সামনের বাসার ছাদে হনুমানের আগমন
আসসালামু আলাইকুম
বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সামনে একটি মজার ঘটনা নিয়ে হাজির হয়েছি। দুদিন আগে দুপুরবেলায় বাসার বারান্দায় আমি রোদ্রে যেয়ে বসেছি। এমন সময় হঠাৎ দেখতে পেলাম দূর থেকে কি যেন লাফিয়ে আসছে। এক ছাদ থেকে আরেক ছাদে লাফাতে লাফাতে আসছে। তারপর তাকিয়ে দেখি আমার বাসার ঠিক সামনের ছাদে বড় একটা হনুমান এসে বসেছে। আমি তো দেখে পুরাই অবাক। হনুমানের লেজটা বিশাল বড় ছিল। দেখলাম ছাদে বসে একটা গাছের থেকে পাতা ছিড়ে ছিঁড়ে খাচ্ছে। এই দেখে আমি দৌড়ে আমার মেয়েকে ডাকতে গেলাম। তারপর আমি আর আমার মেয়ে দেখছিলাম আর আনন্দে উল্লাসিত হচ্ছিলাম। আমাদের চেঁচামেচি শুনে মেয়ের বাবা বাইরে এলো সেও এসে আমাদের সঙ্গে হনুমান দেখতে শুরু করল।
সামনের বাসার ছাদে হনুমানের আগমন
তারপর আমি হনুমানের কয়েকটি ফটোগ্রাফি তুললাম। এরই মধ্যে আমার বোন ভিডিও কল করলো। ভিডিও কলে ওকেউ হনুমান দেখালাম। ও অবাক হয়ে গেল হনুমান আসলো কোত্থেকে। তারপর আমার হাজবেন্ড হনুমানকে দেখে শীষ বাজাতে শুরু করলো । ওর শীষ বাজানো দেখে হনুমানটা ওর দিকে তাকিয়ে এক ছাদ থেকে আরেক ছাদে লাফ দিল। কিন্তু লাভ দিতে যেয়ে ছাদের মাঝখান দিয়ে নিচে পড়ে গেল। আসলে হনুমান টির মনে হয় অনেক বয়স হয়েছে যার কারণে অল্প দূরত্বেই লাফ দিতে পারল না। আমার বাসার সামনে হচ্ছে একটি মেইন রোড তারপর হচ্ছে ওই ছাদ। তারপর হনুমানটি মেইন রোড পার হয়ে আমার বাসার নিচে দাঁড়িয়ে উপরের দিকে তাকিয়ে থাকলো। আমার বাসা তিন তলা হওয়ায় ওঠার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হল। তারপরেও আমি ভয় পেয়ে গেলাম যেভাবে তাকিয়ে ওপরে ওঠার জন্য পথ খুঁজছিল মনে হচ্ছিল এই বুঝি উপরে চলে আসবে।কিন্তু এলো না। তারপর মুহূর্তের মধ্যেই লাফাতে লাফাতে কোথায় যেন হারিয়ে গেল।
আসলে বেশ কিছুদিন আগেও একবার এরকম একটি হনুমান ওই বাসায় ছাদে এসেছিল ।আবার অনেকদিন পর হনুমানটিকে দেখলাম। এটি সেই একই হনুমান কিনা সেটি আমার জানা নেই। তবে অনেকের মুখে শুনেছি আমাদের শহরে দুইটি হনুমান কোত্থেকে যেন এসেছে। দুজন একসঙ্গে থাকতো কিন্তু বেশ কিছুদিন আগে একটি হনুমানকে রাস্তার মেইন তারের উপর ঝুলে থাকতে দেখা গিয়েছে ।তারপর ওই হনুমান টি মারা যাবার পর দীর্ঘদিন আর দ্বিতীয় হনুমানটিকে কেউ দেখেনি। এটি সেই হনুমান কিনা সেটি অবশ্য আমি জানিনা। যাই হোক এরা কোত্থেকে যেন শহরে এসেছে। কিন্তু পাতা খাওয়া দেখে আমার মনে হচ্ছিল হয়তো এর খিদে পেয়েছে। কিন্তু বেশি সময় এখানে থাকেনি যার কারণে কিছু খেতে দিতে পারিনি।
আর এই হনুমান গুলোর সমস্যাও আছে অবাধে এরা চলাফেরা করতে পারে না ।রাস্তার ছোট ছেলেপেলেরা দেখলে এদের দিকে ইট ছুড়ে ।যার কারণে এরা মানুষ দেখলে ভয় পায়। এর আগের বার ছোট ছেলেদের কে দেখেছি এদের দিকে ইট ছুড়তে। নিষেধ করলেও ছেলেগুলো শোনে না। যাই হোক এই অসহায় প্রাণী গুলোর দিকে আমাদের একটু সুনজর দেওয়া উচিত।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৪০ |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
