জেনারেলের রাইটিং:- অসৎ পথে আয় কখনো মানুষকে সুখী করতে পারে না।
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে একটি ভিন্ন ধরনের পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। সবাইকে আন্তরিকভাবে শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ...
আমি আজকে আপনাদের মাঝে বাস্তব একজন মানুষের জীবনের কিছু কথা তুলে ধরবো। আশা করি আমার লেখাগুলো যারা পড়বেন তারা অবশ্যই বুঝবেন। আর এখান থেকে বেশ কিছু শিক্ষা গ্রহণ করতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। পৃথিবীতে সৃষ্টিকর্তা মানুষকে সৃষ্টি করেছেন সবাইকে এক ভাবে না। কেউ ধনী, কেউ গরিব, কেউ মধ্যবিত্ত পরিবারের জন্মগ্রহণ করে। কেউ ধনী পরিবারের জন্মগ্রহণ করেও একটা সময় হয়তোবা গরীব হয়ে যায়। আবার কেউ গরিব ঘরের জন্মগ্রহণ করেও একটা সময় ধনী হয়ে যায়। এটা হল সৃষ্টিকর্তার একটা খেলা। সৃষ্টিকর্তা বোঝাতে চান তিনি চাইলে সবকিছুই পারেন। ঠিক তেমনি একটা ঘটনা নিয়ে আজকে আমি আপনাদের মাঝে চরম বাস্তব একটা ঘটনা তুলে ধরবো।
প্রথমে আমি যে ব্যক্তির কথা বলব আমি তার নাম বলবো না। হয়তোবা নাম বললেও আপনারা চিনবেন না। তবুও আমি তার নাম প্রকাশ করতে অনিচ্ছুক। আমি যার কথা বলছি তার বাবা হতো দারিদ্র। আপনারা হয়তোবা সবাই জানেন অতীতে মানুষের ঘরে প্রচুর অভাব ছিল। একমুঠো একবেলা তো খেতে পারত না। যদিও এক বেলা খেতে পারতো তবুও সেটা হয় কলাই রুটি অথবা চালে পিঠা। এই খেয়ে তখনকার মানুষ জীবনযাপন করতো। তিনার কয়টা ছেলে মেয়ে সেটা আমার জানা নেই তবে আমি বেশ ভালোমতো জানি। যেহেতু গ্রামে বসবাস করে, সেই হিসেবে তো আমি তাকে চাচা বলেই ডাকি। আমার বাবার সাথে বেশ ভালো সম্পর্ক আছে। অভাবের সংসারে ঠেলা খেয়ে বড় হয়েছে। খুব বেশি লেখাপড়া করতে পারেনি। হয়তোবা সেই সময় কোনরকমে স্বাক্ষর করতে পারত এমন পড়াশোনা করেছে। যখন পেটে এক বেলা ভাত দিতে পারেনি তখন লেখাপড়া তো অনেক দূরের কথা। যাক এই ভাবে তারা বড় হয়েছে।
লেখাপড়া না জানলেও নিজের বুদ্ধি খাটিয়ে ছোটখাটো একটা ব্যবসা শুরু করেন তিনি। আর এই ব্যবসার মধ্যে রয়েছে পাট ক্রয় করা, ধান ক্রয় করা, গম ক্রয় করা। অর্থাৎ যাকে বলে সিজন অনুযায়ী ব্যবসা করা। অল্প অল্প করে ব্যবসা করতে করতে একটা সময় সে বেশ ভালোমতো দাঁড়িয়ে যায়। তার ঘরে দুইটা সন্তান, দুইটাই কন্যা সন্তান। আমাদের যা ধান হয় আমরা তো সবকিছুই তার কাছে দিয়ে থাকি। যখন টাকার প্রয়োজন হয় তখন তার কাছ থেকে টাকা নিয়ে থাকি। আমার বাবা তাকে ছোট ভাইয়ের মতো বেশ স্নেহ করে। আমার বাবাকেও বড় ভাইয়ের মতো শ্রদ্ধা সম্মান করেন। যদিও চাচার বাবা ছিল একজন গরিব মানুষ কিন্তু তিনি তার কর্ম ফলে আজকে বেশ ভালো একটা সমাজে পজিশন তৈরি করেছেন। মেয়েটা বেশ ভালো জায়গায় পড়াশোনা করেছেন ছোট মেয়েটা পড়াশোনা করে। পাকা বাড়ি তৈরি করেছেন সবকিছু মিলে তাদের খুব ভালোভাবে চলছিল।
