জেনারেল রাইটিং :- মোবাইলের দ্বারা কি স্বজন প্রীতি হারাচ্ছে।

in আমার বাংলা ব্লগlast year
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। আজকে আমি আলোচনা করবো, মোবাইলের দ্বারা কি স্বজন প্রীতি হারাচ্ছে। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তাই শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ...


train-track-2507499_1280.jpg

Source

বর্তমান যুগ হলো মোবাইল ইন্টারনেটের যুগ। এই যুগে মানুষ ঘরে বসেই অনেক কিছুই করতে পারছে। মোবাইল এমন একটা যন্ত্র যার মধ্যে দিয়ে দুনিয়ার সবকিছু জানতে পারা যায়। আপনি যা ইচ্ছা করবেন তাই ঘরে বসে দেখতে পারবেন। কাজী নজরুলের সংকল্প কবিতায় তিনি লিখেছিলেন, থাকবো নাকো বদ্ধ ঘরে দেখবো এবার জগৎটাকে,কেমন করে ঘুরছে মানুষ যুগান্তরের ঘূর্ণিপাকে। আজকে মনে হচ্ছে আমরা বদ্ধ ঘরে থেকে সারা পৃথিবীকে ঘুরে ফেলছি। যদি আপনার কারো সঙ্গে কথা বলা দরকার হয় তাহলে আপনাকে সেখানে আর যেতে হচ্ছে না আপনি ঘরে বসেই ফোন কলের মধ্য দিয়ে তার সাথে সংযোগ করতে পারছেন। যদি কারো সাথে দেখা করার ইচ্ছা হয় তাহলে আপনি ভিডিও কলের মধ্য দিয়ে তার সাথে দেখা করে নিতে পারছেন। জীবনটা কত সহজ হয়ে গেছে এই মোবাইল আসার কারণে। বিজ্ঞান মানুষের জীবনকে সহজ করার জন্য এসব আধুনিক প্রযুক্ত উদ্ভাবন করেছেন।


এবার আসি মূল কথায়, আমি যখন ছোট ছিলাম তখন রাস্তাঘাট তেমন উন্নত ছিল না। চারিদিকে শুধু মাটির রাস্তা। বর্ষার সময় এক হাঁটু কাঁদা হতো। বাইরে চলাচল মানুষের জন্য কঠিন হয়ে পড়তো। সে সময় আমার দাদারা দেখতাম, তাদের আত্মীয়তার সাথে কতটা সম্পৃক্ত ছিল। এবং তাদের মধ্যে কতটা আন্তরিকতা ছিল। এত কাঁদা পানির মধ্য দিয়েও তারা তাদের আত্মীয়দের বাড়িতে বেড়াতে যেতো। যদি বাড়িতে কোন অনুষ্ঠান হয়েছে তাহলে তারা তিন থেকে চার দিন আগেই আত্মীয়দের বাড়িতে যেয়ে তাদেরকে দাওয়াত করে আসতো। আত্মীয়তা যতই আপনা নিজের রক্তের সম্পর্ক হোক না কেন? যদি আপনার সাক্ষাতে দেখা ও কথাবার্তা না হয়, তার বাড়িতে যদি না যাওয়া হয়, তাহলে সে আত্মীয়তার দিন দিন দূরে সরে যায়। সেই সময় মানুষের মধ্যে স্বজন প্রীতি ছিল অন্যরকম। কারণ কোন কিছু প্রয়োজনে তারা সশরীরে উপস্থিত হতো। কিন্তু এখন বর্তমানে কোন অনুষ্ঠান হোক আর যে কোন বিষয়ে যদি সংবাদ পাঠাতে হয় তাহলে আমরা মোবাইলের মধ্য দিয়ে সেই সংবাদ তাদের পর্যন্ত পৌঁছায়। এতে করে কি হয়, সময় বেঁচে যায় কিন্তু আত্মীয়তা দূরে সরে যায়। আপনি এখন বর্তমান সময়ে একটা বিষয়ে খুব ভালোভাবে লক্ষ্য করে দেখবেন মানুষের মধ্যে আত্মীয়তার সম্পর্কটা খুব একটা ভালো নয়, আর আমি এর কারণ হিসেবে দেখেছি মোবাইল।


