লাইফ স্টাইল :- অসুস্থতার কারণে সনো টাওয়ার কুষ্টিয়া
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি ভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। সবাইকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ...
দিন বদলানোর সাথে সাথে মানুষের জীবনযাত্রা বদলে যাচ্ছে। মানুষ সব সময় চাচ্ছে সহজভাবে সবকিছু পেতে। খাওয়া দাওয়া পোশাক আশাক চলাফেরা সবকিছু জাঁকজমকপূর্ণ করতে চাই। আর এই জাকজমক কোন জীবন ধারণ করার জন্য মানুষের জীবন দিন দিন হুমকির মধ্যে পড়ছে। বর্তমানে মানুষের মধ্যে রোগের শেষ নেই। প্রতিটা সময় হাজার হাজার মানুষ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। এই যেমন বর্তমানে চলছে ভাইরাসজনিত জ্বর। আবার নাকি শুনছি ঢাকা সহ প্রায় ৬০ টি জেলাতে চলছে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত। শুধু এই না মানবদেহে বেঁধেছে নানান ধরনের রোগ ব্যাধি। আর এইসব নিয়ে আজকে আমি আপনাদের সামনে আলোচনা করবো।
প্রতিদিন মানুষ কি হারে এবং কত পরিমান বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে সেটা আপনি বাড়ি বসে বুঝতে পারবেন না। যখন আপনি সুস্থ থাকবেন মনে হবে যে পৃথিবীটা যেন আপনার। আরে সুস্থ থাকা অবস্থায় যদি আপনি একবার কোন হাসপাতাল বা কোন ক্লিনিকে আপনি একবার ঘুরে আসেন তাহলে দেখতে পারবেন আপনি কতটা ভালো আছেন। কেন এ কথা বলছে হাজার হাজার মানুষ এই হাসপাতালে ভর্তি হয়ে আছে শুধু বিভিন্ন রোগের কারণে। এইতো নিজেদের কথাই বলি, গত সপ্তাহে আমি আমার নিজের পরিবারকে নিয়ে গিয়েছিলাম কুষ্টিয়া সনো টাওয়ারে। কথা ছিল ডাক্তার আজকে দেখবে কিন্তু খুব কম সময়ের মধ্যে শেষ করবে। কিন্তু বিশ্বাস করেন আমি নিজেই বুঝতে পারেনি যে এত রোগী হবে যে ডাক্তার এক ঘন্টায় মধ্যে চলে যাওয়ার কথা ছিল সেই ডাক্তারকে একনাগরে পাঁচটা ঘন্টা থাকে রোগীসহ রিপোর্ট দেখতে হয়েছে। আমি যে আঙ্কেলের মাধ্যমে সিরিয়াল দিয়েছিলাম সে আঙ্কেল এর উপর আমি একটু রাগান্বিত হলাম। কারন আমি এবং আমার ওয়াইফ দুজনে দুই মাসের বাচ্চা বাড়িতে রেখে চলে আসছিলাম। কথা ছিল দুই ঘণ্টার মধ্যে রোগীকে দেখে দেবে। আর সেই কথা মোতাবেক আমরা তিনটার সময় পৌঁছে যায়। এবার ছয়টা বেজে যাচ্ছে অথচ ডাক্তার দেখানোর কোন নাম নেই। আমি একটু রাগান্বিত হয়ে বললাম আঙ্কেল আমার বাসায় ছোট বাচ্চা রেখে এসেছি আর আপনি এভাবে আমাকে এনে বসিয়ে রাখলেন। তখন তিনি বলছে বাবু কিছু করার নাই কারণ আমি নিজেই বুঝতে পারিনি এতগুলো রোগী আজকে আসবে। আমি গিয়েছিলাম সনো ওয়ানে চার তলায়। ডাক্তার শাওন কে দেখেছিলাম। যাহোক যেহেতু চলে এসেছে সে তো দেরি হলে তার কিছু করার নাই। গতদিনে রিপোর্ট ছিল রিপোর্টগুলো দেখার পরে এক এক করে রোগী দেখতে লাগলো। শেষ পর্যন্ত ডাক্তারের চেম্বারে ঢুকলাম। সবচেয়ে দেখার পরে ডাক্তারের যা কাজ সেটাই করলো। কিছু রিপোর্ট করতে বললো, এখন ডাক্তারের কাছে গেলে কোন কিছু করার আগেই রিপোর্ট করতে বলে।
