নদীর পাড়ের কাশবন দেখা
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সামনে নদীর পাড়ের কাশবনের ছবি নিয়ে হাজির হয়েছি। আসলে এবার কাশবনে যাওয়া হয়নি। তবে বেশ কিছুদিন আগে নদীর পাড়ে গিয়েছিলাম। নদীর পাড় থেকে দাঁড়িয়ে দূরের কাশবন দেখতে পেয়েছিলাম ।যদিও কাশবন এ যাওয়া হয়ে ওঠেনি। কেননা কাশবনে যেতে হলে নৌকায় করে নদী পার হয়ে যেতে হবে। আর আমাদের নদীর ওপারে সাপের বেশ উপদ্রপ।তাই আর যাওয়ার সাহস করিনি ।তাই দূর থেকে কিছু ফটোগ্রাফি করেছি। সেগুলোই আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করছি। আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
নদীর পাড়ের কাশবন দেখা
আসলে কিছুদিন আগে রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলাম। সেখানে খাবার পর চিন্তা করলাম এখন আর বাসায় যেয়ে কাজ নেই। একবারে নদীর পাড় থেকে ঘুরে আসি। সে চিন্তা থেকেই মূলত নদীর পাড়ে গিয়েছিলাম। নদীর পাড়ে যেয়ে দেখলাম দূরের কাশবন দেখা যাচ্ছে ।যেটি ছিল নদীর মাঝে অবস্থিত ।তবে দূর থেকেও কাশবন গুলো দেখতে ভীষণ ভালো লাগছিল।
নদীর পাড়ে কাশবন দেখে সত্যি ভীষণ ভালো লাগছিল ।যদিও আমাদের ওখান থেকে বেশ কিছু দূরে ছিল কাশবনটি। তারপরেও যেহেতু এবার কাছ থেকে কাশবন দেখা হয়নি তাই দূর থেকে দেখেও ভীষণ ভালো লাগছিল। অনেকে দেখলাম নৌকা নিয়ে সেখানে যাচ্ছে এবং ছিড়ে ছিড়ে নিয়ে আসছে । যদিও আমরা দূর থেকেই সৌন্দর্য উপভোগ করছিলাম।
সেদিনকার আকাশটাও ভীষণ চমৎকার ছিল। আমার তো মনে হচ্ছিল শুধু আকাশ আর নদীর ফটোগ্রাফি করি ।আকাশ নদী কাশবন সব মিলিয়ে এত দারুন একটি দৃশ্য হয়েছিল যা দেখলে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগারই কথা। তবে সেদিন কার ওয়েদারটা বেশ গরম ছিল, যার কারণে খুব বেশি সময় সেখানে থাকা হয়নি। তারপরেও যতটুকু থেকেছি বেশ ভালো লেগেছে।
এই ফটোগ্রাফি টি আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। যেখানে নদীর পানিতে আকাশ টা দেখা যাচ্ছে। সত্যি চমৎকার লেগেছিল এই দৃশ্যটি দেখতে। যার কারণে ফটোগ্রাফ তুলে রেখেছি আর আপনাদের দেখার সুযোগ করে দিলাম।
তারপর নদীতে একপাশে অনেকগুলো বোট দেখতে পেলাম। এগুলো সরকারি বোট সম্ভবত। নদীতে এগুলো দেখতেও ভীষণ ভালো লাগছিল।
এই ফটোগ্রাফিতে দেখা যাচ্ছে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে নদীর পাড়ে বসে নদীর সৌন্দর্য উপভোগ করছে। আসলে সেখানে বেশ লোকজন ছিল। সবাই এসেছে নদী ও কাশবন দেখতে।
আরো একটু সামনে এগোতেই দেখতে পেলাম দুটো বড় বড় বোট ।আসলে এই বোট গুলো রাখা হয় হঠাৎ আকস্মিক বন্যা দুর্গতদের সাহায্য করার জন্য। যেহেতু নদী তীরবর্তী অনেক ঘরবাড়ি রয়েছে। আর যখন এই ছবিগুলো তোলা হয়েছিল তখন নদীর পানি প্রতিনিয়ত বাড়ছিল, যার কারণে বন্যার ঝুঁকি ছিল। সেই জন্যই আগে থেকে ব্যবস্থা হিসেবে বোট গুলো রাখা।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৪০ |
লোকেশন: | পদ্মা নদীর পাড়,ফরিদপুর |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
সত্যিই আপু নদীর পারে কাশবন গুলো দেখতে খুবই সুন্দর দেখাচ্ছে। আমি বাস্তবে কখনোই কাশবন দেখিনি সব সময় টিভিতে অথবা ছবিতে দেখেছি। কাশবন দেখতে সত্যিই খুবই সুন্দর তা আজকে আবারো আপনার ফটোগ্রাফি দেখে বুঝতে পারলাম। রেস্টুরেন্টে খেয়ে খুব সুন্দর একটি জায়গায় ঘুরতে গিয়েছেন। সত্যি বলতে নদীর পার যেমন ভালো লাগে তেমনি কাজগুলো খুব ভালো লাগে দুটি মিলে সত্যিই খুব ভালো একটি জায়গায় সময় কাটিয়েছেন এবং সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন সবাই মিলে ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করার জন্য।
