এলোমেলো আলোকচিত্র #১৬
হ্যালো বন্ধুরা, সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভালো আছেন। সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকের ব্লগটি শুরু করছি। |
---|
আজকে আপনাদের সাথে কিছু এলোমেলো আলোকচিত্র শেয়ার করবো। তাহলে চলুন আজকের আলোকচিত্রগুলো কি কি আছে দেখে নেওয়া যাক।
Photo by @winkles
এখানে মাঠ পুরো জলে ডুবে গিয়েছে। আসলে আমাদের এখানে এক সপ্তাহের মতো টানা বৃষ্টি হয়েছিল নিম্নচাপের কারণে, ফলে সব জায়গায় যেন জলে থৈ থৈ করছিলো। শহরের উপরে আসলে তেমন বোঝা যায় না, ঘরবন্দি অবস্থায়, কিন্তু গ্রামের দিকে গেলে টের পাওয়া যায় যে, কি পরিমানে বৃষ্টি হয়েছে। তবে মাঠে এই জল উঠে যাওয়ায় আমার পুরোনো একটা স্মৃতি মনে পড়ে গেলো, আগে গ্রামের দিকে থাকতে এই জল অবস্থায় মাঠে ফুটবল খেলতাম, বেশ মজা হতো।
Photo by @winkles
Photo by @winkles
এই ছবিটিও মাঠের ওখান থেকে তুলেছিলাম। একজন লোক তার পোষ্য প্রাণীটিকে নিয়ে মাঠের থেকে ঘাস খাইয়ে সন্ধ্যার দিকে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিলো। গ্রামের এই দৃশ্যগুলো দেখতে ভালো লাগে, আর এইসব অনেক সময়ে পরে দেখলে যেন আগের সেইসব স্মৃতিগুলো মনে এসে ধরা দেয়।
Photo by @winkles
এটিও একই স্থান থেকে তুলেছিলাম, মাঠের এক পাশে জলে থৈ থৈ করলেও অন্য পাশে ধান গাছ লাগানো, আর অনেকদিন আগেই লাগিয়েছে দেখেই বোঝা যাচ্ছে। এখন ধান গাছগুলো পরিপক্ক হয়ে ধানের শীষও বেরিয়ে গেছে। এখানে মোটামোটি প্রত্যেক ঋতু অনুযায়ী ধান চাষ করে থাকে। আগে এমনিতেও এই স্থানটিতে পুরো মাঠ জুড়ে ধানের ফসলই হতো, কিন্তু বর্তমানে কয়েক বছরে এখানে বসত বাড়ি বেড়ে যাওয়ায় এখন খুবই কম জায়গায় ফসল দেখতে পাওয়া যায়।
Photo by @winkles
এইটা আমাদের এখানে একটি স্কুলের পাশ থেকে তুলেছিলাম। এইটা মূলত একটা প্যান্ডেল হচ্ছে। তবে এটি কালীপুজোর জন্যই প্রস্তুত করা হচ্ছে। তবে কি থিম করতে যাচ্ছে এখনো বোঝা যায়নি, কিন্তু দেখে মনে হচ্ছে বড়ো কিছু একটা করতে যাচ্ছে। এইটা সেই বিশ্বকর্মা পুজোর আগের থেকে শুরু করেছে, এখনো চলছে। অর্ধেকও করে পারেনি। এই প্যান্ডেল তৈরি করতে অনেক খরচ করছে, সেটা প্রতি বছরই করে থাকে। আসল সময়ে দেখা যাবে এর ঝলক।
Photo by @winkles
