||পটল দিয়ে কাতলা মাছ রান্নার রেসিপি||
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সামনে একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে এসেছি। আমার আজকের রেসিপিটি হচ্ছে পটল দিয়ে কাতলা মাছ রান্নার রেসিপি ।আমি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ধরনের সবজি দিয়ে তরকারি রান্না করে থাকি। এতে একদিকে যেমন তরকারিতে ভিন্নতা আসে অন্যদিকে তেমনি সব ধরনের সবজি খাওয়াও হয়। এর আগে কখনো কাতলা মাছ পটল দিয়ে রান্না করে খাইনি। তাই আজ চিন্তা করলাম যেহেতু পটল দিয়ে কখনো রান্না করা হয়নি তাহলে আজ পটল দিয়ে রান্না করি, সেই চিন্তা থেকেই আজ কাতলা মাছ পটল দিয়ে রান্না করেছি। এটি কিন্তু খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছিল । সেই রেসিপিটি এখন আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব। আশা করছি আপনাদের কাছে আমার রেসিপিটি ভালো লাগবে। তাহলে চলুন দেখে আসি আমার আজকের রেসিপি পটল দিয়ে কাতলা মাছ রান্নার রেসিপি। |
---|
পটল দিয়ে কাতলা মাছ রান্নার রেসিপি
উপকরণ | পরিমান |
---|---|
কাতলা মাছ | ১০পিছ |
পটল | ৫পিছ |
পেঁয়াজ কুচি | ৩ টি |
কাঁচা মরিচ | ৬ টি |
পেঁয়াজ বাটা | ৪ টেবিল চামচ |
আদা বাটা | ১ চা চামচ |
রসুন বাটা | ১ চা চামচ |
হলুদ গুঁড়া | ২ চা চামচ |
লাল মরিচ গুঁড়া | ১ চা |
ধনিয়া গুঁড়া | ২ চা চামচ |
জিরা গুঁড়া | ১ চা চামচ |
লবন | স্বাদমতো |
তেল | পরিমাণমত |
প্রুস্তুতপ্রণালী
ধাপ-১
প্রথম একটি কড়াইয়ে তেল দিয়ে দেই ।তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দেই। তারপর পেঁয়াজ কুচি বাদামি করে ভেজে নেই।
ধাপ-২
তারপর সব বাটা মসলা ,সব গুঁড়ো মসলা ও লবণ দিয়ে দেই।
ধাপ-৩
তারপর ভালোমতো নেড়ে চেড়ে মসলাটা কিছুক্ষণ কষিয়ে মাছগুলি দিয়ে দেই।
ধাপ-৪
তারপর মাছগুলি ভালোমতো নেড়েচেড়ে একটু পানি দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করি।
ধাপ-৫
পানি শুকিয়ে মাছগুলো কষানো হয়ে গেলে একটি বাটিতে তুলে রাখি।
ধাপ-৬
তারপর ওই মসলার মধ্যে পটল দিয়ে দেই ও ভালোমতো নেড়ে চেড়ে মসলার সঙ্গে মিশিয়ে নেই।
ধাপ-৭
তারপর একটু পানি দিয়ে কিছুক্ষণ রান্না করি।
ধাপ-৮
সবজি সিদ্ধ হয়ে গেলে মাছগুলি দিয়ে দেই।তারপর একটু নেড়েচেড়ে ঝোলের জন্য বেশি পানি দিয়ে দেই।
ধাপ-৯
তারপর কিছুক্ষণ রান্না করার পর জিরা গুড়া দিয়ে দেই। আরেকটু রান্না করার পর ব্যাস তৈরি হয়ে গেল আমার পটল দিয়ে কাতলা মাছ রান্না।
ধাপ-১০
এখন একটি বাটিতে বেড়ে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে ।আশা করছি আপনাদের কাছে আমার রেসিপিটি ভালো লেগেছে।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৪০ |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
পটল দিয়ে কাতলা মাছ রান্না রেসিপিটি অনেক চমৎকার হয়েছে। কাতলা মাছ আমার খুবই প্রিয় পটল দিয়ে এভাবে রান্না করে খেতে ভীষণ মজা লাগে। রান্নার কালার দেখেই বুঝা যাচ্ছে কতটা মজা হয়েছে খুবই ভালো লাগলো রেসিপিটি দেখে।
আপু কাতলা মাছ আপনার প্রিয় মাছ জেনে বেশ ভালো লাগলো ।ধন্যবাদ আপনার সঙ্গে মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।
কাতলা মাছ খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। কারণ অন্যান্য মাছের চেয়ে এই মাছ একটু ভিন্ন রকম স্বাদ। পটল দিয়ে খুব সুন্দর করে ঝোলের রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি মাছের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
কাতলা মাছ আপনার ভীষণ পছন্দের একটি মাছ জেনে বেশ ভালো লাগলো ।আর আপনি ঠিকই বলেছেন এই মাছটির স্বাদটি অন্যরকম। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
