বেগুনি বানানোর রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বন্ধুরা আজ আবারো আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজ আমি খুবই সহজ একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি ।যেটি আমার মনে হয় সবাই পারেন ।তারপরেও রেসিপিটি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে আসলাম ।আসলে এই ঠান্ডায় বিকেলে আমাদের সবারই মনে হয় ভাজাপোড়া খেতে ভালো লাগে। যদিও এই ঠান্ডায় নাস্তা বানানোটা খুবই কঠিন হয়ে যায় । তারপরেও পরিবারের সকলের কথা চিন্তা করে কিছু না কিছুতো বানাতেই হয় ।এইতো কয়েকদিন আগে প্রচুর ঠান্ডা ছিল ।সেদিন কি তৈরি করব সেটাই ভাবছিলাম। হঠাৎ মনে হল খুবই অল্প কিছু উপকরণ এবং অল্প সময়ে ঝটপট কিছু বেগুনি তৈরি করে ফেলি ।খেতেও ভালো লাগবে সময়ও কম লাগবে ,আর ঠান্ডার কষ্টও কম হবে। মূলত সেই চিন্তা থেকেই তৈরি করে ফেললাম ঝটপট বেগুনি রেসিপি ।এখন সেই রেসিপিটি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব ।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
বেগুনি বানানোর রেসিপি
- বেগুন
- বেসন
- লবণ
- হলুদ গুঁড়া
- লাল মরিচ গুঁড়ো
- পাঁচফোড়ন গুঁড়া
- বেকিং সোডা
- তেল
প্রুস্তুতপ্রণালী
![]() | ![]() |
---|
প্রথমে একটি বাটিতে পরিমাণ মতো বেসন নিয়ে নেই। তারপর পাঁচফোড়ন গুঁড়া দিয়ে দেই।
![]() | ![]() |
---|
তারপর হলুদ গুঁড়া, লবণ, লাল মরিচ গুঁড়া, বেকিং সোডা দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নেই।
![]() | ![]() |
---|
তারপর পরিমাণমতো পানি দিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করি। তারপর একটি কড়াই চুলায় বসিয়ে দেই।কড়াই গরম হলে তেল দিয়ে দেই।
![]() | ![]() |
---|
তারপর আগে থেকে কেটে ধুয়ে রাখা কাটা বেগুন গুলো বেসনের মধ্যে এপাশ ওপাশ ডুবিয়ে নেই।
![]() | ![]() |
---|
তারপর কড়াইয়ের তেল গরম হলে তেলের মধ্যে ছেড়ে দেই ও এপাশ ওপাশ উল্টিয়ে ভালো করে ভেজে নেই।
ব্যাস এভাবেই তৈরি হয়ে গেল আমার বেগুনি। এখন গরম গরম খেয়ে নেই। এই বেগুনি আমি ছোলা ভুনার সঙ্গে খেয়েছিলাম। যদিও ছোলা ভুনাটি বাইরে থেকে কিনে আনা। যাইহোক আশা করছি আপনাদের কাছে আমার রেসিপিটি ভালো লেগেছে।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | OPPO Reno8 T |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
![witness_proxy_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRXkkCEbXLYwhPEYqkaUbwhy4FaqarQVhnzkh1Awp3GRw/witness_proxy_vote.png)
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
আপনি একটি মুখোরোচক খাবার আমাদের সামনে উপস্থাপন করেছেন। যা দেখেই খাওয়ার ইচ্ছা হয় আর এই রেসিপি পছন্দ করে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন।সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সামনে উপস্থাপন করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আপু এটি সবাই পছন্দ করে। আর এই শীতের সময় তো এটি খেতে আরও বেশি মজা। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
বেগুনি তৈরি করার খুবই সুন্দর একটা পদ্ধতি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। বিকেলের নাস্তা তে এমন জিনিস খেতে আসলেই অনেক ভালো লাগে। আমার যখন ইচ্ছা হয় তখনই বেগুনি বানিয়ে খেতে শুরু করে দেই।
আপু আপনার যখনই ইচ্ছে হয় তখনই বেগুনি বানিয়ে খেতে শুরু করেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু ঠান্ডায় নাস্তা বানাতে মন চায় না কিন্তুু পরিবারের কথা মাথায় রেখে বানাতে হয় কিছু না কিছু। সত্যি খুব কম উপকরণ ও সহজ উপায়ে মজাদার এই বেগুনি রেসিপি করা যায় এবং আপনি খুব সুন্দর করে বেগুনি রেসিপিটি শেয়ার করেছেন। তৈরি পদ্ধতি দারুণ করে উপস্থাপন করেছেন। শীতের দিনে ভাজাপোড়া খাওয়ার মজাই আলাদা আর আপনি মজা করে বানিয়ে খেয়েছেন।ধন্যবাদ আপু চমৎকার রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
