বিবেকহীন আবেগ।
আজ - ১৪ই কার্তিক ১৪২৮ , বঙ্গাব্দ | শনিবার | হেমন্ত-কাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।
আজ আমি আপনাদের সাথে বিবেকহীন আবেগ এই শিরোনামে আমার কিছু মতামত শেয়ার করব।

ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
আজকাল চারদিকে যে সকল ঘটনা ঘটছে সেগুলো দেখে সত্যিই নিজের কাছে খুব হতাশ লাগছে। বেশ কিছুদিন আগে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা থেকে আমার আজকেরে এই টপিকটির ধারণা নিয়েছিলাম। যাইহোক আমার আজকের আলোচনার বিষয় বস্তু হচ্ছে বিবেকহীন আবেগ। আমি মনে করি এই দুইটি শব্দের ভিতরে আনেক তাৎপর্য লুকিয়ে রয়েছে। তো চলুন আমার আজকের আলোচনাটি শুরু করি।
বিবেক এবং আবেগ এই দুটি শব্দ যদিও আমাদের কাছে অভিন্ন হতে পারে। কিন্তু কিছু কিছু বিষয়ে এই দুটি শব্দ একসূত্রে হয়ে যায়। অর্থাৎ একটি সাথে আরেকটির সম্পর্ক তৈরি হয়। প্রথমে বিবেক এবং আবেগ এই দুইটি শব্দকে যদি আমি আমার মতো করে সংজ্ঞা দিতে চাই তবে, বিবেক হচ্ছে নিজের মধ্যে থাকা এমন একটি বিষয় যে বিষয়টি আমাদের মন
ভালো এবং মন্দ এই দুইটার দিক নির্বাচন করে থাকে। আরও সহজভাবে যদি বলি তবে বিবেক হচ্ছে, ভালো এবং খারাপ এই দুটি বিষয় নিয়ে মনের মধ্যে চিন্তা করা বা ধারণা করা। আর তাইতো খারাপ কোনো কাজের সময় আমাদের বিবেক আমাদেরকে সবসময় বাধা দেয়। আর ভালো কাজ গুলোতে মনের মধ্যে প্রশান্তি জন্ম দেয়।
আর অন্যদিকে আবেগ হচ্ছে এমন একটি বিষয় যেখানে ভালো এবং খারাপের এই দুইয়ের মধ্যে যেন কোনো অস্তিত্বই নেই।অর্থাৎ আবেগ কখনোই বুঝতে পারে না যে কোনটা ভালো আর কোনটা মন্দ।
তাই আবেগি হওয়াটা সবসময়ের জন্য মঙ্গল জনক নয়। কিন্তু আমরা কখনও চাইলেও আবেগটাকে বাদ দিতে পারব না। আমরা মাঝে মাঝে আবেগের বশে এমন সব কাজ করে ফেলে যেগুলো আমাদের বিবেককে বাধাগ্রস্ত করে। জীবনে সবকিছুরই একটি সীমাবদ্ধতা রয়েছে তেমনি আমাদের আবেগের একটি সীমাবদ্ধতা থাকা দরকার। কেননা জীবনে কোন কিছু কখনো অতিরিক্ত ভালো নয়। আমরা আবেগের বশে এমন কাজ সব কাজ করবো না যে কাজগুলো আমাদের বিবেককে প্রশ্ন বিদ্ধ করবে। তাই বলছি বিবেক এবং আবেগ যদিও এক না তবে একে অপরের সাথে সম্পর্কযুক্ত।
আমরা যদি সবসময় নিজেদের বিবেকেরর কথামতো চলি তবে আমাদের খারাপ কাজগুলো থেকে দূরে রাখা দূরে থাকা সম্ভব হয়। কেননা বিবেকে আমাদের জানিয়ে দিবে কোন কাজ ন্যায় আর কোন কাজ অন্যায়। বিবেকে নিয়ে চললে আমরা কখনই অন্যায় কাজ লিপ্ত হতে পারবোনা। জীবনে বিবেকবান ব্যক্তিরা কখনোই অন্যায় কাজে লিপ্ত হয় না। কেননা তাদের বিবেগ তাদেরকে বাধাগ্রস্থ করে। জীবনকে সঠিক ভাবে পরিচালনা করতে হলে নিজের বিবেক ঠিক রাখতে হবে। আমাদের সমাজ গুলো মাঝে মাঝে এমন হয়ে পড়ে যেখানে আবেগের কাছে বিবেক হেরে যায়। তারা আবেগটাকে প্রধান্য দিয়ে থাকে। অথচ এই আবেগের কারণে আবেগের কারণে আমরা কতই না ভুল কাজ করছি। মাঝে মাঝে আমরা বিবেকহীন আবেগি কাজ করি। আর আমাদের বিবেকহীন আবেগি কাজ গুলোর ফলে আনেক মানুষের প্রতি অন্যায় হয়ে যায়। তাই বিবেকহীন আবেগ থেকে নিজেকে রক্ষা প্রয়োজন।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

আমরা উপরের মানুষটা খারাপ হলেও আমাদের বিবেক কিন্তু সবসময় ভালো কিছুই বলে যাই। আমরা কেউ সে বিবেকের মুল্য দেই আবার কেউ পাত্তাই দিনা। যারা বিবেকের বুদ্ধিতে চলে তারাই মন থেকে প্রকিত মানুষ।
আর আবেগ,, তার কথা আর কি বলবো, তাকে সামলাতে গিয়ে আমরাই তার কবলে পড়ে যাই।
