রমনা পার্কে ঘুরে আসা পর্ব :১
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বন্ধুরা আজ আবারো আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। মূলত কিছুদিন আগে আমি ঢাকার রমনা পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলাম সেই মুহূর্তই আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে এসেছি। সেই ছোটবেলা থেকে এখন পর্যন্ত ঢাকা গিয়েছি বেশ কয়েকবার হয়েছে। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে এই পর্যন্ত আমি কখনো রমনা পার্কে ঘুরতে যাইনি। তাই এবার চিন্তা করলাম এত প্রচলিত একটি পার্ক,আর এই পার্ক টিভিতে অনেক দেখেছি এবং এর অনেক কথা শুনেছি কিন্তু কখনো যাওয়া হয়নি। এবার যেহেতু আপুর বাসার পাশেই পার্কটি তাহলে পার্কে ঘুরেই যাবো এইবার। সেই চিন্তা থেকেই আমি মূলত আপুর সঙ্গে রমনা পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলাম ।সঙ্গে ছিল আমাদের বাচ্চারা। সেই মুহূর্তগুলো এখন আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব ।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
রমনা পার্কে ঘুরে আসা পর্ব :১
আমরা যেদিন রমনা পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলাম সেদিন ছিল শুক্রবার। কিন্তু দিনটির কথা কারোরই মনে ছিল না ।যেহেতু শুক্রবার ছিল সেহেতু পার্কে ভিড় হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এত পরিমাণ ভিড় ছিল যা দেখে আমাদের মাথা খারাপ হয়ে গেল। কারণ এত লোকের ভিড় বলার মত নয় । মনে হয়েছিল যেন মানুষের মেলা বসেছে ।পার্ক ঘুরে কি দেখব লোকজন দেখেই অবাক।
তারপর কি আর করার গেটের সামনে প্রচুর মানুষের ভিড় ঠেলে ঠেলে আমরা ভেতরে প্রবেশ করলাম ।যেহেতু এই পার্কটি বিশাল এলাকা নিয়ে তৈরি সেহেতু যেসব জায়গা দিয়ে লোকজন কম ছিল আমরা বাচ্চাদের নিয়ে সেসব জায়গাগুলো ঘুরে দেখতে লাগলাম ।তারপরেও প্রচুর লোক ছিল। তা সত্ত্বেও আমরা পার্কের এমাথা থেকে ও মাথা ঘুরে বেড়িয়েছি ।পুরো পার্ক টি ঘুরে দেখেছি।
পার্কের ভেতরে বেশ কিছু চমৎকার গাছ দেখতে পেয়েছি যা দেখে আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। পার্কটিতে বিকেল বেলায় হাঁটার জন্য একদম পারফেক্ট। অনেক বাচ্চারা ফুটবল, ব্যাডমিন্টন খেলছিল। বাচ্চাদের জন্য পার্কটি সত্যি বেশ উপভোগের জায়গা ছিল। যেহেতু ঢাকার বাচ্চারা সব সময় বন্দি অবস্থায় থাকে। তাই খোলা পরিবেশে এসে তারা হাফ ছেড়ে বাঁচতে পারে।
বেশ কিছু সময় হাঁটতে হাঁটতে সবাই বেশ ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম ।বাচ্চারা তো একদম ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিল ।তাই সবাই মিলে কিছু সময় বসে রেস্ট নিয়েছিলাম। তারপর আবার হাঁটতে শুরু করেছিলাম। তবে হাঁটতে বেশ ভালই লাগছিল চমৎকার সবুজ গাছ-গাছালির মধ্য দিয়ে।
এখানে বেশিরভাগ লোকজনই এসেছে দেখলাম পরিবারের সঙ্গে কিংবা বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গে ।অনেকে মাঠের মধ্যে বসে গল্প করছিল ।কেউবা চাদর বিছিয়ে খাবার-দাবার রেখে পিকনিকের মত আয়োজন করেছিল ।বেশ ভালোভাবেই সবাই সবার মতো করে উপভোগ করছিল জায়গাটা ।সেদিনের বিকেলটা বেশ ভালই কেটেছিল আমাদেরও। তবে হাটা হয়েছিল প্রচুর। এমনিতে সাধারণত আমাদের এতটা হাটা হয় না।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | OPPO Reno8 T |
লোকেশন | রমনা পার্ক,ঢাকা |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
