টমেটো ও ধনিয়া পাতা দিয়ে কৈ মাছ ভুনা রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সামনে একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি । আমার আজকের রেসিপিটি হচ্ছে টমেটো ও ধনিয়া পাতা দিয়ে কৈ মাছ ভুনা রেসিপি । কৈ মাছ খুবই মজার একটি মাছ । এটি ভুনা করে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে । আমি আজকে কৈ মাছ হালকা ভেজে তারপর ভুনা করেছি । আর টমেটো দেওয়াতে এটি খেতে বেশ সুস্বাদু হয়েছিল ।আপনারাও বাসায় এভাবে করে দেখতে পারেন ।তাহলে আর কথা না বাড়িয়ে চলুন দেখে আসি আমার আজকের রেসিপি টমেটো ও ধনিয়া পাতা দিয়ে কৈ মাছ ভুনা রেসিপি । |
|---|
টমেটো ও ধনিয়া পাতা দিয়ে কৈ মাছ ভুনা রেসিপি
| উপকরণ | পরিমান |
|---|---|
| কৈ মাছ | ৪পিছ |
| পেঁয়াজ কুচি | ৩ টি |
| কাঁচা মরিচ | ৪ টি |
| পেঁয়াজ বাটা | ৩ টেবিল চামচ |
| আদা বাটা | ১/২ চা চামচ |
| রসুন বাটা | ১/২ চা চামচ |
| হলুদ গুঁড়া | ১ চা চামচ |
| লাল মরিচ গুঁড়া | ১ চা চামচ |
| ধনিয়া গুঁড়া | ১ চা চামচ |
| জিরা গুঁড়া | ১ চা চামচ |
| ধনিয়া পাতা | পরিমাণমত |
| টমেটো | ১ টি |
| লবন | স্বাদমতো |
| তেল | পরিমাণমত |
প্রুস্তুতপ্রণালী
 |  |
|---|
প্রথমে আমি মাছটাকে ভালোমতো কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করে তারপর ছুরি দিয়ে মাছটা কে একটু কেটে নিয়েছি । যাতে মসলা মাছের ভেতরে ঢুকে ।তারপর একটি কড়াইয়ে তেল দিয়ে দিয়েছি ।
 |  |
|---|
তেল গরম হয়ে এলে মাছ গুলো তেলের মধ্যে ছেড়ে দিয়েছি । তারপর এপাশ ওপাশ উল্টিয়ে ভালো করে ভেজে নিয়েছি।
 |  |
|---|
মাছগুলো ভাজা হয়ে গেলে একটি বাটিতে তুলে রাখি । তারপর ওই তেলের মধ্যে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে দেই।
 |  |
|---|
পেঁয়াজগুলো ভাজা হয়ে গেলে সব বাটা মসলা ও গুঁড়ো মসলা , লবণ দিয়ে ভালোমতো নেড়ে চেড়ে মিশিয়ে নেই।
 |  |
|---|
তারপর সামান্য একটু পানি দিয়ে মশলাটা কিছুক্ষণ রান্না করে কষিয়ে নিয়ে তারপর টমেটো কুচি দিয়ে দেই।
 |  |
|---|
তারপর কিছুক্ষণ রান্না করার পর টমেটো গুলো সিদ্ধ হয়ে এলে মাছগুলো দিয়ে দেই।
 |  |
|---|
তারপর মাছগুলো কিছুক্ষণ কষিয়ে তারপর একটু পানি দিয়ে বেশ কিছুক্ষণ রান্না করি।
 |  |
|---|
তারপর ধনিয়া পাতা , কাঁচা মরিচ দিয়ে আরো কিছুক্ষণ রান্না করি । তারপর ব্যাস হয়ে গেল আমার টমেটো , ধনিয়া পাতা দিয়ে কৈ মাছ রান্না।
এখন একটি বাটিতে বেড়ে গরম গরম পরিবেশন করতে হবে । আশা করছি আপনাদের কাছে আমার রেসিপিটি ভালো লেগেছে ।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
| ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
|---|---|
| ডিভাইস: | স্যামসাং গ্যালাক্সি এ৪০ |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
টমেটো ও ধনিয়া পাতা দিয়ে কৈ মাছ ভুনা রেসিপি দেখে সুস্বাদু মনে হচ্ছে, আপনার রেসিপির পরিবেশন খুবি ভালো লেগেছে আমার।
হ্যাঁ ভাইয়া রেসিপিটি বেশ সুস্বাদু হয়েছিল । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য । ভালো থাকবেন ।
কৈ মাছ ভাজি করে খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আপনি খুব সুন্দর করে অত্যন্ত দক্ষতার সহকারে টমেটো ও ধনিয়া পাতা দিয়ে কৈ মাছ ভুনা রেসিপি তৈরি করেছেন। দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে । আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। টমেটো এবং ধনিয়া পাতা দেওয়াতে খেতে খুবই মজাদার এবং সুস্বাদু হবে। আপনি রন্ধন প্রক্রিয়া সুন্দর করে আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
হ্যাঁ ভাইয়া টমেটো ও ধনিয়া পাতা দেওয়াতে এর স্বাদ অনেক বেশি হয়েছে । খেতে খুবই ভালো লেগেছিল ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।
