দিয়াবাড়ি লেক ভ্রমণ
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বন্ধুরা আজ আবারো আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি নতুন একটি পোস্ট নিয়ে। আজ আমি মূলত একদিন দিয়া বাড়ি ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি নিয়ে হাজির হয়েছি ।বেশ অনেকদিন থেকে দিয়া বাড়ির কথা শুনেছি। কিন্তু কখনো যাওয়া হয়নি ।শুনেছি জায়গাটা ভীষণ সুন্দর ।যার কারণে যাবার ইচ্ছে ছিল। তবে বেশ কিছুদিন আগে যেবার ঢাকায় গিয়েছিলাম তখন আমার তিন বোন এক জায়গায় হয়েছিলাম। তখন সবাই মিলে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম দিয়াবাড়ি থেকে ঘুরে আসি ।যদিও আমরা দুপুরের দিকে বের হতে চেয়েছিলাম। কিন্তু বের হতে হতে আমাদের চারটা বেজে গেল ।তারপর আমরা সেখান থেকে মেট্রোরেলে করে উত্তরা পৌঁছালাম ।সেখান থেকে রিক্সা করে আমরা দিয়াবাড়ি পৌঁছে গেলাম ।সেই অনুভূতি মূলত এখন আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব ।আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে।
দিয়াবাড়ি লেক ভ্রমণ
মূলত আমরা যে চিন্তা থেকে গিয়েছিলাম ,ওখানে যাবার পর আমাদের চিন্তা একদমই পাল্টে গেল। আমাদের ধারণা ছিল জায়গাটি খুবই চমৎকার। কিন্তু যখন আমরা ওখানে পৌঁছলাম তখন সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল। আমরা সন্ধ্যার পর ওখানে ঢুকে ছিলাম। সেখানে একটি লেক ছিল। তবে লেকটি খুবই নোংরা প্রকৃতির ছিল ।তারপর আমরা গেট দিয়ে ঢুকে ভেতরে প্রবেশ করলাম।
গেট দিয়ে ভিতরে ঢুকতেই দেখলাম বেলুন ফাটানোর একটা জায়গা ।যেখানে লোকজন যেয়ে বেলুন ফাটাচ্ছে ।আমাদের সঙ্গে বাচ্চারা ছিল ।সবাই বেলুন ফোটাতে বেশ আগ্রহ প্রকাশ করল। তাই সবাই বেলুন ফোটালো ।বেশ মজা পেয়েছিল বাচ্চারা।
দিয়াবাড়ি গেটের সামনে এক লোক বসে এই ফুল গুলো বিক্রি করছিল। ফুলগুলো দেখতে ভীষণ চমৎকার লাগছিল। যদিও ফুলগুলো কেনা হয়ে ওঠেনি। রঙ বেরঙের ফুল দেখলে এমনিতেই ভীষণ ভালো লাগে।
দিয়াবাড়ি লেকের ওপরে একটি ব্রিজ ছিল। ব্রিজটি দূর থেকে দেখতে ভীষণ ভালো লাগছিল ।আর রাতের বেলায় দূরের বিল্ডিং গুলোর আলো পানিতে পড়ছিল। যেটা দেখতে সত্যি ভীষণ চমৎকার লেগেছিল। যদিও পানির কাছে যাবার উপায় নেই ,পানিটা ভীষণ নোংরা ছিল। দুর্গন্ধযুক্ত একটা লেক বলা চলে ।আর লেকের আশেপাশে নোংরা আবর্জনা খেলা।
তবে লেকের পারে বেশ কিছু বোট দেখতে পেলাম। হয়তো অনেকে এই বোটে করে লেকে ঘুরে বেড়ায় ।কিন্তু আমাদের একদমই ইচ্ছা ছিল না ।কেননা সন্ধ্যে হয়ে গিয়েছিল ।আর বাচ্চারা সঙ্গে ছিল। আর লেকের পানিও নোংরা ছিল ।সবমিলিয়ে বোটে ঘোরার আমাদের কোন ইচ্ছাই ছিল না।
তারপর আমরা ভেতরে হাঁটতে শুরু করলাম। বহুদূর পর্যন্ত হেঁটে যাওয়া যায় ।তবে পাশ দিয়ে সারি সারি চটপটি ফুচকার দোকান ।কিন্তু জায়গাটা খুবই দুর্গন্ধযুক্ত জায়গা ছিল। সেখানে খাবার কথা চিন্তাই করা যায় না ।ওখানে দাঁড়াতেই যেন আমাদের বমি পাচ্ছিল ।আমরা অল্প কিছুদূর হেঁটে এগোতে লাগলাম ।দেখলাম পুরোটাই একই অবস্থা। যার কারণে খুব বেশি দূর না যেয়ে আবার ফিরতে শুরু করলাম।
ভেতরে আবার বাচ্চাদের খেলার জন্য দু-একটা রাইড এর ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু সেগুলো খুবই নাজুক অবস্থায় ছিল, যা দেখে বাচ্চারাও বুঝতে পেরেছিল। তাই আর কেউ ওগুলোতে চড়ার আবদার করেনি।
তারপর আমরা ওখানে খুবই অল্প সময় থেকে তাড়াতাড়ি দ্রুত ওই জায়গা ত্যাগ করলাম। আর দিয়া বাড়ি ভ্রমণের বাজে অভিজ্ঞতা নিয়ে ফিরে এলাম ।হয়তো আমরা দিয়া বাড়ির ভুল স্পটে পৌঁছেছি ।হয়তো আরো সুন্দর জায়গা থাকতে পারে ।যেখানে কাশবন আছে শুনেছিলাম ।তবে এই জায়গা সেই জায়গা একদমই মনে হলো না।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | OPPO Reno8 T |
লোকেশন | উত্তরা,দিয়াবাড়ি লেক |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
