এই মাসটা ট্রেনিং এর

🌼 হ্যালো, আসসালামু আলাইকুম।সবাই কেমন আছেন? আশাকরছি সকলে ভালো আছেন,আমিও আলহামদুলিল্লাহ্ ভালো আছি ।

আজকে আবারো চলে আসলাম নতুন আরও একটি লেখা নিয়ে। আশা করি আজকের লেখাটিও আপনাদের সকলেরই ভালো লাগবে।

আজকে ভাবলাম আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করি। আর মাঝেমধ্যে কিছু ব্যাপার নিয়ে ভাবতে এবং আপনাদের সকলের সাথে লেখালেখি করতে আমার বরাবরই খুব বেশি ভালো লাগে। আজকে জেনারেল রাইটিং টি আমরা এখন যে মাসটি উদযাপন করছি কিংবা আমরা সৌভাগ্যবশত যে মাসটি পেয়েছি, সে মাসটিকে ঘিরেই।তাই আশা করছি যে আপনাদের আজকের লেখাটি ভালোই লাগবে,

গত কয়েকদিন আগে আমাদের একজন লেকচারার আমাদের ক্লাসে বেশ কিছু কথা বলেছেন এই রমজান মাসকে ঘিরেই। তো ভাবলাম সে সব কথা আপনাদের সাথে কিছুটা শেয়ার করা যাক। কারন আমার মতে ভালো ব্যাপার গুলো সব সময় শেয়ার করা উচিত। এতে অন্যরাও জানার সুযোগ পায়।

হয়তো এই ব্যাপার গুলো কারোরই অজানা নয়। কিন্তু আমরা যখন কোনো ব্যাপার খুব বেশি চর্চা করি। তখন দেখবেন তা আমাদের মধ্যে আরও বেশি ভালো রকমের প্রভাব ফেলতে পারে। রোজার অর্থটা কি? রোজার অর্থ হলো, বিরত থাকা অর্থাৎ খারাপ কাজগুলো থেকে বিরত থাকা। যেমন কিছু উদাহরণ যদি দেই। যেমন, আমার প্রায় সময় নামাজ পড়তে চাই না কিংবা গোপনে এমন অনেক পাপ করে থাকি। যেগুলা আক্ষরিক অর্থেই বড় পাপ গুলোর মধ্যে অন্যতম। এবং আমরা সেই পাপগুলো করে খুব একটা হীনমন্যতায়ও ভুগি না।

কিন্তু একটা জিনিস খেয়াল করে দেখবেন। এই যে আমরা যখন রোজা থাকি। তখন যদি বাসায় একা থাকি কিংবা রুমে একা থাকি এবং আমাদের সামনে যদি খাবার থাকে। আমরা কিন্তু সে খাবারগুলো ভুলেও খাই না। কিন্তু কেনো খাই না? অন্যান্য সময় যদি আমরা গোপনে বড় বড় পাপ করতে পারি। তাহলে আমরা এই সময়টাতে গোপনে কেনো খেয়ে ফেলি না? আমরা যদি কোনো কিছু খাই তাহলে নিশ্চয়ই আমাদেরকে তখন সেই মুহূর্তে কেউ দেখবে না। কিন্তু তাও আমরা কখনোই খাই না। তার কারণ আমরা এই রোজার সময় সৃষ্টিকর্তাকে ভয় পাই এবং যেহেতু সৃষ্টিকর্তার নামে এই রোজাটি রেখেছি। সে কারণেই আমাদের জানা থাকে যে সৃষ্টিকর্তা সবকিছুই দেখছেন।

এখন ভেবে দেখুন যে অন্য সময়ও কিন্তু সৃষ্টিকর্তা সব খারাপ কাজ গুলো দেখেন। কিন্তু আমরা তাও নিজেদেরকে সেই খারাপ কাজগুলো থেকে বিরত রাখতে পারি না। কিন্তু এই যে এই মাসটাতে সৃষ্টিকর্তার নির্দেশ করা ভালো কাজগুলো আমরা প্রতিনিয়ত করার চেষ্টা করি এবং খারাপ কাজগুলো থেকে যথা সম্ভব দূরে থাকার চেষ্টা করি সে কারণেই কিন্তু এই মাসটা হলো আমাদের ট্রেনিং পিরিয়ড। অর্থাৎ এই মাসটা হলো একজন ভালো মানুষ হওয়ার চেষ্টার মাস, আল্লাহর পথে ফিরে আসার মাস। কারণ এই একটা মাসের মতো ফজিলত পূর্ণ মাস আমরা কখনোই পাইনা ।

সৃষ্টিকর্তার দেওয়া সকল ভালো কাজগুলো প্র্যাকটিস করার মতো দারুণ একটি সুযোগ পাই। তার মাঝে অন্যতম হলো, আমাদের বেশিরভাগ সময় কখনোই তাহাজ্জুদ নামাজ পড়া হয়না। তাহাজ্জুদ বলতে যারা বুঝতে পারছে না তাদের জন্য আমি একটু এক্সপ্লেইন করেই বলছি। তাহাজ্জুদ হলো ,যে নামাজ টি মধ্যরাতে পড়া হয়। অর্থাৎ ফজরের আজানের আগে। সেই নামাজটা স্বাভাবিকভাবেই আমরা ঘুমে কাটিয়ে দিই। কিন্তু এই রমজান মাস এমন একটা মাস। যেখানে সুযোগ থাকে তাহাজ্জুদ পড়ার। আর আমাদের ইসলাম ধর্মে বর্ণিত রয়েছে যে তাহাজ্জুদের দোয়া তীরের বেগের চেয়েও আগে কার্যকর হয়। তার মানে বুঝতেই পারছেন যে এইটা কতো বড় একটা ট্রেনিং পিরিয়ড আমাদের জন্য।

আশা করছি লেখাটি আপনাদের ভালো লাগবে।এই প্লাটফর্ম এর এই লেখাগুলো থেকে যাবে চিরকাল সে সাথে থেকে যাবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্যগুলোও।তাই আশা করছি আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য দেখতে পাবো।