একদিন এলাকার রেস্টুরেন্ট থেকে ঘুরে আসা
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা আপনারা সবাই কেমন আছেন ?আশা করছি সবাই সুস্থ আছেন, ভালো আছেন।আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভাল আছি।
বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সামনে কদিন আগে এলাকার একটি রেস্টুরেন্টে খেতে যাবার অনুভূতি নিয়ে হাজির হয়েছি । আসলে আমাদের শহরে এখন অসংখ্য রেস্টুরেন্ট হয়েছে । সেই সুবাদে কয়েকদিন আগে আমাদের এলাকায়ও একটি রেস্টুরেন্ট হয়েছে । আমাদের বাসা থেকে কয়েকটি বাসা পরেই রেস্টুরেন্টটি। রেস্টুরেন্ট টি যে ছেলেটি দিয়েছে সে আমার হাজবেন্ডের বেশ ভালো পরিচিত । একই এলাকায় বাসা বলে কথা । সে প্রায়ই দেখা হলেই তার রেস্টুরেন্টে যেতে বলে । তাই আমার হাজবেন্ডও বলছিল ওর রেস্টুরেন্ট থেকে একদিন ঘুরে আসি চলো। তবে আমার খুব একটা ইচ্ছে ছিল না এলাকার মধ্যে দেখে । তারপরেও একদিন হুট করে সিদ্ধান্ত নিলাম আজ দুপুরে ওই রেস্টুরেন্ট টিতে যেয়ে খেয়ে আসি। তাহলে আমার আর রান্নার ঝামেলা হবে না ।আমার হাজবেন্ডেও সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে গেল ।তারপর আমরা চলে গেলাম রেস্টুরেন্টে। তিন চার মিনিটের মধ্যেই আমরা রেস্টুরেন্ট টিতে পৌঁছে গেলাম। ওখানে যাবার পর দেখলাম লোকজন একদম নেই বললেই চলে । আমরা ও আরো একটা টেবিলে দুজন লোক ছিল মাত্র। যাইহোক আমরা একটা টেবিল দেখে বসে পড়লাম।
একদিন এলাকার রেস্টুরেন্ট থেকে ঘুরে আসা
তারপর ম্যেনু কার্ড দেখে আমরা খাবার অর্ডার করলাম । রেস্টুরেন্টের লোক জানালো তারা অর্ডার করার পর মেইন ডিস গুলো তৈরি করে যার কারণে একটু দেরি হবে। সেই সময় আমি আমার মেয়েকে নিয়ে রেস্টুরেন্টের পাশে একটি খোলা জায়গা আছে সেখানে দেখতে গেলাম । সেখানে গিয়ে দেখলাম খোলা আকাশ কিন্তু ভেতরে বেশ সুন্দর ডেকোরেশন করা । একটি দোলনাও ছিল। দেয়ালে সারি সারি মানিপ্লান্ট লাগানো ছিল। ডেকোরেশনটা বেশ ভালো লেগেছিল আমার কাছে।
আসলে এলাকার মধ্যে হলে কি হবে সিম্পলের মধ্যে এরা বেশ ভালোই ডেকোরেশন করেছে। তবে পাশের খোলা স্পেসটা আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে ।তবে প্রচন্ড রোদ ছিল যার কারণে ওখানে বসতে পারিনি। একটু দাঁড়িয়ে থেকেই ভেতরে চলে এসেছি। তারপর রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারলাম তাদের মূল ভিড় হয় সন্ধ্যার সময় থেকে। দুপুরে খুব একটা লোকজন আসে না।
ভেতরের ডেকোরেশনটাও এদের বেশ ভালই ছিল ।বেশ সুন্দর পরিপাটি করে সাজিয়েছে। আসলে নিজ এলাকায় না হয়ে দূরে কোথাও হলে হয়তো আরো বেশি ভালো লাগতো। তারপর আমাদের খাবার চলে এলো । আমরা সেট ম্যেনু অর্ডার করেছিলাম ।
এদের সেট মেন্যুতে ছিল ফ্রাইড রাইস, ভেজিটেবল, বারবিকিউ চিকেন, পটেটো ,সস । তবে খাবারটা বেশ ভালই ছিল । যদিও এরা বলেছিল এদের সেফ ঢাকা থেকে এনেছে । খাবারের মানটা এদের কাছে আসল। তবে খাবারটা মোটামুটি বেশ ভালোই ছিল।
আজকের মতো এখানেই শেষ করছি ।আগামীতে আবার দেখা হবে নতুন কোন লেখা নিয়ে ।সে পর্যন্ত সবাই ভাল থাকুন, সুস্থ থাকুন ।আমার ব্লগ টি পড়ার জন্য সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফটোগ্রাফার: | @wahidasuma |
