এলোমেলো আলোকচিত্র #১৪
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে কিছু এলোমেলো আলোকচিত্র শেয়ার করবো। তাহলে চলুন দেখে নেওয়া যাক আজকের আলোকচিত্রগুলি।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
Photo by @winkles
বেশ কিছুদিন আগে একটি গ্রামের দিকে গিয়েছিলাম এবং তখন এই ছবিগুলো তুলেছিলাম। এখন বর্ষাকালে গ্রামের দিকে গেলে শুধু মাঠ ভর্তি জলের দেখা মিলবে। আর সেই সাথে বিভিন্ন জায়গায় এই সিজনের ধান রোপনের দৃশ্যগুলো দেখা যায়। মাঠ জুড়ে সবুজ ধানের সমারোহে যেন প্রকৃতি মনোমুগ্ধকর হয়ে উঠেছে। এইসব দৃশ্যগুলো গ্রামের দিকে গেলে ভালো উপভোগ করা যায়। আগে অনেক দেখেছি সবাই একসাথে মাঠে ধানের চারা রোপন করতে, আর এই দৃশ্যটা দেখতে আমার কাছে সব থেকে ভালো লাগতো, এখন যদিও গ্রামের দিকে না থাকার কারণে দেখা আর সম্ভব হয় না। তবে মাঝে মধ্যে গ্রামের দিকে গিয়ে এইসব প্রকৃতির দৃশ্যগুলো অনেক মুগ্ধ করে তোলে মনটাকে।
ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: চাঁদপাড়া
তারিখ: ১১ জুলাই ২০২৩
Photo by @winkles
Photo by @winkles
এই ছবিটি তুলেছিলাম একটি উদ্যান থেকে। এই ফুলটি অনেকের কাছে পরিচিত হতে পারে আবার নাও পারে। এই ফুলটি সাধারণত রাইটিয়া নামক একধরণের প্রজাতির ফুলের ফটোগ্রাফি। তবে এটাকে আমরা সাধারণত বাংলায় অনেক জায়গায় কুরচি এই জাতীয় নামে চিনে থাকি। এই ফুলগুলো বিভিন্ন জায়গায় চাষ করা হয়ে থাকে আবার এইগুলো বাড়িতে বা উদ্যানে সৌন্দর্যের জন্যও লাগানো হয়ে থাকে। এই ফুলের কালার সাদাই হয়ে থাকে এবং অনেক সৌন্দর্যপূর্ণ একটি ফুল। এই ফুলগুলো সাধারণত ছোট ছোট হয়ে থাকে, এটা ম্যাক্রো লেন্স ব্যবহার করে তুলেছিলাম বলে বড়ো বড়ো এসেছে। এই ফুলের পাপড়িগুলো বেশ সুন্দর গঠনযুক্ত এবং ফুলগুলো থেকে সুন্দর ঘ্রানও বের হয়।
ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: চাঁদপাড়া
তারিখ: ১১ জুলাই ২০২৩
Photo by @winkles
Photo by @winkles
এইটা একটা স্যুপ। এই স্যুপটাকে hot and sour soup বলে। এই স্যুপটা ভেজ আর নন ভেজ দুই পদেরই আছে, তবে ভেজটা অতটা ভালো লাগে না। নন ভেজ হিসেবে চিকেনের সাথে আরো অনেক কিছু থাকে। গরম গরম খেতে বেশ ভালো লাগে স্যুপটা। আর টক টক মতো স্বাদটা দারুন লাগে, এই স্যুপটা মূলত চাইনিজ স্টাইলেরও বলা যায়। আর এই স্যুপটার বিভিন্ন জায়গায় জনপ্রিয়ও আছে।
ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: চাঁদপাড়া
তারিখ: ২৫ আগস্ট ২০২৩
Photo by @winkles
Photo by @winkles
এই আলোকচিত্রটা কিসের সেটা আমরা সবাই জানি। এই গাঁদা ফুল গাছটি আমি একটি উদ্যানে দেখেছিলাম আর তাতে দুটি ফুল ফুটে ছিল। এই ফুলের গাছ যেকোনো জায়গায় দেখা গিয়ে থাকে, সাধারণত কিছু কিছু স্থানে এই ফুলগুলো সৌন্দর্যের জন্য লাগানো হয়ে থাকে, আবার কোথাও এই ফুলের গাছগুলোকে ব্যবসার ক্ষেত্রে চাষ করা হয়ে থাকে। আর আমরা সাধারণত বাড়িতে লাগিয়ে থাকি সেটার অনেক দিক থেকে লাভও আছে। যেমন বিভিন্ন ক্যাটাগরির দেশি গাঁদা ফুলগুলো যেমন পরিবেশকে সুন্দর করে তোলে, আবার বিভিন্ন পুজোর ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যায় সাথে সাথে। আরেকটা যেটা গুরুত্বপূর্ণ সেটা হলো, প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে গাঁদা ফুল গাছের পাতা বা যাইহোক সাথে সাথে পাওয়া যায়।
ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: চাঁদপাড়া
তারিখ: ১১ জুলাই ২০২৩
Photo by @winkles
Photo by @winkles
এইগুলো একধরণের ফলের আলোকচিত্র। এই ফলগুলো সাধারণত সব স্থানে দেখতে পাওয়া যায় না। এই ফলগুলোকে মেলাস্টোমা নামে জানা গিয়ে থাকে। এই ফলগুলো গাছে দেখতে অনেক সুন্দর লাগে, কারণ এই ফলগুলো একই সাথে একই কাণ্ডে ৮-১০ টি বা তারও বেশি ধরে থাকে। আর এই ফলগুলো এখন অপরিণত অবস্থায় আছে, পরিণত অবস্থায় বা সময় আসার সাথে সাথে ফলগুলোর উপরের শক্ত পর্দাটা ফেটে যায়। তবে তার থেকে এই অবস্থায় ফলগুলোর চেহারা আরো বেশি ভালো দেখায়।
ক্যামেরা: স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G
লোকেশন: চাঁদপাড়া
তারিখ: ১১ জুলাই ২০২৩
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
বর্ষাকালে প্রকৃতি সেজে ওঠে নতুন ভাবে। আর বর্ষাকালে গ্রামীণ সৌন্দর্য দেখতে বেশি ভালো লাগে। যখন বিভিন্ন জায়গায় পানি জমে থাকে তখন প্রকৃতির সৌন্দর্য যেন ভিন্ন রূপ ধারণ করে। কুরচি ফুল এর আগে দেখেছি বলে মনে পড়ছে না। যেহেতু ম্যাক্রো লেন্স ব্যবহার করে ছবি তুলেছেন তাই তো মনে হচ্ছে এত ছোট ফুল সেভাবে কখনো চোখে পড়েনি। তবে দেখতে অনেকটা লেবু ফুলের মত লাগছে। মেলাস্টোমা নামক ফলগুলো এর আগে দেখেছি বলে মনে পড়ছে না। তবে পাতাগুলো দেখতে অনেকটা তেজ পাতার মতো। ফলগুলো দেখতে কিন্তু বেশ ভালো লাগছে। আর বাটিতে রাখা স্যুপ গুলো দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে দাদা। এক বাটির আর কতদিন ছবি তুলবেন দাদা। আমরা সবাই চাই পাশাপাশি যেন দুটো স্যুপের বাটি হয়। একটা আপনার আরেকটা বৌদির। একা একা আর কতই খাবেন দাদা😅। পকেট ফাঁকা করার জন্য হলেও কাউকে প্রয়োজন 🤭🤭। যাই হোক দাদা দারুন সব ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আপনি আজকে খুবই চমৎকার কয়েকটি এলোমেলো ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার তোলা প্রতিটি ফটোগ্রাফি আমার পছন্দ হয়েছে। তবে অনেক দিন পরে আপনার পোস্টের মাধ্যমে গাঁদা ফুলের ছবি দেখে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
দাদা আপনি সব সময় অনেক সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করে থাকেন। আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো আমি সবসময় অনেক পছন্দ করি। আসলে সবুজ শ্যামলে ভরা সুন্দর ধানের চারা দেখতে আমার কাছেও অনেক বেশি ভালো লাগে। আমাদের বাড়ির পেছনের অংশেও এরকম সুন্দর একটা দৃশ্য রয়েছে, যা আমি মাঝে মাঝে উপভোগ করি। আপনার তোলা এই ফটোগ্রাফিটা অনেক সুন্দর ছিল। রাইটিয়া নামক বিভিন্ন ধরনের ফুলটার ফটোগ্রাফিও দারুন ছিল। সাদা কালারের এই ফুলটা হওয়ার কারণে আমার কাছে দেখতে সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে। এর পরের ফটোগ্রাফিতে থাকা স্যুপের ফটোগ্রাফি দেখে আমার তো অনেক বেশি লোভ লেগে গিয়েছে। এটা দেখতে অনেক বেশি লোভনীয় লাগছে। যে কেউ দেখলে ইচ্ছে করবে খেয়ে ফেলতে। তারপরের ফটোগ্রাফি তে থাকা গাঁদা ফুলটা তো আরো বেশি সুন্দর দেখতে। গাঁদা ফুল আমার অনেক পছন্দের, আর এই ফটোগ্রাফি টা দেখে আরো বেশি ভালো লেগেছে। একেবারে শেষের ফটোগ্রাফিতে থাকা ফল গুলোর ফটোগ্রাফি আমার কাছে বিভিন্ন রকমের মনে হয়েছে। এই ফলগুলো আমি আগে কখনো দেখেছি বলে আমার মনে হচ্ছে না। একেবারে নতুন লেগেছে এই ফল গুলো, যার অনেক সুন্দর লেগেছে শেষের ফটোগ্রাফিটিও।