কিছুদিন আগে আমাদের এখানেও হনুমান এসেছিল। এবং সবাই তাকে খুব বিরক্ত করেছে পরে সে আর এখানে থাকতে পারেনি আবার অন্য এলাকায় চলে গেছে। কিছুদিন যাবত ফেসবুকেও খুব দেখছি এখানে ওখানে বিচরণ করছে। আসলে আপু এরা দলছুট হয়ে পড়েছে। আমাদের একদমই উচিত নয় এদেরকে বিরক্ত করা। ধন্যবাদ আপু।
তাহলে এরা বিভিন্ন জায়গায়ই ঘোরাফেরা করছে। আসলে ঠিকই বলেছেন এদের এভাবে বিরক্ত করা ঠিক না ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
বেশ কয়েকদিন আগে আমাদের ভার্সিটির বনানী ক্যাম্পাসে আমরা বানর দেখেছিলাম, আমি বানর হনুমান দুটোর মধ্যে পার্থক্যটা বুঝিনি, এগুলো যখন একটু বয়স হয়ে যায় তখন তারা খাবারের খোঁজে লোকালয়ে চলে আসে কারণ তখন তারা খুব একটা চলাফেরা করতে পারে না। তাদের নিজের শরীর তখন তাদের কাছে ভারী মনে হয় ।
আপনার কাছ থেকে নতুন কিছু তথ্য জানতে পারলাম। আসলে হনুমান আর বানর দেখতে প্রায় একই রকম। যাইহোক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
ভাগ্যিস তিনতলা তাই উঠতে পারলো না। উঠতে পারলে কি হতো কে জানে। আমার তো অনেক ভয় করে হনুমান দেখলে তবে ঘরের মধ্যে বসে ভয় করে না। বাইরে দেখলে মনে হয় এই মনে হয় একটা থাপ্পর দিয়ে দিল। তবে শহরে আগত দুটো হনুমানের মধ্যে একটা হয়ে থাকলে এই হনুমানটার তো খুব দুঃখ একা একা।ধন্যবাদ আপনাকে মজার একটা মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য।
আসলে আপু দূরের থেকে দেখতে বেশ ভালো লাগে। তবে কাছে আসতে গেলে ভয়ই লাগে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
এই হনুমানটি হয়তো তার সঙ্গীর সঙ্গে ভুল করে শহরে ঢুকে পড়েছে। কিন্তু সঙ্গীটি মারা যাওয়ার পর সে হয়তো কোথাও চলে গিয়েছিল। তাছাড়া আপনার হাসবেন্ড শীষ বাজানোর কারণে হনুমানটি বোধহয় ভাবছিল যে আপনারা তাকে ডাকছেন। এজন্য আপনাদের কাছে আসার চেষ্টা করছিল। কিন্তু তিন তলা হওয়ার কারণে সে হয়তো উঠতে না পেরে চলে গিয়েছে। ঠিকই বলেছেন এরকম হনুমান রাস্তাঘাটে দেখলে ছোট বাচ্চারা খুব বিরক্ত করে। এজন্য এরা মানুষ দেখলে খুব ভয় পায়। বেশ মজা লাগলো গল্পটি পড়ে।
আপু আপনার কাছে আমার গল্পটি পড়ে বেশ ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
কিছুদিন আগে আমাদের এখানে একটি হনুমান এসেছিল। আমাদের বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা বেশ ইনজয় করছিল হনুমানকে নিয়ে। তবে স্কুলটা চারিপাশে ঘেরা যার জন্য তারা বাইরে যেতে পারেনি এবং আমরাও বাইরে যেতে দেয়নি। তারা যেন দূর থেকেই দেখে। যাইহোক আপনার আজকের এই পোস্ট দেখে সে স্মৃতি মনে পড়ে গেল। তবে চাইলে ফটোগ্রাফি করে রাখতে পারতাম কিন্তু শরনে ছিল না। খুবই ভালো লাগলো বিস্তারিত আলোচনা দেখে।
