অনথন তৈরির রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম
অনথন তৈরির রেসিপি
উপকরণ | পরিমান |
---|---|
হাড় ছাড়া মুরগির মাংস | দুই কাপ |
ডিম | ১ টি |
ময়দা | ২ কাপ |
কর্নফ্লাওয়ার | ১ টেবিল চামচ |
পেঁয়াজ কুচি | ১কাপ |
গাজর কুচি | ১/২ কাপ |
কাঁচা মরিচ কুচি | ২ টি |
ধনিয়াপাতা কুচি | পরিমাণমত |
আদা বাটা | ১/২ চা চামচ |
রসুন বাটা | ১/২ চা চামচ |
গোল মরিচের গুঁড়া | ১ চা চামচ |
লবন | স্বাদমতো |
তেল | পরিমাণমত |
প্রুস্তুতপ্রণালী
প্রথমে মাংসগুলোকে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিতে হবে।
তারপর একটি ডিম ফেটে নেই ।অপরপাত্রে ময়দার মধ্যে কর্নফ্লাওয়ার ও লবণ দিয়ে দেই।
তারপর ময়দার মধ্যে তেল দিয়ে দেই ও ফেটানো ডিমের অর্ধেক অংশ দিয়ে দেই। তারপর সামান্য পানি দিয়ে হাত দিয়ে ভালোমতো মোথে নেই। তারপর একটি ডো তৈরি করি। এভাবে ডো তৈরি করা হয়ে গেলে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে এক ঘন্টা রেস্টে রেখে দেই।
তারপর একটি পাত্রে ব্লেন্ড করা মাংস নেই ।তারপর পেঁয়াজ কুচি, কাঁচা মরিচ কুচি, ধনিয়া পাতা কুচি দিয়ে দেই।
তারপর আদা বাটা, রসুন বাটা, সয়া সস, গোলমরিচের গুঁড়া ও লবণ দিয়ে দেই।
তারপর গাজর কুচি দিয়ে দেই। তারপর সমস্ত মিশ্রণটি হাত দিয়ে ভালোমতো মেখে নেই।
তারপর একটি পাত্রে ময়দা ও কর্নফ্লাওয়ার মিশিয়ে নেই রুটি বেলার জন্য। তারপর ময়দা গোল করে বেলতে শুরু করি।
তারপর রুটির মত বেলে নেওয়া হয়ে গেলে চারপাশে চাকু দিয়ে কেটে স্কয়ার করে নেই।
তারপর চাকু দিয়ে রুটিটি চার টুকরো করে নেই। তারপর এক টুকরার মাঝখানে মাংসের মিশ্রণটি দিয়ে দেই।
তারপর এক প্রান্তের সঙ্গে আরেক প্রান্ত লাগাই ও দুই পাশ একটির উপরে আরেকটি দিয়ে ভাঁজ দিয়ে নেই।
এভাবে সবগুলো বানানো হয়ে গেলে একটি কড়াইয়ে তেল দিয়ে দেই।
তেল গরম হয়ে গেলে বানানো অন্থন গুলি দিয়ে দেই ।তারপর এপাশ-ওপাশ ভালো করে ভাজতে থাকি। এক্ষেত্রে চুলার জ্বাল মৃদু আচে দিতে হবে। কেননা ভেতরের পুরটা সিদ্ধ হওয়ার জন্য বেশ সময় নিয়ে ভাজতে হবে।
তারপর হালকা লাল করে ভাজা হয়ে গেলে একটি প্লেটে উঠিয়ে সসের সঙ্গে পরিবেশন করি। গরম গরম মুচমুচে অনথন খেতে খুবই সুস্বাদু লেগেছিল। আশা করছি আপনাদের কাছে রেসিপিটি ভালো লেগেছে।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৪০ |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
আপু আপনাদের রেসিপিটা নাম আমি প্রথম শুনলাম। যেহেতু এর নামে প্রথম শুনলাম সে তো খাওয়ার তো কোন প্রশ্নই উঠে না। তবে আপনার রেসিপিটি তৈরি করা প্রসেসিং টা দেখে আমার অনেক ভালো লাগলো এবং দেখে বোঝাছে খেতে অনেক সুস্বাদু হবে। আপনি যেভাবে তৈরি করেছেন তা আমি খুব সুন্দর ভাবে দেখে নিলাম এবং চেষ্টা করব কখন কোন একদিন বা নিজের বাসায় তৈরি করে খাওয়ার জন্য । ধন্যবাদ নতুন একটা রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া এটি একটি চাইনিজ ফুড। রেস্টুরেন্টে গেলে স্যুপের সঙ্গে এটি পরিবেশন করে ।যাই হোক আপনি যেহেতু কখনো খাননি তাহলে অবশ্যই একবার এভাবে বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখবেন ।বেশ ভালো লাগবে ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
অনথন তৈরির রেসিপি দেখে ভালো লাগলো। রেস্টুরেন্ট খেয়েছি খেতে ভীষণ মজা লাগে। আপনি তো আপু ইউনিক রেসিপি শেয়ার করেছেন। আপনার রেসিপি তো সব সময়ই ভালো লাগে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাই আপনার এত সুন্দর একটি উৎসাহ মুলক মন্তব্য পড়ে সত্যি ভীষণ ভালো লাগলো। সবসময় ভালো থাকবেন শুভকামনা রইল।
আপনি ঠিক বলেছেন রেস্টুরেন্টে থাই স্যুপের সাথে অনথন দিয়ে থাকেন কিন্তু রেস্টুরেন্টের স্টাইলে যেহেতু আপনি করেছেন খেতে তো দারুন হবে।আপনি যেহেতু সস দিয়ে মুচমুচে তৈরি করা অনথন খেয়েছেন তাহলে খেতে অনেক ভালো লেগেছিল আপু?আপনার মতোই একদিন আপনার রেসিপি দেখে তৈরি করে খেয়ে দেখতে হবে অসংখ্য ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু অবশ্যই একদিন বাসায় এভাবে তৈরি করে খেয়ে দেখবেন। খেতে কিন্তু দারুন লাগে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
