কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে কাচ্চি খাওয়ার অভিজ্ঞতা
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বন্ধুরা আজ আবারও আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজ আমি মূলত বেশ কিছুদিন আগে ঢাকার কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে খাওয়া-দাওয়ার কিছু মুহূর্ত নিয়ে হাজির হয়েছি ।আসলে খাওয়া-দাওয়া করতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আর রেস্টুরেন্টের খাবার হলে তো কোন কথা নেই। বেশ কিছুদিন আগে ঢাকায় গিয়েছিলাম। তখন মূলত পরিবারের সবাই মিলে এই রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলাম। যদিও তার কিছুদিন আগে কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের বেইলি রোড শাখার রেস্টুরেন্ট টি পুড়ে গিয়েছিল। এটি মূলত বনশ্রী কাচ্চি ভাই এর আরো একটি শাখা ছিল। সেখান থেকে মূলত আমরা খেয়েছিলাম। সেই অনুভূতিই এখন আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব ।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে কাচ্চি খাওয়ার অভিজ্ঞতা
আমরা মূলত গিয়েছিলাম দুপুরে খাওয়া-দাওয়া করার জন্য। সেখানে যাবার পর আমরা দেখলাম লোকজনে ভরপুর ছিল। বসার জায়গা পাওয়াই বেশ মুশকিল হয়ে পড়েছিল ।তারপরও দেখে শুনে একদম রোডের সাইডে বসার একটি টেবিল পেয়ে গেলাম। সেখান থেকে বাইরের রাস্তার ভিউ বেশ ভালো লাগছিল দেখতে। এটি ছিল মূলত দোতলায়। কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পর ওয়েটার এসে অর্ডার নিলো ।আমরা মূলত মাটন কাচ্ছি বিরিয়ানি, টিকিয়া, রোস্ট এগুলো অর্ডার করেছিলাম, সঙ্গে বোরহানি ছিল।
খাবার আসা অব্দি সবাই মিলে বসে বসে গল্প করছিলাম ।তবে খাবারটা কিন্তু দিতে তারা বেশ সময় লাগিয়েছিল। যেহেতু রেস্টুরেন্টে লোকজনে ভরপুর ছিল। যার কারণেই হয়তো খাবার গুলো সার্ভ করতে দেরি হচ্ছিল। যাই হোক কিছু সময় পর তারা মাটন কাচ্চি বিরিয়ানি ও রোস্ট দিয়ে গেল ।তবে এদের সার্ভিস আমার কাছে খুব একটা ভালো মনে হলো না। কেননা খাবার প্রায় শেষের দিকে তখন তারা টিকিয়া সার্ভ করলো ।ব্যাপারটা সত্যিই হাস্যকর ছিল।
তবে এর আগে কখনো আমার এই রেস্টুরেন্ট থেকে খাওয়া হয়নি ।তবে সবসময় এদের খাবারের নাম শুনেছি। আর যখন বেইলি রোডের রেস্টুরেন্ট টি পুড়ে গেল তখন তো অনেক বেশি পরিমাণ শোনা হয়েছিল ।কেননা তখন ও আমি ঢাকায় ছিলাম এবং রেস্টুরেন্টটি পুড়ে যাওয়ার আধাঘন্টা আগে রেস্টুরেন্টের সামনে দিয়ে এসেছিলাম।কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টটির নাম সেবার সবাই মনে হয় শুনেছিল।সেবার সেখান থেকে খেতে চেয়েছিলাম ।তবে পুড়ে যাওয়ার আগে। ভাগ্য ভালো যাওয়া হয়নি। কিন্তু এদের খাবারের মান আমার কাছে বেশ ভালই লাগলো। বিরিয়ানি টা বেশ ভালো লেগেছিল খেতে। তবে টিকিয়া টা খুব একটা ভালো লাগেনি। হয়তো তাড়াহুড়ো করে ভেজে ছিল । যার কারণে একদম কাঁচা কাঁচা ছিল ।
যাইহোক সবাই মিলে গল্প গুজব করে ,খাওয়া দাওয়া করে ,নতুন একটি অভিজ্ঞতা নিয়ে রেস্টুরেন্টের বিল মিটিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম ।বেশ ভালো একটি সময় কাটিয়েছিলাম সেদিন । তবে এটি ছিল আমার হাজবেন্ড এর পক্ষ থেকে তার নতুন মোবাইল কেনা উপলক্ষে সবার জন্য ট্রিট। সেদিনের সেই খাওয়া দাওয়ার মুহূর্ত আবার মনে পরে বেশ ভালো লাগলো ।আশা করছি আপনাদের কাছেও ভালো লেগেছে।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | OPPO Reno8 T |
লোকেশন | কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্ট, বনশ্রী, ঢাকা। |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টের খাওয়া দাওয়ার মুহূর্ত বেশ কয়েক জনের পোস্টে দেখেছিলাম। কাচ্চি ভাইয়ের খাবার গুলো দেখে মনে হয় যে খুব টেস্টি। আপনারা ও কাচ্ছি ভাই রেস্টুরেন্টে গেলেন। কাচ্চি খেতে আমারও অনেক ভালো লাগে আপু। খাবারের কালার গুলো দেখেই লোভ সামলানো যাচ্ছে না। এত সুন্দর একটি মুহূর্ত আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করলেন অনেক ভালো লাগলো।
আপু কাচ্চি খেতে আপনারও ভালো লাগে জেনে বেশ ভালো লাগলো। আর হ্যাঁ কাচ্চি ভাইয়ের কাচ্চির স্বাদ কিন্তু খুবই চমৎকার। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
