথে উরাধুরা নাচ 🤪 || 10% for @shy-fox
"আমার বাংলা ব্লগে আপনাদের সকলকে জানাই আমার সালাম"
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা রেখে শুরু করছি আমার আজকের এই ব্লগ।আশা করি আমি আমার দক্ষতার মাধ্যমে আপনাদের সকলের নিকট ভালো কিছু উপস্থাপন করতে সক্ষম হবো,এবং আপনাদের ও ভালো লাগবে।
ঈদের পর থেকে বেশ ভালই রমরমা দিন পার হচ্ছে আমার।যদিও ব্যাবসায় লস কিন্তু তারপরও অনেক খুশি।ছোটদের সাথে ক্রিকেট খেলা তারপর বন্ধুদের সাথে ঘুরতে যাওয়া সব মিলিয়ে এবারের ঈদের সময়টা বেশ দারুন যাচ্ছে এবং এখনও যাচ্ছেই।তবে এখন সবাই নিজ নিজ কাজে ব্যাস্ত হয়ে উঠেছে আর এদিকে আমারও কলেজ খুলেছে ভাবছি দুই একে চলে যাবো।তো ঈদের পর আমাদের এখানে রেওয়াজ অনুযায়ী সিনিয়র জুনিয়র ক্রিকেট খেলা হয়।তবে সেখানে আমরা জুনিয়রদের কাছে বেশ ভালোবেই হেরে যাই এবং অনেকগুলো টাকা হারি তাদের কাছে।আর সে জন্য ছোটরা সেই টাকা দিয়ে একটা পিকনিক এর আয়োজন করে আর আমাদের সবাইকে দাওয়াত করে সেখানে।আমরা সিনিয়ররা অবশ্য কিছু করে টাকা তুলে দেই তাদের হাতে আর এই দিয়েই আমাদের পিকনিক হয়ে যায়।
ডিভাইস: মোবাইল
অবস্থান:
এখনকার পিকনিক মানে তো বুঝেন খাওয়া দাওয়া হোক বা না হোক নাচা ঝাপ্পা হইলেই হইছে।আমরা অবশ্য তাদের বলছিলাম এগুলা সাউন্ড সিস্টেম আনার দরকার নাই তারা চেয়ে বরং খাওয়া দাওয়া ভালো হোক তাইলেই হবে।কিন্তু কে শোনে কার কথা।ওদের ভাষ্যমতে আগে এন্টারটেইনমেন্ট তারপর অন্য কথা।তারপর আর কি পিকনিক এর অর্ধেক টাকা দিয়ে নিয়ে এসেছে সাউন্ড সিস্টেম আর বাকি অর্ধেক টাকা দিয়ে খাওয়া দাওয়ার রসদ।মোটামুটি প্ল্যান করেছিল তারা বিরিয়ানি রান্না করবে সেই হিসেব করে চাল মাংস সব কিছুই কিনেছে।
ডিভাইস: মোবাইল
অবস্থান:
এদিকে সন্ধা শেষ হয়ে কেবল একটু রাত গাঢ় হলো। এশার নামাজ ও শেষ আর পোলাপাইন শুরু করে দিলো উরাধুরা নাচ। যে যেভাবে পারছে লাফাচ্ছে কারো সাথে করো কোনো মিল নাই🤣।কেউ আবার বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি প্রদর্শন করছে।তাদের ড্যান্স গুলা দেখে ভীষণ আনন্দ পেয়েছি আমি।তারপর ওরা তো ননস্টপ উরাধুরা ড্যান্স দিচ্ছে।আর আমি এদিকে তদারকি করছি নামকা ওয়াস্তে।
ডিভাইস: মোবাইল
অবস্থান:
এরপর রান্নাবান্না করার জন্য যে সব সামগ্রী ছিল সেগুলো আবার আগেই আনা ছিল।সেগুলো আবার একজনকে আনতে পাঠায় দিলাম।এরপর যারা ড্যান্স করতেছিল না এমনি বসেছিল ওদেরকে কাজে লাগায় দিলাম।এদিকে কাজ ও এগোচ্ছে সাথে চলছে বিরতিহীন ড্যান্স।