ভাইয়া আমার পোস্টটি পড়ে আপনার বিদ্যালয়ের স্মৃতি মনে পড়েছে জেনে বেশ ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
অনেকদিন হলো হনুমান দেখা হয় না তবে আপনি হনুমান দেখেছেন এবং ভিডিও কলে আপনার বোনকেও দেখিয়েছেন এটা জেনে খুবই ভালো লাগলো। সব থেকে মজার ব্যাপার হচ্ছে আপনি হনুমান দেখার সঙ্গে সঙ্গে আপনার মেয়েকে ডেকে নিয়ে আসতে গিয়েছেন হাহাহা। আবার সেখানে মেয়ের বাবাও এসে হাজির তিনজনে মিলে খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন বোঝাই যাচ্ছে। আপনার এই সুন্দর মুহূর্তের গল্পটা পড়ে আমার খুবই ভালো লাগলো আপু।
ভাই আমার পোস্টটি পড়ে আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে বেশ ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য। ভালো থাকবেন।
আমি তো প্রথমে ভেবেছিলাম আপনাদের বাসার ছাদে হয়তো হনুমানটি এসেছিল কিন্তু পরে দেখি আপনাদের বাসার সামনের ছাদে এসেছিল। হনুমানের লেজ অনেক লম্বা এবং বড়। আমার কাছে কিন্তু ভীষণ ভয় লাগে লেজগুলো দেখতে। সত্যি এরকম অসহায় প্রাণীদের দিকে আমাদের সুনজর দেওয়া উচিত আপনি ঠিকই বলেছেন। আমি আজকে আপনার পোষ্টের মাধ্যমে হনুমান দেখতে পেয়ে ভীষণ ভালো লাগলো। এই মজার ঘটনাটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ আপু হনুমানের লেজ ভীষণ বড়। দেখলে একটু ভয় ভয়ই লাগে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আমি তো প্রথমে হনুমান টি দেখে ভয় পেয়ে গেলাম। আমার কাছে হনুমান খুবই ভয় লাগে। হনুমানের লেজ দেখলে একটু বেশি ভয় লাগে। আপনার ফটোগ্রাফি করা হনুমান টির লেজ দেখে আমি প্রথমে ভেবেছিলাম সাপ হবে। পরে দেখি এটা তো সেই হনুমানের লম্বা লেজ। আমার তো মনে হচ্ছে হনুমানটি আমার দিকে তাকিয়ে আছে। যাইহোক আপনি যেভাবে ভয় পেয়েছিলেন হনুমানটি আপনাদের বাসার দিকে তাকানোর ফলে মনে করেছিলাম আপনাদের বাসায় হয়তো ঢুকে গিয়েছে। পড়ে কিন্তু বেশ ভালো লাগলো।
আপু আপনার মত আমারও হনুমানের লেজ দেখে সাপের মত লাগছিল। অনেক বড় লেজটি। যাইহোক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
কিছুদিন আগে আমাদের বাড়ির ছাদেও হনুমান এসেছিল। যদি শিস বাজাতে পারতাম আপনার হাসবেন্ডের মত আমিও হনুমান দেখে শিস দিতাম। এক ছাদ থেকে অন্য ছাদে হনুমানের লাফ দিতে গিয়ে মাঝে পড়ে যাওয়ার ঘটনাটি শুনে প্রথমে হাসি পেলেও পরে বেশ কষ্ট লাগলো বৃদ্ধ হনুমানের কথাটি শুনে। ছোট ছোট বাচ্চাটা এদের দেখলে ইট মারে এই ব্যাপারটি আমার খুব বাজে লাগে।
ভাইয়া, কিছুদিন আগে আপনাদের ছাদেও হনুমান এসেছিল জেনে বেশ ভালো লাগলো। আসলে এরা মনে হয় জঙ্গল থেকে লোকালয়ে চলে এসেছে ।যাইহোক অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।