আপনি নিজেকে নিজেই উপলব্ধি করে দেখেন তো, পরিবারে আপনারা চার-পাঁচজন সদস্য রয়েছেন। সবাই একটি রুমে বসে আছেন। এই চার-পাঁচ জনের হাতে একটি করে মোবাইল আছে। এখন প্রশ্ন হল এই চার পাঁচজনকে একে অপরের সাথে কথা বলবে না মোবাইল দেখবে। নিশ্চয়ই তারা একে অপরের সাথে কথা না বলে মোবাইল দেখবে। স্ত্রী পাশে বসে আছে অথচ স্বামী সেটা লক্ষ্য করছে না। আবার দেখা যায় কোন কোন সময় স্বামী অফিস থেকে বাড়ি ফিরেছে অথচ স্ত্রীর কোন খবর নেই। স্বামী তার স্ত্রীকে ডাকাডাকি করছে পরে সে দেখছে যে তার স্ত্রী মোবাইল দেখছে। এতে করে কি হচ্ছে ঘরে পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে নিজেদের ভিতরে সম্পর্ক টান পড়ছে। এ মোবাইলের দ্বারা আমরা এত প্রভাবিত যে আমাদের নিজেদের আপন মানুষের সময় দিতে পারছি না। আমি আমার নিজেকে দিয়েই উদাহরণ দেয়, যেহেতু আমরা কম বেশি আউটসোর্সিং এর কাজ করে থাকি আর এই কাজ করার জন্য আমাদের যথেষ্ট মোবাইলে সময় দিতে হয়। আমি লক্ষ্য করে দেখি যে এই কাজ করার জন্য অনেক সময় আমার নিজের সন্তান এবং স্ত্রীর কে আমি ঠিকরকম সময় দিতে পারি না। এতে করে অনেক সময় তারা বিব্রত হয়। পাশেই বসে আছে অথচ অনেকটা দূরে। আরে দূরে সরে রাখার জন্য একমাত্রই মূল হাতিয়ার হলো মোবাইল।


এখানে আমরা আমাদের নিকটতম আত্মীয় বলতে কাদেরকে বোঝাই মা-বাবা, ভাই-বন্ধু, চাচা চাচি, খালা খালু দাদা-দাদি, নানা-নানী, ফুুফা ফুফি ইত্যাদি। আচ্ছা বলেন তো এই আত্মীয়দের বাড়িতে আপনি কয়দিন বেড়াতে গিয়েছেন। কতটা তাদের সাথে সময় দেন। বর্তমানে আমরা আমাদের নিজেদের কাজে এতটাই ব্যস্ত হয়ে পড়েছি যে, নিজের আত্মীয়দের সাথে সেভাবে সময় ব্যয় করা সম্ভব হয়ে ওঠেনা। এখন আমি যদি উল্টো ভাবে প্রশ্ন করি যে, সেই সময়ের মানুষ ব্যস্ত কম থাকতো তাই, না তাদের কোন কাজ ছিল না। হ্যাঁ অবশ্যই সে সময়ের মানুষ আরো বেশি ব্যস্ততার সময় পার করেছে। কিন্তু তাদের মধ্যে আন্তরিকতা ছিল বেশি। বর্তমানে মানুষের আন্তরিকতা রয়েছে মোবাইল এর মধ্য দিয়ে। কোন কিছুর প্রয়োজন হলে কোন কিছু সংবাদ পাঠানোর জন্য আমরা মোবাইল ব্যবহার করি। আর এর জন্যই আমাদের এই আত্মীয়-স্বজন থেকে দূরে সরিয়ে পড়েছি। আপনি কি কখনো ভেবে দেখেছেন, আপনার সন্তান পাশে বসে আছে অথচ আপনার কথা বলার সময় নেই। এটা আমরা কখনো উপলব্ধি করি না। একটু গভীর ভাবে যদি আমরা চিন্তা করি তাহলে বুঝতে পারবো।


