মজার কদবেল মাখানো রেসিপি ও কদবেলের পুষ্টিগুণ
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সামনে খুবই মজার এবং লোভনীয় একটি ফল মাখানো নিয়ে হাজির হয়েছি। এটি যে দেখবে তারই খেতে ইচ্ছে করবে এমনই লোভনীয় একটি খাবার । এটি খেতে আমি ভীষণ পছন্দ করি । সেই লোভনীয় খাবারটি হচ্ছে কদবেল মাখানো । এখন তো কদবেলের পুরোপুরি সিজন না। মূলত যখন কদবেলের সিজন ছিল তখন আমি ডিপ ফ্রিজে রেখে দিয়েছিলাম । অফ সিজনে খাবার জন্য ।মূলত এই কদবেল গুলো আমার নানু বাড়ি থেকে পাঠিয়েছিল । আমার নানু বাড়িতে বিশাল একটি কদবেল গাছ আছে । সেখান থেকে প্রতি বছরই কদবেলের সিজনে কিছু কদবেল বাসায় পাঠায়। তখন সেখান থেকে একটি কদবেল আমি ডিপ ফ্রিজে রেখে দিয়েছিলাম । বাজারের কেনা কদবেল গুলো বেশিরভাগই খুবই খারাপ থাকে । দাম ঠিকই নেয় কিন্তু ভেতরে পঁচা থাকে বেশিরভাগই । কিন্তু নিজেদের গাছপাকা কদবেল খাওয়ার স্বাদই আলাদা । আর এই কদবেল গুলো বেশ মিষ্টি টাইপের । দেখেই আপনারা বুঝতে পারবেন এটি খেতে কতটা মজার হবে।
কদবেল যে শুধু মজার একটি ফল তা নয় । এটি পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি ফল। এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী । এছাড়া কদবেল শরীরের রক্ত পরিষ্কার করতে সাহায্য করে । শরীরের শক্তি যোগাতেও কদবেল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । এছাড়া শরীরের রক্তস্বল্পতা দূর করতেও খুবই কার্যকর এই কদবেল ।এছাড়াও কদবেল শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ।আসলে কদবেলের যে কত উপকারীতা রয়েছে তা বলে শেষ করা যাবে না। আর কথা না বাড়িয়ে এখন কদবেল মাখানোর রেসিপিতে চলে যাই।
মজার কদবেল মাখানো রেসিপি ও কদবেলের পুষ্টিগুণ
উপকরণ
প্রস্তুত প্রণালী
প্রথমে কদবেল টি ভেঙে নিয়েছি।
তারপর কদবেলের ভেতরের অংশটি উঠিয়ে একটি প্লেটে রেখেছি।
তারপর কাঁচা মরিচ, লবণ ও বিট লবণ নিয়ে নিয়েছি।
তারপর কাঁচামরিচ, লবণ, বিট লবণ মাখিয়ে নিয়েছি।
তারপর সবকিছু কদবেলের সঙ্গে মাখিয়ে নিয়েছি।
তারপর ধনিয়া পাতা নিয়ে নিয়েছি।
তারপর কদবেলের সঙ্গে ধনিয়া পাতা ভালো করে মাখিয়ে নিয়েছি।
ব্যাস এভাবেই তৈরি হয়ে গেল আমার মজার কদবেল মাখানো । এখন খেয়ে নিয়েছি । দারুন লেগেছিল খেতে।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | OPPO Reno8 T |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
কদবেল আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী একটি ফল।কদবেল মাখানোর রেসিপি দেখে জিভে জল এসে পড়লো৷ খুব সুন্দর ভাবে আপনি কদবেল মাখানোর রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আপু। কদবেল ডিপফ্রিজে রেখে খাওয়া যায় জেনে খুব উপকৃত হলাম। ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ আপু কদবেল ডিপ ফ্রিজে রেখে সারা বছরই আপনি খেতে পারবেন। এতে স্বাদের কোন পার্থক্য হয় না ।খেতে বেশ ভালই লাগে ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আমি ভাবলাম আপনি এত সুন্দর কদবেল কোথায় পেলেন দেখলাম আপনি ডিপে রেখে দিয়েছিলেন । ইশ যদি একটু খেতে পারতাম । ঠিক বলেছেন এই কদবেল খেতে খুবই মজা । বাজারেরটা তো এত সুন্দর কালারই হয় না । কদবেল এর গুন দেখে তো কদবেল খাই না ভালো লাগে তাই খাই ,এত গুনাগুন আছে তা জানতাম না ।
হ্যাঁ, আপু কদবেল গুলো খেতে খুবই মজার। এভাবে মাখিয়ে খেতে আরো বেশি ভালো লাগে। আসলে আমরা সবাই কদবেল পছন্দ করি কিন্তু কেউ জানি না যে এর কত গুণ রয়েছে ।যাই হোক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
এই আপু আপনি আর কিছু খুঁজে পেলেন না রেসিপি করার জন্য? চোখের সামনে এভাবে কদবেল ভর্তা করে ঝুলিয়ে দিলেন? আমি তো রেসিপিটি দেখছিলাম আর জিভে জল টলমল করছিল। এখন এত রাতে এই কদবেল কোথায় পাই? অসাধারণ ছিল আজকের রেসিপিটি আপু।
