গল্প|| ভুল সিদ্ধান্ত পর্ব: ৩
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সামনে একটি গল্প নিয়ে হাজির হয়েছি । আসলে গল্প মানেই আমাদের আশেপাশে ঘটে যাওয়া ঘটনা । যেই ঘটনা গুলো এক একটি গল্প আকারে আমাদের কাছে এসে ধরা দেয় ।আসলে প্রতিটি গল্প আমাদের সমাজে ঘটে যাওয়া কোন ঘটনা। আশা করছি আপনাদের কাছে আজকের গল্পটি ভালো লাগবে । তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে চলুন চলে যাই মূল গল্পে।
ভুল সিদ্ধান্ত পর্ব: ৩
নীলা ভালবেসে বিয়ে করে হৃদয়ের বাড়িতে আসার পর কিছুদিন ভালো থাকার পর হৃদয় নীলাকে বেশ মারধর করে ও তার শাশুড়িও বেশ খারাপ ব্যাবহার করে। যার কারণে নীলার জীবন অতিষ্ঠ হয়ে যায় ।তারপর থেকে ----
একদিন শাশুড়ি নীলার সঙ্গে যখন খারাপ ব্যবহার করছিল তখন নীলা রেগে বলে উঠল আপনি আমার সঙ্গে সারাক্ষণ এরকম করেন কেন ।তখন তার শাশুড়ি বলে উঠল তোমার চেহারা ধুয়ে কি আমি পানি খাবো নাকি?তুমি আসার সময় তো কিছুই নিয়ে আসনি ।আমার ছেলেকে অন্য জায়গায় বিয়ে দিলে অনেক কিছু পেতাম ।তোমার কাছ থেকে কি পেয়েছি। তাই তোমাকে আমার বাড়িতে দাসী বাদী করেই রাখবো ।তখন নীলাও ভীষণ রেগে গেল এবং তার সঙ্গে রেগে কথা বলতে থাকলো ।এমন সময় হৃদয় বাড়িতে এসে এই দৃশ্য দেখে নীলাকে প্রচন্ড মারতে শুরু করলো।
তখন নিলা রেগে বলল আমি আর তোমার সঙ্গে থাকবো না ।এই বলে নীলা রেগে চলে যেতে চাইল। তখন তারা মা ছেলে মিলে ভয় পেয়ে গেল। যদি নীলা তাদের বাড়ি থেকে যেয়ে আবার তাদের নামে কেস করে সেই ভয়ে তারা নীলাকে যেতে দিতে চাইল না। কিন্তু নীলা জোর জবরদস্তি করে তাদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে এল।
নীলা তার বাবার বাড়িতে আসলো। কিন্তু দরজা খুলে নীলাকে দেখে তার বাবা বললো কে তুমি? তোমাকে আমরা চিনি না । নীলা বললো বাবা আমি ভুল করেছি। আমাকে মাফ করে দাও।তার বাবা বললো আমি তোমাকে প্রথমেই নিষেধ করেছিলাম ওই ছেলেটা খারাপ। কিন্তু তুমি আমাদের কথা শোনো নি। তাই তুমি যেদিন আমাদের মুখে চুনকালি মেখে চলে গিয়েছিলে সেদিনই আমরা ধরে নিয়েছি তুমি আমাদের কাছে মৃত। তাই আমাদের বাড়িতে তোমার কোন জায়গা নেই। চলে যাও এখান থেকে।
কিন্তু নীলা ভীষণ কান্নাকাটি করতে থাকে। তার বাবা মায়ের হাতে পায়ে ধরতে থাকে ।একটা পর্যায়ে তার বাবা মায়ের মন কিছুটা হলেও গলে যায়। কারণ নিজের সন্তান বলে কথা। নীলা বলে বাবা ওরা আমাকে অনেক কষ্ট দেয় ।আমাকে দিয়ে অনেক কাজ করায় ।অনেক মারধর করে। তাই আমি চলে এসেছি ।তোমরা আমাকে জায়গা না দিলে আমার মৃত্যু ছাড়া আর কোন পথ থাকবে না। এ কথা শোনার পর নীলার বাবার মন গলে যায়। তখন তিনি বললেন ঠিক আছে আমি তোমাকে জায়গা দিবো, আমি যা বলব তোমাকে তাই করতে হবে। তখন নীলা বলে ঠিক আছে তুমি আমাকে যা বলবে আমি তাই করবো কথা দিচ্ছি।
চলবে
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | OPPO Reno8 T |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
![witness_proxy_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRXkkCEbXLYwhPEYqkaUbwhy4FaqarQVhnzkh1Awp3GRw/witness_proxy_vote.png)
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
আপনার গল্পটা পড়ে নীলার জন্য অনেক খারাপ লাগলো। যদিও গল্পের আগের পর্ব গুলো পড়া হয়নি।আসলে বাবা মা যা করেন আমাদের ভালোর জন্যই করে থাকেন। যাইহোক নীলা অবশেষে বাবা মার কাছে আশ্রায় পেয়েছে।দেখা যাক পরবর্তী পর্ব কি হয়?
আপনি ঠিকই বলেছেন বাবা মা আমাদের জন্য যেটা করে সেটা ভালোর জন্যই করে ।যাই হোক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আসলে মা বাবার মন এমনই, সন্তানের উপর রাগ করলেও, সন্তান সামনে এসে দাঁড়ালে সব রাগ একেবারে মাটি হয়ে যায়। যাইহোক সবকিছুর একটা লিমিট থাকে, কিন্তু যখন লিমিট ক্রস হয়ে যায়, তখন আর মেনে নেওয়া যায় না। হৃদয়ের মা প্রচুর লোভী এবং হৃদয়ও খুব খারাপ। বাসা থেকে পালিয়ে যাওয়া একটা মেয়েকে কিভাবে এতোটা অত্যাচার করে, সেটা আমার বোধগম্য হয় না। যাইহোক এবার নীলার মা বাবা মনে হচ্ছে তাদেরকে উচিত শিক্ষা দিবে এবং নীলাও হৃদয়কে ডিভোর্স দিয়ে দিবে। গল্পটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো আপু। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
ভাইয়া মনোযোগ দিয়ে আমার পোস্টটি পড়ে দারুন একটি মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে। ভালো থাকবেন সবসময়।