তাল পাকার মৌসুম।
আজ - ২৪শে ভাদ্র |১৪৩০ বঙ্গাব্দ, | শরৎকাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।

ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
আসলে বাংলায় এখন ভাদ্র মাস চলছে অন্যান্য মাসের মতোই এই ভাদ্র মাসেও কিন্তু গরমটা একটু বেশি পরে । আমাদের গ্রামে বলে, এই ভাদ্র মাসের প্রচন্ড গরমেটা তাল পাকার উপযুক্ত সময়। এই ভাদ্র মাসটা আসলেই দেখা যেত প্রত্যেকের বাড়িতে তালের পিঠা বানানোর একটা উৎসব বেধে যেত। যদিও এখন আর সেটি আগের মত হয় না তবে এখনো কিন্তু কিছু কিছু বাড়িতে এই রিচুয়াল গুলো পালন করা হয়।
গ্রাম থেকে যেহেতু দূরে তাই গ্রাম্য এই সকল রিচুয়াল গুলো থেকে অনেকটা দূরে সরে যাচ্ছি বলতে গেলে। তবে এখন কিন্তু বাজারে পাকা তাল পাওয়া যায়। যদিও এসব তাহলে গুণগত মান কতটুকু ভালো তা জানা নেই তবে নিজেদের গাছে সে পাকা তাল গুলার স্বাদ যেন এখনো মুখে লেগে আছে। বেশি করে নারকেল দুধ ও পাকা তাল দিয়ে সে মজার পিঠাগুলোর স্বাদ কি কখনো ভোলা যায়?
আমাদের গ্রামের বাড়িতে বিশাল বড় একটি তাল গাছ ছিল, তথাকথিতভাবে সকলের ধারণা তাল গাছে নাকি ভূত থাকে। আর এই সব ধারণা থেকে গ্রামের অনেক বাড়িঘরে কিন্তু তালগাছ দেখতে পাওয়া যায় না থাকলেও কেটে ফেলে অনেকে । তবে আমাদের বেশ শখ করে গাছটা লাগানো হয়েছিল। তাই কখনো এই গাছটি কাটার সিদ্ধান্তটা গ্রহণ করা হয়নি । অনেকে অনেক মন্তব্য করছিল এই তালগাছকে ঘিরে। তবে তার কোন পরোয়াই করা হয়নি। তালগাছটা ছিল আমাদের পুকুর পাড়ে। যখন ভাদ্র মাসের এই সময়টা আসতো তখন সাধারণভাবেই তাল পাকতো। তাল গাছে কিন্তু সবগুলো তাল একসাথে পাকে না বরং একটা একটা করে তাল পাকে। তাই একসাথে করে পাকা তাল পাড়ায় সে সুযোগটা থাকে না। আর তালগাছ সাধারণত বিশাল বড় হয় তাই এই গাছে কেউ উঠতেও চাই না তেমন একটা।
ফলে একটা একটা করে তাল পেকে পেকে নিচে পড়ে যেত। আর তাল গাছের মালিক যেই হোক না কেন যার সামনে তাল পড়তো সে কিন্তু সে তালার মালিক। দিন নেই রাত নেই যে কোন মুহূর্তে কিন্তু পাকা তাল গাছ থেকে পড়ার সম্ভাবনা থাকে। আপনি তাল গাছের নিচে দিয়ে যাচ্ছেন ভাগ্য ভালো থাকলে আপনার সামনেও তাল পড়তে পারে। আর ভাগ্য যদি সহায় না হয় তাহলে সে তার মাথায় পড়তে পারে। আমার ভাগ্য কখনোই ভালো না তাই কখনোই এভাবে পাকা তাল কুড়িয়ে পায়নি। তাল কুড়িয়ে পাওয়া এ বিষয়টার মধ্যেও কিন্তু অনেকটা মজা লুকিয়ে থাকে।
যাই হোক তাল নিয়ে আমার জীবনে অনেক অনেক স্মৃতি এবং মজার মজার ঘটনা রয়েছে। আসলে এই সকল স্মৃতি এবং ঘটনাগুলো মনে পড়লে খুবই ভালো লাগে। যাইহোক, এই সিজনে কিন্তু এখনো পর্যন্ত তালের পিঠা খাওয়া হয়নি তবে অপেক্ষায় আছি খাওয়ার জন্যে। দেখা যাক, কখন বাসায় তালের পিঠা বানানো হয় । পাকা তালের ঘ্রান কিন্তু আমার কাছে অসম্ভব ভালো লাগে।
আজ এইখানেই বিদায় নিচ্ছি, সকালে ভালো থাকবে সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তীতে ভিন্ন কোন বিষয় নিয়ে। আল্লাহ হাফেজ।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।