আচ্ছা বলেন তো আপনার লাইফের সব থেকে বেশি গুরুত্ব কাকে দিয়ে থাকেন? এই প্রশ্ন কাউকে করা হলে সে নিশ্চয়ই তার মা বাবা স্ত্রীর সন্তান এদের কথাই বলবে। কিন্তু আমি যদি বলি প্রকৃতপক্ষে সে মিথ্যা কথা বলছে। এটা বলা কি আমার ভুল হবে, আপনি নিজের বিবেককে প্রশ্ন করে দেখেন তো সারাদিনের মধ্যে আপনি সবথেকে গুরুত্ব এদেরকে না দিয়ে মোবাইলকে বেশি দিচ্ছেন। দেখেন আপনি সবকিছু ছাড়া চলতে পারছেন কিন্তু সারাদিনের মধ্যে যদি আপনার এক থেকে দুই ঘন্টা মোবাইল সরিয়ে রাখা হয় তাহলে কি আপনি চলতে পারছেন আমি বলবো না কখনোই আপনি চলতে পারছেন না। আপনার সন্তানকে আপনি স্কুলে রেখে এসেছেন আপনার স্বামী বা স্ত্রী অফিসে রয়েছে। এরপরও আপনি বিন্দাস চলতে পারছেন। কিন্তু আপনার এই মোবাইল স্কুল অথবা অফিসে যদি রেখে আসা যায় তাহলে আপনি কি থাকতে পারবেন, আমার মনে হয়না পারবেন।


আজকে এই মোবাইল সম্পর্কে লেখার একটাই কারণ, আমি আজকে উপলব্ধি করতে পেরেছি যে আমরা মোবাইলের প্রতি এত আসক্ত যে, আমাদের নিজের সন্তান স্ত্রীকে দূরে সরিয়ে রাখছি। অনেক সময় তাদের প্রয়োজনে আমরা পাশে থাকতে পারছি না। শুধু তারা নয় আমাদের আত্মীয়-স্বজন কেউ অনেক দূরে সরিয়ে রেখেছি। তারা অনেকটা আশা করে, আমার প্রিয় মানুষ গুলো একটু দেখা করবে কথা বলবে কিন্তু আমাদের সেই সময়টা হয়ে ওঠেনা। আর যদিও খুব দরকার হয় সেটা আমার মোবাইলে দ্বারা সে প্রয়োজনীয় বিষয়টা শেষ করে থাকি। আর এসব কারণে আমার যেন কেন মনে হয়েছে এই মোবাইলের দ্বারা আমরা স্বজনপ্রীতি হারাচ্ছি।


ভূল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ।

আজ এই পর্যন্ত। সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।

ডিভাইস poco M2
লোকেশন মেহেরপুর

ভূল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ।
Sort:  
 last year 

আপনার লেখার বিষয়টি চমৎকার ভাইয়া।আসলেই বাস্তবে মানুষ মানুষের যে আত্মিক সম্পর্ক বা বন্ধন থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।তার প্রধান কারণ হচ্ছে মোবাইল ফোন।এতে করে মানুষের মনঃসংযোগ যেমন বা শরীরে যেমন প্রভাব পড়ছে তেমনি ঝামেলা বাড়ছে।কিন্তু আগেকার দিনগুলো সম্পর্কের দিক থেকে কতই না ভালো ছিল।ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

