ঘুরতে গিয়ে দুর্ভোগ (সপ্তম পর্ব)
তারপর শফিকদেরকে কিছু খাবার দিয়ে তাদের হাতের বাধন খুলে দেয়। দীর্ঘক্ষণ পর খাবার পেয়ে তিন বন্ধু কোন দিকে না তাকিয়ে গোগ্রাসে খেতে থাকে। খাওয়া-দাওয়া শেষে তিনজন কিছুটা ভালো বোধ করতে থাকে। তাদের খাওয়া দাওয়া হতেই আগের দিনের মতো আবার বেশিরভাগ সন্ত্রাসীরা সেখান থেকে চলে যায়। তাদের পাহারায় মাত্র দুজনকে রেখে যায়। এই দুজন শফিকদের থেকে বেশ কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে থাকে। এমন সময় শফিক সবুজের সাথে আলাপ করতে থাকে। শফিক সবুজকে বলে খেয়াল করে দেখ আমাদের পাহারাই মাত্র দুজনকে রেখে গিয়েছে।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
এই দুজনকে যদি আমরা কাবু করতে পারি তাহলে এখান থেকে পালানো সম্ভব হবে। বুদ্ধিটা সবুজের খুবই পছন্দ হয়। কিন্তু বরুন ভয় পেয়ে বলে পালাতে গিয়ে যদি এদের হাতে ধরা পরি তাহলে নির্ঘাত আমাদের মৃত্যু হবে। তখন শফিক বরুনকে বলে যদি এদের কাছ থেকে পালাতে না পারি তাহলে ও আমাদেরকে মরতেই হবে। কোনো চেষ্টা না করে মরার থেকে চেষ্টা করে মরা ভালো। সবুজও শফিকের সাথে একমত পোষণ করে। শেষ পর্যন্ত তারা আলোচনা করে ঠিক করে আজকের দিনটা তারা ভালোমতো পর্যবেক্ষণ করবে সন্ত্রাসী দুটো কি করে।
তারপর সুযোগ বুঝে সেই সন্ত্রাসীদেরকে তারা কাবু করবে। কিন্তু সবুজ তখন শফিককে জিজ্ঞেস করে আমাদের তো হাত পা বাধা আমরা কিভাবে ওদেরকে আক্রমণ করবো? তখন শফিক সবুজকে বলে আমার কার্গো প্যান্টের পকেটে একটা চাবির ছড়া রয়েছে। সেই চাবির রিংয়ের সাথে একটা ছোট্ট চাকু রয়েছে। সেই চাকুটা ছোটো হলেও বেশ ধারালো। সেটা দিয়ে আমরা হাতের বাঁধন গুলো কাটতে পারবো। এই কথা শুনে সবুজ খুবই উৎসাহী হয়ে ওঠে।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।