লইট্টা শুটকি ভুনা রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বন্ধুরা আজ আবারো আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে। আজ আমি মূলত একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমার আজকের রেসিপিটি হচ্ছে লইট্টা শুটকি ভুনা রেসিপি। তবে আজ আমি লইট্টা শুটকি টমেটো, ধনিয়া পাতা, আলু দিয়ে ভুনা করেছি। একটা সময় ছিল শুটকি মাছের নাম শুনলেই নাক শিটকিয়ে উঠতাম। কারো বাড়িতে শুটকি রান্না হলে গন্ধে অস্থির হয়ে যেতাম। কখনো মুখে দিতাম না । কিন্তু হঠাৎ একদিন প্রথম যখন শুটকি মাছ একটু মুখে তুলেছিলাম তখন এর স্বাদ অনুভব করতে শিখলাম। তখন থেকে গন্ধটা যেন আর গন্ধ লাগে না বরং শুটকি মাছের গন্ধ না হলে খেতে ভালো লাগে না ।তবে আমি মূলত এই লইট্টা শুটকি মাছই খাই ।আর অন্য কোন শুটকি মাছ খাই না । যাই হোক আর কথা না বাড়িয়ে চলে যাচ্ছি মূল রেসিপিতে।
লইট্টা শুটকি ভুনা রেসিপি
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
লইট্টা শুটকি মাছ | পরিমাণমত |
আলু | একটি |
টমেটো | ১ টি |
হলুদ গুঁড়া | এক চা চামচ |
জিরা গুড়া | এক চা চামচ |
ধনিয়া গুড়া | এক চা চামচ |
লাল মরিচ গুড়া | হাফ চা চামচ |
পেঁয়াজ বাটা | তিন টেবিল চামচ |
আদা বাটা | এক চা চামচ |
রসুন বাটা | হাফ চা চামচ |
পেঁয়াজ কুচি | তিনটি |
কাঁচা মরিচ | চারটি |
লবণ | স্বাদমতো |
তেল | পরিমাণ মতো |
ধনিয়া পাতা | পরিমাণমত |
প্রুস্তুতপ্রণালী
প্রথম একটি কড়াইয়ে তেল দিয়ে দিই। তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দেই। পেঁয়াজ কুচি বাদামি করে ভাজা হলে সব বাটা মসলা দিয়ে দেই।
তারপর মসলাটা একটু নেড়েচেড়ে লবণ ও সব গুঁড়া মসলা দিয়ে দেই।
তারপর মসলাটা নেড়েচেড়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে রান্না করি। তারপর আগে থেকে কেটে গরম পানি দিয়ে ধুয়ে রাখা লইট্টা শুটকি গুলো দিয়ে ভালোমতো মসলার সঙ্গে নেড়ে চেড়ে নেই।
তারপর আলু দিয়ে দেই ও ভালোমতো নেড়েচেড়ে মসলার সঙ্গে মিশিয়ে নেই।
তারপর টমেটো দিয়ে মসলার সঙ্গে নেড়ে চেড়ে কিছুক্ষণ রান্না করি।
তারপর একটু পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে কিছুক্ষণ রান্না করার পর ধনিয়া পাতা দিয়ে ঢেকে আরো কিছুক্ষণ রান্না করি।
তারপর পানি শুকিয়ে মাখামাখা হয়ে এলে ব্যাস তৈরি হয়ে গেল আমার লইট্টা শুটকি ভুনা রেসিপি।
তারপর একটি বাটিতে বেড়ে গরম ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করি ।খেতে কিন্তু খুবই চমৎকার হয়েছিল ।আশা করছি আপনাদের কাছে আমার রেসিপিটি ভালো লেগেছে।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | OPPO Reno8 T |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
আপনি আগে শুটকি মাছ খুব একটা পছন্দ না করলেও বর্তমান সময়ে শুটকি মাছ অনেক বেশি পছন্দ করেন জেনে ভালো লাগলো। আমিও আগে খুব একটা খেতাম না তবে কক্সবাজার গিয়ে শুটকি মাছ খেয়ে এখন মাঝে মাঝে শুটকি মাছ খেতে মন চায়। লইট্টা শুটকি ভুনা রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি লোভনীয় ছিল। মজাদার এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
ভাইয়া অন্যান্য শুটকির থেকে লইট্টা শুটকি খেতে বেশ ভালই লাগে ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
শুঁটকি মাছ আমার খুব পছন্দ।যদিও এ বাড়ির কেউ পছন্দ করেনা।তাই আমার একাই খেতে হয়।আর রান্না ও করতে হয় কেউ বাসায় না থাকলে।লইট্টা শুঁটকি ভুনা রেসিপিটি খুব লোভনীয় হয়েছে আপু। আমিও লইট্টা শুঁটকি রান্না করলে আলু ও টমেটো দেই।খেতে ভীষণ স্বাদের হয়।আর গরম ভাতের সাথে খেতে খুব মজা হয়।ধন্যবাদ আপু লোভনীয় রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
ইস আপু বাড়ির কেউ না খাওয়ার কারণে আপনাকে একা একা খেতে হয় এবং বাসায় কেউ না থাকলে রান্না করতে হবে ব্যাপারটা সত্যি দুঃখজনক ।সবাই মিলে যে কোন জিনিস খেলে ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।।