এটি একটি কেকের ছবি। এটি তালের কেক, বাড়িতে মা একদিন বানিয়েছিলো সেটারই একটা চিত্র। তবে কেক বাড়িতে আগে তেমন করা হয়নি, ফলে এই কেকটা একটা টেস্ট করার জন্য করা হয়েছিল। এই কেকের পুরো প্রসেসটা একদিন শেয়ার করবো। তবে কেকটা তালের করায় ফ্লেভারটা ভালো পাওয়া যাচ্ছিলো, কিন্তু প্রথমবার এর একটা সমস্যা হয়েছিল যে, মিষ্টি তেমন হয়নি, কম পড়ে গিয়েছিলো। তবে কেকটা বেশ নরম আর স্পঞ্জের মতো হয়েছিল।
শুভেচ্ছান্তে, @winkles
ক্যামেরা | স্যামসুং গ্যালাক্সি M33 5G |
---|---|
লোকেশন | কলকাতা |
তারিখ | ৩ সেপ্টেম্বর & ৯ অক্টোবর ২০২৩ |
250 SP | 500 SP | 1000 SP | 2000 SP | 5000 SP |
এলোমেলো ছবিগুলো সুন্দর ছিল দাদা।আমাদের এখানেও টানা বৃষ্টিতে ঘরবন্দি হওয়ার জোগাড় হয়েছিল।যদিও এখন খুবই গরম পড়ছে সঙ্গে রোদেলা আকাশ।আপনাদের ওখানে মাঠে জল জমে গেছে কিন্তু ধান চাষ কম করেছে মনে হয়।আর কালীপূজার প্যান্ডেলটি অনেক সুন্দর হবে বলে আশা করছি।বিশেষ করে তালের কেকটি বেশ লোভনীয় ছিল।তাছাড়া বৃষ্টির দিনে ফুটবল খেলার মজাই আলাদা, ধন্যবাদ দাদা।
Upvoted! Thank you for supporting witness @jswit.
দাদা আপনার এলোমেলো ফটোগ্রাফি সত্যি এলোমেলো হইছে। তবে গ্রাম অঞ্চলের প্রাকৃতিক ফটোগ্রাফি গুলো যতই এলোমেলো হোক দেখতে কিন্তু অনেক চমৎকার দেখায়। লোকটি তার পোষ্য প্রাণীটিকে নিয়ে বাড়ি যাওয়ার দৃশ্যটি সত্যি দারুন হয়েছে। আর তাছাড়া আপনি যে বলেছিলেন এরকম খালি মাঠে অল্প পানিতে ফুটবল খেলার মজা আসলে এই মজাটা আমি উপভোগ করতে পারিনি, তবে আপনার কাছে শুনতে পেয়ে খুব ভালো লাগছে। আমার আব্বুর মুখে শুনতে পেয়েছি তারা নাকি এরকম আগে খেলতো। অসংখ্য ধন্যবাদ দাদা বেশ কিছু চমৎকার ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আমাদের দিকেও দাদা অনেক বৃষ্টির কারণে বন্যার মতো অবস্থা হয়ে গিয়েছিল। আপনাদের দিকেও দেখছি একই অবস্থা! তবে আপনার মতো কিন্তু আমিও ছোটবেলায় এমন পানি হলে অনেক ফুটবল খেলতাম। গ্রামের ধানক্ষেতগুলো বড় হচ্ছে। ফটোগ্রাফিগুলো ভালো ছিল ☘️
দাদা আপনার এলোমেলো ফটোগ্রাফি গুলো কিন্তু আমার কাছে বেশ ভালই লাগলো ।আসলে গ্রাম বাংলার ফটোগ্রাফি দেখতে ভীষণ ভালো লাগে ।ওরকম পানি থৈথৈ মাঠে ফুটবল খেলতে মনে হয় বেশ ভালই লাগবে ।যদিও এই অভিজ্ঞতা নেই ।তারপরেও মনে হল বেশ আনন্দ হবে ।আর গ্রামের সন্ধ্যায় গরু নিয়ে বাড়ি ফেরার দৃশ্যটি সত্যি চমৎকার। আর আপনার তালের কেকের রেসিপি দেখার অপেক্ষায় রইলাম ধন্যবাদ।
গত দু সপ্তাহ আগে আমিও বুঝতে পেরেছিলাম ভাই, অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে মানুষের কি পরিমান দুর্ভোগ পোহাতে হয়। আমি নিজেই এর ভুক্তভোগী ছিলাম।
