ভ্যাকসিনেশন
গতকাল লিখেছিলাম ভ্যাকসিন কি ভাবে আমাদের শরীরে কাজ করে।কিন্তু কেন হটাৎ আমাদের হেপাটাইটিস বি ভাইরাসের ভ্যাকসিন দেওয়া হল?এটা বুঝতে হলে আমাদের প্রথমে জানতে হবে এই হেপাটাইটিস বি ভাইরাস কি ভাবে ছড়ায়,অর্থাৎ কি ভাবে একজন আক্রান্ত মানুষের শরীর থেকে সুস্থ মানুষের শরীরে এই ভাইরাস প্রবেশ করে?
হেপাটাইটিস ভাইরাস মূলত ৫ প্রকার হয়
- হেপাটাইটিস এ
- হেপাটাইটিস বি
- হেপাটাইটিস সি
- হেপাটাইটিস ডি
- হেপাটাইটিস ই
এর মধ্যে ২,৩ ও ৪ নম্বর ভাইরাস একই পদ্ধতিতে ছড়ায়।
সংক্রমণের পদ্ধতি
- আক্রান্ত মায়ের থেকে নবজাতক বাচ্চার মধ্যে ছড়ায়
- পূর্ব ব্যবহৃত সিরিঞ্জ থেকে ছড়ায়
- অসুরক্ষিত যৌন জীবন
- শরীরের কাটা ছেড়া অংশ দিয়ে
- রক্ত দান বা গ্রহণের সময়
অর্থাৎ আক্রান্ত ব্যাক্তির রক্ত,সুস্থ মানুষের রক্তের সংস্পর্শে এলে তবেই এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ে।আগামীতে আমরা যখন রুগী দেখা শুরু করব তখন নানান ভাবে নানান আক্রান্ত ব্যাক্তির সংস্পর্শে আমাদের প্রতিনিয়ত আসতে হবে তাই অগ্রিম নিজেদের সুরক্ষিত রাখতে এই ভ্যাকসিনেশন প্রোগ্রাম।এবার জেনে নিই
এই ভাইরাস আমাদের শরীরে প্রবেশ করলে আমাদের কি কি ক্ষতি হতে পারে
- লিভার জনিত জটিল সমস্যা যেমন লিভার ফেলিওর অর্থাৎ লিভার কাজ করা বন্ধ করে দেওয়া।
- মুখ দিয়ে রক্ত বের হওয়া।
- শরীরে রক্তাল্পতা।
- পেটের মধ্যে জল জমে যাওয়া
- জন্ডিস
- সমস্ত শরীর ফুলে যাওয়া,অর্থাৎ শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জল জমা।
- সর্বপরি মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।
তাই আমাদের সকলকেই এই বিশেষ ভাইরাসের বিরুদ্ধে নিজেদের সুস্থ রাখতে হেপাটাইটিস ভাইরাসের ভ্যাকসিন নিয়ে নেওয়া উচিৎ।এই ভ্যাকসিন আমাদের শিরা বা ধমনীতে দেওয়া হয়না বরং দেওয়া হয় আমাদের মাংসপেশিতে।এতে ভীষন ব্যাথা হয়।
আমি জানি অনেকেই হয়ত হাসবেন কিন্তু আমার বরাবর ইনজেকশন নিতে ভালো লাগে।ইনজেকশন নেওয়ার আগের মুহূর্তে যে উত্তেজনা তৈরী হয় সেটা আমার একটা পছন্দের অনুভূতি।
আমরা আমাদের কলেজ বিল্ডিংয়ে অষ্টম তলে পৌঁছে দেখলাম আমাদের বন্ধু বান্ধবীরা আগের থেকে লাইন দিয়ে রয়েছে।আমরাও পেছনে গিয়ে দাড়িয়ে পড়লাম।ওখানে দায়িত্ব প্রাপ্ত সিস্টাররা আমাদের জানালেন যে খালি পেটে থাকলে ইনজেকশন দেওয়া হবে না,তাই খেয়ে আসতে হবে।আমরা যদিও খেয়ে যায়নি তবুও লাইনেই থাকলাম।
একদমই কম সময়ের মধ্যে আমার পালা চলে এলো।একজন সিস্টার নাম ও রোল নম্বর মিলিয়ে নিলেন।তার পর একটু এগিয়ে গিয়ে সামনের একটা ঘেরা জায়গায় গিয়ে বসলাম।অন্য সিস্টার এলেন এবং কিছু বুঝে ওঠার আগেই ফুটিয়ে দিয়ে চলে গেলেন।ভালই ব্যাথা পেলাম,এর পর আমাদের ওখানে আরো আধ ঘন্টা বসতে বললেন।কারণ আধ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণে রাখার নিয়ম।কিন্তু কে আর অতক্ষণ বসবে,তাই আর না বসে চলে গেলাম চা খেতে।সেখান থেকে ঘর ফিরলাম।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আলহামদুলিল্লাহ খুবই ভালো লাগলো আপনার পোস্ট পড়ে। আপনি আপনার পোস্টে ভ্যাক্সিনেশন বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন, সংক্রমণেের পদ্ধতি আপনি আমাদের সামনে লিখেছেন । এবং এই ভাইরাসটি আমাদের শরীরে প্রবেশ হয় তাহলে তাহলে এই জন্য ক্ষতি কি কি হতে পারে সেটা আমাদেরকে বলে দিয়েছেন।
