আবার ও একদিন রয়েল হাটে ব্রেন ফ্রাই খাওয়ার জন্য।
আজ - ২৩,জ্যৈষ্ঠ, | ১৪২৯ , বঙ্গাব্দ | গ্রীষ্মকাল |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।

যাই হোক, হাতে এখন অনেকটা সময় তাই ভাবলাম যাই কোথাও থেকে একটু ঘুরে আসি। তাই শুক্রবার বিকেলে কয়েকজন ফ্রেন্ডরা মিলে আমরা চলে যাই " রয়েল হাট " রেষ্টুরেন্টটিতে ব্রেন ফ্রাই খাওয়ার জন্য।
এর আগেও আমরা একবার রয়েল হাটে গিয়েছিলাম। এবং সে বিষয়টি ও আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। কিন্তু তখন আমাদের ব্রেন ফ্রাই খাওয়ার সুযোগ টা হয়নি। তাই আমরা লিভার ফ্রাই খেয়েছি। আসলে তখন ছিল ঈদের সিজেন আর প্রচুর মানুষের ভিড়। তাই আমরা যাওয়ার আগেই সেই কাঙ্খিত ব্রেন ফ্রাইটি শেষ হয়ে গিয়েছিল। রয়েল হাটের সিগনেচার একটি ডিস হচ্ছে এই ব্রেন ফ্রাই। অনেক মানুষই আসে এখানে ব্রেন ফ্রাই এবং কাবাব খাওয়ার জন্য।
সত্যি এই হোটেলের ব্রেন ফ্রাই অসাধারণ খেতে। যদিও এর আগে আমার কখনো অন্য কোথাও ব্রেন ফ্রাই খাওয়ার সুযোগ হয়নি। তাই অন্য কোন হোটেলের সাথে তুলনা করতে পারছিনা। এছাড়া ও এ হোটেলের খাবার ছাড়াও আর একটা জিনিস আমার খুবই ভালো লাগে সেটি হচ্ছে আউটডোর ডেকোরেশন। হোটেলটি ইনডোরের তুলনা আউটডোর এরিয়াটি বেশ বড় এবং খোলামেলা।
আমরা মোট তিনজন যাওয়ার কথা ছিল ওখানে কিন্তু একজন আসতে পারেনি। তাই আমরা দুজন ছিলাম। বিকেল চারটার দিকে আমি বাসা থেকে বের হয়। এরপর ওখানে গিয়ে আমি কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর আমার ওই ফ্রেন্ডটি আসে। এরপর আমরা কিছুক্ষণ আড্ডা দেওয়ার পর ওয়েটারকে ডেকে দুইটা ব্রেন ফ্রাই, সালাত এবং নান ওয়াডার দিই। যদি ও আমাদের কাছে মেনু কার্ড ছিল তবে আমরা একবারের জন্য ও মেনু কার্ড দেখার কোন প্রয়োজন বোধ করি নি। কেননা আমাদের মূল লক্ষ্যই ছিল ব্রেন ফ্রাই খাওয়ার।
তেমন বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি আমাদের। কিছুক্ষণের মধ্যেই টেবিলে খাবার চলে আসলো। ওদের খাবার পরিবেশন টা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। স্ট্রোকের মধ্যে ওরা ব্রেন ফ্রাই দিয়েছে যাতে খাবারটা গরম থাকে। এছাড়াও নান গুলো ও নরম নরম ছিল এবং সালাত গুলো অনেক টেস্টি ছিল। যাই হোক সবকিছু মিলিয়ে খাবারটা আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছে। আমদের ওই দিন দুজনের মোট বিল এসেছিল ৪৬০ টাকা। প্রতি প্লেট ব্রেন ফ্রাই এর দাম নিয়েছে ১৭০টাকা।এবং প্রতি পিস নান এর দাম ২০ টাকা।
যাই হোক, আমরা খাওয়া-দাওয়া শেষ করে বিলটি প্রেমেন্ট করে নি। বন্ধু জানে যে আমি জব করি তাই বিলটি আমাকেই দিতে হয়েছে। যদিও সেও চেয়েছিল বিল টি দিতে তবে আমি জোর করায় আর দেয়নি। তবে যে যায় বলুক সামর্থ্য থাকলে বন্ধুদের খাওয়াতে কিন্তু বেশ ভালই লাগে। যাইহোক ওই দিন আমি তেমন একটা বেশি ফটোগ্রাফি করতে পারিনি। কেননা আমার এন্ড্রয়েড ফোনটি আমি ভুলে বাসায় রেখে গিয়েছিলাম। তবে ফ্রেন্ডের মোবাইল থেকে টুকটাক কয়েকটি ফটোগ্রাফি করেছি আর পেরেছি আর সেগুলোই আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি। যাইহোক, ওইদিন রেস্টুরেন্টেটিতে কেন জানি মানুষজনের সংখ্যা কম ছিল। তবে অন্যান্য সময়গুলোতে আমি দেখেছি মানুষের প্রচুর ভিড় থাকে সেখানে। তবে পরবর্তীতে দেখতে পেলাম সন্ধ্যার পরে মানুষের আনাগোনা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে। আসলে আমরা যখন গিয়েছি তখন হচ্ছে দুপুরে একটু পরপরই বিকাল এর শুরুতে। তাই আমরা যাওয়ার পরে তেমন একটি মানুষ ছিল না।
যাইহোক, আমরা সাড়ে পাঁচটার মধ্যেই ওখান থেকে বেরিয়ে পড়ি। এবং সন্ধ্যার পরপরই বাসায় ফিরে আসি।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।