যেহেতু মূলত দুপুরের খাবার খাওয়ার জন্য সেখানে গিয়েছিলেন আর এমন সব লোভনীয় রেসিপি নিয়ে দুপুরের খাবারের আয়োজন তাহলে বেশ উপভোগ করেছেন। এখন কথা হচ্ছে মোবাইল কেনার জন্য ট্রিট নিয়েছেন সেটার ভাগ তো আমরা পেলাম না 🤷
ভাইয়া আমিও অপ্রত্যাশিত ভাবে ট্রিট পেয়ে গিয়েছিলাম ।কখনো সময় সুযোগ হলে চেয়ে নিবেন। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
মোবাইলের ট্রিট কি শুধু পরিবারকে দিলে হবে আপু, আমাদেরকেও তো দেওয়া লাগবে। আপনারা কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে গিয়ে সবাই মিলে কাচ্চি খেয়েছিলেন শুনে খুব ভালো লেগেছে। তাও আবার ছিল মাটন কাচ্চি বিরিয়ানি এটা শুনেই তো লোভ লেগে গিয়েছে। মাটন কাচ্চি বিরিয়ানি কয়েকবার খেয়েছি, আমার কাছে তো খেতে খুব ভালোই লাগে। মজা করে সবাই মিলে একসাথে খেয়েছিলেন, দেখে তো ভালোই লেগেছে। সঙ্গে আমাদেরকে ডেকে নিলে পারতেন, ট্রিট কিন্তু আমরাও চাই।
আপু আমিও হঠাৎ করে ট্রিট পেয়ে গিয়েছিলাম ।তাই আপনাদের ডাকার সুযোগ হয়ে ওঠেনি। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন।
কাচ্চি ভাই এর কাচ্চি বাংলাদেশের মধ্যে অন্যতম। অধিকাংশ সময় এখানে বসার পযর্ন্ত জায়গা থাকে না। যেটার একটা অংশ আপানারা দেখেছেন। আপনারা তাহলে কাচ্চি ভাইয়ের বনশ্রী শাখায় গিয়েছিলেন। তার এদের এতো জনপ্রিয়তার কারণ এদের খাবারের মান। এদের কাচ্চি টা আসলেই ভালো হয়। দারুণ সময় কাটিয়েছিলেন পুরো পরিবারের সঙ্গে। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।
হ্যাঁ ভাইয়া এদের কাচ্চিটা আসলেই খুবই টেস্টি। এই কারণেই হয়তো লোকজনের এত ভিড় ।ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
স্বাদের খাবারের দৃশ্য দেখলেই কেমন জানি লোভ লেগে যায় হি হি হি। অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য, তবে লেখাগুলো বোল্ড না করলে বোধহয় বেশী ভালো দেখা যেতো।
ভাইয়া আপনাকে লোভ লাগাতে পেরেছি জেনে কিন্তু সত্যি ভীষণ ভালো লাগলো ।আর বোল্ড করলে আমি মনে করেছি দেখতে বেশি সুন্দর দেখায় ।যেহেতু আপনি বলছেন না করাই ভালো, তাহলে এখন থেকে আর করবো না ।ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
ভাগ্য সহায় থাকলে দুর্ঘটনা এড়িয়ে যায়। কাচ্চি ভাইয়ের বিরিয়ানি আসলেই খুব মজার। এজন্যই তো সেদিন অত বেশি মানুষ মারা গিয়েছিল ঐখানে গিয়ে। যাইহোক ভিড় থাকার পরও রাস্তার সাইডের একটি টেবিল পেয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো। বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছেন সবাই মিলে বোঝা যাচ্ছে। খাবার গুলো দেখেইতো খেতে ইচ্ছা করছে।
হ্যাঁ আপু এদের খাবারটা আমার কাছে কিন্তু বেশ ভালই লেগেছে। যার কারণে হয়তো এত ভিড় হয়। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
বোঝাই যাচ্ছে ঢাকায় গিয়ে কাজ কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে গিয়ে কাচ্চি খাওয়ার মুহূর্তে দারুন একটা অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন। পরিবারের সকলে মিলে এরকম মুহূর্ত কাটাতে আসলেই অনেক বেশি ভালো লাগে। প্রথমে আমি ভেবেছিলাম আপনারা হয়তোবা এমনিতেই খেতে গিয়েছিলেন পরে অবশ্য জানতে পারলাম যে আপনার হাজব্যান্ড নতুন ফোন কেনা উপলক্ষে আপনাদেরকে ট্রিট দিয়েছে। মাঝে মাঝে প্রিয় মানুষের থেকে এরকম ট্রিট পেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাদের কাটানো মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ ভাইয়া মাঝে মাঝে এরকম খাওয়া দাওয়া করতে পারলে বেশ ভালই লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য ।ভালো থাকবেন।
এই কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে কাচ্চি খাওয়ার অনেক শখ ছিল কিন্তু যেতে পারলাম না । বাড়ির কাছে ছিল একদিন গিয়েছিলাম তবে সেদিন অনেক রাত হয়ে গিয়েছিল দেখে খাবার শেষ হয়ে গিয়েছিল । পরে আর যাওয়া হয়নি ।তারপরে আবার আরেকদিন যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম তার আগের সপ্তাহে আগুন লেগে সবকিছু পুড়ে গেল । এখন আবার অন্য শাখায় যেতে হবে । আপনি তো ভালোই কাচ্চি ভাইয়ের মজাদার কাচ্চি খেয়ে নিলেন দেখেই তো লোভ লাগছে ।
হ্যাঁ আপু কাচ্চিটা খেতে কিন্তু বেশ ভালো ছিল ।আপনিও একবার খেয়ে দেখবেন ভালো লাগবে ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।