জেনারেল রাইটিং || সকলের রাগ নিয়ন্ত্রণ করা উচিত
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বন্ধুরা আজ আবারো হাজির হয়ে গেলাম আপনাদের মাঝে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আসলে মাঝে মাঝে ভিন্ন ধরনের কিছু বিষয় নিয়ে লেখালেখি করতে বেশ ভালই লাগে ।প্রতিদিন একই ধরনের পোস্ট করলে পোস্টে একঘেয়েমি চলে আসে। তাই মাঝে মাঝে একটু ভিন্নতা আনলে বেশ ভালই লাগে। আর তাই আজ আমি আপনাদের মাঝে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে লিখতে এসেছি। যেটি আমাদের সকলের জন্যই খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।আমার আজকের লেখার বিষয় হচ্ছে সকলের রাগ নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।
সকলের রাগ নিয়ন্ত্রণ করা উচিত
আসলে আমাদের প্রতিটা মানুষের ভেতরেই রাগ থাকে। কারো বেশি বা কারো কম ।কারো রাগ প্রকাশের ধরন একরকম ।আবার কারো রাগ প্রকাশের ধরন অন্যরকম ।আমাদের জীবনে সুখ- দুঃখ, আনন্দ-বেদনার মত রাগও কিন্তু একটি আবেগ। আমরা এই আবেগটি যখন বেশি প্রকাশ করে ফেলি তখন নানা রকম সমস্যার সৃষ্টি হয় ।আমরা আমাদের জীবনের বিভিন্ন ছোট ছোট বিষয় বা বড় বড় বিষয়ের ক্ষেত্রে এই আবেগ বা রাগ প্রকাশ করে থাকি। যার কারণে বিভিন্ন ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হয়। অতিরিক্ত রাগের কারণে আমাদের পারিবারিক জীবন, সমাজ জীবন এবং পেশাগত জীবনে ব্যাপক পরিবর্তন আসে।
এই রাগ নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে পরিবারের মধ্যেও যেমন অশান্তির সৃষ্টি হয়, তেমনি সমাজ জীবনেও বিভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি হয়। অতিরিক্ত কোন কিছুই ভালো নয় ।তাই অতিরিক্ত রাগ নিয়ন্ত্রণ করাও জরুরী। অনেকে দেখা যায় রাগ করলে ভাঙচুর করে, গায়ে হাত তোলে, মারামারি করে, আবার অনেকে দেখা যায় চুপ করে বসে থাকে, কেউবা কথা বলা বন্ধ করে দেয়। আসলে এই রাগ দীর্ঘস্থায়ী হলে তার ফল খুব একটা ভালো হয় না। এই রাগের কারণেই দেখা যায় অনেক সম্পর্ক ছিন্ন হয়।
অতিরিক্ত রাগের কারণে ভালোবাসার মানুষ ভালোবাসার মানুষ থেকে দূরে চলে যায় ।আবার আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায়। তাই মানুষের রাগ নিয়ন্ত্রণ করাটা একান্ত জরুরি। কেননা দীর্ঘস্থায়ী রাগ হলে তার ফল খুব একটা ভালো হয় না। আত্মীয়ের মধ্যে রাগারাগির কারণে সম্পর্ক ছিন্ন হলে, তখন সেই রাগ মনে পুষে না রেখে ক্ষমা করে দেওয়া উচিত। কেননা ক্ষমা একটি মহৎ গুণ। ক্ষমা করলে কেউ ছোট হয় না বরং সে বড় হয় এবং আত্মীয়তার সম্পর্কও মজবুত এবং দৃঢ় হয়। তাই আমাদের সকলকে ক্ষমা করতে শিখতে হবে।
যখন কেউ কোন একটি কারণ নিয়ে অতিরিক্ত রেগে যায় তখন তার উচিত কিছুক্ষণ চুপ করে থাকা ।নয়তো সেই জায়গাটা ছেড়ে অন্য জায়গায় যাওয়া। কিংবা দাঁড়িয়ে থাকলে বসে পড়া, বসে থাকলে শুয়ে পড়া । কেননা এ পদ্ধতি গুলো অবলম্বন করলে কিছুটা হলেও মানুষের রাগ নিয়ন্ত্রণে আসে। যে বিষয়টা নিয়ে মানুষ রেগে যায় সেই বিষয়টা নিয়ে তার খুব কাছের ভালোবাসার মানুষের সঙ্গে আলাপ করা উচিত । যে মানুষটি তাকে রাগ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করবে, তাকে ভালো বুদ্ধি দেবে তার সঙ্গেই মূলত সে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা উচিত। আর যে তার রাগ নিয়ন্ত্রণে বাধা সৃষ্টি করবে বরং তাকে উসকিয়ে দিবে তার সঙ্গে আলোচনা না করাই ভাল। অন্যথায় হিতে বিপরীত হয়ে রাগ বেড়ে যেতে পারে।