সম্পর্কে তার বেড়ে গেছে কিন্তুু বন্ধন কমে গেছে। এখানে তার বলতে আমি মোবাইলকে বুঝিয়েছি। হাজার মাইল দূরে থাকলেও কথা বলতে পারছে কিন্তুু বন্ধনের জায়গাটা কমে গেছে। চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

 last year 

এখানে তার বলতে আমি মোবাইলকে বুঝিয়েছি।

ভাইয়া,আমি বলেছি মানুষ বন্ধন থেকে দূরে সরে যাচ্ছে।আর তার প্রধান কারণ হিসেবে মোবাইল ফোনই দায়ী সেটিকে। যাইহোক আপনার বুঝতে একটু ভুল হয়েছে।

 last year 

আজকে খুব সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে জেনারেল পোস্ট শেয়ার করলেন। খুব ভালো লাগলো বিষয়টি।বর্তমান সময়োপযোগী একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট করলেন এজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।এটা ঠিক বর্তমান সময়ে এই মোবাইল আমাদের সকলের কাছ থেকে সকলকে দূরে সরিয়ে দিয়েছে।আর এ কারনেই দিনের পর দিন আমাদের মধ্যে স্বজনপ্রীতি হারিয়ে যাচ্ছে।এটা কখনো ই কাম্য নয়।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর এই বিষয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

 last year 

আমরা মোবাইলে জগতে এতটাই গভীরে পৌঁছে গেছি যে, আমরা না চাইলেও সেখান থেকে আর ফিরতে পারবো না। আপনার গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।

 last year 

খুবই ভালো লাগলো আপনার লেখাটা পড়ে। কারণ এই মোবাইলের কারণেই বর্তমান সময়ে মানুষের মধ্যকার যে আত্মার সম্পর্ক ছিল সেটা হারিয়ে যাচ্ছে। আমরা সকলে যতই কাছাকাছি থাকি না কেন সবাই এই মোবাইল নিয়েই ব্যস্ত থাকি। যেন বর্তমানে এটাই আমাদের নতুন একটা পৃথিবী হয়ে গিয়েছে।

 last year 

আমরা এমন একটা জায়গায় পৌঁছে গেছি যে, পাশে নিজের স্ত্রী সন্তান রয়েছে তারপরও তাদের সাথে কথা বলার মত সময় থাকে না যদি হাতে মোবাইল থাকে।

 last year 

ইন্টারনেট পদ্ধতি আমাদের জন্য যতটুকু সুবিধা জনক। তার চেয়ে অনেক বেশি অসুবিধা আমাদের বাস্তব জীবনের জন্য। কারণ আমরা কোন কাজ করে যখন ফ্রি হয় তখন হুট করে মোবাইলটা হাতে নিই। কিন্তু পরিবারে কে কোথায় কেমন আছে তার কোন খোঁজ খবর রাখি না। মোবাইলের মধ্যে হাসি কান্না-আড্ডা সবকিছুই চলছে। পরিবারের আপনজন মানুষের কোন খোঁজ খবর নেওয়া হয় না। অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের কারণে অনেক সংসারিক ঝামেলার সৃষ্টি হয়। এছাড়া আত্মীয় স্বজনের সাথে তেমন যোগাযোগ হয় না। আসা যাওয়া তো দূরের কথা। খুব সুন্দর টপিক্স ছিল অনেক ভালো লেগেছে ধন্যবাদ।

 last year 

প্রতিটা জিনিসের বিপরীতমুখী কাজ করে। যে জিনিস ভালো তার খারাপটাও থাকে। বর্তমানে আমরা খেতে পড়তে বসতে সব সময় মোবাইল। আমাদের অবস্থাটা এমন যে মোবাইল ছাড়া আমাদের চলেই না। আর এ থেকে বের হওয়ার মত আর কোন সুযোগ নেই। ধন্যবাদ আপু আপনার মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

ভাই আপনি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। বর্তমান সময়ে মোবাইল নামক জিনিসটা একটি ভাইরাসের মতো মানুষের জীবনযাত্রার ভেতর ছড়িয়ে পড়েছে। মোবাইল আসার পর থেকেই মানুষের সাথে মানুষের সম্পর্ক নষ্ট হয়নি। সময়ের ব্যবধানে এখন এ দূরত্বটা বেড়ে চলেছে। ধন্যবাদ বিষয় নিয়ে আলোচনা করার জন্য।