শুটকি খেতে আমার খুবই ভালো লাগে সেটা যেকোনো শুটকি হোক না কেন। আপনার লইট্টা শুটকির রেসিপি দেখে তোমার জিভে জল চলে এল। এত লোভনীয় একটি রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে এক প্লেট ভাত নিয়ে বসে পড়ি। রেসিপি কালার দেখে বোঝা যাচ্ছে রেসিপিটা খেতে কতটা সুস্বাদু হয়েছে। এত লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপু যে কোন শুটকি মাছ খেতে আপনার কাছে ভালো লাগে জেনে ভালো লাগলো ।আর আমার রেসিপিটি দেখে আপনার জিভে জল চলে এসেছে জেনেও ভালো লেগেছে ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
লইট্টা মাছ এবং লইট্টা শুটকি ভুনা খেতে ভীষণ মজা লাগে। তবে আপু আপনার মতো আমিও শুঁটকি ভুনা খেতে পছন্দ করি। আমার পছন্দের একটি রেসিপি আজকে আপনি শেয়ার করেছেন। এমন ভাবে রান্না করে দেখেছেন খেতে দুর্দান্ত হয়েছে দেখেই বোঝা যাচ্ছে। শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
ভাইয়া আপনি এই রেসিপিটি পছন্দ করেন জেনে ভালো লাগলো। খেতে কিন্তু সত্যিই বেশ সুস্বাদু হয়েছিল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
মূলত শুটকি মাছের রেসিপি কখন খাওয়া হয়নি শুধু কমিউনিটি থেকে সবার শুটকি মাছের রেসিপি তৈরি করা দেখেছি। তবে ছবি দেখে বুঝতে পারছি আসলে খেতে অনেক সুস্বাদু হবে। আলু আর মাছগুলো একসাথে পরিবেশন দেখে লোভ লেগে গেল।
ভাইয়া যেহেতু কখনো শুটকি মাছ খেয়ে দেখেননি তাহলে বুঝতে পারবেন না এটি খেতে কেমন। তবে এই লইট্টা শুটকি খেতে কিন্তু বেশ মজার ।কখনো সময় হয়ে উঠলে খেয়ে দেখবেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
শুটকি মাছ তেমন খাওয়া হয়ে ওঠেনা আবার তেমন ভালো লাগেনা। তবে আপনি অনেক লোভনীয় ভাবে রেসিপিটা আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আপনি আপনার রান্না পদ্ধতি আমাদের মাঝে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। শুভকামনা রইল
ভাইয়া টমেটো দিয়ে বেশ মজা করে রান্না করেছি। খেলে বুঝতে পারতেন খেতে কতটা সুস্বাদু হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আপু সত্যি কথা বলতে আমিও শুটকি মাছ কে পচ্ছন্দ করি না ৷ তবে আপনি দেখি দারুন ভাবে রেসেপি টি করেছেন ৷ লুইট্টা মাছের শুটকি কেমন তা জানি না ৷ তবে আপনার রেসেপি তে দেখে বোঝা যাচ্ছে ভালোই স্বাদ লাগবে ৷ আবার যত কিছু দিয়েছেন ৷ বেশ লোভনীয় স্বাদের রেসেপি করলেন আপু ৷
ভাইয়া শুটকির মধ্যে এই শুটকি খেতেই বেশি মজার। যদি কখনো সময় সুযোগ হয়ে থাকে খেয়ে দেখবেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
একটা সময় যেই খাবারটি আপনার অপ্রিয় ছিল সেই খাবারটি এখন প্রিয় হয়েছে জেনে ভালো লাগলো। শুটকি মাছ আমার ভীষণ পছন্দের।লইট্টা শুটকি ভুনা রেসিপি দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে আপু। দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আপু শুটকি মাছ আপনার ভীষণ পছন্দের জেনে ভালো লাগলো। তাহলে এই রেসিপিটি আপনার কাছে ভালো লাগবেই ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
শুটকি মাছ তো আমার খুবই পছন্দের। আর শুটকি মাছ বিভিন্ন পদ্ধতিতে রান্না করা যায়। শুটকি মাছ বিভিন্নভাবে রান্না করে খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। লইট্টা শুটকি আমার সব থেকে পছন্দের। শুঁটকি যদি কান্না হয় তাহলে একবারের অনেক বেশি মজা করে খাওয়া যায় সেদিন। লইট্টা শুটকি যদি ঝাল ঝাল করে তৈরি করা হয় তাহলে খেতে একটু বেশি ভালো লাগে। আপনি এই রেসিপিটার মধ্যে আলু এবং টমেটো ব্যবহার করেছেন। যার কারণে মনে হচ্ছে রেসিপিটা আরো বেশি সুস্বাদু হয়েছিল।
আপু আপনার কাছে এই শুটকি অনেক বেশি ভালো লাগে জেনে ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য ।ভালো থাকবেন।
শুঁটকি মাছ তো আমার খুবই ফেভারিট। বাজারে যখনই লইট্টা শুঁটকি দেখি, আমি তখনই বাজার থেকে কিনে নিয়ে আসি খাওয়ার জন্য। কারণ লইট্টা শুঁটকি আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লাগে খেতে। আপনি খুবই মজাদার পদ্ধতিতে এই রেসিপিটা তৈরি করেছেন। শুঁটকি রান্না করলে আমাদের একটা ঘ্রান পাওয়া যায়, আর খেলে অন্যরকম টেস্ট লাগে। সত্যি দেখেই খুবই লোভনীয় লাগছিল। আপনি টমেটো এবং ধনিয়া পাতা দুটোই এই রেসিপিটার মধ্যে ব্যবহার করেছেন।
ভাইয়া আমারও আপনার মত শুটকির মধ্যে লইট্টা শুটকি খেতেই বেশি ভালো লাগে ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।