যাইহোক সবগুলো ফটোগ্রাফিই বেশ ভালো লেগেছে।
বেশ চমৎকার কিছু আলোচিত্র আজকে আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছে দাদা। যেখানে আমি খুঁজে পেলাম গ্রামীন সুন্দর ফটোগ্রাফি। আমাদের এখানে অনেকে রয়েছে এভাবে গৃহপালিত পশু মাঠে রাস্তার পাশে চড়াই করে সন্ধ্যাকালীন মুহূর্তে বাড়ির দিকে ফিরে। যাইহোক অনেক ভালো লাগলো।
এলোমেলো ফটোগ্রাফি দেখে দাদা ভীষণ ভালো লেগেছে। আপনি সুন্দর বর্ননা শেয়ার করেছেন। এজন্য আরো বেশি ভালো লাগলো।নিম্ন চাপের কারনে যে পরিমান বৃষ্টি আসলে হয়েছে তা এই মাঠ দেখেই বোঝা যাচ্ছে। তালের কেক অনেকেই করে শুনেছি।আমার করা হয়নি। কারন ছেলের পছন্দ চকলেট। তাই চকলেট কেকই আসলে বানাতে হয়।আপনার মায়ের বানানো তালের কেকটি খুব সুন্দর স্পন্জের হয়েছে দেখেই বোঝা যাচ্ছে। অবশ্যই একদিন সময় করে রেসিপিটি শেয়ার করবেন দাদা।ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
ঠিকই বলেছেন দাদা গ্রামে থাকলে সাধারণত বোঝা যায় না। কিন্তু গ্রামের দিকে গেলে বোঝা যায় বৃষ্টিটার জন্য অন্যদের কী অবস্থা। ধান গুলো বেশ বড় হয়ে গিয়েছে কিছুদিন পরেই পেকে যাবে। প্যান্ডেল টা দেখে আমি মনে করেছিলাম ওটা হয়তো দূর্গাপুজার জন্য। কিন্তু দেখি না ওটা কালিপূজার জন্য। সবমিলিয়ে বেশ চমৎকার ছিল আপনার আলোকচিত্র গুলো। ধন্যবাদ আপনাকে।।
দাদা আপনি অনেক সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন অন্য দিনের মতো যেগুলো খুবই দারুণ ছিল। আপনার ফটোগ্রাফি আমি প্রতিনিয়ত খুবই পছন্দ করি। আর আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখলে মনটা ভালো হয়ে যায়। আজকেও ভিন্ন ভিন্ন রকমের কিছু ফটোগ্রাফি করেছেন, যেগুলো দেখে চোখ ফেরানো যাচ্ছিল না। আসলে বৃষ্টির কারণে এখন বেশিরভাগ জায়গায় জলে থৈ থৈ করছে। আর এই কারণেই চারপাশটা দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগছে। আমরাও কিন্তু এরকম জল অবস্থায় মাঠে ফুটবল খেলতাম দাদা আগে, আর এই কথাটা আপনার প্রথম ফটোগ্রাফির বর্ণনাটা পড়ে মনে পড়ে গেল। এটা কিন্তু বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দেখা যায়, এরকম মাঠ থেকে গরুকে ঘাস খাইয়ে মালিকেরা নিয়ে যায়। আর এই দৃশ্যের ফটোগ্রাফি করেছেন দেখেও ভালো লাগলো। কেকের ছবি দেখে তো ইচ্ছে করছে এক টুকরো নিয়ে খেয়ে ফেলতে। দাদা সবগুলো ফটোগ্রাফি অসম্ভব ভালো ছিল এটা বলতেই হয়।