---|---|
ডিভাইস: | OPPO Reno8 T |
🔚ধন্যবাদ🔚
@wahidasuma
আমি ওয়াহিদা সুমা।আমি একজন হাউজ ওয়াইফ। সমাজবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স করেছি।ঘুরে বেড়াতে , ঘুমাতে এবং গান শুনতে আমি ভীষন পছন্দ করি।বাগান করা আমার শখ।এছাড়াও আর্ট , বিভিন্ন রেসিপি ট্রাই করতেও ভালো লাগে। আমি 🇧🇩বাংলাদেশি🇧🇩।বাংলা আমার মাতৃভাষা।আমি বাংলায় কথা বলতে ও লিখতে ভালোবাসি।ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে এই সুযোগটি করে দেওয়ার জন্য।
নিজের এলাকার রেসৃটুরেন্ট আর পরিচিত মানুষ দিয়েছে তাই লাঞ্চ করতে গেলেন।ছোটর মধ্যে বেশ সুন্দর করেছে রেস্টুরেন্টটি।খাবারের মান ভালো ই ছিল বললেন।পরিবারের সবাইকে নিয়ে সুন্দর সময় কাটিয়েছেন জেনে ভীষণ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
হ্যাঁ আপু রেস্টুরেন্ট টি ছোট হলেও বেশ ভালোভাবে সাজানো-গোছানো ছিল ।আপনার কাছে ভালো লেগেছে যেনে ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপনাকে।
মাঝেমধ্যে বাড়ির পাশের কোন জিনিস তৈরি হলে সেটাও বেশ ভালো লাগে খেতে। যদিও আমরা সেগুলোকে খুব একটা গুরুত্ব দিয়ে থাকি না। যে রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলেন ওই রেস্টুরেন্টে মালিক আপনার হাসবেন্ডের বেশ পরিচিত। আপু রেস্টুরেন্টে যেসব ফটোগ্রাফি দিয়েছেন দেখাই বোঝা যাচ্ছে ডেকোরেশন গুলো কিন্তু খুব দারুন ছিল। যেহেতু নতুন দিয়েছে সেহেতু তারা চেষ্টা করবে খাবারের মান সবসময় ভালো রাখার জন্য। আপনাকে ধন্যবাদ এলাকার রেস্টুরেন্টের সাথে আমাদেরকে পরিচয় করে দেওয়ার জন্য।
আসলে ভাই আপনি ঠিকই বলেছেন কাছের জিনিসের কদর কম থাকে। দূরের হলে এই রেস্টুরেন্টই অনেক ভালো লাগতো। যাইহোক বেশ ভালই লেগেছে রেস্টুরেন্টটি ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
আপু ঠিক বলেছেন নিজ এলাকায় না হয়ে অন্য জায়গায় হলে হয়তো আরও ভালো চালাতে পারতো। তবে গ্ৰামের মধ্যে এত সুন্দর রেস্টুরেন্ট সত্যি খুবই ভালো লাগলো দেখে। রেস্টুরেন্টের ভিতরের ডেকোরেশন দেখতে খুবই সুন্দর আর দোলনা দেওয়াতে আরও বেশি ভালো লাগলো। আমিও বাহিরে খেতে গেলে এই মেনু অর্ডার করি। দুপুর বেলা কখনো এভাবে বাহিরে খেতে যাওয়া হয়নি। আমি সবসময় রাতের ডিনার করেছি। যাক তাহলে তো আপনার আজ আর রান্নাবান্না নিয়ে চিন্তা করতে হয়নি।
আপু আপনাকে কে বলল যে রেস্টুরেন্ট টি গ্রামের মধ্যে । আমাদের বাসা একদম শহরের প্রপারে। রেস্টুরেন্টটি একদম শহরের মেইন জায়গায় । শুধুমাত্র এলাকার মধ্যে তাই বলেছি। আর আমি সব সময় দুপুর বেলায় রেস্টুরেন্টে যাই রান্নার ঝামেলা এড়ানোর জন্য । আপনি রাতে যান জেনে ভালো লাগলো । ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
রেস্টুরেন্টে খুব সুন্দর মুহূর্ত উপভোগ করেছেন। খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্ত গুলো নিশ্চয়ই ভালোভাবে অতিবাহিত করেছেন। আসলে মাঝে মাঝে বাইরে খাবার খেতে গেলে বেশ ভালো লাগে। রেস্টুরেন্টের পরিবেশ সত্যি খুব চমৎকার। খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে আপু
