কারো সুখ কারো দুখ
আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।
আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।
আজকে ভাবলাম এমন একটি বিষয় নিয়ে আপনাদের সকলের সাথে আলোচনা করি। যে বিষয়টি সম্পর্কে হয়তো আমরা খুব ভালোভাবে অবগত রয়েছি। আমরা মাঝেমধ্যে নিজে নিজে সেই ব্যাপারটি অনুভব পর্যন্ত করি। কিন্তু কখনো কেনো যেনো খুব একটা আমরা কথা বলি না কিংবা আমাদের মনে সেটা আঘাত ও করে না।
এই যে মনে আঘাত করার কথা কেনো বলছি। আসলে আমাদের মনে সত্যিই ব্যাপারটি আঘাত করা উচিত। অর্থাৎ আমি যদি বর্তমানের কথা বলি। তাহলে এই যে বন্যা কবলিত যে এখন আমাদের দেশ। এটায় কিন্তু অনেক অনেক মানুষ হাজার হাজার মানুষ পানি বন্দী হয়ে রয়েছে। অসম্ভব কষ্টে তারা দিন যাপন করছে। তাদের সবকিছু অনিশ্চিত। তাদের ভবিষ্যত্ব অনেক দূরের কথা, তাদের বর্তমান অসম্ভব রকমের অনিশ্চিত। তারা জানে না এর পরের দিন কোনো খাবার পাবে কিনা।
কিন্তু তার বিপরীত পাশে চিত্রটি একেবারেই ভিন্ন। অর্থাৎ আমরা যারা বড় বড় দালান কোঠার উপরের তালায় বসে সৌন্দর্য উপভোগ করতে করতে। অর্থাৎ পরিবেশের এতো মনোরম, এতো ঝড়ের তাণ্ডব দেখতে দেখতে খিচুড়ি, মুরগি, ডিম খাচ্ছি। আমরা কখনোই ওই যে পানিবন্দি মানুষগুলোর কষ্টটাকে অনুভব করতে পারবো না। অনুভব করা সম্ভব না। কেনো? কারণ হলো আমরা ওই পানি বন্দি অবস্থাতে নেই। আমরা অসম্ভব সুখে রয়েছি বলা চলে। অন্তত বর্তমান পরিস্থিতির কথা যদি চিন্তা করি। তাহলে আমরা অনেক বেশি সুখে রয়েছি।
কিন্তু তার বিপরীত পাশে চিত্রটি একেবারে ভিন্ন। দুটি পয়সার যেমন এপিঠ ওপিঠ থাকে, ঠিক তেমনটাই আমাদের দেশে এখন আমরা দুই রকমের মানুষ রয়েছি। যারা অনেক বেশি সুখে রয়েছি। আবার যারা অনেক বেশি কষ্টে রয়েছি। যাদের ঘর বাড়ি বিলীন হয়ে গিয়েছে। আবার অনেকের সন্তান-সন্ততি, বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন হারিয়ে গিয়েছে। যাদের খোঁজ হয়তো কখনোই পাওয়া যাবে না। হয়তো যাবে পানি কমে যাওয়ার পরে কোনো অচেনা জায়গায় লাশ রুপে।এই যে কারো সুখ, কারো দুঃখ। এই পরিস্থিতির জন্যও আমরাই দায়ী। কারণ আমরা সবকিছু ধ্বংস করি বলেই আমাদের উপরে এতো বেশি বিপর্যয় নেমে আসে।
কথাগুলো একদম ঠিক বলেছেন। বন্যা কবলিত এলাকার মানুষেরা কত কষ্টে জীবন যাপন করছে। আর যারা দালান কোঠায় বসবাস করছে তারা এই সময়টাকে উপভোগ করছে। কিন্তু দুই দিকের মানুষের উপভোগের বিষয়টাই ভিন্ন রকম। কেউ সুখে দিন কাটাচ্ছে আর কেউ দুঃখের সাথে লড়াই করছে।