ছোট ভুল থেকে বড় শিক্ষা।
আজ- ১৩ই ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, বসন্তকাল
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।

ছবি এখান হতে নেওয়া হয়েছে।
বলছিলাম সেদিনকার কথা। তখন সম্ভবত সকাল ছয়টা বাজে। ওই সময়টাতে সাধারণভাবে আমি ঘুমিয়েই থাকি। কেননা ওই যে প্রতিদিন রাত করে ঘুমাতে যাওয়া এবং দেরিতে করে ঘুম থেকে ওঠা এটাই তো একটা নিয়ম হয়ে উঠেছে আমার জন্য । তাই চাইলেও কোনভাবে সকালে দিনটা শুরু করা যায়না।
যাইহোক, ওই সকালটাতে আমি ঘুমিয়ে থাকলেও বাসার অন্য সদস্যরা কিন্তু উঠে যায়। এবং তাদের আনাগোনা মাঝে মধ্যেই ঘুমের ঘোরে সে শব্দ কানে আসে লাগে। প্রতিদিনের মতোই সে সকালটাও ছিল। কিন্তু মুহূর্তের মধ্যে যে এমন কিছু হবে তা বুঝতেই পারিনি। সাধারণভাবে রাতে কাজ করে কম্পিউটার এবং প্রত্যেকটি ডিভাইস টেবিলে রেখেই আমি ঘুমিয়ে পড়ি। আর সেদিনও ঠিক একই ভাবে সব টেবিলের উপর রেখে ঘুমিয়ে যায়। টেবিলের এক কোণেই ছিল ছোট মাটির একটি কলমদানি। যদিও এটি কলমদানি তারপরও এখানে কলমের বদলে হাবিজাবি সব জিনিসই থাকে বেশি ।
তো সে কলমদানির ভিতরে ছিল একটি লাইটার। আর এই লাইটারটা বেশ পুরনো। ব্যবহার করা হয় না তারপরও রেখে দিয়েছে যদি কখনো কোনো প্রয়োজনই লাগে সেজন্য। কিন্তু এই লাইটার যে এত বড় একটি বিপদ আনতে পারে তা কখনোই ভাবেনি। হঠাৎ করে ভোর ছয়টার দিকে বেশ জোরে একটি শব্দ হয়। আমি ঘুমের মধ্যেই এই শব্দ শুনে আচনকা উঠে বসি। কোনোভাবেই আমি বুঝতে পারছিলাম না যে কি হলো এটি। শব্দটাকে বাইরে থেকে নাকি ঘরে কোথাও হয়েছে। পরবর্তীতে বিছানা থেকে নেমে দেখি একটি প্লাস্টিকের ভাঙ্গা নীল রঙের টুকরো মেঝেতে পড়ে আছে। প্রথমে বুঝতে পারছিলাম না যে এটি কিসের টুকরো। যদিও মনে হচ্ছিল যে এই জিনিসটি কোথাও যেন দেখেছি। পরবর্তীতে হঠাৎ মনে পড়লো এটা কিসের ভাঙা টুকরো।
যখন ওই কলমদানির সব জিনিস বের করলাম তখন দেখলাম ওই লাইটার টি ভাঙ্গা টুকরা হচ্ছে এটি। আমি বিষয়টা দেখেই চমকে উঠলাম। কেননা কখনো ভাবতে পারেনি লাইটে এভাবে বিস্ফোরিত হতে পারে। পাশেই ছিল ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং কারেন্ট যদি কোন ভাবে সেখানে লাগতো তাহলে কোন পর্যায়ে কি হতো নিশ্চয়ই তা আপনারা বুঝতে পারছেন। কত বড় একটি বিপদ থেকে বেঁচে গিয়েছে তা হয়তো বলার অপেক্ষায় রাখছে না। পরবর্তীতে বাসার পুরনো যত লাইটার ছিল প্রত্যেকটা লাইটার ফেলে দিয়েছি। আসলে এই ছোট্ট একটি ঘটনা থেকে জীবনে অনেক বড় একটি শিক্ষা হয়েছে।
তাই আপনাদের বলছি আপনারা কখনো অধিক পুরনো লাইটার ব্যাটারি কিংবা দাহ্য পদার্থগুলো অনেকদিন ধরে বাসায় রাখবেন না। এতে যেকোনো সময় যেকোনো দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।


250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

VOTE @bangla.witness as witness

OR
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
একটা ছোট ভুলও বড় দুর্ঘটনার কারণ হতে পারে, আপনার অভিজ্ঞতা তা স্পষ্ট করে দিল। পুরনো লাইটার সংরক্ষণ করা যে বিপজ্জনক, তা অনেকেরই অজানা। আপনার সতর্কবার্তাটি নিঃসন্দেহে অনেকের জন্য উপকারী হবে। এই শিক্ষামূলক অভিজ্ঞতা শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
ছোট বেলায় তো এসব লাইটার দিয়ে আমরা পটাশ ফুটাতাম ভাই! তবে এগুলো ঘরের কোণে রাখাটা সেইফ না। ছোট্র ভুল থেকে অনেক বড় কিছু হতে পারতো। বাকি পুরনো লাইটারগুলো ফেলে দিয়ে ভালো করেছেন।
একেবারে সঠিক একটি কাজ করেছেন ভাই। সেদিন আসলেই বড় একটি দুর্ঘটনা ঘটতে পাড়তো। তবে আপনাদের ভাগ্য ভালো যে এমন কিছু ঘটেনি। আমি সেজন্য বাসায় পুরনো লাইটার রাখি না। যাইহোক এমন সচেতনতামূলক একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।