টক মিষ্টি পাকা আমের জুসের রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সামনে খুবই মজার একটি জুসের রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি । আসলে কয়েক দিন বেশ ভালই বৃষ্টি ছিল এবং আবহাওয়াটাও দেশ ঠান্ডা ছিল । কিন্তু কয়েকদিন থেকে আবার প্রচন্ড গরম শুরু হয়েছে । আর এই গরমে শুধু ঠান্ডা খেতে মন চায় । তাই চিন্তা করলাম বাইরের কিছু খাওয়ার থেকে বাসায় ঠান্ডা ঠান্ডা জুস তৈরি করে ফেলি । এখন বাজারে যে আমগুলি পাওয়া যাচ্ছে সেগুলো একটু টক মিষ্টি স্বাদের। এই টক মিষ্টি আম দিয়ে জুস তৈরি করলে খেতে খুবই মজার হয়ে থাকে । কেননা মিষ্টি আমের জুস খেতে যতটা মজার এই টক মিষ্টি আমের জুস খেতে আরো অনেক বেশি মজার । আর প্রচন্ড গরমে এক গ্লাস ঠান্ডা পাকা আমের জুস খেলে শরীর মন দুটোই শান্ত হয়ে যায় । এই গরমের ভিতর বাইরে থেকে ক্লান্ত হয়ে যখন বাসায় ফিরে এরকম এক গ্লাস জুস পাওয়া যায় তাহলে তো কোন কথাই নেই । এক গ্লাস ঠান্ডা আমের জুস শরীরের সব ক্লান্তি দূর করে দেবে । আসলে এই আমের জুস তৈরি করা খুবই সহজ । খুব অল্প কিছু উপকরণ দিয়ে তৈরি হয়ে যায় মজার একটি জুস । যেটি আমরা সবাই কমবেশি পারি। তারপরেও মজার এই রেসিপিটি আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করলাম । আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
টক মিষ্টি পাকা আমের জুসের রেসিপি
উপকরণ | পরিমাণ |
---|---|
আম | একটি |
লবণ | হাফ চা চামচ |
বিট লবণ | হাফ চা চামচ |
চিনি | তিন টেবিল চামচ |
আইস কিউব | পরিমাণমত |
পানি | পরিমাণ মত |
প্রুস্তুতপ্রণালী
প্রথমে আমটিকে ভালো করে ধুয়ে ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নেই।
তারপর একটি ব্লেন্ডারে কেটে রাখা আম গুলি নিয়ে নেই। তারপর লবণ দিয়ে দেই।
তারপর বিট লবণ ও চিনি দিয়ে দেই।
তারপর আইস কিউব ও পানি দিয়ে দেই।
তারপর ব্লেন্ডারে ভালো করে ব্লেন্ড করে নেই।
ব্যাস এভাবেই তৈরি হয়ে গেল আমার পাকা আমের জুস । এখন গ্লাসে আবারো আইস দিয়ে খেয়ে নেই। খেতে কিন্তু খুবই সুস্বাদু হয়েছিল । এই গরমে আপনারাও এভাবে এক গ্লাস ঠান্ডা ঠান্ডা জুস বানিয়ে খেয়ে নিন ভালো লাগবে।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৪০ |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
এটা ঠিক কথা আপু যে পরিমাণে গরম পড়তে শুরু করেছে তাতে ঠান্ডা খাবার জন্য সকলেরই ইচ্ছা হচ্ছে। আপনি খুবই ভালো একটা কাজ করেছেন পাকা আম দিয়ে সুন্দর একটা জুস তৈরি করেছেন। আসলে বাজার থেকে কিনে খাবার থেকে এইভাবে নিজে তৈরি করে খাওয়াটাই ভালো।
হ্যাঁ ভাই আপনিও এভাবে বানিয়ে খেয়ে নিন। বেশ ভালো লাগবে ।অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
একদম ঠিক বলছেন আপু এখন যে আম গুলো পাওয়া যায় তা তেমন স্বাদের না। যদিও একটু টক মিষ্টি খেতে খারাপ লাগে না ভালো ই লাগে। ইদানিং কয়েক দিন যাবত আবার গরম শুরু হয়েছে। এই গরমের মধ্যে এমন মজাদার শরবত খেতে অনেক ভালো লাগবে। আপনি বেশ মজার করে আমের জুস তৈরি করে নিলেন। টক মিষ্টি পাকা আমের জুস অসাধারণ ছিল।
হ্যাঁ আপু আপনি ঠিকই বলেছেন এই টক মিষ্টি আমগুলো খেতে খুব একটা খারাপ লাগে না। লবণ দিয়ে খেলে বেশ ভালই লাগে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।ভালো থাকবেন।
আমের জুস দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। আজ আপনি খুব সুন্দর করে আমের জুস তৈরি করেছেন। এ ধরনের আমের জুসের এক গ্লাস খেলে কলিজা নিশ্চয় ঠান্ডা হয়ে যাবে। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ ভাইয়া আপনি ঠিকই বলেছেন এই জুস খেলে কলিজা একদম ঠান্ডা হয়ে যায়। কলিজা ঠান্ডা জুসই বলা যায়। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
খুবই সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। এই রেসিপি তৈরির ধাপ আমার কখনো জানা ছিল না। আপনার কাছ থেকে এই রেসিপি সম্পর্কে জানতে পেরেছি। এই জুস সাধারণত বাজারে খাওয়া হয়।
ভাইয়া আপনি যেহেতু শিখে নিলেন তাহলে অবশ্যই একবার বাসায় বানিয়ে দেখবেন । খেতে খুবই মজার হয়। তাহলে আর আপনাকে বাজার থেকে খেতে হবে না। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপনার রেসিপিটি দেখে অনেক ভালো লাগলো। গরমে এই ধরনের এক গ্লাস জুস আসলেই আমাদের শরীরকে ঠান্ডা ও সতেজ করিয়ে দেয়। রেসিপির প্রতিটি ধাপ দেখে রেসিপিটি শিখে নিলাম বাসায় একদিন ট্রাই করবো। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু আপনি ঠিকই বলেছেন এই ধরনের জুস আসলেই শরীরকে ঠান্ডা ও সতেজ করে দেয় ।আপনিও খেয়ে দেখবেন ভালো লাগবে । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।