রমনা পার্কে বিকেল মুহূর্ত ে ঢাকায় যারা থাকে তারা অনেক সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করে। বিশেষ করে ছুটির দিনে । আপনার যেহেতু যাওয়া হয়নি দিনটি অনেক সুন্দর ছিল। শুক্রবারে বিকেল মুহূর্তের সবাই ঘুরাঘুরি করে। সেজন্যই তো ভিড় ছিল তবুও ভালো লেগেছে। যেটা আপনার ইচ্ছা ছিল সেটা পূরণ হয়েছে।
হ্যাঁ ভাইয়া ছুটির দিনে সবাই ওখানে সময় কাটায় এবার যেয়ে বুঝতে পারলাম। বেশ ভালো লাগলো ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
রমনা পার্ক বেশ ভালো একটি জায়গা ব্যস্ততম নগরীতে প্রকৃতির ছোঁয়া মিলে এখানে। আপনি খুব সুন্দর ভাবে আপনার ভ্রমণ কাহিনী আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। শুভকামনা রইল আপনার জন্য
হ্যাঁ ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন এই পার্কটিতে প্রকৃতির ছোঁয়ায় ভরপুর ।বেশ ভালো লাগলো ঘুরে ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
পার্কে ঘুরতে গেলে এমনিতে বেশ ভালো লাগে। ঢাকাতে অনেকবার গিয়েছেন তবে রমনা পার্কে ঘুরতে যান নাই এই প্রথম গেয়েছেন এই কারণে আপনার কাছে বেশি ভালো লাগলো। আপনার বড় বোনের সাথে আপনি এবং বাচ্চারা সবাই মিলে ঘুরতে গেলেন। তবে রমনা পার্ক অনেক বড় শুনেছি কখনো সামনে থেকে আমি দেখিনি। তবে এসব পার্কে গেলে এদিক-ওদিক ঘুরতে ঘুরতে মানুষ ক্লান্ত হয়ে যায়। তবে আপনি পার্কে ঘুরতে গিয়ে বেশ চমৎকার কিছু পার্কের ফটোগ্রাফি করেছেন। সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু কখনো ঢাকা গেলে রমনা পার্কে যেয়ে ঘুরে আসবেন। বেশ ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
রমনা পার্কে অনেক নামকরা বড় একটি পার্ক। যদিও এই পার্কে আপনি প্রথম গিয়েছেন। এ পার্কে জায়গাটি অনেক বড় এবং জায়গাটিতে ঘুরাঘুরি করলে মানুষ এমনিতে ক্লান্ত হয়ে যায়। পার্কে ঘুরতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। তবে আমি অন্যান্য জায়গায় পার্কে অনেক ঘুরাঘুরি করেছি এই পার্কে কখনো যাই নাই। তবে পার্কটি তুলনামূলক অনেক বড় দেখতেছি আপনার ফটোগ্রাফির মধ্যে এবং পোষ্টের মাধ্যমে। খুব সুন্দর করে পার্কে ঘুরাঘুরি প্রথম পর্বে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন।
হ্যাঁ ভাইয়া এই পার্কটি বিশাল বড় এরিয়া নিয়ে করা। কখনো সময় সুযোগ হলে যেয়ে ঘুরে দেখবেন ।ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ঢাকায় বড় হওয়া আর বেড়ে উঠার সুবাদে কিন্তু বহুবার রমনা পার্কে আমার যাওয়া হয়েছে। তবে রমনা পার্কের পরিবেশ আগের চেয়ে এখন অনেক অনেত উন্নত হয়েছে। আর রমনা পার্কের প্রকৃতির মাঝে কিছুটা সময় ঘুরে বেড়ালে কিন্তু প্রকৃতির সাথে মিশে যাওয়া যায়। দারুন ছিল আপনার অনুভূতি গুলো। ধন্যবাদ আপু আমাদের সাথে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনি যেহেতু অনেকবার গিয়েছেন তাহলে তো বুঝতে পারছেন পার্কের পরিবেশ কেমন ।আসলে সবুজে ভরপুর। বেশ ভালই লাগে ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
রমনা পার্ক বাস থেকে দেখেছিলাম, কিন্তু ভিতরে যাওয়া হয়নি। ভিতরের এরিয়াটা আসলেই অনেক বড়! বিকেল বেলা অনেকেই এখানে ঘুরতে আসে কেউবা ব্যায়ামও করে! আপনারাও দারুণ সময় কাটালেন দেখছি 🌼
ভাইয়া একবার ভেতরে যেয়ে ঘুরে দেখবেন ।বেশ ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।