তিনশ ফিট নিলা মার্কেটে ঘুরাঘুরি ও খাওয়া-দাওয়া
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বন্ধুরা আজ আবারো আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। কিছুদিন আগে আমি ঢাকায় গিয়েছিলাম। সেখানে একদিন তিনশ ফিট নিলা মার্কেটে ঘুরতে গিয়েছিলাম। আমার সঙ্গে ছিল আমার হাসবেন্ড, মেয়ে,খালাতো বোন ও তার হাসবেন্ড। বেশ মজা করেই আমরা ঘুরতে বেরিয়েছিলাম। সেখানে পৌঁছাতে পৌঁছাতে আমাদের সন্ধ্যা হয়ে গেল। জায়গাটা আমরা একটু ঘুরে ফিরে দেখলাম। তারপর একটি দোকানে খাবার জন্য গেলাম ।ওখানে যতগুলো দোকান ছিল প্রায় সব দোকানেই একই আইটেম বিক্রি করছিল ।সারি সারি দোকান ছিল প্রতিটি দোকানে একই আইটেম। যেটা বেশ মজার ব্যাপার মনে হয়েছে আমার কাছে।
তিনশ ফিট নিলা মার্কেটে ঘুরাঘুরি ও খাওয়া-দাওয়া
ওখানে যাবার পর আমরা দেখলাম অসংখ্য লোকের আনাগোনা। দূর দূর থেকে সবাই আসছে এখানে ঘুরে বেড়ানোর জন্য। সবাই একটু ঘুরাঘুরি করে প্রতিটি দোকানে ঢুকে পড়ছে খাওয়ার জন্য ।যেখানে পাওয়া যাচ্ছে হাঁসের মাংস ভুনা,চাপড়ি ও বিভিন্ন বাটা।চাপড়ি যে জিনিসটা গ্রামের দরিদ্র মানুষের খাবার। আর এখানে যেয়ে দেখলাম বড়লোকদের প্রিয় খাবার হচ্ছে সেই চাপড়ি। সত্যি ভীষণ মজার লাগলো জিনিসটা আমার কাছে।
তারপর আমরা একটি দোকানে গেলাম ।সেখানে যেয়ে চাপড়ি , হাঁসের মাংস ভুনা, রোমালি রুটি অর্ডার করলাম। তারপর দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে আমরা রুমালি রুটি বানানো দেখলাম। দারুন ভিন্ন কায়দায় তৈরি করে ।দেখতে বেশ ভালো লাগছিল। উপরের দিকে আবার ছুঁড়ে মারে অন্যরকম বানানোর সিস্টেম।
আমরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখলাম চাপড়ি কি করে তৈরি করে ।ওদের চাপড়ি এতটা পাতলা হয় যা এর আগে আমি কখনো খাইনি ।চাপড়ির মধ্যে আবার ধনিয়া পাতা দেয় ভিন্ন রকম একটা টেস্ট ।তবে একদম মচমচে করে ভাজলে সেটা খেতে অনেক বেশি মজার হয়ে থাকে। আমরা কিছুক্ষণ অপেক্ষা করার পরপরই আমাদের টেবিলে খাবারগুলো দিয়ে গেল ।চাপড়ির সঙ্গে তিন রকমের বাটা ছিল। ধনিয়া পাতা বাটা ,সরিষা বাটা ও শুটকি বাটা।
এক একটা চাপড়ির দাম ছিল বার টাকা ।আর এক প্লেট হাঁসের মাংস ভুনার দাম ছিল আড়াইশো টাকা ।যদিও এই দামটা আমার কাছে অনেক অতিরিক্ত মনে হয়েছে। কেননা মাংসের পরিমাণ খুবই সামান্য ছিল । যাই হোক খেতে কিন্তু ভালোই লেগেছিল। সবাই ওখানে গেলে এই খাবারগুলোই খায়। খেতে বেশ ভালোই লাগে।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | OPPO Reno8 T |
লোকেশন: | তিনশ ফিট,নীলা মার্কেট |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
![witness_proxy_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmRXkkCEbXLYwhPEYqkaUbwhy4FaqarQVhnzkh1Awp3GRw/witness_proxy_vote.png)
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
বেশ অনেক সুন্দর একটি মার্কেট ঘুরাঘুরি করেছেন দেখছি। আবার এরপর খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা। দেখে বোঝা যাচ্ছে খুব সুন্দর আনন্দঘন মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন এখানে। আমিও এইমাত্র ওয়াজ মাহফিলের মেলা ভ্রমণ করে আসলাম আপু। বন্ধুদের সাথে বেশ খাওয়া-দাওয়া আর ফটোগ্রাফি করলাম। বেশি ভালো লাগলো যা হোক আপনার সুন্দর এই পোস্ট দেখে।
আপনিও বন্ধুদের সঙ্গে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
