মসজিদে ইফতারি দেওয়া আয়োজন।
আজ- ২৭শে ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, বসন্তকাল
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।

মার্চে ১২ তারিখ আমাদের পরিবারের জন্য শোকের একটা দিন বলা চলে । কেননা এই দিনটাতে আমারা চিরকালের জন্য আমাদের বাবাকে হারায়। গুটি গুটি পায়ে যে কতগুলো বছর হয়ে গেল বুঝতে পারেনি। বাবার সেই স্মৃতিগুলো যেন আমার চোখে ভাসে। অথচ দিনগুলো কিন্তু কম হয়নি আট বছর হয়ে গেল। সত্যি বলতে প্রতিটা মুহূর্তে উনার না থাকাটা অনুভব না করলেও বিশেষ বিশেষ কিছু সময়ে ওনার অনুপস্থিতিটা অনেক কষ্ট দেয়।
এবার যেহেতু মৃত্যু বার্ষিকীটা রমজান মাসেই পড়েছে তাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি মসজিদে ইফতারি দেওয়ার। তো যেই ভাবা সেই কাজ, সকাল থেকে আম্মু প্রস্তুতি নিয়ে নিয়েছে মসজিদে প্রায় ৩০ জন মানুষের ইফতারির আয়োজন করার।
আমি সকালে ঘুম থেকে উঠেই ফ্রেশ হয়ে নিয়েছিলাম। এখন যেহেতু রমজান মাস তাই সকল মানে বেলা ১১ টা বা বারোটাই ঘুম থেকে ওঠা হয়। কেননা ভোর রাতের দিকে ঘুম থেকে ওঠার প্রয়োজন পড়ে সেহরি খেতে। আমার প্রায় সময় দেখা যায় সারারাত কোন না কোন কাজে ব্যস্ত হয় বলে একেবারে ভোর রাতে ঘুমাতে যাওয়া হয়। এই কারণে সব মিলিয়ে ওই সকালের সময়টাতেই যা একটু ঘুম হয়।
যাই হোক এরপর চলে যায়, আব্বুর কবর জিয়ারত করতে। এর পর জোহরের নামাজটা ওখানকার মসজিদেই পড়ে বাসায় ফিরে আসি। এরপর চারটার দিকে সমস্ত ইফতারি গুলো রেডি করে আসরের নামাজের পরে বের হয়। এর পারে মসজিদেই সকলের সাথে ইফতারি করি।
আজকে তাহলে এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সকলে ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন। দেখা হবে পরবর্তী দিন আবার ও কোন বিষয় নিয়ে আল্লাহ হাফেজ।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।


250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

VOTE @bangla.witness as witness

OR
হ্যাঁ প্রথমদিকে আবহাওয়া কিছুটা ঠান্ডা ছিল রোজা রাখতে খুব একটা কষ্ট হয়নি তবে এখন তাপমাত্রা প্রতিনিয়তই বাড়ছে যার কারণে খুব বেশি সময় বাইরে ঘোরাফেরা করলে গলা শুকিয়ে যায়। যাইহোক সব কাজ সেরে মসজিদে সবার সাথে ইফতার করেছেন এটা আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে মূলত বেশ কিছু লোক একসাথে ইফতারি করেন ক্ষেত্রে আলাদা একটা তৃপ্তি পাওয়া যায়।
মসজিদে ইফতারি দেওয়ার এই উদ্যোগটি সত্যিই প্রশংসনীয়। এটি সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ববোধকে আরও শক্তিশালী করে। আল্লাহ আপনার এই নেক কাজটি কবুল করুন।এই ধরনের আয়োজন শুধু রমজানেই নয়, বছরের অন্যান্য সময়েও করা যেতে পারে। এটি গরিব ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর একটি সুযোগ। সবাই মিলে এগিয়ে আসলে আরও বেশি মানুষ উপকৃত হতে পারে। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভাইয়া।
জি ভাই ঠিক বলেছেন আবহাওয়া পরিবর্তন হতে শুরু করেছে। প্রথমদিকে রোজাগুলো রাখতে তেমন কষ্ট হতো না কিন্তু এখনকার রোজা রাখলে একটু হলেও গলা শুকিয়ে আসে। মসজিদে ইফতারি দিয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো এবং যে নিয়তে ইফতারি দিয়েছেন আল্লাহ যেন আপনার সেই নিয়ত কবুল করেন।সবাই একসঙ্গে ইফতারি করা অনেক সওয়াব। তেমনি সবার মধ্যে সম্পর্ক ভালো হয়। ধন্যবাদ ভাই পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
দীর্ঘ আট বছর হয়ে গেল আপনার বাবার মৃত্যুর।আসলে এই মুহূর্তগুলো সবার জন্যই খুব বেশি কষ্টের হয়। দিনগুলোর কথা মনে পড়লেই খুব খারাপ লাগে। যাইহোক সেই উপলক্ষে মসজিদে ইফতার আয়োজন করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। আসলে রমজান মাসে এভাবে মাঝে মাঝেই ইফতার আয়োজন করলে সবার দোয়া পাওয়া যায়।আঙ্কেলের আত্মার মাগফেরাত কামনা করি।
পৃথিবীতে কেউ চিরস্থায়ী নয়। সবাইকে চলে যেতে হবে একদিন। তবে কিছু কিছু মানুষের চলে যাওয়াটা মেনে নেওয়া খুবই কষ্ট হয়। যেমন আমাদের মা-বাবার আমাদের জন্য ছায়া স্বরূপ। তারা যদি চলে যাই তাহলে সবকিছু অন্ধকার হয়ে যায়। বেশ ভালোই করলেন আপনার আব্বুর মৃত্যু দিবসের দিন মসজিদে ইফতারি দিলেন।
ভাইয়া, মসজিদে ইফতারি দেওয়ার আপনার এই উদ্যোগটি সত্যিই অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এটি আমাদের সম্প্রদায়ের মধ্যে ঐক্য, ভালোবাসা ও ভ্রাতৃত্ববোধকে আরও দৃঢ় করে। আল্লাহ আপনার এই মহান কাজটি কবুল করুন। এ ধরনের উদ্যোগ শুধু রমজানেই নয়, বরং বছরের অন্যান্য সময়েও আমাদের গরিব ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ করে দেয়। যদি আমরা সবাই একসাথে এগিয়ে আসি, তাহলে আরও অনেক মানুষের জীবন আলোকিত হতে পারে। আপনাকে অনেক শুভকামনা এবং আল্লাহর রহমত কামনা করছি।
যার বাবা নেই একমাত্র সে-ই বুঝে বাবা না থাকার কষ্ট। আঙ্কেলের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মসজিদে ইফতার দেওয়ার সিদ্ধান্তটা দারুণ ছিলো। সবাই ইফতার করে আঙ্কেলের জন্য দোয়া করেছে। তবে এতো আয়োজন করতে তো আন্টির অনেক কষ্ট হয়ে গিয়েছে মনে হচ্ছে। যাইহোক আঙ্কেল যাতে ওপারে খুব ভালো থাকে,সেই কামনা করছি। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
যাদের বাবা নেই যেই দিনটাতে বাবাকে হারিয়েছে ঐ দিনটা একেবারে ভুলে যাওয়া যায় না। এই অনূভুতি টা আমি জানি। মসজিদে ইফতারের আয়োজন টা বেশ দারুণ করেছেন ভাই। চমৎকার লাগল আপনার পোস্ট টা। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।