ডিভাইস: মোবাইল
অবস্থান:
পিকনিক এর সবচেয়ে মজার বিষয় কি বলেনতো?সবচেয়ে মজার বিষয় হলো রান্না করার জন্য খড়ি চুরি করা 🤭।আর আমরা সবসময় পিকনিক এর রান্নাবান্না করি মধ্য রাতে।আর ব্যাস বেরিয়ে পড়লাম খড়ি চুরির উদ্দেশ্যে আর লিডার হলাম আমি।তো শুকনো খড়ি কোথাও পাওয়া যাচ্ছিল না।শেষমেষ আমার চাচার খড়ি চুরি করে নিয়ে আসলাম।কপাল ভালো কেউ টের পায় নি নাইলে আমার অবস্থা খারাপ ছিল
ডিভাইস: মোবাইল
অবস্থান:
খড়ি চুরি শেষ এদিকে রান্নার সব সামগ্রী রেডি।কিন্তু সমস্যা হলো কেউ রান্না পারে না।তাই বাধ্য হয়ে আরেক বড়ো ভাইকে ফোন।ওই ভাই আবার গেছে ঘুমায় শেষমেষ তাকে ঘুম থেকে উঠায় নিয়ে আসলাম আর রান্নার কাজে লাগায় দিলাম।রান্না মাঝপথে যাওয়ায় বেশ দারুণ একটা সুঘ্রাণ বের হলো।আর পেটের ভিতর খিদার জ্বালায় নাড়া দিয়ে উঠলো
ডিভাইস: মোবাইল
অবস্থান:
ভেবেছিলাম বিরিয়ানি রান্না হবে কিন্তু রান্না শেষে দেখি খিচুড়ি হয়ে আছে🤣।এই নিয়ে বেশ হাসাহাসি হলো কিছুক্ষন।এরপর সবার প্লেট একে একে রাখা হলো।এবং বড়ভাই সবার প্লেট সমানভাবে বিরিয়ানি থুক্কু খিচুড়ি বণ্টন করলো।তবে খাওয়ার সময় সবাই বেশ প্রশংসা করেছে।আসলে দারুন হয়েছিল রান্নাটি।সবকিছু ঠিকঠাক ছিল তো এইজন্যে ভালই লেগেছে খেতে।কিন্তু দুর্ভাগ্য ভাগে কম পড়ে গেছে সবার।দিতে না দিতেই সবার প্লেট খালি।তারপর সবাইকে সান্তনা দিলাম ভালো জিনিস বেশি খেতে হয় না অল্পতেই হয়।অবশেষে ছোটভাইদের ধন্যবাদ দিয়ে বাড়ি ফিরলাম।কারণ রাত অনেক হয়েছে একটু ঘুমানো দরকার😴।
বাহ ভাই খুব চমৎকার মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। আসলে এ ধরনের পিকনিকে যে কি আনন্দ হয় তা বলে বুঝানো যাবে না। সবাই খুবই সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। খাওয়া-দাওয়া গল্প-গুজব অনেক উৎস ও আনন্দে সাথে সময়গুলো পার করেছেন । আপনি এত সুন্দরভাবে পিকনিকের মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তর থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
হুম ভাই,তবে অনেকদিন থেকেই এরকম পিনিক এর সুযোগ হয় নাই আসলে সবাই একসাথে থাকে না তো এই জন্য।তবে সেদিন ভালই উপভোগ করেছি ছোট ভাইদের সাথে।
পিকনিকে খাওয়া দাওয়া হোক আর না হোক এন্টারটেইনমেন্ট হবেই এটা দারুণ লাগল শুনে হি হি। পৃথিবীর যেখানেই সিনিয়র জুনিয়র ম্যাচ হোক না কেন জুনিয়র রাই অধিকাংশ সময় জিতে যায় এটাই চিরন্তন সত্য। খেলায় হারার টাকা দিয়ে পিকনিক আপনাদের বেশ ভালো হলো। দারুণ উপভোগ করেছেন পিকনিক টা। বেশ উপভোগ করলাম পোস্ট টা।