তাই তো দেখছি আপু ৩০০ ফিট নিলাম মার্কেটে গিয়ে দারুন সময় উপভোগ করেছেন। যেখানে অনেক মানুষের আনাগোনা তার পাশাপাশি খাওয়া-দাওয়া মুহূর্তটা দারুন ছিল। সব মিলিয়ে এরকম সুন্দর মুহূর্ত মাঝে মাঝে উপভোগ করতে পারলে ভালো লাগে । আপনার কাটানো মুহূর্ত দেখে খুবই ভালো লাগলো।
ভাইয়া আমার কাটানো মুহূর্তের ফটোগ্রাফি দেখে আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে বেশ ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
তিনশ ফিট নিলা মার্কেটে গিয়ে দেখতে চমৎকার মহূর্ত উপভোগ করেছেন। চাপড়ি পিঠা খেতে ভালো লাগে। ওখানে দেখছি হাসের মাংসের অনেক বেশি দাম। অনেক পিঠার দোকান এবং সেখানে দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক ধরনের লোকজন সেখানে গিয়ে খায়। ভালো লাগলো আপু। আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাইয়া জায়গাটা লোকজনের অনেক ভিড় যার কারণে সবকিছুর দামও বেশি ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আসলে বর্তমান তিনশো ফিট বাংলাদেশের মধ্যে একটি ভাইরাল জায়গা।এই জায়গার মধ্যে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে দেখতে যায় মানুষ। আপনি তিনশো ফিটের নিলা বাজারের মধ্যে বেশ অনেক কিছু খাওয়া দাওয়া করছেন।
হ্যাঁ ভাইয়া রাস্তা টা অনেক ভালো করেছে যার কারণেই লোকজন ভিড় জমায় ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
বাংলাদেশের ভাইরাল জায়গাগুলোর মধ্যে তিনশ ফিট অন্যতম। প্রতিনিয়ত অনেক মানুষকে সেখানে দেখা যায়। আপনি এই জায়গায় অনেক সুন্দর মুহুর্ত শেয়ার করেছেন। একইসাথে খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফিও শেয়ার করেছেন। অনেক ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনার কাছে আমার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো ভালো লেগেছে জেনে বেশ ভালো লাগল। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
৩০০ ফিট নিলা মার্কেটে গিয়ে দেখছি বেশ ভালোই ঘুরাঘুরি করেছিলেন এবং মজা করে খাওয়া দাওয়া করেছিলেন। আপনার ঘুরাঘুরি এবং খাওয়া দাওয়া করার মুহূর্তের এই পোস্ট পড়ে সত্যি খুব ভালো লাগলো। হাঁসের মাংস ভুনা দেখে তো ইচ্ছে করছে খেয়ে ফেলি। হাঁসের মাংস হিসেবে কিন্তু দামটা অনেক বেশি নিয়েছে। দেখেই বুঝতে পারতেছি পরিমাণে খুবই কম ছিল। যাইহোক বেশ মজা করে খেয়েছিলেন নিশ্চয়ই। ঘুরাঘুরি এবং খাওয়া-দাওয়া করার মুহূর্তের পোস্ট বেশ ভালোই উপভোগ করলাম।
হ্যাঁ আপু হাঁসের মাংস ভুনার দামটা অতিরিক্ত নিয়েছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আপনারা ৩০০ ফিট গিয়েছিলেন জেনে সত্যি খুব ভালো লেগেছে। বেশ ভালোভাবে ঘোরাঘুরি ও খাওয়া দাওয়া করেছিলেন নিলা মার্কেটে। এরকম জায়গা গুলোতে গেলে একটু বেশি ভিড় দেখা যায়। তবুও কিন্তু এরকম পরিবেশে সময় কাটাতে অনেক ভালো লাগে। অনেক খাওয়া দাওয়া করেছিলেন দেখছি। খাওয়া দাওয়া করার মুহূর্তটা সুন্দর করে তুলে ধরেছেন এবং ঘুরাঘুরি করার সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো।
হ্যাঁ ভাইয়া বেশ ভালো সময় কাটিয়েছিলাম ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
কিছুদিন আগে আমিও এখানে গিয়েছিলাম ঘুরতে। আমার কাছেও বেশ অবাক লেগেছিল পাশাপাশি একই রকম দোকান এবং সবার একই রকম খাবার। তারপর নিশ্চয়ই তাদের এই খাবারগুলো খুব চলে। তা না হলে প্রতিটি দোকানে এত এত খাবার রান্না করে রাখত না। চাপরি আপনি আবার খুব কাছ থেকে বানানো দেখেছেন। আপনার কাছ থেকে রেসিপি জেনে নেব। খাবারটি আমার কাছেও বেশ মজা লেগেছিল।
কিছুদিন আগে আপনিও ওখানে ঘুরতে গিয়েছিলেন জেনে বেশ ভালো লাগলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।