ঈদের পরদিন মামাতো ভাই বোনদের সঙ্গে ঘোরাঘুরি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
ঈদের পরদিন মামাতো ভাই বোনদের সঙ্গে ঘোরাঘুরি
বেশ কিছুটা পথ যাবার পর আমরা প্রথমে একটি রেস্টুরেন্টে গেলাম ।সেখানে যাবার পর দেখলাম বেশ ভিড় ।গ্রামের মধ্যে রেস্টুরেন্ট তারপরেও দলে দলে লোক আসছে চটপটির, ফুচকা আরো অন্যান্য জিনিস খাবার জন্য ।এখানে হরেক রকমের খাবার আইটেম ছিল। যাই হোক সেখানে জায়গাটা আমাদের খুব একটা ভালো লাগলো না যার কারণে আমরা পাশে আরেকটা রেস্টুরেন্ট ছিল সেই রেস্টুরেন্টের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।
গ্রামের মধ্যে এরকম রেস্টুরেন্ট দেখে সত্যি আমি অবাক হয়েছিলাম ।কেননা এর আগে কখনো এরকম রেস্টুরেন্ট দেখিনি। রেস্টুরেন্টটি একদম নদীর পাড়ে। নদীর উপরেই করা। যেখান থেকে চমৎকার ভিউ দেখা যাচ্ছিল। নিচে নদী দেখা যাচ্ছিল যার কারণে দেখতে অনেক বেশি ভালো লাগছিল। আর সেখানে বেশ কিছু খাবারের আইটেমও ছিল। যদিও প্রচুর পরিমাণে গরম ছিল। যার কারণে রেস্টুরেন্টের ভিতরে বসা যাচ্ছিল না ।কেননা যতটা সুন্দর ডেকোরেশন করুক না কেন তাদের ওখানে ফ্যানের ব্যবস্থা ছিল না। গরমের মধ্যে ফ্যান ছাড়া বসা একদমই অসম্ভব যার কারণে আমি রেস্টুরেন্ট থেকে বাইরে রাস্তায় বেরিয়ে ছিলাম।
রাস্তায় বের হওয়ার পর দেখলাম চমৎকার গাছগাছালিতে ঘেরা একটি টিনের বাড়ি ।দেখতে বেশ চমৎকার লাগছিল। এটি মূলত ওই রেস্টুরেন্ট মালিকের বাড়ি ছিল। গ্রামের মধ্যে এরকম বাড়ি গুলো দেখতে আমার কাছে বেশ ভালই লাগে। যাইহোক আমি বাইরে বাতাসে দাঁড়িয়ে ছিলাম। আর ভেতরে মামাতো ভাই বোন ও বাচ্চারা মিলে খাওয়া-দাওয়া করছিল। মামাতো ভাই-বোনেরা ফুচকা চটপটি ড্রিংস খেয়েছিল।
গ্রামের মধ্যে হলেও রেস্টুরেন্টে দলে দলে লোকজন আসছিল যেটা দেখে সত্যিই আমার কাছে বেশ অবাক লেগেছিল। তার উপর আবার ঈদের পরদিন। ঈদের পরদিন রেস্টুরেন্টে খাওয়া আমার কাছে একদমই ভালো লাগেনা ।এখানে দেখলাম গ্রামের লোকজনের ইদানিং রেস্টুরেন্টের প্রতি বেশ আগ্রহ দেখা যাচ্ছে। যার কারণেই দলে দলে লোকজন প্রবেশ করছে। রেস্টুরেন্টের বিক্রি বেশ ভালই মনে হলো ।
তবে রেস্টুরেন্টের ডেকোরেশনটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে। চমৎকার ফুলের গাছ দিয়ে সুন্দর করে সাজানো ছিল ।এক কথায় দেখতে বেশ ভালো লাগছিল। সবকিছুই ভালো ছিল তবে বাতাসের ব্যবস্থা থাকলে রেস্টুরেন্ট টি আরো বেশি ভালো লাগতো। যাই হোক নতুন নতুন করেছে হয়তো পরবর্তীতে এই ব্যবস্থা করলেও করতে পারে।
আমরা প্রথমে যেই রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলাম এই ফটোগ্রাফি দুটি মূলত সেই রেস্টুরেন্টের ।ছোট্ট একটি জানালা আছে যেখানে ক্যাশ কাউন্টার ।এই জায়গাটা বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে। যাই হোক সব মিলিয়ে ঘোরাঘুরির মুহূর্তটা বেশ ভালোই ছিল ।অনেকদিন পর এরকম মামাতো ভাই বোনদের সঙ্গে ঘুরতে পেরে বেশ ভালই লেগেছিল। বাচ্চারা বেশ আনন্দ পেয়েছিল।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | OPPO Reno8 T |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
