আপনারা অনেকেই হয়তোবা জানেন ইংল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যে টি-টোয়েন্টি সিরিজ চলছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ টি-টোয়েন্টির জন্য খুবই মারাত্মক একটা দল। যাহোক টসে জিতে ইংল্যান্ড ব্যাট করতে আসে। প্রথমের দিকে তাদের ডেঞ্জারাস ব্যাটেল সল্ট এবং বাটলার আসে। বুঝতেই পারছেন দুজন আয় অনেক ভালো ব্যাটসম্যান এবং টি-টোয়েন্টির জন্য ডেঞ্জারাস। তারা যে বেশ ভালো কিছু করবে এতে কোন সন্দেহ নেই। ইংল্যান্ডের প্রথম সূচনা দারুন হয়েছিল। প্রতি ওভারে ইকোনমিক রান রেট নিয়ে গিয়েছিল বারোর উপরে। প্রথম দিকে মন হয়েছিল রান ২০০ ছাড়িয়ে যাবে।

এ পর্যন্ত যখন খেলা দেখছিলাম তখন ১১ তম অভ্যাস চলছিল তখন রান হয়ে গেছিল ১১৭ রান উইকেট পড়ছিল মাত্র দুইটা। সেই হিসেবে বলা যেতেই পারে রান ২২০ থেকে ৩০ হতে পারে। ইংল্যান্ডের কিছু মার করে ব্যাটসম্যান রয়েছে এরা যদি ঠিকভাবে দাঁড়িয়ে যায় তাহলে রানের পাহাড় করে যাবে। মনে হয়েছিল ব্যাটিং পিস আবার কিছু কিছু সময় মনে হয়েছে বলেন পিস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলিং প্রথম দিকে কোন ভাবেই তারা সুবিধা করতে পারছিল না। স্পেন কিংবা ফাস্ট বল যেকোনো বলে করুক না কেন প্রচুর মার খেয়েছিল।

ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের মাঝখানের পরপর কয়েকটি উইকেট পড়ে যাওয়াতে তারা একটু ব্যাক করে পড়ে যায়। তাদের রানের ইকোনমিক রান রেট অনেক কমে যায়। দ্রুত তাদের উইকেট পড়ে যায় তাদের রান কমে যায় আটটায় শেষ পর্যন্ত তাদের রান দাঁড়ায় ১৭১ রান। কিন্তু প্রথম থেকে খেলা দেখে মনে হয়েছিল তারা ২০০ ছাড়িয়ে দিবে। আসলে ক্রিকেট খেলা হল গোলবালের খেলা কখন কি হয় সেটা বোঝে অনেক দায়। যাহোক ওয়েস্ট ইন্ডিজের টার্গেট দেয় ১৭২ রানে।

আমরা সবাই বরাবর যাই ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটিং এর টি-টোয়েন্টির জন্য কত ডেঞ্জারাস। যেকোনো খেলার ওপেনিং পার্টনারশিপ টা গুরুত্বপূর্ণ। ওপেনিং পার্টনারশিপ যদি ভালোভাবে উইকেট হাতে রেখে ইকোনমিক রাউন্ডের টা বাড়িয়ে নেওয়া যায় তাহলে আশা করা যায় একটা ভালো রান আসবে। কিন্তু প্রথম দিকে যদি উইকেট পড়ে যায় তাহলে চাপের মুখে পড়ে যায়। আসলে ওয়েস্ট ইন্ডিজে যে ব্যাটিং লাইন দেখলাম তাতে এ রাঞ্জে তাদের কিছুই না তা বোঝা যাচ্ছিল।

এই পর্যন্ত দলীয় রান যখন 78 তখন ওয়েস্ট ইন্ডিজ উইকেট পড়েছিল মাত্র একটি। এখানে আপনাদের একটু বলে রাখি ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিন্তু তাদের পুরনো দলের যেসব পিলা ছিল তাদেরকে কিন্তু নিয়ে এসেছে। এর অর্থ আপনারা বুঝতেই পারছেন 78 রানে কেবল এক উইকেট পড়েছে তাহলে কত রান হবে সেটা দেখার বিষয়।

ইংল্যান্ড প্রথম দিকে ভালো খেলছিল ঠিক তেমন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ভালো খেলছিল। কিন্তু মাঝখানে ইংল্যান্ডের যেমন পরপর কিছু উইকেট পড়ে যে তারা ব্যাক করে পড়ে যায় ঠিক তেমনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ পরপর কয়েকটা উইকেট পরে যে তারা ব্যাকফুটে পড়ে যায় মনে হয়েছিল যে ইংল্যান্ডের কাছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ হেরে যাবে। পাঁচ উইকেট পড়ে যা সত্বেও তখনও ব্যাটিংয়ে রয়েছে রমেন পাওয়ায় এবং আন্দ্রে রাসেল। এরা দুইজন হল মারকুটে ব্যাটসম্যান। একটু দাঁড়িয়ে যেতে পারলেই খুব সহজে রান তুলে নেবে।

শেষ পর্যন্ত ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইংল্যান্ড কে চার উইকেটে পরাজিত করে। খেলার মধ্যে একটা বিষয় না বললেই নয় অন্য যেকোনো দল খেলতে গেলে চার মানে বেশি কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজ এই দিন পুরোটাই উল্টো করেছে প্রায় ১২ থেকে ১৪ টা ছক্কা মেরেছে। এদের টিমে খুব বড় বড় ছক্কা মারা প্লেয়ার রয়েছে। তবে ওয়েস্টারদি যদি এই প্লেয়ার নিয়ে যদি সামনে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলে তাহলে আশা করা যায় তারা পুনরায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পাবে।

আমি আবুল বাশার খাইরুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।