দিয়াবাড়ি লেক ভ্রমণের কিছু মুহূর্ত আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ।আসলে সন্ধ্যা হাওয়ার কারণে ছবিগুলো তেমন একটা সুন্দর বোঝা যাচ্ছে না। গিটের সামনে যে ফুলগুলো বিক্রি করছিল সেই ফুলগুলো আসলে অনেক চমৎকার ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে দিয়াবাড়ি লেক ভ্রমণের মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু ফুল গুলো বেশ চমৎকার ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
সবার কাছ থেকে দিয়াবাড়ি লেক এর প্রশংসা শুনেছিলেন কিন্তু আপনারা সেখানে গিয়ে পুরো উল্টোটা দেখলেন যেটা আপনার লেখার মাধ্যমে জানতে পারলাম। আসলে সঠিকভাবে পরিচর্যা না করলে যে কোনো জায়গারই অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। আর হ্যাঁ সেখানে চটপটি ফুচকা বিক্রি করছিল কিন্তু এই দুর্গন্ধের মাঝে কি আছে এগুলো খাওয়াতে ভালো লাগে। ভালো করেছেন আপনারা সেই দিকে না যেয়ে। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে এই সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ভাই আমার পোস্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়ে দারুন একটি মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।ভালো থাকবেন শুভকামনা রইল।
আমাদের এদিকে তেমন একটা লেক দেখা যায় না৷ তাই লেকের সৌন্দর্য কিরকম তা কখনোই দেখা হয়নি৷ তবে আমাদের কমিউনিটির অনেকেই অনেক লেকে গিয়ে সুন্দর কিছু সময় অতিবাহিত করছে৷ খুব সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফির মাধ্যমেও সবকিছু ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করছেন৷ আজকে আপনিও দিয়া বাড়ির লেকে ভ্রমণের খুবই সুন্দর একটা মুহূর্ত আমাদের মাঝে ফুটিয়ে তুলেছেন৷ খুব সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফির মাধ্যমে আপনি সবকিছু এখানে ফুটিয়ে তুলেছেন৷ যা দেখে খুবই ভালো লাগছে৷ অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে৷
ভাইয়া লেকের সৌন্দর্য কখনো দেখেননি জেনে বেশ খারাপ লাগলো। লেক সত্যিই দেখতে ভীষণ চমৎকার। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
দিয়াবাড়ি লেকে আমি আগে কখনো যাই নাই তবে জায়গাটা বেশ সুন্দর। যদি সময় পাই অবশ্যই একদিন এই লেকে ঘুরতে যাব ইনশাল্লাহ । আপনি আপনার ভ্রমণের গল্পটা আমাদের মাঝে খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ভাইয়া জায়গাটা আমার কাছে একদমই ভালো লাগেনি ।তারপরেও আপনি যেয়ে দেখতে পারেন ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আপনারা যদি দিনের আলো থাকতে যেতেন বা বিকালের দিকে যেতেন তাহলে হয়তো দিয়াবাড়ি লেক ঘুরে আরেকটু মজা পেতেন। আর ময়লা আবর্জনার কথা বলে লাভ নেই। এটা বাঙালীদের স্বাভাব, যে ময়লা আবর্জনার সাথে তারা বাস করবে। এত সুন্দর একটা জায়গা পরিষ্কার পরিছন্ন রাখবে, তা না করে ময়লা আবর্জনা দিয়ে নোংরা করে রাখছে। যায়হোক ব্রিজটা অনেক সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাইয়া ময়লা আবর্জনার কারণে জায়গাটা আরো বেশি খারাপ লেগেছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
সত্যি কথা বলতে আপু, লেকের ধারে ঘুরাঘুরি করতে গিয়ে যদি সেখানের নোংরা পরিবেশ চোখে পড়ে কিংবা জল প্রচুর পরিমাণে নোংরা থাকে, তাহলে সেখানে ঘুরে মজা নেই। এই জন্যই দিয়াবাড়ি ভ্রমণের বাজে অভিজ্ঞতা হয়েছে আপনার। তবে আশেপাশের জায়গাগুলো একটু যদি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতো, তাহলে হয়তো কিছুটা উপভোগ করতে পারতেন ওই জায়গাটা।
হ্যাঁ ভাইয়া জায়গাটা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হলেই খুবই ভালো লাগতো। কিন্তু দুঃখের বিষয় খুবই অপরিষ্কার ছিল যার কারণে একদমই ভালো লাগেনি। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
জায়গাটা যে অনেক অপরিষ্কার ছিল, সেটা আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলোর মধ্যেও দেখতে পেয়েছি আপু।