আসলে ভাইয়া রেস্টুরেন্টে গেলে বেশ ভালো সময়ই উপভোগ করি। আর আমাদের মাঝেমধ্যেই যাওয়া হয়। যেতে ভীষণ ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
যখন এত রিকোয়েস্ট করেছিল যাওয়ার জন্য তখনই ভালো হয়েছে। আসলেই দেখে মনে হচ্ছে রেস্টুরেন্টে অনেক ভালো মানের। তাছাড়া ডেকোরেশন গুলো খুবই সুন্দর হয়েছে। খাবারের মেনু তো খুবই দারুন নিলেন আপু। নিশ্চয়ই খেতে অনেক ভালো লেগেছিল খাবারের মেনু। অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটালেন সেই সাথে খাওয়া-দাওয়া করলেন। অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
হ্যাঁ আপু খাবার গুলো বেশ ভালই ছিল, আর বেশ ভালো সময় কাটিয়েছি। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য। ভালো থাকবেন।
রেস্টুরেন্টের মালিক ভাইয়ার পরিচিত এজন্যই হয়তো আপনাদের প্রতিনিয়ত সেখানে যাওয়ার জন্য বলত। আর এলাকায় রেস্টুরেন্ট থাকলে দূরে যাওয়ার কি দরকার তাছাড়া রেস্টুরেন্টের ডেকোরেশন টাও বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে। সেখানকার খাবারগুলোও তো বেশ মজাদার মনে হচ্ছে পরিবেশন করা ছবি দেখে যতটুকু বুঝতে পারলাম।
আসলে ভাইয়া দূরে খেতে গেলে হয় কি একসঙ্গে খাওয়া হয় এবং ঘোড়াও হয়। কিন্তু এলাকার মধ্যে হেঁটে হেঁটে যেতে হয় কোন ঘোড়ার আনন্দ নেই ।এইজন্য দূরে যেতে ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।
এলাকার পরিচিত ছেলের রেস্টুরেন্টের জন্যই আপনাদেরকে যাওয়ার রিকোয়েস্ট করেছেন। খুব বেশি গর্জিয়াস না হলে সিম্পল এর মধ্যে বেশ সুন্দর ডেকোরেশন করেছে। তাছাড়া এখনকার সময় দেখা যায় রেস্টুরেন্টের ডেকরেশনে চমৎকার করে কিন্তু খাবারের মান ভালো থাকে না। এখানে খাবারের মান ভালো জেনে ভালো লাগলো। এরপরে গেলে খাওয়া যাবে এখানে।
হ্যাঁ আপু এদের খাবারের মান মোটামুটি ভালই ছিল এবং ডেকোরেশন টাও মোটামুটি ভালো ছিল ।ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য ।এরপরের বার আসলে ওখানে নিয়ে যাবো ধন্যবাদ।
রেস্টুরেন্টের পরিবেশটা আসলেই মনোমুগ্ধকর।রেস্টুরেন্টের ডেকোরেশন টা খুবই পরিপাটি দেখে খুব ভালো লাগলো । খাবারের মান বললেন ভালই আছে। যাইহোক, পরিবারের সবাইকে নিয়ে সুন্দর একটি মুহূর্ত পার করলেন। শুভকামনা রইল আপু আপনার জন্য।
হ্যাঁ আপু সবকিছু মিলিয়ে বেশ ভালো একটা মুহূর্ত কাটিয়েছিলাম । আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ।ধন্যবাদ আপনাকে।
প্রথমে বলতে হচ্ছে রেস্টুরেন্টের ডেকোরেশন অনেক বেশি সুন্দর। বর্তমান রেস্টুরেন্ট গুলো এত সুন্দর করে ডেকোরেশন করে ঘুরতে যাওয়ার জন্য বাইরে যাওয়ার প্রয়োজনই হয় না। রেস্টুরেন্টে ঘুরতে যাওয়া কিছুটা সময় পার করে আসলেই বেশ ভালো লাগে। খাওয়ার গুলো দেখতে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগছে।
হ্যাঁ আপু ঠিকই বলেছেন এখনকার রেস্টুরেন্ট গুলো অনেক বেশি ডেকোরেশন করে, যেগুলো দেখতে বেশ ভালই লাগে। ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।