টমেটো ও ধনিয়া পাতা দিয়ে আপনি খুব সুন্দর ভাবে মাছের রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল। টমেটো দিয়ে যেকোনো রেসিপি তৈরি করলে আমার কাছে খেতে অনেক ভালো লাগে। আমি টমেটো খেতে অনেক পছন্দ করি। আপনার রেসিপি দেখে জিভে জল চলে আসলো। আপনার উপস্থাপনা অনেক সুন্দর হয়েছে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপু আপনার মত আমারও যে কোন রেসিপিতে টমেটো দিলে খেতে বেশ ভালো লাগে । আর আমার রেসিপিটি দেখে আপনার জিভে জল চলে এসেছে জেনে সত্যি ভীষণ ভালো লাগলো । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।
কৈ মাছ আমার খুবই ফেভারিট। আগে মাঝে মাঝে আমাদের পুকুর থেকে বড়শি দিয়ে ধরে ভেজে ভুনা করে খেতাম আপুদের সাথে।।
বেশ অনেকদিন হলো এই মাছ খাওয়া হয় না অনেকদিন পর আপনার এই রেসিপিটি দেখতে পেরে সত্যি পুরনো দিনের কথাগুলো মনে হচ্ছে।।
আপনার প্রস্তুত করা কৈ মাছের রেসিপি দেখতে খুবই লোভনীয় দেখাচ্ছে খেতে নিশ্চয়ই খুব মজাদার হবে।।
ভাইয়া আমিও অনেকদিন পর আজ কৈ মাছ খেলাম । আসলে দীর্ঘদিন পরে খাওয়াতে মনে হয় খেতে আরো বেশি ভালো লেগেছিল । আর আমার রেসিপিটি দেখে আপনার পুরনো কথা মনে পড়ল জেনে ভালো লাগলো । ধন্যবাদ আপনাকে ।
কৈ মাছ তো আমার ভীষণ পছন্দ আমি কই মাছ দেখলে আর না কিনে পারিনা। দেশি কৈ মাছ আমার সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে যদি ওকে বাঁচে কাঁটা বেশি কিন্তু খেতেও মজা বেশি। আপনি খুব চমৎকারভাবে টমেটো দিয়ে কয় মাছ মনে করেছেন দেখেই মনে হচ্ছে খুব মজা হয়েছে।
হ্যাঁ আপু আপনি ঠিকই বলেছেন দেশি কৈ মাছে কাঁটা বেশি হলেও খেতে বেশ মজা হয়ে থাকে । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য । তবে আপনার মন্তব্যে বেশ কিছু ভুল আছে । মন্তব্য করে একবার পড়ে দেখবেন তাহলে ভুল কম হবে । ধন্যবাদ আপনাকে ।
কই মাছ ভুনা বরাবরই আমার কাছে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে আপনার এই কৈ মাছ ভুনা রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু এবং লোভনীয় ছিল। কই মাছ ভুনা করে রান্না করলে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে মজাদার এই রেসিপিটি আমাদের সকলের মাঝে চমৎকার ভাবে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ ভাইয়া এটি খেতে বেশ সুস্বাদু ছিল । আসলে কৈ মাছ টমেটো দিয়ে ভুনা করলে খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে । আপনিও একবার খেয়ে দেখবেন । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।
রেসিপির কালার কম্বিনেশন তো জাস্ট অসাধারণ। কৈ মাছ তো খুবই উপকারি একটা মাছ। আর সত্যিই আপু খুবই মজার একটি মাছ কৈ মাছ। অনেক গুলো উপকরণ ব্যবহার করে এই সুস্বাদু রেসিপিটা তৈরি করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো।
আপু আপনার কাছে আমার রেসিপিটি ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো । আসলে আপনি ঠিকই বলেছেন কৈ মাছ অনেক উপকারী একটা মাছ । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।
কই মাছ আমার কাছে তেমন একটা ভালো লাগে না, তবে মাঝে মাঝে খাই অনেক বেশি খেলে তখন আর ভালো লাগে না। আর কৈ মাছ হালকা করে ভেজে এভাবে ভুনা করলে খেতে বেশি ভালো লাগে। আপনার কই মাছের ভুনাটা যে ভালো হয়েছে তা দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
আপু আপনি ঠিকই বলেছেন বেশি বেশি কৈ মাছ খেলে ভাল লাগেনা । আমি অনেকদিন পর কৈ মাছ খেলাম । লাস্ট কবে খেয়েছি মনে নেই । এজন্য খেতে মনে হয় বেশি ভালো লেগেছিল । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।
টমেটো ও ধনিয়া পাতা দিয়ে কৈ মাছ ভুনা রেসিপি দেখে তো খেতে ইচ্ছে করছে আপু। কৈ মাছ খেতে আমার খুব ভালো লাগে, তবে মাঝে মধ্যে কাটার জন্য খেতে ইচ্ছে করে না। আপনার রেসিপির কালার খুব সুন্দর হয়েছে আপু। দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে খুব সুস্বাদু হয়েছে। ধাপে ধাপে এত মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার রেসিপিটি দেখে আপনাকে খেতে ইচ্ছে করছে জেনে বেশ ভালো লাগলো ভাইয়া । আপনার মত আমারও এই মাছের কাঁটার জন্য খেতে ভালো লাগে না , যাই হোক ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।