The Diary Game:: August 12, 2020 :: আজকের ডায়েরি
সকাল তো প্রতিদিনেই হয়। কালকের সকালটা শুরু হয়েছিল কাউয়া ক্যাচাল দিয়ে আর রাতটা শেষ হয়েছে হুই হুল্লোর গান বাজনা আর বিয়ের বাড়ির লোকজনের শব্দে। বাড়ির পাশেই এক ছোট বোনের বিয়ে হচ্ছিল। সে জন্যই এতো গান বাজনা শব্দ চিৎকার চেচামেচি। তাই রাতের ঘুমটা কেমন হয়েছে তা বুঝতেই পারছেন।
ছোট ছোট পিচ্চি মেয়ে গুলোর বিয়ে হয়ে যাচ্ছে আর আমরা পরে আছি এখনো। মনে মনে ভাবছিলাম - "মাহাবুবরে, বিয়ে টা সেরে ফেল। বয়স তো আর কম হল না।" এই কথা ভাবতে ভাবতে রাজ্যের দুঃশ্চিন্তা নিয়ে ঘুমিয়েছিলাম। তাই কি আর করার সকালটাও হয়ে গেলো দেরি। মানে ঘুম থেকে উঠতে দেরি।
এদিক ঘড়ির কাটা অনেক দূর এগিয়েছে। ধর পরিয়ে উঠলাম। নিছে নিজেকেই বলতে থাকলাম -"না রে মাহবুব, এভাবে আর চলে না, তুই আর কাজের হইলি না। আর কত দিন এভাবে থাকবি। তোর দাঁড়ায় সংসার চলবে না।" আজকাল নিজের সাথে নিজেই বেশি কথা বলছি পাগলের মত। আপনারা হয়তো ভাবছেনও মাহাবুবের মাথাটা শেষ
এইভাবে সকাল শুরু হল। ফ্রেশ হয়ে নাস্তা করে তারাহুরা হয়ে বার হলাম। পথিমধ্যে নানা রংয়ের নানা বর্নের নানান পেশার মানুষকে দেখতে দেখতেই অফিস চলে আসি।
স্টুডেন্টদের ক্লাস নিচ্ছিলাম। ক্লাসে নিতে অবশ্য ভালোই লাগে। তবে আজকে অনেকেই এসেছিল দেখা করতে। আজকে সেন্টারের বসে অনেক জনের সাথেই দেখা। নতুন কিছু স্টুডেন্ট ভর্তি হয়েছে। তবে নতুন স্টুডেন্ট মর্তি হলে ভালোই লাগে। পকেটে টাকা ঢুকলে কার না ভালো লাগে।
এরেই মাঝে লেজ কাটা দোস্ত হাজির। নব বিবাহিত রাসেল। বিয়ের পর ঈদের চাঁদ হয়ে গেছে। নম্প দিয়ে খুঁজলেও পাওয়া যায় না। বিয়ে করলে মনে হয় এমনটাই হয়। সাথে ছিল @faizurehan । অনেকক্ষন কথা বার্তা বলে হল। দোস্ত নতুন বিয়ে নতুন সংসার ঘর সাজাবে তাই বাজারে এসেছে ওয়ালমেট নিতে। পাশেই নাছির গিফ্ট কর্নার সেখানে গিয়ে অনেকগুলো দেখার পর একটি পছন্দ করা হয়ে। প্রাকিতিক দৃশ্য। অসাধারণ হাতের কাজ। সুই সুতার নিখুঁত মনমুগ্ধকর আর্ট। সাধারণত এইসব বাজারে সব সময় থাকে না। ১১০০/- টাকা দিয়ে ওয়ালমেটটা নেওয়া শেষে রাসেল কে বিদায় জানানো হল।
পরবর্তীতে আরো কিছুক্ষন সেন্টারে ক্লাস নিয়ে আমি আর ফাইজুর বার হলাম। ফাইজুর আবার পেটুক টাইপের। খাওয়া দাওয়া ছাড়া কিছু বুঝে না। দই চিরা খাওয়ার শক জাগছে ওর। শেষে নাটোরের দই ঘরে গিয়ে দুজনে ঠুকে দিলাম দই চিরা। পথিমধ্যে কিছু মেডিসিন নিয়ে নিলাম আমার আপুর জন্য।
বাসায় এসে ফ্রেশ হয়ে দুপুরের খাওয়া শেষে আসরের নামাজ। তারপর একটু রেস্ট নিয়ে মাগরিবের নামাজ। আসর আর মাগরিফের মাঝখানে সময় খুব কম থাকে। সন্ধ্যার পর নাস্তা। এভাবেই চলছিল। হটাৎ এক বড় ভাই ফোন করে ডাক দিল। আমি অবশ্য বেশ কয়েকদিন ধরেই বিকালে বাসায় ঢুকলে আর বার হই না ভাইয়ের ফোন পেয়ে বার হলাম। নিজেরও ইচ্ছা ছিল বার হওয়ার। বার হয়েই ভাইয়ের সাথে চা খেতে বাজারে গেলাম। পথিমধ্যে আবার হালকা বৃষ্টি। সেখানে কিছুক্ষন আটকে ছিলাম দুজনেই। তবে বৃষ্টি বেশিক্ষণ থাকে নিই। অল্প কিছুক্ষণের মধ্যেই থেমে গেছে। একটু বাজারে ঘুরে বাসায় এসে নামাজ পরলাম। ডিনার ও সেরে ফেললাম।
বেড ঠিক করে শুয়ে পরলাম। গত কাল রাতে ঠিক ভাবে ঘুম হয় নিই উপরের অংশটুকু পড়েই বুঝতে পারছেন। যাক শুয়ে শুয়ে স্টিমিটের পোস্ট গুলো দেখি কমেন্টস করি। আজকের ডাইরিটি লেখা শুরু করলাম।
আজকে এ পর্যন্তই আবার নতুন ডায়েরি নিয়ে আপনাদের সামনে যাতে হাজির হতে পারি তার জন্যে দোয়া করবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
বিয়েয়া আগেভাগেই করে নিলে সময় নষ্ট হয়না আবার গুনাহ থেকেও বিরত থকা যায়।
আল্লাহ বাবমাদের বোঝার তৌফিক দান করুক!
আমিন!!
#onepercent #bangladesh
বিয়ে আগে ভাগেই করে নেওয়া উচিত। তবে পরিবেশ পরিস্থিতির আর আমাদের সামাজিক জটিলতার কারনে বিয়ে ঠা কঠিন করে ফেলছি আমরা।
একদম
কাউয়া ক্যাচাল কি ভাই 😀?