আপু ইচ্ছা করেই তো এই সময়ে কদবেল মাখানোর রেসিপি আপনাদেরকে দিয়েছি। যাতে আপনাদের লোভ লেগে যায় কিন্তু খেতে না পারেন ।🤪ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু এই সিজনের ফলগুলো যেমন অন্য সিজনে পাওয়া যাবে না ঠিক তেমনি অন্য সিজনের ফল গুলো এই সিজনে পেতেও অনেক সময় অনেক কষ্ট হয়। আর আপনি নানুর বাড়ি থেকে পাঠানো কদবেল বুদ্ধি করে ফ্রিজে রেখে দিয়েছেন। মাথাটাও দেখে মনে হচ্ছে ভীষণ সুস্বাদু হয়েছে। কদবেল আসলেই একটি পুষ্টিকর খাবার। আমার ভীষণ ভালো লাগে খেতে। অনেক সুন্দর ভাবে তৈরি করেছেন দেখে আরো ভালো লাগলো।
হ্যাঁ আপু ডিপে রেখে দিয়েছিলাম বলেই তো এখন এত সুন্দর করে মজা করে খেতে পারলাম ।আর এই কদবেল গুলোর স্বাদ কিন্তু বাজারের গুলোর তুলনায় অনেক বেশি। যাই হোক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনার পোস্ট পড়ছি আর জিভে জল চলে আসলো। এভাবে কদবেল মাখা খেতে দারুণ লাগে আর সেই কদবেল যদি নিজের গাছের হয় তাহলে তো কোনো কথাই নেই। আপনার নানু বাড়িতে যেহেতু গাছ রয়েছে তাহলে তো সবসময়ই গাছ পাকা ফল খাওয়া হয়। আপনি ড্রিপ ফ্রিজে রেখে খুব ভালো কাজ করেছেন যখন খুশি খেতে পারবেন। কদবেলের এত পুষ্টিগুণের কথা জানা ছিল না। আজ আপনার পোস্ট পড়ে অনেক কিছু জানতে পারলাম। ধন্যবাদ আপু লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু কদবেলগুলো ডিপ ফ্রিজে রেখে দিয়েছিলাম বলেই তো এখন খেতে পারলাম ।আর আপনাদের লোভ লাগাতে পারলাম ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
কদবেল এমন একটা ফল এই টক টক গন্ধ পেলেই জিভে জল এসে যায়।আপনার মাখানো টা অনেক সুন্দর হয়েছে অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।
হ্যাঁ ভাই আপনি একদম ঠিকই বলেছেন কদবেলের ঘ্রাণ পেলেই মুখে জল চলে আসে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
কদবেল আমার কাছে বেশ ভালো লাগে,তবে এভাবে যে ফ্রিজে সংরক্ষণ করা যায় তা আগে আমি জানতাম না।তবে এভাবে ধনেপাতা দিয়ে কদবেল মাখলে বেশ ভালো লাগে।আপনার কদবেলের ভর্তা দেখে আমার জিভে পানি এসে গেলো।ভালো লাগলো।ধন্যবাদ
হ্যাঁ কদবেল এভাবে ফ্রিজে রেখে বেশ ভালই খাওয়া যায়। এতে স্বাদের কোন পরিবর্তন হয় না ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
কদবেল আমি কখনো খাই নি। আপনার রেসিপি দেখে খুব ভালো লাগলো খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। যেভাবে উপস্থাপন করেছেন দেখে মনে হচ্ছে অত্যন্ত লোভণীয় একটি রেসিপি। চমৎকারভাবে আমাদের শেয়ার করেছেন।অসাধারণ ছিল আজকের রেসিপিটি আপু। এত চমৎকার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
কি বলেন ভাই আপনি কখনো কদবেল খাননি? যেনে সত্যিই অবাক হলাম । এটি ভীষণ পছন্দের একটি খাবার। খেয়ে দেখবেন একবার ,বারবার খেতে ইচ্ছে করবে ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
কদবেলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জেনে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। আপু আপনার নানু বাসা থেকে পাঠানো এই কদবেলগুলো যত্ন করে ডিপ ফ্রিজে রেখেছিলেন বলেই এই অফ সিজনেও খেতে পেরেছেন। বাজার থেকে কেনা কদবেল অনেক সময় ভেতরে নষ্ট থাকে। আর নিজেদের গাছের হলে সত্যি অনেক ভালো হয়। লোভনীয় একটি রেসিপি দেখে অনেক ভালো লাগলো আপু।
আপু এই কদবেল গুলো সত্যি অনেক মজার। আর দোকানের কেনাগুলো বেশির ভাগই নষ্ট থাকে ।আর ফ্রিজে রেখে খেলে কিন্তু অফসিজনে খেতেও ভালো লাগে ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপু আপনার তৈরি কদবেলের রেসিপিটি দেখে তো অনেক লোভনীয় লাগছে। আপনি আসলেই ঠিক বলেছেন কদবেল ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য বেশি উপকারী, আর এটা রক্ত পরিষ্কার করতে অনেক বেশি কাজে দেয়। আমাদের বাড়িতেও কদবেল গাছ আছে নিজের গাছের কদবেলের টেস্টি আলাদা। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ভাইয়া আপনাদের যেহেতু কদবেল গাছ আছে তাহলে আমার জন্য কিছু পার্সেল করে পাঠিয়ে দিয়েন ।খেতে ভীষণ পছন্দ করি। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।