250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

VOTE @bangla.witness as witness

OR
ভাই কথায় আছে ভাদ্র মাসে তাল পাকে চৈত্র মাসে বেল। তাল খুব একটা পছন্দের ফল হয়। তালের পিঠা বা বড়া খেতে ভীষণ ভালো লাগে। তাল দিয়ে আরেকটা সুস্বাদু খাবার তৈরি করা যায় সেটা হল,নারিকেল কুরে তালের গোটা দিয়ে জালিয়ে অনেকক্ষণ ধরে গোটাটা একটু শুকনা করতে হবে। আর এটা খেতে ভীষণ মজা। ভাই আপনার লেখাটি সম্পূর্ণ পড়ে বেশ ভালো লেগেছে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
তাল পাকার মৌসুম নিয়ে আপনি খুবই চমৎকারভাবে আপনার মনের অনুভূতি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন ভাইয়া সেই সাথে আপনাদের নিজেদের তালগাছ কে কেন্দ্র করে খুবই চমৎকার কিছু কথা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন পড়ে ভালো লাগলো। আমিও ছোটবেলায় অনেক অনেক তালগাছ নিয়ে অনেক ভুতুড়ে কাহিনী শুনেছি আপনার পোস্টের মাধ্যমেও সেটা জানতে পারলাম। এর থেকে বোঝা যায় যে আসলেই তাল গাছে হয়তো বা ভুতুড়ে কোন কিছু থাকে। সত্যিই তালের পিঠা খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে যদিও এখন পর্যন্ত এবছর খাওয়া হয়নি তবে ভাগ্যে যদি থাকে তাহলে অবশ্যই তালের পিঠা খাওয়া হবে। ধন্যবাদ আপনার এই সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
তাল নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। তাল সম্পর্কে অনেক কিছুই জানতে পারলাম আপনার পোস্ট থেকে। আপনি ঠিকই বলেছেন, বাজারে যে তাল পাওয়া যায় তার গুনগত মান নিয়ে সন্দেহ আছে। গত কয়েকদিন আগে একটি তাল কিনে তিতার কারণে ফেলে দিতে হয়েছে। তাই এবার এখনও তাতের পিঠা আমারও খাওয়া হয়নি। শুভ কামনা আপনার জন্য।
এটা ঠিক কথা বলেছেন ভাইয়া গরম পড়তে শুরু করলে যেন লোডশেডিং এর পরিমাণটা বৃদ্ধি পেয়ে যায়। যাই হোক গ্রাম বাংলার মানুষেরা কিন্তু এখনো বিশ্বাস করে যে তাল গাছে ভূত থাকে। তাল গাছের তাল সবগুলো একসাথে পাকে না বলেই তো বেশি মজা হয়। আর গাছের মালিক যেই হোক না কেন তাল যে কুড়িয়ে পাবে সেটা তার হয়ে যাবে।
ভাইয়া তার নিয়ে আপনি দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন দেখে এবং আপনার পোস্টটি পড়ে খুবই ভালো লাগলো। সবচাইতে একটা বড়ো ব্যাপার হচ্ছে তাল গাছের মালিক যেই হোক না কেনো যে তাল আগে পেয়ে যাবে সে তালের মালিক সেই হয়ে যাবে। বিষয় একদমি সত্যা। এখানে তাল গাছের মালিক হওয়া টা বড়ো কথা নায় তাল পেয়ে তালের মালিক হওয়াটাই বড়ো ব্যাপার🤭। পোস্টটি খুবই চমৎকার ছিল। ধন্যবাদ ভাইয়া।