মাটির ব্যাংকে টাকা জমানো।

in আমার বাংলা ব্লগ20 days ago

আজ- ১৫ই চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, বসন্তকাল


আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।





সকলকে অগ্রিম ঈদ মোবারক। যদি ও আমাদের দেশে আগামীকাল ঈদ অনুষ্ঠিত হবে তবে বিভিন্ন দেশে কিন্তু আজ ঈদ। সকালের ঈদের দিনটা শুভ হোক এবং আনন্দময় হয়ে উঠুক এটাই কামনা। আজকে ওয়েদারটা মোটামুটি ভালই বলা চলে। তবে বাহিরে প্রচন্ড রোদ এবং কিছুটা উষ্ণতাও রয়েছে। কিন্তু গ্রীষ্মের সেই গরমের কাছে এই গরম যেন কিছুই না। সামনে দিনগুলোতে গরমের মাত্রা আরো তীব্রভাবে বাড়বে।

আরো বেশ কিছু মাস আগে একটি মাটির ব্যাংক নিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম এই মাটির ব্যাংক টি ভর্তি করব। মূলত দেখা যায় চলতে ফিরতে কিছু খুচরো পয়সা পকেটের কোণে বা এখানে সেখানে পরে থাকে। আর এই সকল পয়সাগুলো কে মূলত এক একত্র রাখার জন্যই এই ব্যাংকটি কিনা। আর টাকার জমানো থেকে পয়সাগুলো এক জায়গায় ব্যাংকে রাখার জন্যই এ ব্যাংক কেনার পরিকল্পনাটা করা হয়। যাইহোক, যেভাবা সেই কাজ বেশ বড়সড়ো দেখে একটি মাটির ব্যাংক কিনে আনি। আর কয়েক মাস ধরে ব্যাংকটিতে বেশ আগ্রহ নিয়ে খুচরো পয়সা থাকলে তা জামা করে রাখি । তবে আমার মাঝে মাঝে মনে হয় শুধু রাখলে তো বেশি এমাউন্ট জমা হবে না। তাই মাঝেমধ্যে কিছু টাকাও এর মধ্যে রাখা যেতে পারে।

আমার আবার ছোটবেলা থেকে কোন ব্যাংক পুরোপুরি পূর্ণ করতে পারি না অর্ধেক ভর্তি হতে না হতে ব্যাংকটি ভেঙে আমার দেখা লাগবে কত টাকা হয়েছে। একটা কৌতুহল কাজ করে সব সময় যে ব্যাংকে কত টাকা হয়েছে বা কখন ব্যাংকে ভাঙবো কতটুকু ভর্তি হয়েছে এসব নিয়ে। তা চাইলেও কোন ব্যাংক আমি পুরোপুরি ভর্তি করতে পারি না।

1000052064.jpg

যাইহোক বেশ কয়েক মাস গেল এবং বেশ আগ্রহ নিয়ে ব্যাংকে টাকা ভর্তি করতে লাগলাম। কিন্তু একদিন হঠাৎ করে ইচ্ছে হলো ব্যাংকটি ভেঙে দেখার কত টাকা হয়েছে সেটি জানার জন্য। তো যেইভাবা সেই কাজ হুট করে একদিন ব্যাংকটি ভেঙে ফেললাম। যদিও ব্যাংকে ভাঙার পর মনে হয়েছিল না ভাঙ্গলেই হয়তো ভালো হতো। তবে আমার বেশ আনন্দ লাগছিল এতগুলো কয়েন একসাথে দেখতে পেয়ে।

এরপরে সকলে মিলে কয়েন গুলো গুনতে লাগলাম। এ কয়েন গুলো গুনতে আবার এক ঝামেলা পোহাতে হয়। ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তা শুরুতে একটাকা, দুইটা, ও ৫ টাকার কয়েন গুলোকে আলাদা করে নিয়েছি। এরপর একটি কাগজে এক টাকার কয়েন কতগুলো, দুই টাকার কয়েন কতগুলো, এবং পাঁচ টাকার কয়েন কতগুলো সেগুলো লিখে নিয়েছি। এরপর সেগুলোকে মোট হিসাবের খাতায় লিখেছি। আর এভাবে করে আসলে কয়েনগুলো হিসাব সহজ হয়।

কয়েক মাসের এই মাটির ব্যাংকে জমানো মোট টাকার সংখ্যা হয়েছিল আড়াই হাজার ৫০। তার মধ্যে দেড় হাজার ছিল কয়েন আর বাকিগুলো ছিল নোট।

এইতো এই ছিল আমার টাকা জমানোর ছোট্ট একটি জার্নির সমাপ্তি। তবে এবার বেশ কঠিন ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছি অনেক বছর ধরে একটি ব্যাংকে টাকা জমাবো। কেননা ছোট থেকে একটি বড় অ্যামাউন্ট তৈরি হয়। দেখবেন এমনিতে আমাদের কারো হাতে কখনো বেশি দিন টাকা থাকে না কোন না কোন ভাবে খরচ হয়ে যায়। তাই যদি আমরা এই ব্যাংকের মধ্যে টাকা জমায় তাহলে একটা নির্দিষ্ট সময় বেশ বড় একটি এমাউন্টে হাতে পাওয়া যায়।

সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।

1000038736.webp


Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power

250 SP500 SP1000 SP2000 SP5000 SP

Heroism_3rd.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

Sort:  

This post has been upvoted by @italygame witness curation trail


If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness




CLICK HERE 👇

Come and visit Italy Community



 20 days ago 

মাটির ব্যাংকে টাকা জমানো আসলেই বেশ দারুণ একটি অভ্যাস। আমিও মাঝে মধ্যে মাটির ব্যাংকে টাকা জমাই। আমারো আপনার মতো কখনোই পুরো ব্যাংক ভর্তি করার সুযোগ হয় নি। আপনার পোষ্ট টি পড়ে আবারও ইচ্ছে হচ্ছে পুরো ব্যাংক ভর্তি করতে হবে একবার হলেও! দেখা যাক, পারি কি না। আপনার জন্যও শুভকামনা রইলো ভাই।

 19 days ago 

ছোটবেলায় মাটির ব্যাংকে টাকা জমালে বারবারই ইচ্ছে করতো ভেঙে দেখতে কতো টাকা জমেছে। তাই কিছুদিন পরপরই মাটির ব্যাংক কিনতাম এবং ভেঙে ফেলতাম। যাইহোক মাটির ব্যাংক ভেঙে সবাই মিলে টাকা গুনতে আসলেই খুব ভালো লাগে। অল্প কিছুদিনের মধ্যে বেশ ভালোই টাকা জমিয়ে ফেলেছেন ভাই। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.15
TRX 0.24
JST 0.031
BTC 85128.33
ETH 1614.78
USDT 1.00
SBD 0.87