গল্প:- ভৌতিক অমনিবাস শেষ পর্ব
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। আজকে আমি আলোচনা করবো একটি গল্প , আর এই গল্পের নাম গল্প:- ভৌতিক অমনিবাস শেষ পর্ব। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তাই শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ...
বাড়িটা খুবই সুন্দর তাই না অদ্রিজার বাবা। সেই আমলের রাজার রুচি ছিল বলতে হয়। তুমি ঠিকই বলেছো বৌমা। আমাদের রাজার রুচি অনেক ভালো ছিল। তাইতো বিদেশিরা এসে রাজার বাড়ি দেখে এত প্রশংসা করতেন।আপনি,, আপনি কে? আর বাড়িতে কখন ঢুকলেন? আমি তোমাকে বলেছিলাম না শায়লা আমার মৃত খালু আমাদের পিছু করছে। আমি তোমাকে বলেছিলাম শায়লা আমাদের এখানে আসাটা ঠিক হবে না। আমাদেরকে বাঁচতে দেবে না মেরে ফেলবে আমাদের সবাইকে মেরে ফেলবে। তুমি শান্ত হও। তুমি এমন করলে কি করে হবে। বাবা, আপনি আমারে ভুল বুঝতেছেন। আমি আপনের কাল হব ক্যান? আমি তো এই রাজবাড়ীর কেয়ার টেকার আছি বটে।
এই বাড়ি এখন আমি দেহা শোনা করি। আমি আপনাদের লগেই বানাতে ঢুকছি। আপনেরা ব্যস্ত ছিলেন বলে আমারে খেয়াল করেন নাই। ভয় পাইয়েন না আমি আপনাগো কোন ক্ষতি হইতে দিমু না। নিজের পরান টা দিয়া হইলেও আপনারে রক্ষা করমু। এখানে রক্ষা করার কথা আসছে কেন? কিসের থেকে আমাদের রক্ষা করবেন কোন বিপদ আছে আমাদের সামনে? বৌমা , তোমার এখানে নিশ্চিন্তে থাকতে পারেন। কোনো বিপদ আপনাদের হবেক লাই। যাও তুমি গিয়ে ফ্রেশ হয়ে নাও। অদ্রিজা, মৌতৃষা যা তোর বাবাকে ঘরে নিয়ে যা। আচ্ছা মা। মা খুব খুধা পেয়েছে। আচ্ছা তোমার বাবাকে নিয়ে যাও। আমি তোমাদের জন্য খাবার বানাচ্ছি। মা!মা! দেখো বাবা যেন কেমন করছে। ওগো কি হয়েছে তোমার কেন এমন করছো তুমি? শায়লা আমাদের বাচতে দিবে না, মেরে ফেলবে আমাদের। আমরা কেউ বাঁচবো না। তুমি শান্ত হও। কিচ্ছু হবে না আমাদের। কেউ কোন ক্ষতি করতে পারবেনা। তুমি একটু শান্ত হয়ে বস আমি দেখছি।
কেয়ারটেকার কেয়ারটেকার। আমারে ডাকছিলেন। হ্যাঁ আপনাকে ডাকছিলাম। সমস্ত ঘটনা আমারে আপনি খুইলা বলেন তো। ব্যাপারটা বুঝছি এবার। আসলে বহু বছর আগে রাজা সাহেব মিনহাজ বাবার খালুর সাথে মিলে এই গেরামে একটা চোরাচালান ব্যবসা শুরু করছিলেন। অনেক দিনই ব্যবসাটা চালানোর পর একদিন তারা ধরা পড়ে যায়। মিনাজ বাবার খালু ভয়ে পইরা সব সত্য কথা পঞ্চায়েতে বইলা দেই। রাজা সাহেব এরপরে মিনহাজ বাবার খালুর ওপর ক্ষেপে যাই। তারপর একদিন রাজা সাহেব উনারে রাজবাড়ীতে ডাইকা আনেন। খুব ভালো মতন কইরা নারে আদর যত্ন কইরা খাওন দাওন করাই। তারপর কাটারি ঘরের লইয়া যাইয়া বাশের লগে ঝুলাইয়া এক কোপে গলা নামাইয়া দেয়। রাজা সাহেবের উন্নয়নের মাইরা ফেলার পরে। আজ বাড়িতে অভিশাপ নাইমা।একে একে রাজার দুই কন্যা মারা গেলেন, রানীমা মারা গেলেন। এই দেখে রাজা তো অস্থির হয়ে গেলেন। একদিন নাকি রাজা সাহেব মিনহাজ বাবার খালুরে স্বপ্নে দেখলেন। তিনি নাকি রাজা সাহেবরে বলছেন তার বংশ নির্বংশ কইরা দেবেন। এবার রাজা সাহেব কঠিন একটা অসুখে পইরা তিনিও মারা গেলেন।এরপর এই রাজবাড়িতে যারাই আসে তারা কেউ থাকতে পারে না৷ হয় মইরা যায় আর না হয় চইলা যায়। অনেক দিন হয়ে গেল রাজবাড়িতে আর কেউ আসে না। অনেক দিন পরে আপনেরা আইলেন। তবে আমি থাকতে আপনাদের কোনো ক্ষতি হবে না।