রেস্টুরেন্টের খাবার নিজের বাড়িতেই বানিয়ে ফেলেছেন যেটা সত্যি নিজের দক্ষতার প্রমাণ দেয় ।আসলে দুপুর টাইম এই ধরনের খাবার উপভোগ করতে বেশ ভালই লাগে ।অনথন যেটা আপনি খুব সুন্দর করে রেসিপি করেছেন বিভিন্ন ধরনের জিনিস দিয়ে অনেক ভালো লেগেছে আমার কাছে আপু।
ভাইয়া আপনার কাছে আমার রেসিপিটি ভালো লেগেছে জেনে সত্যি ভীষণ ভালো লাগলো ।আসলে এটা খেতে কিন্তু খুবই সুস্বাদু ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপু সত্যি বলতে আজ অনথন রেসেপি নাম শুনলাম ৷ যদিও অনেকটা সিঙ্গারার মতো৷ যা হোক বেশ সুন্দর নতুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন ৷ প্রতিটি ধাপ বেশ মনোযোগ সহকারে দেখলাম ৷ সর্বোপরি একদিন নিজ বাড়িতে চেষ্টা করতে হয় ৷
ধন্যবাদ আপু
ভাইয়া এটি একটি চাইনিজ ফুড। খেতে বেশ ভালো লাগে ।আপনি অবশ্যই একবার বাড়িতে ট্রাই করে দেখতে পারেন ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপু, রেসিপির নামটা এই প্রথম শুনলাম মনে হচ্ছে! অনথন, তবে রেস্টুরেন্ট এ দেখেছি সম্ভবত। খাওয়া হয়নি! আপনি যেভাবে দেখালেন, বিকালের নাস্তাটা তাহলে জমে যাবে এভাবে করে বানালে। ধন্যবাদ আপু
হ্যাঁ ভাইয়া এটি চাইনিজ ফুড ।রেস্টুরেন্টে স্যুপের সঙ্গে পরিবেশন করে। খেতে বেশ চমৎকার লাগে ।আপনি একবার খেয়ে দেখতে পারেন। ধন্যবাদ।
অনথন কেন যেন থাই সুপের সঙ্গে খেতেই বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া গরম গরম মুচমুচে খেতেও খুবই ভালো লাগে। বাসায় কখনো বানানোর চেষ্টা করা হয়নি। কিন্তু অনথন বানানো যে এত সহজ জানা ছিল না আপনার রেসিপি দেখে শিখে নিলাম। অনথনে গাজর দেয়ার কারণে মনে হয় খেতে আরো বেশি মজাদার হয়েছিল। দেখতে কিন্তু রেস্টুরেন্টের মতই লাগছে।
হ্যাঁ আপু এটি খেতে কিন্তু বেশ সুস্বাদু ।আর গাজর দেয়ার কারণে খেতে আরো বেশি ভালো হয়েছে আপনি ঠিকই বলেছেন। আপনি এভাবে একবার তৈরি করে খেয়ে দেখবেন ভালো লাগবে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
এমন খাবার আমি কখনোই খাইনি রেস্টুরেন্টে অথবা বাসায় আপনার মাধ্যমে প্রথম জানতে পারলাম। তবে সুপ খেয়েছি সুপ আমার খুবই ফেভারেট বিশেষ করে ভেজিটেবল সুপ।
আপনি অনেক সুন্দর ভাবে প্রস্তুত করে উপস্থাপন করেছেন প্রস্তুত প্রণালী পড়েই বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই মজাদার হবে।।
ভাইয়া এটি একটি চাইনিজ ফুড। অনেক রেস্টুরেন্ট এ থাই স্যুপের সঙ্গে এটি পরিবেশন করে। আপনি যেহেতু কখনো খাননি অবশ্যই একবার খেয়ে দেখবেন। তাহলে বুঝতে পারবেন এটি কতটা সুস্বাদু। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপনি খুব সুন্দর করে অনথন তৈরির রেসিপি বানিয়েছেন। তবে রেস্টুরেন্ট থেকে বাসায় বানালে খেতে ভালো লাগবে। কারণ বাসায় বানালে খেলে স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। তবে আপনি সস দিয়ে খেয়েছেন খেতে মনে হয় অনেক মজা হয়েছে। আমিও চেষ্টা করব বাসায় বানানোর জন্য। খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাইয়া রেস্টুরেন্ট থেকে একটি বাসায় বানালে অবশ্যই অনেক পুষ্টিকর হয়ে থাকে। আর আপনি অবশ্যই বাসায় একবার বানিয়ে দেখবেন খেতে কিন্তু দারুন লাগে ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আমি আজ প্রথম এই রেসিপি নাম শুনলাম আপু। এই রেসিপি কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার বাসার তৈরি করা দেখে খুব সহজেই শিখে নিলাম। মনে হচ্ছে আমিও এভাবে বাসায় তৈরি করতে পারবো। ধন্যবাদ আপনাকে আপু নতুন একটি রেসিপি শিখিয়ে দেওয়ার জন্য।
আপু আপনি যেহেতু কখনো এটি খাননি তাহলে অবশ্যই একবার বাসায় ট্রাই করে দেখবেন। খেতে কিন্তু দারুন লাগবে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।