ঈদের পর দিন মামাতো ভাই বোনদের সাথে ঘোরাঘুরি নিয়ে সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন আপু। গ্রামের মধ্যেও এখন শহরের ছোঁয়া। আগে এধরণের রেস্টুরেন্ট গ্রামে কল্পনা করাও যেত না। এখন অনেক প্রত্যন্ত অঞ্চলে এরকম খাবারের দোকান দেখতে পাওয়া যায়। আপনার পোস্টকৃত ছবি দেখে মনে হচ্ছে রেস্টুরেন্টটি অনেক সুন্দর। পোস্টের ছবি গুলোও সুন্দর হয়েছে। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আপু আপনি ঠিকই বলেছেন গ্রামের মধ্যে এরকম রেস্টুরেন্ট দেখে সত্যিই আমি অবাক হয়েছি। যেটা আগে কল্পনাই করা যেত না ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
গ্রামের মধ্যে খুব সুন্দর একটা রেস্টুরেন্ট রয়েছে দেখছি। রেস্টুরেন্টের ভিতরের পরিবেশটা বেশ সুন্দর। আর ভিতর থেকে বাহিরের ভিউ টাও খুবই সুন্দর লাগছে দেখতে। গ্রামীণ প্রকৃতি আসলেই মুগ্ধ হওয়ার মতো। ঈদের পর মামাতো ভাই-বোনরা মিলে একসাথে ঘুরতে গিয়েছেন। কাজিনদের সাথে ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি অসাধারণ। আপনাদের কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ আপু রেস্টুরেন্টের পরিবেশটা সত্যিই চমৎকার ছিল। নদীর পাড়ে যার কারণে অনেক বেশি ভালো লাগছিল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
সবাই মিলে খুব ভালো ঘোরাফেরা করেছেন । অটোতে ঘুরলেই তো ভালো হতো রেস্টুরেন্টে গিয়ে ঘোরাটা নষ্ট করলেন । কিন্তু কিছু তো করার নেই সবাই মিলে যখন গিয়েছে যেতে তো হবেই । আর ঠিকই বলেছেন গ্রামের ভিতরে এরকম গাছগাছালির ভেতরে বাড়ি ঘর দেখলে ভালো লাগে । আর রেস্টুরেন্টটা খুব সুন্দর করে সাজিয়েছে । ইদানিং মানুষ ঘরের খাবারের থেকে বাইরের খাবার খেতে পছন্দ করে । রেস্টুরেন্টে গেলে বোঝা যায় মানুষ বাইরের খাবার খেতে কতটা পছন্দ করে । ভালো লাগলো আপনার পোস্টটা পড়ে ।
হ্যাঁ আপু রেস্টুরেন্টে গিয়ে ঘোরাটা নষ্ট হয়েছিল ।বেশ রাগ হচ্ছিল ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
নদী বিলাস ফুড পার্কটা সত্যিই অনেক সুন্দর। নদীর পাড়ে হওয়ার কারনে চারপাশের ভিউটা জাষ্ট অসাধারন লাগছে। চার পাশে বিভিন্ন রকম টবে ফুলের গাছও লাগিয়েছে। যদিও ভিতরে ফ্যানের ব্যবস্থা নেই,তবে পরিবেশটা সত্যিই দারুন। ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাইয়া পরিবেশটা সত্যি চমৎকার ছিল ।সবকিছুই ভালো ছিল যদি ফ্যানের ব্যবস্থা থাকতো তাহলে আরো বেশি ভালো লাগতো ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
ঈদের সময় ঘোরাঘুরি করার মজাই আলাদা৷ আপনি ঈদের পরদিন আপনার কাজিনদের সাথে ঘুরাঘুরি করার খুবই সুন্দর একটি মুহুর্ত শেয়ার করেছেন৷ খুব সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফির মাধ্যমে অনেক কিছুই ফুটিয়ে তুলেছেন এবং আপনার কাছ থেকে এরকম সুন্দর একটি মুহূর্ত পড়ে খুবই ভালো লাগছে৷
হ্যাঁ ভাইয়া কাজিনদের সঙ্গে বেশ ভালই সময় কাটিয়েছিলাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য ।ভালো থাকবেন।