আপু কি বলেন আপনি এখনো কাশবন দেখেননি শুনে সত্যিই ভীষণ অবাক হলাম। আশেপাশে কোথাও কাশবন থাকলে যেয়ে দেখে আসবেন ভালো লাগবে ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো।সত্যি বলেছেন নদীর পাড়ে কাশফুল গুলো দেখতে অনেক ভালো লাগে। আসলে নদীর পাড়ে এভাবে বয়স্ক ছেলে মেয়েরা ঘুরতে অনেক পছন্দ করে। আপনি অনেক ভালো একটা সময় কাটিয়েছেন জেনে অনেক ভালো লাগলো।
হ্যাঁ নদীর পাড়ের কাশবন গুলো দেখতে সত্যি ভালো লাগে ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
কিছুদিন আগে রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়ে নদীর পাড়ে ঘুরতে গিয়েছিলেন।চমৎকার কাশবাগানের ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন। দেখতে ভীষণ সুন্দর লাগলো।আকাশ,নদী,কাশবন সব যেনো তাদের সৌন্দর্যকে তুলে ধরেছে।নদীর ওপারে কাশবন হলে ও আপনারা এ পাড় থেকেই দেখলেন।কারন ওপারে কাশবনে সাপ আছে।তাই না গিয়ে ভালো ই করেছেন।সুন্দর সময় কাটিয়েছেন জেনে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু সেদিন বেশ ভালো সময় কাটিয়েছিলাম ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।ভালো থাকবেন।
নদীর পাড়ে ঘুরতে গিয়ে খুব সুন্দর করে কাশবন ফুলের ফটোগ্রাফি করেছেন। আসলে সময় থাকলে মাঝেমধ্যে এরকম কোথাও ঘুরতে গেলে নিজের কাছে অনেক ভালো লাগে। যদিও আপনি ভাল করেছেন নদী পার হয়ে কাশফুল সামনে যান নাই। কারণ সাপকে অনেকে ভয় করে। তবে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো সত্যি অসাধারণ হয়েছে। নদীর পাড়ে কাশবনগুলো খুব সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি করেছেন। যাইহোক রেস্টুরেন্টে গিয়ে ঘুরতে গিয়ে খুব সুন্দর কাশবন ফুলের ফটোগ্রাফি করলেন। খুব সুন্দর করে ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার।
আপু আপনার কাছে ফটোগ্রাফি গুলো ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
কাশবন দেখার মজাই আলাদা। আপনি বিকেল বেলা নদীর ধারে ঘুরতে গিয়ে খুব চমৎকার কাশবন ফুলের এবং নদীর ফটোগ্রাফি করেছেন। আমাদের বাড়ির পাশে নদী আছে নদীর উপরের সাইটে এরকম কাশবন ফুলগুলো আছে। যদি আপনি দূর থেকে এই ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন। তবে কাশবন ফুলে বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড় থাকে। দূর থেকে ফটোগ্রাফি করেছেন ভালই করলেন।যাইহোক খুব সুন্দর করে ফটোগ্রাফি গুলো করেছেন এবং সুন্দর মুহূর্ত কাটিয়েছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাদের বাড়ির কাছে নদীর ওপারেও এরকম কাশবন রয়েছে জেনে ভালো লাগলো ।ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
রেস্টুরেন্টে খেয়ে খুব সুন্দর একটি জায়গা ঘুরতে গিয়েছিলেন জেনে অনেকে ভালো লাগলো। নদীর পাড় আমারও অনেক ভালো লাগে। নদীর পাড়ের কাশবন গুলো দেখতে যে কি অপরূপ লাগছে আপু। নীল আকাশের নীচে সাদা কাশবন পাশে নদী সব কিছু প্রকৃতির অপরূপ সুন্দর্য উপভোগ করেছেন। অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু প্রকৃতির দারুন সৌন্দর্য উপভোগ করেছিলাম সেদিন। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপু নদীর পাড়ে বসে থাকা ছেলে মেয়েটির মাঝে মনে হয় মন মালিন্য হয়েছে। আপনি গিয়ে যদি তাদের মধ্যে সমঝতা করে দিতেন। তাহলে খুবই ভালো হয়তো। আর না হয় এভাবে তাদের দুরত্ব বাড়তে বাড়তে ব্রেকাপে চলে যাবে,হে হে হে।
ভাই আপনার মন্তব্যটি পড়ে সত্যি ভীষণ মজা পেলাম ।যদিও আমি ফটোগ্রাফি করার সময় ছেলে মেয়ে দুটিকে ওভাবে খেয়াল করিনি। যখন বাসায় এসে ফটোগ্রাফি দেখছিলাম তখন দেখলাম তারা দুজন দূরত্বে বসে আছে ।তাই আর মিল করানোর সুযোগ হয়ে উঠল না। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।