রেসিপি: সিমের বিচি দিয়ে পাবদামাছ
আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন নিশ্চিয় আল্লাহর রহমতে অনেক ভালো আছেন আমিও আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি।
আজ আপনাদের সাথে একটি রেসিপি পোস্ট শেয়ার করবো।পাবদামাছের রেসিপি। এই পাবদামাছ এখন যতোটা প্রিয় আটারো সালের আগ অব্দি ঠিক ততোটাই অপ্রিয় ছিলো।বোয়াল,মাগুর এদের মতো দেখতে হওয়ায় ভাবতাম এদের বাচ্চা যেগুলো বড়ো হয়ে বোয়াল হয় তাই কখনোই খেতাম না।আটারো সালে সিলেট বেড়াতে গিয়ে আসার সময় রাতে বাসস্ট্যান্ডের পাশে একটা হোটেলে ঢুকি আমি মাংস কম পছন্দ করি বলে হাসবেন্ড মাংস খেলেও আমি মাছের কোন আইটেম খুজছিলাম। ওখানকার পরিবেশনকারির রেফার এ প্রথম বার এই মাছ খেয়ে বুঝতে পারি আমি এতোদিন সম্পূর্ণ ভূল ছিলাম।এই মাছ আসলেই অনেক বেশি স্বাদের। উনিশ এ গর্ভকালীন সময়ে এই মাছের ক্রেবিং ছিলো আমার শুধু এই মাছ খেতে ইচ্ছে হতো তখন বাজারে খুজেও পাওয়া যায়নি। অবশেষে বান্দরবান একটা হোটেল এ খেয়েছিলাম তারা নাকি সরাসরি জেলে থেকে নিয়ে আসে। সেসময় পাওয়া ন গেলেও এখন বাজারে দেখলেই নিয়ে আসে প্রায় সবসময়ই এই মাছ ফ্রোজেন থাকে যেন খেতে ইচ্ছে হলেই খেতে পারি।এখানকার লোকাল বাজারে ছোট সাইজের টা পাওয়া যায় তাই চট্টগ্রাম থেকে হাসবেন্ড কিনে নিজেই ফ্রোজেন করে নিয়ে আসে।
চলুন জেনে নেই আজকের রান্নার উপকরণ
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
পাবদামাছ | ৬০০ গ্রাম |
পিঁয়াজ | ১টা মাঝারি |
আদা | ১ইঞ্চি মতো |
কাঁচামরিচ বাটা | ২টেবিল চামচ |
হলুদ গুড়ো | ১চা চামচ |
লাল মরিচেরগুড়ো | ১চামচ |
কর্নফ্লাওয়ার | ১টেবিল চামচ |
ধনিয়াগুড়ো | ১ চা চামচ |
জিরাগুঁড়া | ১চা চামচ |
লবণ | দেড় চা চামচ |
তেল | ৩টেবিল চামচ |
টমেটো | ১ টা বড়ো |
সীমের বীজ | ২০০ গ্রাম |
ধনিয়াপাতা | ৪/৫টি |
রান্নার প্রনালী
ধাপ-১
ধুয়ে রাখা মাছে সামান্য হলুদ, মরিচগুঁড়া,লবণ, কর্নফ্লাওয়ার দিয়ে মেখে নিতে হবে। মেখে মিনিট পাঁচেক রেস্টে রাখতে হবে।
ধাপ-২
ননস্টিক ফ্রাইপ্যান এ দেড় টেবিল চামচ তেল গরম করে নিতে হবে। এবার মাখানো মাছগুলো হাল্কা সোনালী করে ভেজে নিতে হবে দুপাশ উল্টেপাল্টে। ভাজা হয়ে গেলে সবগুলো মাছ একটা প্লেট এ তুলে রাখতে হবে।
ধাপ-৩
মাছ তুলে নেওয়ার পর বেচে যাওয়া তেলের সাথে এবার বাকি তেল ঢেলে গরম করে পিঁয়াজ কুচি দিয়ে হাল্কা ভেজে নিতে হবে নরম হয়ে এলে হলুদ গুড়ো দিয়ে নেড়েচেড়ে সামান্য পানি দিয়ে বাকি গুড়ো মশলা, ধনিয়া,জিরা,লবণ মরিচ বাটা দিয়ে ভালোভাবে কসাতে হবে।
ধাপ-৪
