হিম উৎসবে ঘোরার অনুভূতি
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সামনে একটি ভিন্ন ধরনের পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি । আজ আমি একদিন হিম উৎসবে ঘুরার অনুভূতি নিয়ে আপনাদের সামনে এসেছি । বেশ কয়েকদিন আগে আমাদের শহরের প্রাণকেন্দ্রে হয়ে গেল হিম উৎসব । সে সম্পর্কে আজ আমি আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব ।একদিন হঠাৎ আমার হাজবেন্ড আমাকে বলছিল হিম উৎসবে ঘুরতে যাবে নাকি ? আমি তো প্রথমে হিম উৎসব শুনে বুঝতে পারিনি । আমি বললাম হিম উৎসব সেটা আবার কি ? পরে আমার হাজবেন্ড বলল হিম উৎসব সেখানে একটি মেলার আয়োজন করা হয়েছে । পরে বুঝতে পারলাম এই হিম হচ্ছে ঠান্ডা কেই বোঝানো হচ্ছে । এই শীতকে কেন্দ্র করে শীতের উৎসব মানেই হচ্ছে হিম উৎসব । তারপর আমি যেতে রাজি হলাম । তারপর আমরা যথারীতি সেখানে চলে গেলাম ।
হিম উৎসবে ঘোরার অনুভূতি
আমাদের শহরে যে হিম উৎসব হয় এটা আমার জানাই ছিল না । এটি নাকি দ্বিতীয় বার হচ্ছে । গত বছরেও নাকি এই হিম উৎসব হয়েছিল । তবে সে সম্পর্কে আমি জানতাম না এবং যাওয়াও হয়নি । এ বছরই প্রথম জানলাম । যাওয়ার পর সেখানে আমি অবাক । রিক্সা থেকে নেমে দেখলাম অসংখ্য মানুষের ভিড় । মনে হচ্ছে যেন শহরের সব মানুষ এখানে চলে এসেছে । মেলার ভিতরে ঢুকে দেখলাম অসংখ্য স্টল দিয়েছে । সাধারণত মেলায় যা যা পাওয়া যায় এখানে সবকিছুই দেখলাম ।
সেখানে যাওয়ার পর দেখলাম একটি স্টেজ করা হয়েছে । যেখানে কনসার্টের আয়োজন করা হয়েছে ।একটি মেয়ে খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করছিল আর শিল্পীকে দর্শকরা গানের রিকোয়েস্ট করছিল ,শিল্পী সেই গানই যাচ্ছিল । সবাই খুব আনন্দ উৎসবের মধ্য দিয়ে হিম উৎসব পালন করছিল । আমার কাছেও ভীষণ ভালো লাগছিল । তখন আমার মনে হচ্ছিল এত সুন্দর একটি উৎসব এর আগের বার আমি দেখিনি এবং এ সম্পর্কে আমি জানতামও না । সত্যি অবাক হয়েছিলাম আমি ।
বিভিন্ন খাবারের স্টল গুলো যেমন ছিল তেমনি বাচ্চাদের খেলনার স্টলও ছিল । এছাড়াও মেয়েদের শাড়ি , কাপড় , ব্যাগ বিভিন্ন ধরনের স্টলে অনেক মহিলারা বসেছিল । মেয়েরা খাবারের দোকান দিয়েছিল । সত্যি বেশ বড় একটি আয়োজন ছিল । আমরা বেশ কিছুক্ষণ কনসার্টের গান শুনলাম । তারপর স্টল গুলো ঘুরে দেখতে লাগলাম ।
বেশ কিছুক্ষণ গান শোনার পর আমরা এক পাশের স্টল গুলো ঘোরা শেষ করলাম । তারপর খাবারের দোকানগুলো দেখতে লাগলাম । দেখলাম এখানে খাবার মত বেশ ভালো আয়োজন আছে ।
এখানে দেখলাম একটি খেজুর গাছ খুব সুন্দর করে লাইটিং করা হয়েছে এবং হিম উৎসব লেখা হয়েছে । গাছটি দেখতে সত্যি ভীষণ চমৎকার লাগছিল ।গাছটির সামনে বেশ কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকলাম এবং কয়েকটি ফটোগ্রাফ তুললাম । নিশ্চয়ই আপনাদের কাছেও ভালো লাগছে ।
এখানে একটি গাছের দোকান ছিল ভেবেছিলাম যাওয়ার আগে গাছের দোকানটিতে যাব এবং কিছু গাছ কিনে তারপর বাসায় যাব । কেননা আমার গাছ দেখলে কেনা না অব্দি ভালো লাগেনা কিন্তু তার হয়ে ওঠেনি । পাশেই খাবারের দোকান দেখতে পেলাম ।ভাবলাম ওখানে যেয়ে কিছু খেয়ে তারপর গাছের দোকানে যাব ।
এই খাবারের দোকানে দেখলাম মেয়েরাই সব ধরনের খাবার বাসা থেকে তৈরি করে এনে এখানে সেল করছে । এখানে নাড়ু , বরফি , আচার , আমসত্ত্ব
আরো বিভিন্ন ধরনের খাবারের আইটেম ছিল । কিন্তু প্রতিটা খাবারের দাম অতিরিক্ত বেশি ছিল । তারপরেও আমি বিভিন্ন আইটেমের খাবার এদের থেকে কিনেছিলাম বাসায় নিয়ে আসার জন্য ।তারপর ওখানে বসে আমরা হালিম খেয়েছিলাম ।তারপর ভেবেছিলাম আরো একপাশের দোকান গুলো দেখবো শেষে গাছ কিনে বাসায় যাব ।কিন্তু হঠাৎ আমার মেয়ের শরীর খারাপ লাগছিল যার জন্য তাড়াহুড়া করে বাসায় চলে আসতে হয়েছিল । আশা করছি আপনাদের কাছে আমার হিম উৎসবের অনুভূতি ভালো লেগেছে ।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৪০ |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
