ক্রিয়েটিভ রাইটিং // ভৌতিক গল্প :- প্রতাপগড়ের বৌরানী।
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। আজকে আমি আলোচনা করবো একটি গল্প , আর এই গল্পের নাম ভৌতিক গল্প:- প্রতাপগড়ের বৌরানী। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তাই শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ...
গাড়িটা এসে যে বাড়ির সামনে দাঁড়ালো সেটা কে ঠিক বাড়ি বলা চলে না, রাজপ্রাসাদ বললেই হয়তো এটা বেশি মানায়। জরাজীর্ণ ভগ্ন একটি রাজপ্রাসাদ। গাড়ি থেকে নেমে গেট দিয়ে ঢুকতেই উন্মুক্ত প্রশস্ত একটি প্রাঙ্গণ রয়েছে দেখতে পেলাম। এটি পার হয়েই রাজপ্রাসাদে ঢুকতে হয়। রাজপ্রাসাদের বিশাল গেটের সামনে দুটি অধিকায় মানবের মূর্তি। তবে মূর্তি দুটি বেশ অদ্ভুত, দেখে যেন মনে হয় জীবন্ত কোন মানুষ দাঁড়িয়ে আছে। মা ঠাকুমার কাছে গল্প শুনতাম রাজপ্রাসাদের সিংহ দরজার সামনে নাকি সিংহের মূর্তি থাকে। কিন্তু ভারী অদ্ভুত ভাবে এই রাজপ্রাসাদের দরজার সামনে অদ্ভুত দুটি চেহারার মূর্তি। দুটি দেখেই আমার গায়ে লোম শিউরে উঠলো । এখন তাকিয়ে রইলাম মূর্তি দুটি দিকে। মূর্তি দুটি দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে কখন যে বিভোর হয়ে গিয়েছিলাম বুঝতে পারিনি। আমার স্বামীর ডাকে চমকে উঠলাম। তাকিয়ে দেখলাম উনার সাথে একজন বৃদ্ধ মহিলা দেখলাম বরণডালা হাতে। আমাকে হয়তো বরণ করার জন্য তিনি এসেছেন। তিনি হয়তো আমার পিসী শাশুড়ি।
এতক্ষণ অনেক কথাই বললাম কিন্তু আমার পরিচয়টা দেওয়া হয়নি। আমি হলাম এই প্রতাপগড়ের জমিদার বাড়ির পুত্রবধূ হৈমন্তীনি। আমার বয়স ত্রিশ বছর। যাকে বলা যায় পূর্ণ যৌবনা। কিন্তু আমার স্বামীর বয়স প্রায় ষাটোর্ধ। গতকাল আমাদের বিয়ে হয়েছে। ছোটবেলায় মামা মামির বাড়িতে বড় হয়েছি। নানা রকম কটু কথা শুনে গালিগালাজ শুনে। বাবা - মা মারা গেলে যা হয় আর কি। তাই আর কি তাদের যখন এই পাত্র পছন্দ তো আমাকে এর সঙ্গে বিয়ে করা লাগলো। আমাকে বরণ করা শেষ হলে সবাই খাওয়া দাওয়া করে যে যার রুমে ঘুমানোর জন্য চলে গেল। বাড়িতে এখন বর্তমানে থাকার মধ্যে আমি আমার স্বামী আর সেই পিসি। মাঝরাতে মেঝেতে মার্বেল বা ভারি কোন জিনিস পড়ার শব্দে আমার ঘুমটা ভেঙে গেল। এমন জোরে শব্দটা হওয়ায় শব্দের সন্ধান করার জন্য বিছানা ছেড়ে বাইরে এলাম। কিছুক্ষণ পরে দেখি আমার পিছে আমার স্বামীও দাঁড়িয়ে আছে। বুঝতে পারলাম আমার ওঠার সঙ্গে সঙ্গে তিনিও উঠে এসেছেন। কিন্তু অদ্ভুত বিষয়ে আমরা বাইরে এসে না কোন মানুষ দেখলাম না কোনো ভারী জিনিস সেটা পড়ে এমন জোরে শব্দ হয়েছে। গোটা দোতালা টাই যেন খা খা করছে কোথাও কোন জনমানব নেই। গোটা দোতালা বলাটা ভুল হবে পুরো বাড়িটাই যেন খা খা করছে। মনে হচ্ছে পুরো বাড়িতে আমরা দুজন ছাড়া আর কেউ নেই। বাড়িতে থাকার মধ্যে যে খুব বেশি লোকজন তাও নয় তবুও বাড়িটা একটু বেশিই শূন্য। একেবারেই রাজবাড়ী দেখে বোঝারই উপায় নেই যে এটি কি রাজবাড়ী।