আপু এটি তৈরি করতে খুব কম সময় লাগে যার কারণেই এই বেগুনিটা বানিয়েছি ।আর খেতেও বেশ মজা ।ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
বেগুনি আমার অনেক পছন্দের। বাজারে কম বেশি প্রতি দিন বেগুনি খাই।আপনার বেগুনি রেসিপি আর কালার টা দেখে লোভ লেগে গেলো। আপনি খুবই সহজ ভাবে রেসিপি টি শেয়ার করেছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ভাইয়া বেগুনি আপনার পছন্দের এবং বাজার থেকে বেগুনি খান জেনে ভালো লাগলো। আসলে এটি বানানোও খুবই সহজ ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
গরম গরম বেগুনি খেতে খুব ভালো লাগে। আজ আপনি বেগুনি বানানোর রেসিপি তৈরি করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। বেগুনি বানানোর রেসিপি আমাদের মাঝে খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। বেগুন মধ্যে পাঁচফোড়ন গুঁড়া দেওয়াতে খেতে বেশ মজাদার এবং সুস্বাদু হবে। এত সুন্দর রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
হ্যাঁ ভাইয়া বেগুনির মধ্যে পাঁচফোড়ন গুড়া দিলে দারুন একটা ঘ্রান হয় ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
ভাজাপোড়া খেতে আমার বেশ ভালোই লাগে, শুধুমাত্র রোজার মাসে এই ভাজাপোড়া তৈরি করা হয় বাসায়, তা না হলে ভাগ্যে জোটে না। একমাত্র উপায় বিকারের রাস্তায় হোটেল থেকে খেয়ে আসতে হয় হাহাহা।
আসলে ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন এই ভাজাপোড়া গুলো সাধারণত রোজার দিনেই বানানো হয় ।তারপরেও আমি হঠাৎ বানিয়ে থাকি ।ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
বেগুনি খেতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। আর যদি হয় এই শীতের সময় গরম গরম বেগুনি, তাহলে তো কোন কথাই নেই একেবারে। শীতের সময় সবাই একসাথে এই ধরনের খাবারগুলো খেতে খুব ভালো লাগে। আপনি মজাদার বেগুনির রেসিপি তৈরি করেছেন দেখে ভালো লাগলো। নিশ্চয়ই এগুলো অনেক মজা করে খেয়েছিল আপনার পরিবারের সবাই। যদিও এমনিতে বেগুনি খাওয়া হয় বেশিরভাগ রমজান মাসে। তবে মাঝে মাঝে খেতে ভালোই লাগে।
হ্যাঁ ভাইয়া এই শীতের সময় গরম গরম বেগুনি খেতে বেশ ভালই লাগে ।বেশ মজা করেই খেয়েছিলাম ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আসলেই এ শীতের ভিতরে কোন কিছু বানাতে ভালো লাগে না তবে শীতের ভিতরে এ ধরনের খাবার খেতে কিন্তু খুবই ভালো লাগে । কেউ যদি রেডি করে সামনে এনে দেয় তখন খেতে কিন্তু খারাপ লাগে না । আপনার বেগুনিগুলো দেখে তো ভালোই মুচমুচে মনে হচ্ছে। খুব সুন্দর করে বানিয়েছেন । এরকম বেগুনি গরম গরম খেতে সত্যি অসাধারণ লাগে ।
হ্যাঁ আপু বেগুনিগুলো বেশ ভালো হয়েছিল। মুচমুচে আবার সুস্বাদু ও। তবে রেডি করে সামনে এনে দেওয়ার কেউ নেই, নিজেকেই বানাতে হয়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
হঠাৎ বেগুনি তৈরি করতে ইচ্ছা হল আর ঝটপট বেগুনি তৈরি করে ফেললেন বেশ দারুন ব্যাপার। সত্যি বলেছেন আপু গরম গরম দিয়ে গুলি খাওয়ার মজাই আলাদা। অনেক সুন্দর ভাবে আপনি বেগুনি তৈরি পদ্ধতি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন এজন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল আপু।
ভাইয়া এই শীতে নাস্তা বানানো খুবই কঠিন। তবে এটি বানাতে খুবই অল্প সময় লাগে যার কারণে আরো বানানো ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
সত্যি আপু এই ঠান্ডায় ভাজা পোড়া খেতে যেমন ভালো লাগে।তেমনি তৈরি করতে ততোটাই কষ্ট লাগে।আপনি তো দারুন মজার বেগুনি তৈরির রেসিপি শেয়ার করেছেন। দেখেই তো খেতে ইচ্ছে করছে।দারুন মচমচে হয়েছে আপনার বানানো বেগুনি।ধন্যবাদ আপু মজার এই বেগুনি রেসিপি ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু বেগুনি বেশ মচমচে হয়েছিল ।খেতেও ভালো হয়েছিল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।