যখন তেল উঠে আসবে মশলা থেকে তখন মাছ ও আদা বাটা দিয়ে আবারও দুই মিনিট কসাতে হবে। এই পর্যায়ে আদা দিলে আদার ফ্লেভারটা পাওয়া যায়। কসানো হলে টমেটো আর সীমের বিচি দিয়ে হাড়ি ধরে নাড়তে হবে খুন্তি দিলে মাছ ভেঙে যাবে। ঢাকনা দিয়ে ঢেকে পাঁচ মিনিট অপেক্ষা করে এবার ঢাকনা তুলে নেড়েচেড়ে সেদ্ধ হওয়ার জন্য এবং গ্রেভির জন্য পানি দিতে হবে এক কাপ।
ধাপ-৫
মাঝারি আঁচে তাপমাত্রা রেখে ঢেকে রান্না করতে হবে। পানি শুকিয়ে আসলে হাড়ি ধরে একটু নেড়েচেড়ে দিতে হবে। যতোটা গ্রেভি চাইবেন ওই পর্যায়ে রেখে ধনিয়াপাতা কুচি দিতে হবে। মাঝারি আঁচে মিনিট বিশেক রান্না করতে হবে সম্পূর্ণ রান্না শেষ হতে।তারপর চুলা থেকে নামিয়ে প্লেট সাজিয়ে পরিবেশেন করুন গরম গরম ভাতের সাথে।
আজকের রান্না করা পাবদামাছের ভুনা খেতে অনেক বেশিই সুস্বাদু হয়েছিলো আশা করি আপনাদের ও ভালো লাগবে আজকের রেসিপি টি।

পোস্ট | বিবরণ |
---|---|
শ্রেণি | রেসিপি পোস্ট |
ক্যামেরা | স্মার্টফোন |
পোস্টতৈরি | @farhanaaysha |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
ডিভাইস | iQOO Z3 5G |
সিমের বিচি দিয়ে পাবদা মাছের দারুন একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। সিমের বিচি এবং পাবদা মাছ দুইটাই খেতে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। আপনার রেসিপিটা দেখতে লোভনীয় লাগছে। টমেটো দেওয়ার জন্য খেতে মনে হচ্ছে আরও বেশি মজা হয়েছিলো। ধন্যবাদ মজার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
দুটোই দারুণ মজার একসাথে হওয়াতে স্বাদ যেন দিগুণ হয়েছিলো একবার ট্রাই করে দেখবেন আশা করি
দুটো প্রিয় জিনিসের রেসিপি একসাথ করে শেয়ার করলেন আপু খুব লোভ হচ্ছে। বাসার আশেপাশে থাকলে দাওয়াত না দিলেও এবং গিয়ে খেয়ে আসতাম। 🤪যাইহোক আপু ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ভালো থাকবেন।
আসলেই দারুণ হয়েছে খেতে। আসেপাশে থাকলে দাওয়াত দিতাম নিশ্চয়ই। সীমের বিচি আমাদের চট্টগ্রামের মানুষের আবেগ
সত্য কথা বলতে পাবদা মাছের তৈরি করা রেসিপি খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। কিন্তু এভাবে কোনদিন সিমের বিচি দিয়ে পাবনা মাছের রেসিপি তৈরি করে খাওয়া হয়নি। পোস্টের মাধ্যমে নতুন ধরনের একটা রেসিপি সম্পর্কে ধারণা লাভ করলাম।
পাবদামাছ ভীষণ মজার মাছ এভাবে একবার রান্না করে দেখবেন অসম্ভব মজার হয় খেতে
সিমের বিচি দিয়ে পাবদামাছ রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। সিমের বিচি আমার অনেক পছন্দের। সিমের বিচি দিয়ে কখনো পাবদামাছ খাওয়া হয়নি তবে আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে একবার ট্রাই করা দরকার। অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আসলেই দুর্দান্ত স্বাদের পাবদামাছ আর সীমের বিচি দু'টোর কম্বিনেশন দারুণ স্বাদ এনে দেয়।অবশ্যই ট্রাই করবেন আপু