আমি জানি এই আত্মাকে কিভাবে শান্তি দিতে হবে। আমি যেমন যেমন বলবো আপনেরা তেমন তেমন করবেন। আপনি যা বলবেন আমরা তাই করব শুধু বলুন আমাদের কি করতে হবে। মেজাজ বাবা তোমার খালুকে যে ঘরে হত্যা করা হয়েছিল সেই ঘরেই তোমার খালু লাশ এখনো রয়েছে। তুমি যদি তোমার খালুর ওই লাশকে সঠিকভাবে দাফন কাফন করে, জানাজা করে কবরস্থ কর তবে তোমার খালুর আত্মার শান্তি পাবে। আর এই রাজবাড়ি ও অভিশপ্ত মুক্ত হবে। আমি তাই করবো আপনি শুধু আমাকে ঘরটা দেখিয়ে দিন। এই যে তোমার খালুকে হত্যা করা হয়। এরপর কালকে সঠিক ভাবে দাফন কাফন জানাজা করে কবরস্থ করার পর। রাজবাড়ী থেকে সমস্ত অভিশাপ চলে যাই। মিনহাজ ও তার পরিবারকে নিয়ে বেশ কিছুদিন রাজবাড়ীতে বেশ আনন্দের সাথেই কাটাই। তারপর তারা নিজের শহরে ফিরে আসে এবং চাকরি নয় জীবনে ব্যস্ত হয়ে ওঠে।
ভূল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
আজ এই পর্যন্ত। সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ডিভাইস | poco M2 |
---|---|
লোকেশন | মেহেরপুর |
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/ABashar45/status/1702742697054969978?t=KLCrJhBcajriSdLjg7A9Jg&s=19
এই গল্পটার আগের পর্বগুলো যদিও আমার পড়া হয়নি, তবে শেষের পর্বটা আমার কাছে ভালো লেগেছে। আসলে লাশটার দাফন কাফন না করার কারণে বাড়িটা অভিশপ্ত হয়েছিল এবং সেখানে আত্মা ছিল। তবে সঠিকভাবে দাফন কাফন করার পর দেখছি অভিশপ্ত মুক্ত হয়েছিল সেই বাড়িটা। পরে তারা অনেক আনন্দে কয়েকদিন সেখানে থেকে ছিল এটা জেনে ভালো লাগলো।
আপু যদি আপনি পূর্বের দুই পর্বটি পড়তেন তাহলে গল্পটা পড়ে আরো বেশি মজা পেতেন। আমার লাইফের লেখা এটা সব থেকে সুন্দর একটা গল্প। ধন্যবাদ আমার লেখা গল্পটি পড়ার জন্য।
ভূতের গল্প খুবই কম দেখা হয় এবং পড়া হয়। আসলে এরকম কিছু দেখলে অথবা পড়লে আমার অনেক বেশি ভয় লাগে, আর রাতে এটা স্বপ্নেও দেখি। যার কারণে এগুলো খুবই কম দেখা হয় এবং পড়া হয়। তবে আপনার গল্পটা দারুন ছিল কিন্তু। আগের পর্বগুলো না পড়লেও শেষের পর্ব পড়ে অনেক কিছু বুঝতে পেরেছি। শেষ পর্যন্ত আত্মাটা মুক্তি পেয়েছে এটাই অনেক।
ভৌতিক অমনিবাস এই গল্পটি খুবই দারুণ। আমি কখনো এত সুন্দর গল্প লিখিনি ভাই। এর আগের দুটি পর্ব দিয়েছিলাম যদি আপনি সব পড়তেন তাহলে আপনার কাছে আরো বেশি ভালো লাগতো। আমার লেখা জীবনের সেরা গল্পটি। ধন্যবাদ আমার গল্পটি পড়ার জন্য।
ভৌতিক গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে শুধু গ্রাম অঞ্চলে কেন শহরে এখনো এমন অনেক ঘটনা ঘটে থাকে। ব্যবসার কারণে একজন পার্টনার অন্যজনকে মেরে ফেলেন। সেই ঘটনাটি হয়ে গেল এই গল্পের মধ্যে। তবে অবশেষে লাশটি দাফন করার ফলে রাজবাড়ীটা অভিশাপ থেকে মুক্ত হলো। আপনার গল্পটি অনেক ভালো লেগেছে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
এর আগেও আমি দুইটা পর্ব শেয়ার করেছিলাম আপু। এটা ছিল শেষ পর্ব আপনি এর আগের পর্বগুলো পড়লেও বেশ মজা পেতেন। ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।
ভৌতিক ও অমনিবাস শেষ পর্ব বেশ ভালো লাগলো। যতই হোক লাশটি দাফন করার পর রাজবাড়ীটি তো মুক্ত হলো। বর্তমানে আমাদের গ্রামে শহরেও এক পার্টনার আরেক পাটনার কে অনেক সময়ে মেরে ফেলে বা ক্ষতিগ্রস্ত করে। এই গল্পটিতেও একই রকম ঘটেছে। ধন্যবাদ ভাইয়া।
আসলে এই গল্পের সাথে বাস্তবের অনেক মিল রয়েছে। কারণ বর্তমানে এসব ঘটনা অহরহ ঘটে চলেছে। আর এই বাস্তবতার উপর ভিত্তি করেই আমার এই গল্পটি লেখা।