হঠাৎ করে তার ছোট মেয়ে অসুস্থ। প্রথমদিকে খুব ভালোভাবে অনুধাবন না করতে পারলেও পরবর্তীতে তিনার মেয়ের অসুস্থতা দিন দিন বেড়েই চলেছিল। এরপরে বিভিন্ন জায়গায় ডাক্তার দেখানোর পরে কোনোভাবেই সে সুস্থ হয়ে উঠছিল না। একটা পর্যায়ে রাজশাহীতে নিয়ে যায় এবং বড় একজন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তাকে চিকিৎসা করানো হয়। তার বড় একটা সমস্যা দেখা যায়। এতে করে ওই চাচার প্রচুর টাকা খরচ হয়ে যায়। বলা যেতে পারে তিনি যা ইনকাম করেছেন তার অধিকাংশ টাকায় তার মেয়ের পেছনে খরচ হয়ে গেছে। আমি আপনাদের যে বিষয়টা বলতে চেয়েছি, এই চাচা ছিল গরিব মানুষ আল্লাহ সুবহানাতায়ালা তাকে সম্পদ দান করেছেন। দুইটা কন্যা সন্তান দান করেছেন সুবহানাল্লাহ আল্লাহ তাদেরকে বেশ ভালো রেখেছেন। কথায় বলে না ভালো থাকলে মানুষের সহ্য হয় না। এই ব্যক্তির ক্ষেত্রে ঠিক তেমনটি হয়েছে। ব্যবসা করতে করতে তিনি সুদের মধ্যে জড়িয়ে পড়েন। অর্থাৎ মানুষকে টাকা দেন এবং তার উপরে তিনি সুদ গ্রহণ করেন।
হঠাৎ করে আমার আব্বা এই বিষয়টি আমাদের বাড়িতে আলোচনা করেন। তিনি বলছিলেন যে, যাকে ধান দিয়ে থাকি তাকে আর ধান দিবো না। আমি জিজ্ঞাসা করলাম কেন আব্বা কিছু হয়েছে কি? তখন তিনি বলছেন, সে তো সুদের মধ্যে জড়িত। আর এই ধরনের ব্যক্তিকে আমি পছন্দ করি না। সুতরাং আমি তাকে কখনো ধান দিব না। ওই ব্যক্তি তখন সুদের মধ্যে পরিপূর্ণভাবে ডুবে গিয়েছিল। অর্থাৎ সেখান থেকে তিনি যত টাকা আয় করেছিল তার থেকেও বেশি টাকা তার মেয়ের চিকিৎসা খরচ শেষ হয়ে গেল। এজন্যই কথায় আছে হালাল টাকা এক টাকা ভালো, হারাম টাকা ১ হাজার টাকাও ঠিক ভালো নয়। তার সংসার টা চলছিল পানির মত। কিন্তু সৃষ্টিকর্তার সাথে নাফারমানি করার ফলে তিনি এখন বিপদগ্রস্ত। সৃষ্টিকর্তা তাকে যেভাবে রাখছিল তাকে তার প্রয়োজন ছিল না এ সমস্ত কিছু করে টাকা ইনকাম করার। কিন্তু কথায় বলে অতি লোভে তাতি নষ্ট। গরিব মানুষ কিছু টাকা হয়েছে আর সহ্য করতে পারে নাই, তাই আরো টাকা বানানোর জন্যই তিনি সুদের ব্যবসা করেন।
পরবর্তীতে কি হলো তিনি যা করেছিলেন সবই হারিয়ে বসলেন। এজন্য আমাদের সব সময় মাথায় রাখা উচিত, আপনি যে অবস্থায় আছেন এটাই আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছেন। যদি আপনি আপনার পজিশনে সুখী না হন তাহলে কখনোই সুখ পাবেন না। নিজের যতটুকু আছে, যতটুকু আপনি ইনকাম করেন, এর উপর থেকে আপনি সন্তুষ্ট থাকবেন এটাই সুখ। আর যদি মনে করেন আমি আরো বেশি কিছু করব অর্থাৎ যে সৃষ্টিকর্তা আপনাকে দিবে সেই সৃষ্টিকর্তার সাথে যদি আপনি বেইমানি করেন তাহলে অবশ্যই আপনি বিপদগ্রস্ত হবেন। তাই প্রত্যেকটা মানুষের ভাগ্যে যতটুক আছে সে ততটুকু পাবেই। এই নিয়ে বেশি দৌড়াদৌড়ি বা লাফালাফি করার কোন দরকার নেই। আমি যে চাচার কথা আপনাদের বললাম উনি যদি আল্লাহ যা দিয়েছেন তার উপর সন্তুষ্ট থাকতেন তাহলে তিনি আজকে এত বড় বিপদে পড়তেন না। অর্থাৎ হারাম বস্তু কখনোই মানুষের জন্য ভালো কিছু বইয়ে আনে না।
ভুল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খাইরুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আসলে আমরা এখন যে অবস্থায় রয়েছি, অথবা যখন যে অবস্থায় থাকি, তখন আমাদের সন্তুষ্ট থাকা অনেক বেশি জরুরী। মানুষ হারাম পথে টাকা রোজগার করলে হয়তো অনেক টাকা হয়, তবে এটার মধ্যে তারা সুখ পায় না। তবে হালাল পথে রোজগার করা কয়েক টাকা ও অনেক বেশি। যদি মানুষ এটা মনে করে, তাহলে এটার দ্বারা তারা সুখী হতে পারবে। আপনার পুরো পোস্টটা পড়ে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে ভাই।