| 250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |






আপনার ব্রেন ফ্রাই দেখেই তো খেতে ইচ্ছা করছে। ঢাকায় হলে গিয়ে খেযে আসতাম। আপনি খুব সুন্দর করে সবকিছুর বর্ণনা করেছেন। দুই বন্ধু মিলে বেশ খাওয়া দাওয়া করেছেন। অবশ্য আরেকজন আসলে আরো ভালো সময় কাটতো। তাছাড়া খাবারের দাম ও কম মনে হয়েছে আমার কাছে। ঠিক বলেছেন পকেটে টাকা থাকলে লোকজনকে খাওয়াতে ভালোই লাগে।
This post has been upvoted by @italygame witness curation trail
If you like our work and want to support us, please consider to approve our witness
Come and visit Italy Community
ব্রেইন ফ্রাই আমি কখনো খাইনি।কেনো জানিনা মনে হয় মজা লাগবেনা আমার।কি করে যে ফাঁকা পেলেন!সবসময় চেয়ার ধরে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়।
ভাইয়া এই ধরনের রেসিপি আমার কখনো কোন রেস্টুরেন্টে খাওয়া হয়নি। যতবার খেয়েছি বাসায় তৈরি করেই খেয়েছি আমার কাছে খেতে খুবই ভালো লাগে। ব্রেন ফ্রাই খেতে আলাদা রকম একটা টেস্ট লাগে যেটা অন্য খাবারের সঙ্গে কখনোই মিলে যায়না। হুম একেবারেই আলাদা অন্য রকম সুস্বাদু। এই রেস্টুরেন্টে গরম গরম পরিবেশনের আইডিয়াটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। এটা সাধারণত খুব কম দেখা যায়। দেখেই বুঝতে পারছি আপনার বন্ধুর সঙ্গে বেশ আনন্দঘন কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন এবং মজা করে খেয়েছেন। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
এর আগে রয়েল হোটেলের কথা শুনেছি আপনার কাছে,ব্রেইন খেতে পারেননি,শেষ হয়ে গেছে এই জন্য।যাই হোক অবশেষে খেতে পারলেন।ছবিগুলো দেখে বেশ লোভ হচ্ছে। ভালো ছিলো।ধন্যবাদ আপনাকে।
এর আগের পোস্টের কথা মনে আছে, যখন লিভার ফ্রাই খেয়েই আপনাদের ফিরে আসতে হয়েছিল। ব্রেন ফ্রাই এর দাম দেখলাম মোটামুটি সহনীয় পর্যায়ে আছে। খেতেও নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। তবে এ ধরনের খাবার যত কম খাওয়া যায় ততই ভালো। তবে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগলো স্টোভের মধ্যে খাবার পরিবেশন করাটা
এই কথাটি আপনি একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া। নিজের সামর্থ্য থাকলে বন্ধুদেরকে খাওয়াতে অনেক ভালো লাগে। আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনি নিজের কর্ম জীবনে অনেক সফলতা অর্জন করেছেন। আপনি আপনার বন্ধুকে খাইয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। খাবারগুলো বেশ লোভনীয় ছিল ভাইয়া। আপনি বেশ কয়েকদিন খুবই ব্যস্ত ছিলেন এটা আমরা সকলেই জানি। আসলে সংসারের কাজগুলো করা বড়ই কঠিন। যখন বাসায় একা থাকা হয় তখনই বুঝতে পারা যায় আমাদের মা কতটা কষ্ট করে নিজের সংসার সামলে রাখেন। ব্রেন ফ্রাই খেতে আমার অনেক ভালো লাগে। আর সাথে যদি নান রুটি হয় তাহলে তো কথাই নেই। অনেক লোভনীয় খাবার খেয়েছেন এবং সেই অনুভূতি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এজন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো। ♥️♥️♥️
এটা তো দেখে অনেকটা গ্রেভি টাইপের মতো মনে হচ্ছে। আমি ঢাকার মোহাম্মদপুর থেকে ব্রেন ফ্রাই খেয়েছি। কিন্তু তার থেকে আপনাদের এখানকার ব্রেন ফ্রাই দেখেই মনে হচ্ছে খেতে অনেক বেশি মজা হবে। ব্রেন ফ্রাই আমার খুবই পছন্দের একটি খাবার। কিন্তু হাই কোলেস্টেরল হওয়াতে এটি এখন খাওয়ার কথা চিন্তাও করতে পারিনা। তবে চট্টগ্রামে কখনো গেলে এই রেস্টুরেন্ট থেকে ব্রেন ফ্রাই খাওয়ার চেষ্টা করবো। ব্রেন ফ্রাই এর ছবি দেখেই লোভ লেগে গেলো।
রয়েল হাটে ব্রেন ফ্রাই খাওয়ার অনুভূতি পড়ে তো ভীষণ ভালো লাগলো। ভাইয়া আপনি চমৎকার একটি কথা বলেছেন। সামর্থ্য থাকলে বন্ধুদের খাওয়াতে কিন্তু বেশ ভালই লাগে। ঠিক একদমই ঠিক। আপনার পোস্ট ভিজিট করে ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন।
Hi @moh.arif,
my name is @ilnegro and I voted your post using steem-fanbase.com.
Come and visit Italy Community