নিজেকে ভালো রাখার উপায়
১)খুব সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠুন।হালকা ব্যায়াম করুন। প্রকৃতির মাঝে নিজেকে একটু বিলিয়ে দিন।
২) রাত্রে তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে পড়ুন।
৩) সকালে কোন কাজ থাকলে তা করুন।কায়িক পরিশ্রম করুন।
৪) অবসরে গল্পের বই, কবিতা, বা টিভি, পত্রিকা পড়ুন।
নিজে চাইলেও লেখালেখি করতে পারেন।
৫)রক্তদান, বন্যার্তের পাশে থেকে সামাজিক কাজকর্ম, শীতার্তদের শীত বস্ত্র বিতরন ইত্যাদি কাজে চেষ্টা করুন লেগে থাকার।
৬)যতটা সম্ভব নিজেকে ব্যস্ত রাখুন।অনেকেই বলেন, কি কাজ করবো, কোন কাজ নেই।অযথা বসে থাকলে মাথায় নানান চিন্তা আসে।কথায় বলে, অলস মস্তিত্ব শয়তানের কারখানা।
তাই কাজের শেষ নাই এটা মনে মনে বলুন।কাজ খুঁজুন পেয়ে যাবেন ইনশাহআল্লাহ্। যেমন : আপনার বসত বাড়িতে শখে বাগান করতে পারেন।তাতে দু বেলা কিছুটা সময় ব্যয় করতে পারেন।ছেলে বা মেয়ে উভয়ে বেকার জীবন বয়ে নিয়ে না বেড়িয়ে পতিত পুকুর বা জমিতে শাকসবজি বা মাছ, হাসঁ মুরগি পালন, রোপন করতে, চাষ করতে পারেন।এতে যেমন একদিকে আপনি আর্থিকভাবে লাভবান হবেন তেমনি বেকারত্ব বা সময় টাও কেটে যাবে।
আপনি যদি এ কাজ একা না পারেন তাহলে মহল্লার কয়েকজনকে সাথে নিন।নিজেই যে কোন কাজের উদ্দোক্তা হউন। এসব কাজে যদি আপনার সাধারন জ্ঞান না থাকে তাহলে প্রশিক্ষণ নিন।
৭)যে কোন কাজকে যদি আপনি মনে করেন আপনার দ্বাড়া হবে না এ ভ্রান্ত ধারনা মাথা থেকে বের করে দিন।মনে করুন আপনি পারবেন।আপনি নিজে যখন পারবেন তখন অন্যান্যদেরও উৎসাহ দিন।
৮) সময় হলে মাসে বা বছরে দু চার বার বা আপনার ইচ্ছেমত কোথাও ঘুরতে যান।বন্ধুবান্ধব বা পরিবারের কারো সাথে। তবে কখনো একা নয়। অনেকেই একা ঘুরতে পছন্দ করেন। কিন্তু একা ঘুরলে হতাশা আপনাকে আরও বেশি চাপ দিবে।
৯) "আমি কাল থেকে সবকিছু শুরু করবো "এই কালটাকে আজকেই শুরু করেন।
১০)অবসরে গান শুনুন তবে কোন দুঃখের গান নয়।
১১) ভালো মানুষের সাথে বন্ধুত্ব করুন যাতে করে আপনি তার কাছ থেকে কিছু শিখতে পারেন।
১২)অযথা কোন টেনশনে নেশা জাতীয় কোন কিছু সেবন থেকে দূরে থাকুন।
কারন টেনশন করলে কোন সমাধান আসে না। বরং সমাধানের পথ খুঁজুন।
১৩) দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ার অভ্যাস করুন। একমাত্র নামাজ ই আপনার মনে শান্তি ফিরিয়ে আনতে পারে। ভালো থাকার সবথেকে ভালো উপায় হলো নামাজ।
১৪) মন খারাপ থাকলে বা কোন কারনে রেগে গেলে আল্লাহ্ র নামে জিকির করুন।দেখবেন মন ভালো হয়ে গেছে (পরীক্ষিত)।
১৫) মাজেমধ্যে খেলাধুলা করুন।খেলাধুলার কোন বয়স নেই যে কোন বয়সের মানুষ খেলাধুলা করতে পারেন।
১৬) প্রাত্যাহিক জীবনে একটা চাট তৈরি করুন। কখন কোন সময় কি কি করবেন তা মনে মনে ঠিক করুন।
১৭)সুষম খাবার গ্রহন করুন।চা কপি কম করে পান করুন।প্রচুর পরিমানে পানি পান করুন।
১৮) যতটা সম্ভব নিজেকে সব সময় হাসি খুঁশি রাখার চেষ্টা করুন।
১৯)খারাপ সঙ্গ ত্যাগ করুন।
২০) নিজেকে কোলাহল মুক্ত জায়গায় রাখবেন না সব সময়। সবার সাথে মেশার চেষ্টা করুন যতই মন খারাপ থাক। নয় তো কারো সাথে গল্প করুন।
২১)একা থাকার অভ্যাসটা পরিত্যাগ করুন
২২) অতীতের কোন ঘটনা যেটা আপনাকে কষ্ট দেয় সেটা ভুলে থাকার চেষ্টা করুন।
মানুষ পারে না এমন কোন কাজ নেই। তাই আপনার ভালো থাকাটা বা মন্দ থাকাটা কারো উপর নির্ভর করে না।জীবনটা নাটকীয় কোন সিরিয়ালের রোমান্টিক সিজন নয় যে কেউ এসে আপনাকে ছুঁয়ে গান গাইয়ে মন ভরিয়ে দিবে। কাল্পনিক জগত থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখুন। বাস্তবতা নিয়ে ভাবুন।আপনার ভালো থাকাটা কতটা দরকার।কারন আপনার ভালো থাকায় বাকি আরো অনেক মানুষ তাদের নিজেদের ভালো থাকাটাও শিখে যাবে।
.
.
.
Image source: pixabay
Resteemed your article. This article was resteemed because you are part of the New Steemians project. You can learn more about it here: https://steemit.com/introduceyourself/@gaman/new-steemians-project-launch