সত্যি আপু এই মাছগুলো দেখতে অনেকটা বোয়াল মাছের বাচ্চার মতই লাগে। যাইহোক ১৮ সালের পর থেকে আপনার চিন্তাভাবনার পরিবর্তন হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। সিমের বিচি দিয়ে পাবদামাছ রান্না করেছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো। মনে হচ্ছে খেতে দারুণ হয়েছিল।
সেদিন যদি বাধ্য হয়ে না খেতাম তবে এই দারুণ স্বাদের মাছের সম্পর্কে জানতেই পারতাম না।এখন তো অনেক বেশি প্রিয় এই পাবদামাছ
https://twitter.com/farhana87988/status/1761763615080866290?t=Ha4xXDxo-EeGXNuIU0SWJw&s=19
আপনি তো দেখছি আমার পছন্দের একটা রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছেন। শিমের বিচি দিয়ে পাবদা মাছের এরকম মজাদার রেসিপি আমি কয়েকবার তৈরি করেছিলাম। এটা কিন্তু খুবই মজাদার একটা রেসিপি। আর টমেটো এবং ধনিয়া পাতা দিয়ে তৈরি করলে রেসিপিটার স্বাদ আরো বেশি বেড়ে যায়। আমার তো আপনার তৈরি করার রেসিপি টা দেখে জিভে জল চলে এসেছে একেবারে। নিশ্চয়ই এই মজাদার রেসিপিটা অনেক মজা করে খাওয়া হয়েছিল। আপনার হাসবেন্ড ফ্রোজেন করে নিয়ে আসে চট্টগ্রাম থেকে এটা জেনে অনেক ভালো লাগলো।
আসলেই অনেক বেশি মজার ছিলো এই রেসিপি। পাবদামাছের এই রেসিপি আপনার পছন্দের তাছাড়া আপনিও এটা রান্না করেছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো
বাহ আপনি তো খুব মজাদার একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। পাবদা মাছ এবং শিমের বিচি দুটো আমার খুব প্রিয়। আর শিমের বিচি দিয়ে কিছু রান্না করলে খেতে এমনিতে বেশি মজা লাগে। সত্যি বলতে আপনার রেসিপিটি দেখে আমার জিভে জল এসে গেল খাবার জন্য। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে রেসিপিটি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য।
সীমের বিচি দিয়ে মাছ রান্না করলে একটা মিষ্টি মিষ্টি স্বাদ পাওয়া যায় যার কারণে মাছের টেস্ট অনেক বেড়ে যায় খেতেও অসম্ভব মজা লাগে
সিমের বিচি আমার খুব প্রিয়। আজকে আপনি অনেক সুন্দর করে সিমের বিচি এবং পাবদা মাছের চমৎকার রেসিপি করেছেন। যদিও সিমের বিচি দিয়ে অনেক খাবার তৈরি করা যায়। তবে পাবদা মাছের সাথে সিমের বিচি দেওয়ার কারণে স্বাদ দ্বিগুণ বেড়ে গেল। সত্যি বলতে আপনার রেসিপিটি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক মজাই হয়েছে। এবং রেসিপি অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
অনেক মজার ছিলো পাবদামাছের এই রেসিপি
সীমের বিচি প্রিয় মানুষের জন্য আরো ভালো রেসিপি এটি অবশ্যই ট্রাই করবেন