দারুন ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন তো দেখছি। ঘাস ফুল লতা পাতার সাথে অসাধারন প্রকৃতি। সত্যি বলছি দাদা এমন সুন্দর প্রকৃতি দেখলে যেন কোথায় হারিয়ে যেতে মনে চায়। আজকে আপনার এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো দেখে তো ভালোই লাগছিল। কিন্ত মাঝখান হতে বাখরা দিল আপনার স্যুপ গুলো। এখন তো জিভে তর সইছে না। তবুও বলবো দারুন ছিল আজকের ফটোগ্রাফি গুলো।
দারুন কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন দাদা।ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। আপনি গ্রামের দিকে গিয়ে ফসলের মাঠের ফটোগ্রাফি করেছেন তা শেয়ার করলেন।ভীষণ ভালো লেগেছে। এরপর যে ফুলের ফটোগ্রাফি করেছেন তা সত্যিই খুব সুন্দর। ফুলের পাপড়ি গুলো সত্যি ই খুব সুন্দর। আপনি দারুন মজার সুপ্যের ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন।যা খেতে দারুন মজার।আমাদের চারপাশের পরিবেশ সত্যিই খুব সুন্দর। আর বর্ষাকালে এই প্রকৃতি তার সৌন্দর্য বহুগুন বাড়িয়ে তোলে।ফটোগ্রাফি গুলোর জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা।বর্ননা করেছেন আরো বেশি ভালো লেগেছে।
মেলাস্টোমা নামে ফল গুলো প্রথম দেখলাম। দাদা আপনি চমৎকার চমৎকার ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। সাদা ফুল আমি ভীষণ পছন্দ করি। আর সবুজের সমারোহ প্রকৃতিকে দেখতে আরো বেশি সুন্দর লাগে। ধান রোপনের দৃশ্যগুলো অনেক সুন্দর করে ফটোগ্রাফি করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ পাশে দাদা।
এইরকম ধানক্ষেত আপনি শুধু গ্রামেই দেখতে পাবেন দাদা। যদিও এখন ধানের সিজেন না। এটা অন্য জাতের ধান। আমরা ঐ ফুলটা সম্ভবত গন্ধরাজ ফুল নামে চিনি। এবং আপনার স্যুপ এর ছবিটা বেশ লোভনীয় লাগছ। ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার ছিল দাদা। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
সবুজ গ্রাম বাংলার প্রকৃতি সত্যি খুবই সুন্দর। ধানের গাছ গুলো দেখলেই অতীতের কথা খুব বেশি মনে পড়ে। কারণ যখন শীতকাল আসে তখন ধান গাছের মধ্যে কুয়াশা পড়ে। সেই কুয়াশার মধ্যে যখন হাঁটতে যায় পুরো শরীর ভিজে যেত। ফটোগ্রাফি গুলো খুবই সুন্দর হয়েছে দাদা। তাছাড়া অন্যান্য ফুলের ফটোগ্রাফি এবং প্রাকৃতিক দৃশ্য গুলো আমার খুবই ভালো লেগেছে।
দাদা প্রথমে যেটা বলতে চাই সেটা হলো আমাকে সব সময় এলোমেলো আলোকচিত্র গুলো আকর্ষন করে। যার আইডিতে এলোমেলো আলোকচিত্র দেখি সেখানেই নতুন কিছু আছে কিনা সেটা দেখার চেষ্টা করি। বলতে পারেন এক রকম আসক্ত হয়ে গেছি। আজকে আপনাকে প্রথমেই দেখলাম একটি প্রাকৃতিক ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন। আমাদের দিকেও বর্ষার পানি চলে গিয়েছে। জমিতে সবুজ ফসল ফলেছে। তারপর দেখলাম রাইটিয়া নামক একধরণের প্রজাতির ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন। যেটি আমি আগে কখনো দেখি নাই। আজকে আপনার পোষ্টে দেখতে পেলাম। আর যদি hot and sour soup স্যুপটার কথা না বলি তাহলে আমার কমেন্ট অসম্পূর্ণ থেকে যাবে। স্যুপটা আমার কাছে দারুন লেগেছে। যদিও এখনো খাওয়া হয়নি। তবে খেতে বেশি লেইট করবো না। সব মিলিয়ে দারুন কিছু আলোকচিত্র উপভোগ করলাম। ধন্যবাদ দাদা।