কিন্তু এটা সত্যি কথা আমাদের এই আবেগি চিন্তা ধারা বাদ দিয়ে বিবেগি হতে হবে। ভাইয়া আপনি অনেক সুন্দর করে বিবেক আর আবেগের পার্থক্য পোস্টের মাধ্যমে আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। কথা গুলো খুবই ভাল লেগেছে।
এটা একদম ঠিক কথা বলেছেন ভাইয়া৷ আমিও মাঝেমধ্যে ব্রেন খাটিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে গিয়ে যদি মন না চায় তখন বাদ দি। কিন্তু এই বাদ দেওয়াই সবসময় ক্ষতির মুখ দেখায় আমাকে। আর তখন আমি বুঝি যে আবেগী চিন্তাভাবনা বাদ দিতে হবে।যদিও তা সবসময় হয় না। তবে বেশিরভাগ সময় ই হয়।
বিবেক আর বুদ্ধি একে অপরের পরিপুরক
যেকোনো কাজের শুরুতে ভেবে চিন্তে এই ২ টির প্রয়োগের মাধ্যমে কাজ করলে সেটি পরিপূর্ণতা পায়
অন্যদিকে আবেগ দিয়ে কখনও বাস্তব জীবন চলা যায় না
আবেগ শুধুমাত্র ক্ষণচারী
যেখানে বিবেকের ভুমিকা অপরিসীম
অনেক সুন্দর সবগুলো কথা ভাইয়া। অসাধারণ লিখেছেন,আমাদের মধ্যে আবেগ আর বিবেক বিষয়টা নিয়ে কিছুটা সমস্যা হয়। একটিকে প্রাধান্য দিতে গেলে অন্যটিকে গুরুত্ব দেয়া হয় না৷ অনেক ভালো লেগেছে আপনার কথাগুলো। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
বিবেককে দূরে ঠেলে দিয়ে আবেগ দিয়ে ভেবে আমার মতে এই দুনিয়া কোনোদিনো চলে না। আমাদের এই মানব জীবনে বিবেহ এবং আবেগ দুইটাই গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু আবেগ দিয়ে ভাবার আগে সকলের উচিত বিবেক দিয়ে ভাবা। তাহলে হয়তো সিদ্ধান্তটি সুসংবাদ বয়ে আনবে।
আমাদের প্রত্যেকেরই উচিত আমাদের বিবেক এবং বুদ্ধি কে যথাযথভাবে প্রয়োগ করা। ভাইয়া আপনার পোষ্টটি পড়ে আমার অনেক ভালো লেগেছে। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
ভাইয়া বিবেকহীন আবেগ শিরোনাম টা সুন্দর। বিবেক দর্পণ সরুপ। অর্থাৎ আমাদের মাঝে বিবেক আছে তবে কেউ ইতিবাচকভাবে বা কেউ নেতিবাচক ভাবে এর ব্যবহার করে থাকে। যাদের বিবেক থেকেও অন্ধভাবে কোনো কিছু অনুকরণ করে তারা পশুর থেকেও কোনো অংশে কম নয়। আবার আবেগহীন মানুষ যন্ত্রের মতো। অর্থাৎ আবেগ নাই এমন মানুষ পাওয়া দুষ্কর। কিন্তু আমাদের এই আবেগ প্রত্যাকের ক্ষেত্রে আলাদা। অনেক সময় দেখা যায় আমরা ভুল যায়গায় ভুল ভাবে আবেগ দেখিয়ে নিজের ও সমাজের ক্ষতি করে ফেলতেছি। অর্থাৎ বিবেকহীন আবেগের সংমিশ্রণে আমরা নিজেদের ও সমাজের ভয়ংকর ক্ষতি সাধন করতেছি। ভাইয়া আপনি সুন্দর ভাবে এই বিষয়টি উপস্থাপন করেছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
বিবেক হলো আমাদের নিজস্ব বিচার,বুদ্ধি,
বিবেচনা,প্রজ্ঞা ও জ্ঞানের বহিঃপ্রকাশ।
আর আবেগ হলো আমাদের নিজস্ব অনুভুতির বহিঃপ্রকাশ।
এসব বিষয়ে আপনি অনেক সুন্দর ও বাস্তবতার বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছেন।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
"বিবেকহীন আবেগ "কথাটির মধ্যে অনেক তাৎপর্য লুকিয়ে আছে। আমরা আবেগের বশে অনেক ভুল কাজ করে ফেলি, সেই ভুল কাজের অনুভূতি সৃষ্টি করে আমাদের বিবেক। আমাদের প্রত্যেকের উচিত আমাদের বিবেক বুদ্ধিকে সঠিকভাবে কাজে লাগানো এবং আবেগকে নিয়ন্ত্রণে রাখা।
ভাইয়া আপনি আপনার কথাগুলো খুব সুন্দর ভাবে সাজিয়ে লিখেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য ভাইয়া।
কথাগুলো যখন পড়ছিলাম তখন মনে হচ্ছিল কোন সাহিত্যিকের লেখা যেন পড়ছে কারন আপনি খুব সুন্দর করে গুছিয়ে কথাগুলো বলেছেন। সত্যিই আমাদের আবেগ বিবর্জিত হওয়া টা যেমন কষ্টকর তেমনি বিবেগের মধ্যে থাকাটা অনেক জরুরী। ভালো মন্দ বিচার করার যে বিবেক সেটি আমরা পেয়েছি ঈশ্বরপ্রদত্ত হিসেবে আর সেই বিবেককে কাজে লাগিয়ে নিজেদের এবং পৃথিবীর পরিবর্তন করা সম্ভব।