রেস্টুরেন্টের স্বাদে থাই স্যুপ রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বন্ধুরা আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন বেশ কয়েকদিন থেকে আমার মেয়ে ও মেয়ের বাবা জ্বরের কারণে বেশ অসুস্থ । তাদের দুজনেরই খাওয়ার রুচি কমে গিয়েছে । শরীর বেশ দুর্বল হয়েছে । তাই চিন্তা করলাম তাদের দুজনের জন্য স্যুপ তৈরি করি। যেহেতু তারা রেস্টুরেন্টের থাই স্যুপ খুবই পছন্দ করে । কিন্তু অসুস্থ অবস্থায় বাড়িতে তৈরি করে স্যুপ খাওয়াটা বেশি স্বাস্থ্যসম্মত হবে এই কথা চিন্তা করে বাসায় স্যুপ তৈরি করলাম । তবে একদম রেস্টুরেন্টের স্বাদে তৈরি করেছি ,যাতে তাদের খেতে ভালো লাগে এবং সত্যি যখন তৈরি হয়েছিল তারা বেশ মজা করে খেয়েও ছিল। খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছিল । একদম রেস্টুরেন্টের মত হয়েছিল । তাই রেসিপিটি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করলাম । আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
রেস্টুরেন্টের স্বাদে থাই স্যুপ রেসিপি
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
মুরগির বুকের মাংস | ১ কাপ |
ডিম | ৩ টি |
চিংড়ি মাছ | ৪ টি |
আদা | সামান্য |
টমেটো সস | ১ কাপ |
রেড চিলি সস | হাফ কাপ |
সয়া সস | ১ টেবিল চামচ |
কর্নফ্লাওয়ার | ৩ টেবিল চামচ |
লেমন গ্রাস | হাফ কাপ |
চিনি | ২ টেবিল চামচ |
লবণ | ২ চা চামচ |
লেবু | দুই টুকরো |
কাঁচা মরিচ | ৩ টি |
লাল মরিচের গুঁড়ো | ১/২ চা চামচ |
গোল মরিচের গুঁড়া | ১/২ চা চামচ |
প্রুস্তুতপ্রণালী
প্রথমের ডিম তিনটি ভেঙ্গে নেই। তারপর কুসুম ও সাদা অংশ আলাদা করি। আমি স্যুপের ক্ষেত্রে শুধু ডিমের কুসুম ব্যবহার করব । তারপর একটি বাটিতে লেবুর রস করে নেই।
তারপর কর্নফ্লাওয়ার পানিতে গুলিয়ে নেই ও মরিচের মাথার দিকে সামান্য ভেঙে নেই । এতে ঝাল বেরোবে না শুধু ফ্লেভার আসবে।
তারপর একটি কড়াইয়ে ডিমের কুসুম, চিংড়ি মাছ ও মুরগির মাংস নিয়ে নেই। এক্ষেত্রে মুরগির মাংস চিকন লম্বা করে কেটে নিয়েছি।
তারপর টমেটো সস ,চিলি সস,লাল মরিচের গুঁড়ো ও চিনি দিয়ে দেই।
তারপর আদা কুচি ও লবণ দিয়ে দেই।
তারপর সয়া সস ও লেবুর রস দিয়ে দেই।
তারপর গুলিয়ে রাখা কর্নফ্লাওয়ার দিয়ে ভালোমতো মিশ্রণটি মিশিয়ে নেই।
তারপর এক লিটার পানি দিয়ে চুলায় বসিয়ে চুলা অন করে দেই । তারপর লেমন গ্রাস দিয়ে দেই।
তারপর ১০ মিনিট রান্না করার পর ভেঙে রাখা মরিচ দিয়ে দেই।
তারপর গোলমরিচের গঁড়ো দিয়ে আরও কয়েক মিনিট রান্না করি।
কিছুক্ষণ পর ঝোল গাড় হয়ে এলে ব্যাস তৈরি হয়ে গেল আমার রেস্টুরেন্টের স্বাদে থাই স্যুপ।
এখন একটি বাটিতে বেড়ে গরম গরম খেয়ে নিতে হবে। খেতে কিন্তু খুবই দুর্দান্ত হয়েছিল ।আপনারাও বাড়িতে এটি ট্রাই করে দেখতে পারেন।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৪০ |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
খুব ভালো লাগলো আপু থাই স্যুপের রেসিপিটা দেখে।এই স্যুপ যেমন শক্তি যোগায় তেমনি জ্বরের মুখে খেতে ভীষণ ভালো ও লাগে।আমিও বাসায় থাই স্যুপ করি।আপনি থাই স্যুপের রেসিপির ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন আপু।এজন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে। অনেকেই আপনার রেসিপি দেখে উপকৃত হবে। ঘরের স্যুপ খাওয়াই ভালো। বাইরের স্যুপে টেস্টিং সল্ট থাকে তা খুব ক্ষতিকর। ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনিও বাসায় থাই স্যুপ রেসিপি করেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। আসলে এটি খেতেও বেশ ভালো লাগে ।আপনার কাছে রেসিপিটি ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