ডাক্তার দেখার পরে চারটা টেস্ট দিয়েছিল। এবার টেস্ট করানোর জন্য আমরা রিসিপশনে গেলাম এক নম্বর বিল্ডিং এ। সেখানে গিয়ে একটি রুমে গেলাম কিছু রক্ত নিলো। সেখানে কাজ শেষ হওয়ার পরে লাস্ট যেটা করবো সেটা ছিল আলট্রাসন। এবার আল্টাসনো করতে গিয়ে আমাদের সিরিয়াল হল ১৩৮ তম। ওখানে জেনেছিল তাকে আমি রিকোয়েস্ট করলাম বললাম আপা আমার এইরাম সমস্যা আমাকে যদি একটু দ্রুত দিতেন তাহলে ভালো হতো। তিনি বলেন এটা নিয়মের বইয়ের হতে আমি করতে পারবো না। ব্যাস আর কোন কথা নেই চুপটি করে বসে থাকলাম। এভাবে এক দেড় ঘন্টা বসে থাকতে থাকতে একটা সময় ভাবলাম আর একবার রিকোয়েস্ট করে দেখি কি বলে। এখানে একটা ঘটনা ঘটলো, আমার মত একজন লোক এসে বল আপু আল্ট্রাসনো করতে হবে যদি আমাকে একটু আগে করিয়ে দিতেন, এর মাঝে একটা ফোন আসলো আর অমনিতে ওখানে যিনি ছিলেন উনি বলছে আচ্ছা ঠিক আছে এর ভেতরে আপনাকে এটা করে দেয়া হবে। এটা শোনার পরে আমি অত্যন্ত রাগান্বিত হলাম তারপরও নিজেকে কন্ট্রোল করে বললাম আপু এটার মধ্যে কি আমারটা দেয়া যায় না। যদি আল্ট্রাসোনো দ্বিতীয় তালায় হয়েছিল কিন্তু পরে আমাদেরকে তৃতীয় তলায় যেতে বললো। যাক সেখানে গিয়ে আমাদের প্রথমে হয়ে গেল। যদি ঐদিন রিপোর্টগুলো নিতে পারছিলাম না তারপরও আমরা বাসায় ফিরে গিয়েছিলাম। আমাদের বাসায় পৌঁছাতে ঐদিন প্রায়ই পৌনে দশটা বেজে গিয়েছিল।
যেহেতু আমি প্রথমে বলেছি আমি পৌনে দুই মাসের বাচ্চা রেখে আমি এবং আমার স্ত্রী গিয়েছিলাম। ছোট বাচ্চা মায়ের বুকের দুধ না খেয়ে থাকবে। সেখানে এমনিতেই দেরি হয়ে গেল, পরবর্তীতে আল্ট্রাসনো করতে গিয়ে আরও বেশি দেরি হয়ে গেল। কিন্তু এখানে একটা বিষয় লক্ষ্য করেন, আমি আমার সমস্যাটা তার সামনে আমি সবকিছু বিস্তারিত খুলে বললাম, ওখানে একজন নার্স ছিল। কিন্তু আমার কথা তিনি কর্ণপাত করলে না বরঞ্চ তিনি সেখানে নীতি দেখালেন। অথচ যেই ক্ষমতার একটা ফোন আসলো হয়তোবা সেখানে কিছু টাকা নিয়ে বসে আছে আর অমনিতেই আমার পিছনে যে আসল সে আমার আগে আল্ট্রাসনো করলো। এই জায়গাটাই বেশ আমার ভালো একটা অভিজ্ঞতা হলো। আর এভাবে চলছে বাংলাদেশ।
ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
