গল্প|| সত্যিকারের ভালোবাসা

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আসসালামু আলাইকুম


আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।



বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সামনে একটি গল্প নিয়ে হাজির হয়েছি । আসলে গল্প মানেই আমাদের আশেপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনা । যেই ঘটনা গুলো এক একটি গল্প আকারে আমাদের কাছে এসে ধরা দেয় ।আসলে প্রতিটি গল্প আমাদের সমাজে ঘটে যাওয়া কোন ঘটনা। আজ আমি যে গল্পটি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব সেটি মূলত একটি বাস্তব ঘটনাকে কেন্দ্র করে লেখা । আশা করছি আপনাদের কাছে গল্পটি ভালো লাগবে । তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে চলুন চলে যাই মূল গল্পে।


true-love-840289_1280.jpg

source

সত্যিকারের ভালোবাসা



মফস্বল শহরের ছেলে হৃদয় ।বাবা-মার একমাত্র আদরের ছেলে । বাবা খুবই স্বল্প বেতনে একটা চাকরি করে । খুবই টানাটানির মধ্যে তাদের সংসার চলে । শহরের ছোট্ট একটি ভাড়া বাসায় তারা বাস করে। নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা তাদের । খুবই জরাজীর্ণ অবস্থার মধ্যে তারা থাকে ।এভাবে তারা তাদের জীবনে খুব অল্প খেয়ে পড়ে হলেও তারা বেশ ভালোভাবে তাদের জীবন কাটাচ্ছিল। কোনরকম কোন শত্রুতা ছিল না কারোর সঙ্গে। প্রতিবেশীদের সঙ্গেও বেশ ভালো সম্পর্ক ছিল তাদের । এভাবেই দিনগুলো কাটছিল।


কিছুদিন এভাবে যেতে যেতে হৃদয়ের অনলাইনে একটি মেয়ের সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়। সেখান থেকে তাদের ধীরে ধীরে ভালোবাসার সম্পর্ক হয়। মেয়েটি ছিল ধনী পরিবারের একটি মেয়ে। তার বাবা ছিল পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা । তার ক্ষমতা ছিল প্রবল । কিন্তু হৃদয় কোন কিছু না জেনেই মেয়েটির সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। একটা সময় তারা দুজন দুজনকে গভীরভাবে ভালোবেসে ফেলে। এমন একটা সময় আসে যখন মেয়েটি হৃদয়কে ছাড়া থাকতে পারছিল না। সে হৃদয়কে বলে আমি তোমার কাছে চলে আসব । কিন্তু হৃদয় তাকে প্রথম প্রথম না করে । কিন্তু এরই মধ্যে তাদের ভালোবাসার সম্পর্ক মেয়েটির বাবা-মা জেনে যায়।


মেয়েটির বাবা মা ভীষণভাবে রেগে যায়। আর মেয়েটিকে বকাবকি করতে থাকে । বলতে থাকে ছোটলোকের সঙ্গে সম্পর্ক করেছ এত বড় সাহস তোমার ।কখনো যেন আর এই ছেলের সঙ্গে কথা বলতে না দেখি। কিন্তু মেয়েটি তার বাবা-মার কথা শুনেনা। সে প্রতিনিয়ত হৃদয়ের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলে। কিছুদিন চলার পর যখন মেয়েটির বাবা দেখে মেয়েটি কিছুতেই হৃদয়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করছে না ,তখন তার বাবা মেয়েটিকে ভীষণ মারধর করে। তখন মেয়েটি রেগে হৃদয়কে বলে আমাকে এখনই নিয়ে যাও না হলে আমি সুইসাইড করব । তারপর হৃদয় যেয়ে মেয়েটিকে সেখান থেকে হৃদয়ের শহরে নিয়ে আসে।


এদিকে মেয়েটির বাবা মেয়েটিকে খুঁজে না পেয়ে বুঝতে পারে নিশ্চয়ই মেয়েটি ওই বখাটে ছেলের সঙ্গে পালিয়েছে। তখন মেয়েটির বাবা হৃদয়ের শহরে চলে আসে এবং তন্ন তন্ন করে তাদেরকে খুঁজতে থাকে । কিন্তু হৃদয় মেয়েটিকে নিয়ে তার বাড়িতে আসে না বরং সে অন্য একটি জায়গায় চলে যায়। যেখানে কেউ জানে না সে কোথায় গিয়েছে । এমনকি হৃদয়ের বাবা-মা ও জানে না সে কোথায় গিয়েছে।


এরই মধ্যে যেহেতু মেয়েটির বাবা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা তাই তিনি হৃদয়ের শহরে এসে পুলিশের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে হৃদয়ের বাবা-মাকে ধরিয়ে নিয়ে যায়। পুলিশ প্রথমেই জিজ্ঞাসাবাদ করে হৃদয় কোথায় ? কিন্তু তার বাবা-মা সত্যি সত্যিই জানেনা হৃদয় কোথায় ।তারা বলে সত্যি বলছি আমরা কিছুই জানি না ।পরে তাদেরকে প্রচুর পরিমাণে মারধর করা হয়। হৃদয়ের মা ছিল একদম পাতলা শরীরের একজন মহিলা।আর সহজ সরল একটা মানুষ । পুলিশের মার সহ্য করতে না পেরে মোটামুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে।