বাহ! দেখে এত লোভনীয় দেখাচ্ছে আপু স্যুপ আমার অনেক পছন্দের একটি খাবার। আপনি অনেক মজার করে থাই স্যুপ তৈরি করলেন রেসিপি দুর্দান্ত হয়েছে। আমি অন্যান্য স্যুপের রেসিপি করেছি তবে থাই স্যুপ কখনো তৈরি করা হয়নি। আশা করি আপনার রেসিপিটি দেখে একদিন তৈরি করে নিতে পারব। অনেক ধন্যবাদ আপু মজাদার রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপু এভাবে একবার থাই স্যুপ বাসায় করে দেখবেন খেতে কিন্তু একদম রেস্টুরেন্ট এর মত স্বাদ । অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
থাই স্যুপ রেসিপি দেখে খেতে ইচ্ছা করছে। আপনি একদম রেস্টুরেন্টের মতই এই রেসিপিটি তৈরি করেছেন। সত্যি আপনার রেসিপি উপস্থাপন দেখে শিখে নিলাম পরবর্তীতে তৈরি করব।
হ্যাঁ ভাইয়া খেতেও একদম রেস্টুরেন্টের মতোই স্বাদ ।একবার তৈরি করলেই বুঝতে পারবেন। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
থাই স্যুপ আমারও খুবই পছন্দের। কিন্তু বাসায় কখনো বানিয়ে খাওয়া হয়নি। আপনি খুব ভালো করেছেন আপু বাইরে খাবার অর্ডার না করে নিজে স্বাস্থ্যসম্মত উপায় বাসায় বানিয়ে দিয়েছেন। থাই স্যুপ বানানো যে এত সহজ জানা ছিল না। আপনার বানানো দেখে মনে হচ্ছে খুব সহজেই বানানো যাবে। কালার একেবারে দোকানের মত হয়েছে। দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে।
হ্যাঁ আপু খেতেও কিন্তু একদম রেস্টুরেন্টের মত ।আপনি একবার বাসায় এভাবে তৈরি করে দেখবেন খেতে বেশ ভালো লাগে ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপু নিঃসন্দেহে বাড়িতে তৈরি স্যুপ খুবই স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিকর খাবার। আর তাই এই সুস্বাদু ও পুষ্টিকর খাবার খেয়ে নিশ্চয়ই ভাইয়া ও আপনার মেয়ের শরীরের দুর্বলতা কিছুটা হলেও কমবে বলে আশা করছি। যাইহোক আপু, রেস্টুরেন্টের স্বাদে থাই স্যুপ রেসিপি তৈরি করে তার প্রতিটি ধাপ শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে মন্তব্য করার জন্য । ভালো থাকবেন শুভকামনা রইল।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন থাই স্যুপ রেসিপি। আসলে এই রেসিপি আগে রেস্টুরেন্টে অনেকবার খেয়েছি খেতে বেশ সুস্বাদ। কিন্তু কখনো আপনার মত এভাবে বাড়িতে এই রেসিপি তৈরি করে খাওয়া হয়নি। দেখে বোঝা যাচ্ছে আপনার রেসিপি খেতে বেশ টেস্টি ছিল আপু। ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরির পদ্ধতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া যদি কখনো সময় হয় এভাবে একবার বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখবেন খেতে কিন্তু খুবই সুস্বাদু ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
রেস্টুরেন্টের স্বাদে থাই স্যুপ রেসিপি তৈরি করেছেন।দেখতে খুব সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
হ্যাঁ ভাইয়া এটি খেতে খুবই সুস্বাদু । একদম রেস্টুরেন্টের মতই লাগে ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।