হারাম পথে লাখ টাকার উপার্জনের থেকে হালাল পথে এক টাকা উপার্জন করা উত্তম। হারাম পথের ইনকামের টাকা মানুষের সুখ দিতে পারে না। হালাল পথে ইনকাম করলে সমাজের বুকেও নিজের সম্মান বজায় থাকে। ধন্যবাদ ভাই চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।
ঠিক বলেছেন মামা আপনি মহান আল্লাহ তাআলা আমাদের যেই অবস্থায় রেখেছে এটাই আমাদের সব সময় আলহামদুলিল্লাহ। আসলে নিজে যেটুকু পারি তার থেকে বেশি কিছু আবদার করতে গেলে সবটুকু যদি হারিয়ে যায় তার থেকে যেটুকু ছিল ওইটুকু থাকায় বেশি ভালো আমি মনে করি। তাই আমি মনে করি অসৎ উপায়ে টাকা ইনকাম করার চেয়েও সৎ পথে অল্প কিছু টাকা ইনকাম করাই অনেক ভালো। ধন্যবাদ মামা এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
কথায় আছে যে যত পায় সে তত চায়। আর বেশি চাইতে গেলে সবকিছুই হারিয়ে ফেলে। এর জন্য আমাদের উচিত সবুর করা। সৃষ্টিকর্তা আমাদের জন্য যতোটুকু রেখেছে ততটুকুই পাবো তার বেশি নয়।
এইকথাটা আমিও মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি। অসৎ উপায়ে ইনকাল করলে, সেটার ক্ষেসারত পরিবারের মানুষগুলোকেও দিতে হয়। তাই অসৎ উপায়ে লাখ টাকা আয়ের চেয়ে বরং সৎভাবে ইনকাম করে গরিব থাকাও ভালো এবং শান্তির।
আমি আপনার সাথে সহমত আপু, গোস্ত রুটি না খেয়ে পান্তা ভাত খেয়ে থাকার মধ্যে অনেক সুখ রয়েছে। যদি সেই খাবারটা সৎ পথে ইনকামের হয়। ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।
সৎ পথে থাকলে কোন কাজে কখনো বাধা আসেনা। আর আসলেও তা কাটিয়ে উঠা যায়।আর অসৎ পথে আয় করলে তা একদিন না একদিন যে কোনো ভাবে চলে যায়।আপনি বাস্তব কিছু উদাহরণ দিয়ে আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। বেশ ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে।
অসৎ পথে অনেক টাকা ইনকাম করা যায়। নিজের কাছে হোক আর মানুষের কাছেই হোক মনে হয় যে অনেক কিছু রয়েছে তার। কিন্তু বাস্তবিক পক্ষে দেখা যায় তার কাছে কোন কিছুই নেই সে শূন্য। কারণ অসৎ পথে টাকা কখনোই থাকে না। ধন্যবাদ আপু চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।
সবসময়ই যে অবস্থায় রয়েছি সৃষ্টিকর্তার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি।
অবৈধ আর খারাপ রাস্তায় উপার্জন কখনো ভালো কিছু বয়ে আনে না। আপনার উদাহরণ দেয়া ব্যাক্তিটি যদি সৎ রাস্তায় উপার্জন করতেন তাহলে হয়তো উপর ওয়ালার রোষানলে পরতেন না। যাইহোক এটা তার কপালে ছিল কিন্তু এগুলো থেকে আমাদের শিক্ষা নিয়ে সঠিক পথে জীবন পরিচালনা করা উচিত।
মানুষের জীবনে চলাচলের জন্য অনেক কিছু কমতি থাকে। এত অপরিপূর্ণতা থাকা সত্ত্বেও আমরা যদি আল্লাহ সুবহানাতায়ালার কাছে সন্তুষ্ট থাকি তাহলে এতে আল্লাহ অনেক খুশি থাকেন। আর তিনি খুশি থাকলে নিজের কাছে আর কোন কিছু চাওয়া লাগে না। ধন্যবাদ ভাই চমৎকার মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