 last year 

যখন নিজেদের মধ্যে দূরত্বটা বেড়ে যায়, তখন সম্পর্ক একটা কালো দাগও পড়ে যায়। আত্মীয়র বাসায় না গেলে আত্মীয় মনে করে আমাদেরকে ভুলে গেছে।কিন্তু তারা একে অপরে ভাবে যে না মোবাইলে তো কথা হচ্ছেই, গিয়ে আবার কি করব। এমন একটা অবস্থা মানুষের মধ্যে বিরাজমান করছে।

 last year 

আপনি খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট করেছেন। মোবাইল দিয়ে সবাই এখন দুনিয়া দেখতেছে। আপনি ঘরে বসে মোবাইলের মধ্যে সব দেখতেছেন এবং মন চাইলে প্রিয় মানুষের সাথে ভিডিও কলে কথা বলতেছেন। তবে এই মোবাইলের কারণে প্রিয় মানুষগুলো এখন দূর হয়ে গেছে। তবে সব ছেলে মেয়ের কাছে মা-বাবা অনেক প্রিয়। এবং মা-বাবার সাথে একদিন দুইদিন দেখা না করে বা কথা না বলে থাকা যায়। এবং একদিন মোবাইল না ব্যবহার করে বা না দেখে এখন অনেক মানুষ থাকতে পারে না। এই মোবাইলের কারণে এখন আমরা সত্যিই স্বজন প্রীতি হারাচ্ছি। ধন্যবাদ আপনাকে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

বাবা মার সাথে এখন কোন ছেলেমেয়েরা কথা না বলে মাসের পর মাস কেটে দিতে পারছে ভাই। কিন্তু আপনি ওই সন্তানদেরকে জিজ্ঞাসা করবেন মোবাইল ছাড়া সে একটা দিনও চলতে পারছে কিনা। এখানে বসে আছে পিতা-মাতা থেকে মোবাইলের গুরুত্ব সন্তানরা বেশি দিচ্ছে এবং সন্তানের থেকে পিতা মাতার মোবাইলে গুরুত্ব বেশি দিচ্ছে। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

মোবাইলের কারণে মানুষের সাথে যোগাযোগ ভালো হয়েছে কিন্তু আন্তরিকতা বা মানুষের সাথে মায়া কমে গেছে। মা বাবার সাথে অনেকদিন যোগাযোগ না করে থাকতে পারে কিন্তু একদিন মোবাইল না ব্যবহার করে এখন মানুষ থাকতে পারে না। তবে মোবাইলের কারণে এখন পুরো দুনিয়া দেখা যায় এবং অনেক দূর দুরান্ত মানুষের সাথে ভিডিওতে দেখা যায়। তবে ঠিক বলেছেন এই মোবাইলের কারণে স্বজনপ্রীতি নষ্ট হচ্ছে। ধন্যবাদ আপনাকে খুব গুরুত্বপূর্ণ একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

ধন্যবাদ আপু আপনার গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

এটা অবশ্যই স্বীকার করতে হবে যে,মোবাইল আমাদের জীবনে যেভাবে সুফল বয়ে এনেছে, তেমনি কুফলও বয়ে এনেছে। একটা সময় দেখা যেতো কয়েকজন কাজিন বা বন্ধু বান্ধব একসাথে হলে, সেই লেভেলের আড্ডা হতো। কিন্তু এখন পাশাপাশি বসে থাকলেও মনে হয় একা একাই বসে আছে। কারণ সবাই সবার মতো মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত। তবে মোবাইল ফোন অতিরিক্ত ব্যবহার করা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। দারুণ একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাই। সেজন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

সময়টা যেহেতু আধুনিক তাই সবাই একটু আধুনিকভাবে চলতে থাক চাই। আর মোবাইল হলো আধুনিকতার পরম ছোঁয়া। আর এটা ঠিক বলেছেন ফোন অতিরিক্ত ব্যবহার করলে শরীরের ক্ষতি হয়। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.14
JST 0.028
BTC 58482.75
ETH 2615.94
USDT 1.00
SBD 2.42