আজ এই পর্যন্ত। সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ডিভাইস | poco M2 |
---|---|
লোকেশন | সনো টাওয়ার, কুষ্টিয়া |
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/ABashar45/status/1679048448866414592?t=mKPTN3kVPs319SpiCjiLNQ&s=19
আসলে আজকাল মানুষ ডাক্তারের কাছে তেমন যেতে চায় না কারণ ডাক্তার দেখার আগে অনেক গুলো টেস্ট লিখে দেয় ধান্দাবাজি করার জন্য। তাছাড়া হাসপাতালে গেলে তো আরেক হয়রানির শিকার হতে হয় বসে থাকতে হয়। যে আগে হাতে টাকা ঢুকায় দেবে তাকে আগে দিয়ে দেবে এই হচ্ছে অবস্থা। তবে অবশেষে ডাক্তার দেখাতে পারছেন সেটা অনেক ভালো লাগলো। যেহেতু আপনি ছোট বাচ্চা ঘরে রেখে গেছেন বাচ্চা কে নিয়ে জাননি ভালো হয়েছে। ভাগ্যিস তাহলে আরো অনেক ভালো ভোগান্তির শিকার হতে হতো।
সত্যি আপু আমার ছেলেকে নিয়ে গেলে অনেক ভোগান্ত হতো এমনকি ছেলেটা আমার অসুস্থ হয়ে পড়তো।
আসলে বড় ভাই এখন সব জায়গায় দুই নাম্বারি চলছে। আগে থেকে প্রেসক্রিপশনে টেস্টগুলো বসিয়ে রাখে অনেক জায়গাতে ডাক্তারেরা। আজকাল হসপিটাল গুলোতে অনেক ডাক্তারিরা ধান্দাবাজি করে থাকে। আপনি অনেক ভাল করেছেন ভাইয়া আমাদের ছোট সোনামণি কে বাসায় রেখে এসেছেন। অবশেষে আপনি ডাক্তার দেখাতে পেরেছেন ভাইয়া অনেক ভালো লাগলো শুনে ধন্যবাদ।
বর্তমানে ডাক্তারের অপর নাম হচ্ছে ডাকাতি। মানুষ তো ডাক্তারের কাছে যেতেই ভয় পায়। যেকোন যেকোনো মানুষ গেলে ৫ হাজার টাকা টেস্ট। এসব দুর্নীতার দেশ থেকে যাবে নারে ভাই।
এভাবেই চলছে আমাদের দেশটা। কিছুই করার নেই। মেনে নিয়েই চলছে সবাই। তা যাই হোক আপনি ঠিক বলেছেন, যখন হাসপাতালে যাওয়া হয় তখনই বোঝা যায় কত মানুষ যে অসুস্থ্য হচ্ছে প্রতিনিয়ত। তাই যারা সুস্থ্য আছেন তাদের শুকরিয়া করা উচিৎ । তবে বেশ ভোগান্তির শিকার হয়ে ডাক্তার দেখাতে পেরেছে সেইটাই ভালো খবর। তবে আপনার ২ মাসের শিশুটির জন্য বেশ খারাপ লাগছে।
একটা বিষয় কি আপু রক্ষক যখন ভক্ষক হয় তখন সেই দেশের অবস্থা এমনই হয়। এরপর দায়ভার আমাদেরকে নিতে হবে কারণ আমরা চুপ মেরে বসে আছি। যদি সবাই একসাথে মিলে প্রতিবাদ করতে তাহলে অবশ্যই সমাধান থাকতো।
কি বলবো ভাই দুনিয়াটা ধান্দাবাজের কারখানা যেখানে যান না কেন ধান্দাবাজি লোকের অভাব নেই ডাক্তারের কাছে গেলে এমন ধান্দাবাজির সম্মুখীন হতে হয়। অনেকেই তাই বলে থাকে 'ডাক্তার নয় যেন ডাকাত' ঠিক এভাবেই অনেক মানুষ দিন দিন ঠগে চলেছে। যাইহোক বাচ্চার জন্য দোয়া করি যেন সে বাসায় থেকে সুস্থ থাকে। এবং আপনাদের জন্য দোয়া করি।
ধন্যবাদ ভাই আপনার সুন্দর মতামত প্রকাশের জন্য।