অনেক সময় দেখা যায় অতিরিক্ত রাগের কারনে মানুষের পেশাগত জীবনেও আমূল পরিবর্তন আসতে পারে।সে চাকরিচ্যুত হতে পারে।তাই রাগ নামক আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করাটা খুবই জরুরী। তাছাড়া অতিরিক্ত রাগের কারণে অনেক সময় মানুষের উচ্চ রক্তচাপ দেখা দিতে পারে কিংবা তার মেজাজ খিটখিটে হয়ে যেতে পারে। তাই নিজ স্বার্থে এটি নিয়ন্ত্রণ করা একান্ত জরুরী। কেননা রাগ থেকে ভালো কিছু হবার সম্ভাবনা খুব কমই দেখা যায় বরং ক্ষতির সম্ভাবনাই বেশি থাকে। তাই আমাদের সকলেরই উচিত নিজের রাগকে নিয়ন্ত্রণে রাখা। তবেই ব্যক্তি জীবন, পারিবারিক জীবন, সমাজ জীবন এবং পেশাগত জীবনে মানুষের শান্তি বজায় থাকবে।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৪০ |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
ঠিক বলছেন আপু রাগ জিনিসটা সবার ভিতরে থাকে। তবে কোন কিছু অতিরিক্ত হলে সেটা ভালো দেখায় না। অতিরিক্ত রাগ মানুষকে অনেক বেশি ক্ষতি করে। সেটা ব্যক্তি জীবন হোক কিংবা সংসার জীবনে হউক। অথবা সামাজিক জীবনে হোক। রাগ মানুষকে যেমন ক্ষতি করে তেমনি অসম্মানিত করে। তো আমাদের সকলের উচিত আসলে সবকিছুর মধ্যে একটু সীমাবদ্ধতা রক্ষা করা। অনেক ভালো লেগেছে আপনার লেখাগুলো পড়ে।
হ্যাঁ আপু আপনি ঠিকই বলেছেন অতিরিক্ত রাগ মানুষের অনেক বেশি ক্ষতি করে ।যাই হোক আমার পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে ।ভালো থাকবে।
আপু কথায় আছে, রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন।তাই হারা যাবে না। আপনি খুব সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট শেয়ার করলেন। কথাগুলো খুব সত্যি।রাগ আমাদের নিয়ন্ত্রন করা উচিত।রাগ পারিবারিক ও সামাজিক জীবনে অনেক বেশি সমস্যার সৃষ্টি করে।তাই এই রাগকে নিয়ন্ত্রণ করা খুব জরুরী।
হ্যাঁ আপু আপনি ঠিকই বলেছেন আমাদের রাগ নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।ভালো থাকবেন।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন রাগ নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি। সব মানুষের ভিতরে কমবেশি রাগ থেকে থাকে তবে তা নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। রাগের কারণে সাজানো সংসার নষ্ট হয়ে যায় আত্মীয়তার সম্পর্ক নষ্ট হয়ে যায়। এমনকি পেশাজীবনেও এর প্রভাব পড়ে। আপনি এসব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন আমাদের মাঝে এক কথায় এটি একটি শিক্ষা নিয়েও পোস্ট।
আপু আপনার কাছে আমার পোষ্টটি ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য। ভালো থাকবেন শুভকামনা রইল।
চমৎকার একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করেছেন আপু। আসলেই রাগ নিয়ন্ত্রণ করা জরুরী। কারণ অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো না। অতিরিক্ত রাগের কারণে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হতে পারে। অতিরিক্ত রাগের কারণে মানুষের সাথে মানুষের ঝগড়াঝাটি হচ্ছে,মারামারি হচ্ছে, সম্পর্ক ছিন্ন হচ্ছে, আর্থিক ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে মানুষ, স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ছে। সবমিলিয়ে শুধু ক্ষতি আর ক্ষতি। সুতরাং অতিরিক্ত রাগ অবশ্যই নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। যাইহোক এতো গুরুত্বপূর্ণ একটি টপিক নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
হ্যাঁ ভাইয়া অতিরিক্ত রাগের কারণেই আমাদের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি হয় যেটা আমরা বুঝতে পারি না। তাই সকলের আগে রাগ নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।