সাধারণ উপকরণ এ অসাধারন একটা রান্না ছিল। কতলা নাছ মোটামুটি ভাবে অল্পতেই বড় হয়ে যায়। আর স্বাদ হয় অতুলনীয়। ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য। আপনার জন্যও অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
পটল দিয়ে কাতলা মাছ রান্নার রেসিপি আপনি খুব সুন্দর ভাবে যথাযথ বর্ণনার মাধ্যমে আমাদের সাথে তুলে ধরেছেন। এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাল থাকবেন
আপনার কাছে আমার রেসিপিটি ভালো লেগেছে জেনে বেশ ভালো লাগলো ।আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
পটল দিয়ে কাতলা মাছ রান্নার রেসিপিটি দারুণ হয়েছে। দেখেই মনে হচ্ছে বেশ সুস্বাদু হবে। অনেক সাজানো গুছানো ভাবে প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন।
হ্যাঁ আপু খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছিল। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মন্তব্য করে আমার পাশে থাকার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
পটল দিয়ে কাতলা মাছ রান্নার রেসিপি খুবই সুন্দর হয়েছে আপু। পটল সবজিটি আমার কাছে মাছ দিয়ে রান্না করলে খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনি পটল দিয়ে কাতলা মাছের খুবই সুস্বাদু একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। রেসিপির কালার টা দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক বেশি লোভনীয় হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
হ্যাঁ ভাইয়া রেসিপির কালারটা যেমন লোভনীয় হয়েছে খেতেও বেশ সুস্বাদু হয়েছিল ।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। দেখতে খুবই লোভনীয় লাগছে। খেতেও নিশ্চয়ই খুবই সুস্বাদু হয়েছে। তবে আমার কাছে পটল রান্নার চেয়ে ভাজি করে খাওয়াটাই বেশি ভালো লাগে। রান্নার প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে ধন্যবাদ সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার ক।রার জন্য।
হ্যাঁ আপু আপনি ঠিকই ধরেছেন এটি খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
মাশাআল্লাহ অনেক সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন।কাতল মাছ দিয়ে রুই মাছ আসলে অনেক মজার একটা খাবার।ধাপ গুলো অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য
আপনার মন্তব্যের জন্য আপনাকে ধন্যবাদ ।সব সময় ভালো থাকবেন।আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
পটল দিয়ে কাতলা মাছ রান্নার রেসিপি আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো। পটল এবং কাতলা মাছ দুটি আমার খুবই প্রিয় আর একসাথে রান্না হল তো আরো ভালো। আপনার রেসিপির কালার দেখে মনে হয় খুব সুস্বাদু হবে। আপনি অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং শুভকামনা রইলো
হ্যাঁ আপু এই রেসিপিটি খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছিল ।পটল আর কাতলা মাছ দুটি আপনার খুবই প্রিয় জেনে বেশ ভালো লাগলো ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
পটল দিয়ে আপনি অনেক মজাদার একটি কাতলা মাছ রান্নার রেসিপি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনার এই কাতলা মাছ রান্নার রেসিপিটি দেখে জিভে জল এসে গিয়েছে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আমার রেসিপিটি দেখে আপনার জিভে জল চলে এসেছে জেনে বেশ ভালো লাগলো ভাইয়া। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ।আপনার জন্য শুভকামনা রইল।