কুচো চিংড়ি রেসিপি।
আজ- ১৬ই, ফাল্গুন | ১৪২৮ , বঙ্গাব্দ | বসন্তকাল | | মঙ্গলবার |
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।

সাধারণত শীতের সময়টাতেই এই ধরনের ছোট ছোট চিংড়ি মাছ গুলো বেশি পাওয়া যায়। এই ছোট চিংড়ি গুলোকে একেক অঞ্চলে একেক নামে ডাকে কেউ এটিকে কুচো চিংড়ি বলে । তবে আমাদের আঞ্চলিক ভাষায় এই চিংড়ি গুলোকে আমরা তুসশা গুড়া বলি। আর এগুলা একদম ফ্রেশ সাগরের মাছ হওয়ায় এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে আয়োডিন আছে। এছাড়াও এ ছোট চিংড়ি গুলো চোখের জ্যোতি বাড়াতে সাহায্য করে। যাইহোক সাধারণত এই ছোট চিংড়ি গুলো দিয়ে বড়া বানানো হয়। কিন্তু আজ আমি একটু ভিন্নভাবে এই চিংড়ি মাছ গুলো দিয়ে কিভাবে সবজি রান্না করা যায় তার রেসিপি শেয়ার করতে চলেছি।আশা করছি রেসিপিটা আপনাদের ভালো লাগবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণঃ
- পেঁয়াজ কুচি।
- মরিচের গুঁড়া।
- লবণ।
- তেল।
- জিরা বাটা।
- শিম।
- রসুন বাটা।
- টমেটো।
- ছোট চিংড়ি।
- ধনিয়া পাতা।

প্রস্তুত প্রণালীঃ
ধাপ-১ঃ
প্রথমে মাছগুলোকে ভালোভাবে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিব। কেননা সাগরের এই ছোট ছোট চিংড়ি মাছ গুলোর সাথে অন্যান্য মাছ এবং অনেক ময়লা আবর্জনা থাকে। এরপর মাছগুলোর সাথে পেঁয়াজকুচি, মরিচের গুঁড়া, জিরা বাটা রসুন বাটা, লবণ এই সব মসলা দিয়ে ভালোভাবে মেখে নেব।
![]() |
![]() |

ধাপ-২ঃ
- এরপর একটি পাত্রে তেল গরম করতে দিব এখানে আমি সরিষার তেল ব্যবহার করেছি আপনারা চাইলে যে কোন তেল ব্যবহার করতে পারে। এরপর তেল কিছুটা গরম হয়ে আসলে পূর্বের মসলা মেখে রাখা মাছগুলো তেলের মধ্যে দিয়ে দিব।
![]() |
![]() |

ধাপ-৩ঃ
- মাছগুলোকে তেলের মধ্যে ভালোভাবে নেড়ে চেড়ে নিব।

ধাপ-৪ঃ
- কিছুক্ষণ মাছগুলোকে তেলের মধ্যে নাড়াচাড়ার পর এর মধ্যে অল্প পানি দিয়ে দিব।
![]() |
![]() |

ধাপ-৫ঃ
- মাছে পানি দেওয়ার পর কিছুক্ষণ কষিয়ে নিব এরপর পূর্বে কেটে রাখা শিম ও টমেটো গুলো দিয়ে দিব।

ধাপ-৬ঃ
- এরপর শিম এবং টমেটোগুলোকে সিদ্ধ করব।

ধাপ-৭ঃ
- টমেটো এবং শিম সিদ্ধ করার পর ঝোল টেনে আসলে এর মধ্যে পরিমাণ মতো দিয়ে দিব।

ধাপ-৮ঃ
- এরপর ঝোল গুলো কিছুটা টেনে আসলে এবং মাখা মাখা হয়ে গেলে এবার ধনিয়া পাতা দিয়ে নামিয়ে নিব।

ধাপ-৯ঃ

সকলকে ধন্যবাদ।

Support @heroism Initiative by Delegating your Steem Power
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