এরকম মেলাগুলোতে কিন্তু যাবতীয় সব ধরনের জিনিস পাওয়া যায়। মেলাতে গিয়ে আমরা যাবতীয় অনেক জিনিস কেনাকাটা করতে পারি। আপনার মত আমিও হিম উৎসব টা কি তা বুঝতে পারিনি প্রথমে। পরে আপনি যখন বুঝিয়ে বললেন তখনই বুঝতে পারলাম। মেলায় যেতে আমি একটু বেশি পছন্দ করি। আপনি তো দেখছি হিম উৎসবে গিয়ে বেশ ভালোই ঘোরাঘুরি করলেন এবং সবশেষে পিঠা নিয়ে বাসায় চলে এসেছেন। আপনারা বিভিন্ন আইটেমের খাবার খেয়েছেন। ভীষণ ভালো লাগলো পড়ে।
হ্যাঁ আপু হিম উৎসবে যেয়ে বেশ ভালই ঘোরাঘুরি করেছি এবং শেষে হালিম খেয়েছি । তারপর বেশ কিছু খাবার কিনে বাসায় এসেছি । বেশ ভালো সময় কেটেছে । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য
।
আমিও তো প্রথমে হিম উৎসব শুনে মনে করেছি সেটা আবার কি পরে বুঝলাম না যে ঠান্ডাকেই ওরা হিম বলেছে। ফরিদপুর এবার দিয়ে দুইবার হল আগে তো কখনো শুনিনি এই প্রথম শুনলাম। একই মেলায় অনেক কিছুর আয়োজন করা হয়েছে গানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে, আবার গাছেরও স্টল রয়েছে বিভিন্ন খাবারের আয়োজন করা হয়েছে ভালো লাগলো বেশ। মেলাতে আপনার খুব ইনজয় করেছেন দেখেই বুঝে নিলাম।
হ্যাঁ আপু আমাদের শহরে এই মেলাটি এবার দিয়ে দ্বিতীয় বার হয়েছে আমিও জানতাম না । আমিও এবারই প্রথম গেলাম । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।
আপনার পোষ্টের মাধ্যমে আজ প্রথম জানতে পেরেছি হিম উৎসব কি।হিম উৎসব দেখতে অনেক সুন্দর আপু সেখানে খাওয়া দাওয়ার সহ সব আইটেম রাখা হয়েছে।এছাড়াও সেখানে ওপেন কনসার্টের ব্যবস্থা করা হয়েছে।হিম উৎসবে অনেক ঘোরাফেরা করেছেন খাওয়া দাওয়া করেছেন অবশেষে পিঠা নিয়ে বাসায় চলে এসেছেন অনেক ধন্যবাদ।
আপু হিম উৎসবটি বেশ ভালোভাবে আয়োজন করা হয়েছে এবং আমার কাছেও বেশ ভালো লেগেছে ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।
আপু আমিও আপনার মত হিম উৎসব নামটা প্রথম শুনলাম। আপনার পোষ্ট পড়ে বিস্তারিত বুঝতে পারলাম। শীতকে কেন্দ্র করে মেলা বসানো হয়েছে। আর সেটাকেই একটি নাম দিয়ে দিয়েছে হিম উৎসব। যায়হোক আপনার হাসবেন্ড আপনাকে নতুন জিনিষ দেখালো। ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ ভাইয়া নতুন একটা মেলায় যেতে পারলাম ।বেশ ভালো লেগেছিল শীতের মধ্যে । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।
হিম উৎসবের নাম শুনে ভাবছিলাম যে এটা আবার কি উৎসব। পরে বুঝতে পারলাম যে এটি একটি মেলা। মেলাতে ঘুরলে বেশ ভালই লাগে। আপনার যে গাছ পছন্দ এর আগেই বুঝতে পেরেছি। মেয়ের অসুস্থতার জন্য গাছ কেনা আর হলো না। তাছাড়া মেলার খাবারের দাম গুলো একটু বেশিই হয়। এখানে মনে হয় বিভিন্ন উদ্যোক্তা মহিলারা খাবারের আয়োজন করেছে। যাইহোক মেলায় বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন বোঝা যাচ্ছে।
হ্যাঁ আপু এই মেলাতে দেখলাম বিভিন্ন স্টলে মহিলারা বসে আছে । মহিলা উদ্যোক্তা অনেক বেশি ছিল ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।
রাত্রি কালিন দারুণ একটা উৎসবে ঘোরাঘুরের মুহূর্ত আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন ফটোগ্রাফি আর বর্ণনার মধ্যে দিয়ে। আপনার এ বর্ণনা পড়ে এবং ফটোগ্রাফি দেখার মধ্য দিয়ে অনেক কিছু সম্পর্কে অবগত হতে পারলাম। খুব সুন্দর ছিল উপস্থাপনা। এত সুন্দর পোস্ট করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ভাইয়া আমার পোস্টটি পড়ে আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে সত্যি ভীষণ ভালো লাগলো । মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।