ঈদের ঘুরাঘুরি।
আজ- ২০শে চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, বসন্তকাল
আসসালামু-আলাইকুম। আদাব - নমস্কার। মাতৃভাষা বাংলা ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি আমার বাংলা ব্লগ এর ভারতীয় এবং বাংলাদেশী সদস্যগণ, আশা করি সবাই ভাল আছেন।

প্রত্যেকটা পার্ক কিংবা ঘুরাঘুরি জায়গাগুলোতে প্রচন্ড মানুষের ভিড়। আর এই ভিড় সামলে ঘুরতে যাওয়া আনন্দটা যেন মাটি হয়ে যায়। তখন ঘোরাফেরা এটা যেন বিরক্তিকর একটি বিষয় হয়ে ওঠে। দূরে কোথাও গেলে ফেরার পথে গাড়ি পাওয়া যায় না ঠিকমতো এরপর মানুষের ভিড়ে গরম অসহ্যকর এক পরিস্থিতি। আর এসবের মধ্যে কোথাও ঘুরতে না গিয়ে বরং বাসায় সময় কাটানোটাই শ্রেয় বলে আমি মনে করি।
টিভি নিউজগুলোতে প্রায় দেখা যায় ঘোরাঘুরির জায়গা গুলোতে বর্তমান পরিস্থিতি কতটা ভয়ানক। চট্টগ্রামের সমুদ্রপাড়ে ও যেন কয়েক হাজারের মানুষের ভিড় জমে গিয়েছে। তাই এই সকল কিছু থেকে ভালো নিজে ঘরে বসেই থাকা।
যদিও ঈদের দিন বাসায় কয়েকজন মেহমান এসেছিল তাদের সাথে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছে। গতকাল হঠাৎ করে প্ল্যান করলাম যে কোন রেস্টুরেন্ট থেকে একটু ঘুরে আসা যাক। এতে ফ্যামিলির সবার সাথে একটু ভালো সময় কাটানো যাবে। তো যেই ভাবা সেই কাজ। একটু বিকাল হতেই আমরা বাসা থেকে বের হয়ে পড়ে। দূরে কোথাও নয় মরন প্ল্যান ছিল আশেপাশে কোথাও যাওয়ার। আমাদের বাসার পাশে বেশ সুন্দর একটি জায়গা রয়েছে খোলামেলা রাস্তা তাই ভাবলাম ওখান থেকে ঘুরে আসা যাক। সন্ধ্যার দিকে কিছুক্ষণ ঘোরাফেরা করে আমরা চলে যাই ফুচকা খেতে। মানুষের ভিড় থেকে বাঁচতে দূরে কোথাও না গিয়ে বরং কাছে ফিরে যাওয়ার পরেও কোথাও যেন ফাঁকা নেই। ফুচকা খেতে গিয়েও প্রায় 15-20 মিনিটের বেশি সময় পর্যন্ত লাইনে দাঁড়াতে হয়েছে। তাছাড়া যেন কোথাও কোন সিট খালি পাওয়া যাচ্ছে না বসার জন্য।
অবশেষে বেশ কিছুক্ষণ পরে একটি টেবিল খালি হয়েছে আর আমরা ওখানে বসে পড়ি। আর ঐদিন বাহিরেও প্রচন্ড গরম ছিল। সব মিলিয়ে ঘোরাফেরা যে আনন্দটা সেটা গরম আর এত এত মানুষের ভিড়ে একেবারে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। যাইহোক খাওয়া দাওয়া করে আমরা প্রায় সাতটার নাগাদ বাসায় ফিরে আসি।
সকলকে ধন্যবাদ অনুচ্ছেদ টি পড়ার জন্য।


250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |

VOTE @bangla.witness as witness

OR
ঈদ মানেই তো উৎসবের দিন এই দিন কেউ ঘুরবে না? আর বাঙালি মানেই তো হুজুর যে জাতি ফলে তারা সামান্য সুযোগের অপেক্ষায় বসে থাকে। চট্টগ্রামের সমুদ্রের পাড় গুলোতে যে মানুষ ভিড় করেছে এবং আনন্দের জোয়ারে ভেসে গেছে তা জেনে অবাক হলাম না। তবে আপনার ফ্যামিলির সাথে রেস্টুরেন্টে যাওয়ার প্ল্যানটা বেশ ভালই ছিল। এখন তো কোন কিছু হলেই আমরা রেস্টুরেন্টে গিয়ে উদযাপন করি এটা যেন একটা ট্রেন্ড।
আসলেই এখন ঈদের আমেজ একেবারে নেই বললেই চলে। তাছাড়া ঈদের সময় প্রচুর ভিড় থাকে বলে পার্ক কিংবা রেস্টুরেন্টে যেতেও ইচ্ছে করে না। যাইহোক লম্বা সিরিয়াল ধরে বেশ মজা করে ফুচকা খেয়েছেন ভাই। পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে ঈদের সময় সবাই ঘুরতে বের হয়। সবাই ছুটি পায় এবং আনন্দ করে। কিন্তু এই সময়ে বাইরে বের হওয়া টা অনেক বেশি বিরক্তকর মনে হয়। কারণ চারিদিকে মানুষের ভিড়, যানবাহন পাওয়া যায় না। এটাই অনেক বেশি বিরক্ত কর। যাই হোক তবুও সময় করে পরিবার নিয়ে রেস্টুরেন্টে গিয়ে ভালো সময় কাটিয়েছেন এবং ফুচকা খেয়েছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো ভাইয়া।