পেঁয়াজকুচি আর টমেটো দিয়ে কুচো চিংড়ি দেখেই লোভে পড়ে গেলাম। আসলে ছোট চিংড়িগুলো অনেক সময় বড়ো চিংড়ির চেয়েও বেশি মজা লাগে। শুধু ঠিক ভাবে রান্না করতে করতে হবে। আপনার কুচো চিংড়ির রেসিপির কালার ছিলো অসাধারণ। আসলে রেসিপির কালার ভালো হলে রেসিপির ভ্যালু আরো বেড়ে যায়। যাইহোক, আমি রেসিপিটি অবশ্যই ট্রাই করে দেখবো। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই এই অসাধারণ রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। 🐟
আমাদের এখানে সাগর না থাকায় চিংড়িগুলো নদীতেই অনেক পাওয়া যায়। আমরা চিংড়িগুলো রোদে শুকিয়ে তারপর বিভিন্ন সবজির সঙ্গে রান্না করে থাকি। চিংড়ি গুলো খেতে আসলেই অনেক সুস্বাদু। আপনার রেসিপি দেখেই মনে হচ্ছে গরম ভাত অথবা রুটির সঙ্গে খাবার জন্য একটি আদর্শ আইটেম। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য
ছোট চিংড়ির শুটকি গুলো কিন্তু খেতে অনেক মজা আমি সাধারণত ওই ছোট চিংড়ির শুটকি দিয়ে ভর্তা বানিয়ে খায়। আর হ্যাঁ এই তরকারিটি রুটি অথবা ভাতের সাথে খতে অনেক মজা লাগে ।
আমাদের এলাকায় বলা হয় চিংড়ির ভুলা, আপনি খুবই মজাদার রেসিপি তৈরী করে আমাদের মাঝে প্রেজেন্ট করছেন ।সিম দিয়ে কুচো চিংড়ি খুবই মজাদার।তবে বেশী মজা হওয়ার কারণ আমার কাছে মনে হচ্ছে একটু ঝোল রাখার কারণ। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
এগুলো সাগরের তাজা মাছ হওয়া এর ঝোল খেতে অনেক ভালো লাগে আমার কাছে।
ধন্যবাদ আমার রেসিপি আপনার পছন্দ হয়েছে জেনে খুব ভাল লাগছে।
এরকম ছোট ছোট চিংড়ি মাছ খেতে বেশ মজার, আমার কাছে চিংড়ির যেকোনো রেসিপি ভালো লাগে। আপনার পোষ্ট অসাধারণ সুন্দর ছিল খুব টেস্টি খাবার মনে হচ্ছে।
ধন্যবাদ আপনাকে আমার রেসিপিটা আপনার পছন্দ হয়েছে জেনে খুব খুশি হলাম।
ছোট চিংড়ি মাছের অসাধারণ একটি রেসিপি তৈরি করেছে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক টেস্টটি হয়েছে এবং আপনি আপনার রেসিপিটির প্রতিটা স্টেপ অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে ভাই ছোট চিংড়ি এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
শীতকালীন সবজি এবং চিংড়ি মাছের রেসিপি অত্যন্ত সুন্দরভাবে আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছে তার সাদ এর কোন তুলনা হয় না। এছাড়া আপনি রেসিপিটি রান্না করার যে বর্ণনা দিয়েছেন তাতে যে কেউই সহজেই রান্না করতে পারবে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।।
ছোট চিংড়ি দিয়ে যেকোনো রেসিপি তৈরি করলে সেটা অনেক সুস্বাদু হয়। আপনার তৈরি ছোট চিংড়ি রেসিপিটি বেশ লোভনীয় লাগছে। ছোট চিংড়ি দিয়ে লাউ ঘন্ট করলে অনেক মজা লাগে। লোভনীয় ছোট চিংড়ি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
ছোট চিংড়ি দিয়ে লাউ ঘন্ট রেসিপিটির নাম আমার কাছে নতুন মনে হচ্ছে। কিন্তু ছোট চিংড়ি দিয়ে লাউ খেয়েছি অনেকবার বেশ মজা লাগে খেতে।
শীতকালীন সবজি দিয়ে কুচো চিংড়ির সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনাদের এলাকার আঞ্চলিক ভাষায় তুসশা গুঁড়ো বলে সেটা জানতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। তাছাড়া চিংড়ি মাছ আমার ফেভারিট একটি মাছ ।যেটা আমি খেতে খুবই পছন্দ করি। খুবই লোভনীয় একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আজকে ভাই। আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ইসসস এই দুপুরবেলা রেসিপিটি দেখে তো আর লোভ সামলানো যাচ্ছে না। ইচ্ছে করছে এখনই গরম ভাত নিয়ে বসে যাই। এবং একটুখানি কচু চিংড়ি টেস্ট করে দেখি। দেখে বোঝা যাচ্ছে খুব বেশি মজাদার হয়েছে খাবারটি। আমার সমুদ্রর এমন ছোট চিংড়ি তরকারি গুলো খুব ভালো লাগে। ধন্যবাদ ভাইয়া নতুন একটি রেসিপি শিক্ষা নিলাম আপনার কাছ থেকে। এভাবে আমাদের সাথে সুন্দর পোস্টগুলো শেয়ার করে যান। অনেক শুভকামনা ও ভালোবাসা রইলো আপনার জন্য।
আপনাকে ধন্যবাদ। আমার রেসিপিটা আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশি হয়েছি ।
আচ্ছা আপনি শিম এবং সাথে ঝোল ঝোল রেখেছেন, এটা একটু ভিন্ন রকমের মনে হয়েছে আমার কাছে। কারন আমরা সাধাণত শুধু গুড়ো চিংড়ি দিয়ে ভুনা জাতিয় কিছু করে থাকি। ধন্যবাদ
একটু ঝোল ঝোল থাকলে আমার খেতে ভালো লাগে। এছাড়া ও এগুলো সাগরের তাজা মাছ হওয়াই ঝোল থেকে একটা আলাদা ঘ্রান আসে।