ভাইরে ভাই আপনি এসব কি বলেন...! 😳, আমার জীবনের ভয়ের মধ্যে এটা একটা বড় ভয়, সেটা হলো এই ইনজেকশন। ছোটবেলায় যখন আমার অসুখ হতো তখন ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায় আব্বু। আর ডাক্তার যখন বলতো ইনজেকশন দিতে হবে। তখন আমি আব্বুর হাত ছেড়ে দিয়ে দৌড় দিয়ে বাঁশতলা যাইতাম পালাইতে।😄
খুব বেশী ভয় পেতাম ইনজেকশনে । আমাদের জীবনে আমার হাতে গড়া সম্মত দুই থেকে তিনবার দেয়া হয়েছে। তবে আম্মু টিকা দিয়েছে সেটা খেয়াল নাই। কিন্তু বর্তমানে এসে এখনো অনেক বেশি ভয় পাহ ইনজেকশনে। যাইহোক ভালো থাকবেন।
😆😆😆আমার মাসির মেয়ে আপনার মতনই ভীষন ভয় পায় ইনজেকশন নিতে।তাকে নিয়ে অনেক গুলো মজার ঘটনা রয়েছে এই শুধু ইনজেকশন না নিতে চাওয়ার কারণে,কখনো সুযোগ পেলে সেগুলো লিখব।
আর আপনি দৌড়ে বাঁশতলা পালতেন ঠিকই কিন্তু তার পর আপনার আব্বু আপনাকে ধরে এনে কি করত সেটা কিন্তু শেয়ার করেন নি😂😂😂সে মজার গল্প পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম❤️ভালো থাকবেন দাদা❤️
আরে বাহ ভ্যাকসিন সম্পর্কে আপনি আপনার পোস্টে কত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। যেগুলো হয়তোবা আমাদের অনেকেরই অজানা। কিন্তু আপনার পোস্ট পড়ে অনেক কিছুই জানতে পারলাম।
আসলে আমি ইনজেকশন দিতে অনেক ভয় পাই। যেটা সত্যি কথা তারপরেও মাঝেমধ্যে দিতে হয়। শরীরে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিলে ইনজেকশন দেয়া লাগে।
আপনার তো দেখছি ইনজেকশন দিতে ভয় লাগে না। বরঞ্চ ইনজেকশন দেয়ার আগে যে উত্তেজনা টা। সেটা আপনার কাছে খুব ভালো লাগে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। এবং আপনার জীবনের কিছু কথা আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
হিহি ধন্যবাদ দিদি।আসলেই আমার ইনজেকশন নিতে বেশ ভালো লাগে।কমেন্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি❤️
আমার বাবা মৃত্যুবরণের আগে অনেকগুলো রোগে আক্রান্ত ছিলেন এর মধ্যে হেপাটাইটিস বি ভাইরাসও অন্যতম।তবে বাবাকে বমি যখন নিজে শেষবারের মতো করে রাজশাহীতে ইসলামিয়া হসপিটালে নিয়ে গেছিলাম সেখানকার ডাক্তার বাবাকে পরিক্ষা করে জানান যে তার হেপাটাইটিস ভাইরাস সেরে গেছে।
তিনি আরো বলেন আমাদের পরিবারের সকলকে হেপাটাইটিস বি ভাইরাস পরিক্ষা করে নিতে।যদি নেগেটিভ আসে তাহলে এর প্রতিরোধক ভ্যাকসিনেসনের আওতায় আসতে হবে।তবে সময় সল্পতার অভাবে সেটা আমাদের পরিবারের কেওই এখনও করিনি।
আপনার পোস্টটি পড়ে বুঝতে পারলাম, আপনিও কিছুটা আমার মতোই,খুব চঞ্চল, এক জায়গাতে বেশি সময় থাকতে পারেন না।
যাই হোক খুব ভালো লাগলো আপনার পোষ্টটি পড়ে।তবে একটি জায়গায় খুব খারাপ লাগলো যে, ভ্যাকসিন নেবার আগে খেয়ে আসার কথা, যেটা আপনি মানেন নি।এটা হয়তো শরীরের জন্যে খুব খারাপ সেটা হয়তো একজন ডাক্তার হিসাবে আপনিও জানেন।