এসবে আনমনে ভাবছিলাম হঠাৎ আমার স্বামীর ডাকে চমকে উঠলাম। তাকিয়ে দেখি তিনি একটি শাড়ি হাতে আমার জন্য দাঁড়িয়ে আছে। আমি কাছে যেতেই আমার হাতে শাড়িটি দিয়ে বলল স্নান সেরে এটি পড়ে নিও। তিনি আমাকে সঙ্গে করে নিয়ে উপরের ঘরের কল ঘরে নিয়ে গেলেন। ছোট থেকে আমার পুকুরে স্নান করার অভ্যাস, তাই বড়লোকি আদব কায়দায় খুব একটা মানিয়ে উঠতে পারছিনা। তিনি আমাকে সব কিছুই বুঝিয়ে দিয়ে চলে গেলেন। স্নান করতে করতে একটা জিনিস নিয়ে ভাবছিলাম। এই রাজবাড়িতে সবকিছুই ঠিক আছে তবুও কিছু যেন ঠিক নেই। এ সমস্ত অর্থ সম্পদের আড়ালে কোথাও যেন কালো সত্য লুকিয়ে আছে। যে সত্য একদিন সুযোগ পেলেই হিংস্র শ্বাপদের মত বেরিয়ে এসে নিজের স্বরূপ ধারণ করবে। কথাগুলো ভাবতে ভাবতে কল ঘরে কোনায় চোখ পড়ে গেল। চুপ পড়তেই চমকে উঠলাম। ভয় তেমন আমি কোন ভাবেই পাই না তবুও আচমকা এমন একটি মূর্তি দেখে ভয় পেয়ে গেলাম। এই মুহূর্তে টি দেখতে অনুরোধ বাইরের গেটের দুটি মূর্তির মত। একটু অদ্ভুত লাগলো স্নান ঘরে কেন এমন মূর্তি! ভারী অদ্ভুত এই রাজবাড়ী! চলবে.....
ভূল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
আজ এই পর্যন্ত। সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ডিভাইস | poco M2 |
---|---|
লোকেশন | মেহেরপুর |
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খাইরুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/ABashar45/status/1705105663620530387?t=h2FZ1OToeObiV-qQgA_aqw&s=19
প্রতাপগড়ের বৌরানী ভৌতিক গল্পটার প্রথম পর্ব আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। এরকম গল্প গুলো পড়তে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। আর আপনি অনেক সুন্দর একটা টপিক নিয়ে এ গল্প লেখার কারণে ভালো লেগেছে। রাজাবাড়ী হলেও এর মধ্যে আমারও মনে হচ্ছে কোন একটা রহস্য রয়েছে। এই অদ্ভুত রাজবাড়ির মধ্যে কি রয়েছে এটা জানার অপেক্ষায় থাকলাম।
প্রথমেই বল ভাই আপনি গল্পটি পড়েছেন খুব ভালো লেগেছে। এই গল্পের মাঝে ও শেষের দিকে বেশ চমক রয়েছে। এই গল্পটির রহস্য ভরা।
ভৌতিক গল্প পড়তে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আগে ছোট বেলায় মনে মনে ভূতের অনেক ভয় পেতাম। মনে হতো আমার পিছনে কেউ হাটছে। এখন আর সেটা কনে হয় না। আপনার শেয়ার করা রাজবাড়ীর গল্প পড়ে খুবই মজা পাইছি। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আজকে এই গল্পটি প্রথম পর্ব দিয়েছি। এই গল্পটির মধ্যে খুব সুন্দর কিছু লোকের রয়েছে। শেষ পর্যন্ত পড়তে থাকলে বেশ ভালো লাগবে। ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।
এই গল্পটার প্রথম পর্ব পড়ে আমি বুঝতে পারছি এই গল্পটার মধ্যে অনেক বেশি রহস্য রয়েছে। এরকম রহস্য ভরা গল্পগুলো আমি অনেক পছন্দ করি। আমি তো ভাবছি রাতে কিসের আওয়াজ হয়েছিল? আর তাদের কাছে এই বাড়িটার ফাঁকা ফাঁকা লাগছিলই বা কেন। আমার মনে হচ্ছে এই গল্পটার শেষে অনেক বেশি সুন্দর হবে। পরবর্তী পর্বটা তাড়াতাড়ি শেয়ার করবেন শেয়ার করছি।
আপু যেহেতু এটি ভৌতিক গল্প সেহেতু এ গল্পের মধ্যে বেশ কিছু মজার বিষয় রয়েছে। পরের সপ্তাহের দ্বিতীয় পর্ব দিবো পড়ে দেখবেন বেশ মজা পাবেন। অবশ্য এই গল্পের মধ্যে অনেক রহস্য ভরা। ধন্যবাদ চমৎকার মন্তব্য করার জন্য।