আসলে ছোট ভাইরা এখন তারুণ্যে আছে তো এই জন্য।আমাদের মত সময় এ আসলে ওরাও এই কথাই বলবে বক্স লাগবে না খাওয়া দাওয়া হইলেই হবে😁।এইটা আমিও দেখছি এর আগে আমাদের সিনিয়র রা আমাদের সাথে পারতো না,এখন আমরা ওদের সাথে পারতেছি না😆
দেখেই বোঝা যাচ্ছে বন্ধুদের সঙ্গে পিকনিকে অনেক চমৎকার একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন ।আমরা মাঝে মাঝে এরকম পিকনিক করে থাকি সেইসাথে উরাধুরা ডান্স করি মাঝে মাঝে। যদিও এখন তেমন একটা সময় হয়ে ওঠে না তবে কয়েক বছর আগেও এরকম পিকনিক প্রায় প্রতি মাসে মাসে করতাম খুব ভাল লাগতো। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ
আসলে পিকনিক এর আয়োজন করেছিল ছোটো ভাইরা,আমরা শুধু তাদের সাথে সহযোগিতা করেছি।তবে বন্ধুবান্ধব রাও ছিল বেশ কয়েকজন।বলা চলে সব মিলিয়ে দারুন একটি পিকনিক ছিল।
বন্ধুদের সাথে পিকনিক করার মজাই অন্যরকম। আমরাও বন্ধুদের সাথে পিকনিকে অনেক সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করি। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে বন্ধুদের সাথে পিকনিকের মুহূর্তটি উপভোগ করেছেন । আমাদের সাথে এই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
বন্ধুবান্ধব বলতে দুই একজন ছিল,তবে ছোট ভাই ব্রাদার আর বড়ো ভাই ব্রাদার রায় বেশি ছিল।কিন্তু পিকনিক এর দিন সবাই বন্ধু।আর সবার সাথে সেই ড্যান্স করেছি সেইদিন আর আমি ভালই উপভোগ করেছি।
ভাইয়া ঈদের পর আমাদের গ্রামেও জুনিয়র সিনিয়র মিলে ফুটবল ক্রিকেট খেলে।আপনাদের ওখানের মতো আমাদের এখানেও মনে রেওয়াজ। খেলাধুলা শেষে পিকনিক এটা তো দারুণ । আরও দারুণ লাগে যখন কিছু চুরি করে পিকনিক করা হয় হি হি হি, আর আপনারাও খড় চুরি করেছেন। আমারা কাছে সত্যি খুব দারুণ লেগেছে । যদি আমিও খেতে পারতাম আরও মজা লাগতো। ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল ভাইয়া।
আসলে গ্রামীণ পর্যায়ে সব জায়গাতেই এরই রেওয়াজ এখনো আছে আপু।আর ভালই লাগে অবশ্য এরকম খেলাধুলা করতে।এরপরের বার পিকনিক করলে আপনাকেও দাওয়াত দিব আপু ইনশাল্লাহ😍
অনেক ভাল একটি সময় কাটিয়েছিলেন। পিকনিকে উরাধুরা নাচ হবে না তাই কি হয়! তবে নাচের ভিডিও দেখতে পারলে বেশি ভাল লাগত। খাবার দাবার ও বেশ ভাল ছিল। সবাই মিলে রান্না করে পিকনিক করলে অনেক মজা হয়। আমরাও করি এভাবে পিকনিক।