চলবে


আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

ফটোগ্রাফার:@wahidasuma
ডিভাইস:স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৪০

🔚ধন্যবাদ🔚

@wahidasuma

আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।

VOTE@bangla.witness as witness witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_vote.png

logo.gif

Sort:  
 last year 

এই ভালোবাসার পরবর্তী মোর কি হয় জানার খুব আগ্রহ রইলো, এখন তো পুলিশ তাদেরকে অত্যন্ত করে খুঁজে বেড়াচ্ছে পরবর্তী পর্বে হয়তো আরো বেশি রহস্যে প্রবেশ করতে পারবো।

 last year 

ভাইয়া পরবর্তী পর্ব খুব শীঘ্রই শেয়ার করব ।আশা করছি পাশে থাকবেন ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।

 last year 

আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে সত্যিকারের ভালোবাসার দারুন এই গল্প লিখে শেয়ার করেছেন । আসলে এখন ছেলে মেয়েরা ভালোবেসে যদি পালিয়ে যায় সেই শাস্তি তার বাবা মাকে পেতে হয় এটা সত্যি বেশ দুঃখজনক। হৃদয়ের সাথে তার মেয়ে পালিয়ে গিয়েছে বলে যেহেতু তিনি পুলিশের ঊর্ধ্বত কর্মকর্তা ছিল তাই হৃদয়ের বাবা মাকে ধরে নিয়ে গিয়ে অনেক মারধর করে। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয় অপেক্ষায় রইলাম।

 last year 

ভাইয়া পরবর্তী পর্ব খুব শীঘ্রই প্রকাশ করব ।সে পর্যন্ত ভালো থাকবেন ।আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

 last year 

আপনি আজকেও অনেক সুন্দর একটা গল্প লিখেছেন। আর আজকে এই গল্পের প্রথম পর্ব পড়তে দারুন লেগেছে। মেয়েটা কিন্তু হৃদয়কে অনেক বেশি ভালোবেসে ফেলেছিল যার কারণে মেয়েটার বাবা মানা করার সত্যেও তার সাথে সম্পর্ক রেখেছিল। তারা দুজন তো পালিয়ে গিয়েছে এখন দেখা যাক এর পরবর্তীতে কি হয়।

 last year 

ভাইয়া আপনার কাছে আমার গল্পটি ভালো লেগেছে জেনে বেশ ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

রোমান্টিক গল্প পড়তে আমার খুব ভালো লাগে। আসলে প্রকৃত ভালোবাসা ধনী গরীব ভেদাভেদ করে না। মেয়েটি হৃদয়কে প্রচন্ড ভালোবাসে বিধায়, শেষ পর্যন্ত হৃদয়ের কাছে চলে গিয়েছে ঠিকই, এতে করে হৃদয়ের মা বাবা বিপদে পড়ে গেল। হৃদয়ের মা বাবার জন্য সত্যিই খুব খারাপ লাগছে। মেয়েটির বাবা যেভাবেই হোক তাদেরকে খুঁজে বের করবে মনে হচ্ছে। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম আপু।

 last year 

ভাইয়া রোমান্টিক গল্প পড়তে আপনার কাছে ভালো লাগে জেনে বেশ ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।

 last year 

ভালোবাসা জাত এবং টাকা পয়সা চিন্তা করে না। হৃদয় গরিব ফ্যামিলির ছেলে কিন্তু তার ভালোবাসার মানুষ বড় ফ্যামিলি এবং বাবা পুলিশের বড় কর্মকর্তা। আসলে কিছু কিছু ভালোবাসা আছে যেগুলোর জন্য মানুষ জীবন পর্যন্ত দিয়ে দেয়। তবে একটা কথা শুনে খারাপ লাগলো, হৃদয়ের মা-বাবাকে পুলিশ থানা নিয়ে মারধর করেছে। অন্যায় করেছে তার ছেলে কিন্তু মা-বাবার গায়ে হাত তোলা মোটেও ঠিক নেই। এখন হৃদয়ের মা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। দেখা যাক পরের পর্বে কি ঘটে সেই অপেক্ষায় রইলাম। গল্পটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

আপু মনোযোগ সহকারে গল্পটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ।আপনার জন্য শুভকামনা রইল।

 last year 

কিছু কিছু ভালোবাসার কারণে নিজে এবং ফ্যামিলি কষ্ট করে। হৃদয় গরিব ফ্যামিলির ছেলে কিন্তু তার ভালোবাসার মেয়েটি বড়লোকের মেয়ে। আবার তার ওপর তার বাবা একজন পুলিশের উপাস্থলের লোক। যদিও তারা অন্য জায়গায় কাউকে না জানিয়ে রয়েছে। তবে হৃদয়ের মা-বাবাকে থানায় নেওয়াটা মনে হয় ভালো করে নাই। হয়তোবা ছেলের কারণে আজকে তাদের কষ্ট। দেখি আপনার পরের পর্বে কি ঘটে সেই অপেক্ষায় রইলাম।

 last year 

ভাইয়া মনোযোগ সহকারে গল্পটি পড়েছেন এবং সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। ভাল থাকবেন।

Coin Marketplace

STEEM 0.18
TRX 0.16
JST 0.029
BTC 78890.33
ETH 3180.07
USDT 1.00
SBD 2.68