https://twitter.com/ABashar45/status/1730610352189280680?t=98b9ZLVIMDl-qeU4N4q8iw&s=19
আসলে কে কখন অসুস্থ হয়ে পড়বে তা বোঝা মুশকিল।কিন্তু অন্যের ফাঁকি দিলে সেটা কোনো না কোনো ভাবে শাস্তি পেতেই হয়।সুদ কিংবা সমিতির বিষয়গুলি আমার পরিবারও পছন্দ করেন না।তাছাড়া সৎ উপায়ে এক টাকা ইনকাম করলেও আত্মতৃপ্তি পাওয়া যায় মন থেকে।সুন্দর লিখেছেন,ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলে আপু অসুস্থতা মানুষের বলে কয়ে আসেনা। কে অসুস্থ হলে যে তার গার্জিয়ান অসৎ পথে ইনকাম করে সেটাও কথা নয়। এটা পুরাটাই সৃষ্টিকর্ত চাওয়া। তিনি মানুষকে যেভাবে রাখবেন মানুষ সেভাবেই থাকবে এর কোন ব্যতিক্রম হবে না। তারপরও আমাদের সৎ পথে থেকে জীবন ধারণ করা উচিত।
আসলে মানুষ যখন একটু সচ্ছল হওয়া শুরু করে তখন তাদের আরো বেশি হতে হবে এরকম একটা ব্যাপার মাথায় ঢুকে যায়।সুদ তো ধর্মীয় ভাবে একদম নিষিদ্ধ। তাই সৃষ্টি করতা ওনাকে হয়তোবা বুঝানোর জন্য তাঁর মেয়ের অসুস্থতা দিয়েছেন যদিও বা এসব বলাও ঠিক নয় কারণ কখন কার কোন বিপদ হবে অসুস্থতা হবে কেউ বলতে পারে না।ঠিক বলেছেন আপনি হারাম কখনোই মানুষের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনতে পারে না।
এই কথার সাথে আমি একমত আপু মানুষ যখন সচ্ছল থাকে তখন সে আরো চায়। কথায় আছে যে যত পায় সে তত চাই। আর বেশি চাইতে গিয়ে একটা সময় যা থাকে সেগুলো হারিয়ে যায়। তাই নিজের যতটুকু আছে ততটুকুর উপর সন্তুষ্ট থাকাটাই উত্তম।
একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া হালাল টাকা অল্প হলেও তাতে বরকত রয়েছে। কিন্তু হারাম টাকা অনেক বেশি হলেও অন্য উপায়ে তা ঠিকই বের হয়ে যায়। ওই লোকটির ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। সুধের ব্যবসা করে অনেক টাকা ইনকাম করলেও মেয়ের অসুস্থতার কারণে তার বেশিরভাগ টাকাই আবার খরচ হয়ে যাচ্ছে। এতে লাভের থেকে ক্ষতি বেশি হয়। কিন্তু মানুষ এই লোভের বশবর্তী হয়ে এরকম কাজ করে থাকে। যাইহোক ভালো লাগলো আপনার লেখাটি পড়ে।
পৃথিবীতে যত অবৈধ ব্যবসা রয়েছে সেগুলো মানুষের জন্য ক্ষতিকর। যদিও মানুষ স্বল্প সময়ের মধ্যে অনেক কিছু করে ফেলে। কিন্তু সেইগুলো সময়ের তাগিদে একসময় সবকিছু হারিয়ে যায়। তাই যতটুকু রিজিক আছে ততটুকু সে পাবে এর জন্য অসৎ পথে যাওয়ার কোন দরকার নাই।
আপনার এই কথাটার সাথে আমি পুরোপুরিভাবে একমত। একটা মানুষ অসৎ পথে টাকা উপার্জন করে কখনোই ভালো থাকতে পারে না। কারণ যারা অসৎ পথে টাকা উপার্জন করে তারা সন্তুষ্ট থাকে না, আর অসৎ পথে আরো বেশি টাকা উপার্জন করতে চায়। কিন্তু সৎ পথে অল্প টাকা উপার্জন করলেও তার মধ্যে তৃপ্তি পাওয়া যায় যদি সন্তুষ্ট থাকা হয় তাহলে। ওই লোকটা সুদের ব্যবসা করছিল যার কারণে সবই হারিয়ে বসতে হয়েছিল।
মানুষের মধ্যা যেমন ভিন্নতা রয়েছে ঠিক তেমনি মানুষের আয়েরও ভিন্নতা রয়েছে। তবে আমাদের সবার উচিত আয় করার সময় একটু দেখেশুনে আয় করা। কারণ ভালো মন্দ দুইটা দিক রয়েছে। মন্দ জিনিস কখনো মানুষের জন্য শুভকার হয় না।