ভিন্ন ধরনের রেনডম কিছু ফটোগ্রাফি।

in আমার বাংলা ব্লগ2 months ago

আমি @tuhin002
বাংলাদেশ থেকে।
০৩ আষাঢ় ১৪৩০ বঙ্গাব্দ।

১৩ জিলহজ ১৪৪৫ হিজরি। ১৮জুন ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ।


আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়াবারকাতুহু


বাংলা ভাষায় ব্লগিং এর একমাত্র কমিউনিটি "আমার বাংলা ব্লগ"এর ফাউন্ডার "এডমিন ও মডারেটর প্যানেল সহ সকল সদস্যদের জানাই অন্তরের অন্তরস্থল থেকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা এবং অভিনন্দন। সবাই কেমন আছেন ? আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে সবাই ভাল আছেন।আলহামদুলিল্লাহ্‌ আল্লাহ্‌র অশেষ রহমতে আমিও ভাল আছি।





১ নং ফটোগ্রাফি।

এই ফুলটির নাম আমার জানা ছিল না। আমি আমার ওয়াইফ এর দ্বারা জানতে পারি এই ফুলটির নাম রক্তকরবী ফুল। এই ফুলের আমি দুই রকম কালার দেখেছি। একটি এমন হালকা গোলাপি আর অন্যটি টকটকে কালারের। তবে আমার কাছে টকটকে কালারের টাই বেশি ভালো লাগে। এই ফুলটিও মন্দ নয়। প্রতিটি ফুল নিজ নিজ রূপে মোহিত করে আমাদেরকে৷ রক্তকরবী ফুল নিয়ে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর খুব সুন্দর একটি কবিতাও লিখে গিয়েছেন। এই ফুলটি অনেকেরই খুব পছন্দের ফুল। নামটিও যেমন সুন্দর ফুলটি দেখতেও তেমন সুন্দর।


এই ফুলের সঙ্গে হয়ত কম বেশি সবাই পরিচিত। কারণ এটি অনেক পরিচিত একটি ফুল। এই ফুলটির নাম হচ্ছে বোতাম ফুল। যারা ছাদ বিলাসি মানে যারা বাসার ছাদে বিভিন্ন ধরনের ফুল গাছ লাগাতে ভালোবাসে তাদের কাছে এটি খুবই পছন্দের ফুল। বোতাম ফুল আমার বেশ ভালো লাগে৷ বিশেষ করে এই ফুলের রংটি অনেক আকর্ষণীয় যা সহজেই মানুষের দৃষ্টিকে আকর্ষণ করে। বোতাম ফুলের কিছু উপকারি দিক রয়েছে। বলে রাখা ভালো এটি একটি ঔষধী গাছ। বাচ্চাদের পেট ব্যাথা, কাশি এগুলোর জন্য এই ফুল সিদ্ধ করে চা করে খাওয়ালে তা নিরাময় হয়। ক্যারাবিয়ান লোকেরা এই ফুলটি ঔষধী ফুল হিসেবে ব্যবহার করে থাকে।


পাতাবাহার নামটা যেমন সুন্দর দেখতে তেমন সুন্দর। বাহার বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে। কিছু পাতার বেস্ট চ্যাপ্টা লম্বা হয়ে থাকে আবার কিছু পাতা চিকন হয়ে থাকে কিছু পাতা ছোট হয়ে থাকে। তবে পাতা যেমন ভিন্নতা রয়েছে রঙেরও তেমন ভিন্নতা রয়েছে। কিছু লাল ধরনের পাতা বাহার রয়েছে যেগুলো দেখতে বেশ সুন্দর। তবে গাছপালা সবুজ তাই সবুজ পাতা বাহারটা দেখতে বেশি ভালো লাগে। বাড়ির পাশে একটা বাগান রয়েছে সে বাগান থেকেই পাতা বাহারের ফটোগ্রাফি করেছি আশা করি আপনাদের ভালো লেগেছে।


আমাদের গ্রামে বঙ্গ প্রজেক্ট নামে একটা জায়গা রয়েছে। ঈদের দিন এবং ঈদের পরের দিন অনেক মানুষ এখানে বেড়াতে আসে। আসলে জায়গাটা খুব একটা দেখার মতো না তারপরও যে কেন মানুষ এখানে আসে সেটা আমি বুঝে উঠতে পারিনা। এই প্রথম সামনে যে পরিবেশটা আপনারা দেখতে পারছেন এটা আছে প্রথম তৈরি করেছে। সত্যি বলতে এখানে প্রচুর মানুষের আনাগোনা আসে। আমি সেখানে যাই না কিন্তু হঠাৎ একটা কাজের জন্য দৌড়ে সেখানে যাওয়া লাগে। গিয়ে দেখে প্রচুর মানুষের যতটা পুরুষ তার তিনগুণ মহিলা। সেখানে দেখার মত কিছুই নেই তারপরও মানুষ আসে।


বিকেল বেলায় ছেলেটাকে নিয়ে পাশের বাড়িতে গিয়েছিলাম। পাশে ছিল একটা বড় জায়গা। সেখানে ছোট বাচ্চারা গ্যাস বেলুন নিয়ে খেলা করছিল। আমার ছেলে দেখে তো কান্না করে। কি করবো তখনই মোটরসাইকেলটা নিয়ে ছুটে গেলাম। অনেকেই কিনেছিল সেখানে। সন্তানের জন্য একটা কিনলাম। জানিনা কত দাম তারপর তাকে জিজ্ঞাসা করব ষাট টাকা নিলো। নিজের সন্তানদের যদি কোন কিছু পিতা মাতার কাছে চাই তাহলে না দিয়ে পারা যায় না।


শেষ বিকেলে রাস্তা দিয়ে মোটরবাইক নিয়ে যাচ্ছিলাম। পাশে একটা জমি ছিল সেখানে ঘাস খাচ্ছিল একটা গরু। শেষ বিকেলের সময় প্রকৃতি কতটা সুন্দর লাগে সেটা ফটোগ্রাফি না খুলে বুঝতে পারতাম না। প্রকৃতির এই সৌন্দর্য চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। সৌন্দর্যে আপনি তখনই দেখবেন যখন আপনি সৌন্দর্যের কথা ভাবেন। তবে সৌন্দর্যটা একটু বৃদ্ধি পেত যদি ডোবার ঠিক এই মুহূর্তে চলতে পারতাম। এরপরও প্রাকৃতিক সৌন্দর্য আমার মনে হয় সবার কাছে ভালো লাগে। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে।


সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ আজকের মতো শেষ করছি।


ডিভাইসের নামPoco
মডেলM2
ফটোগ্রাফার@tuhin002
ক্যাটাগরিফটোগ্রাফি
লোকেশনhttps://w3w.co/surer.animators.twinning


👨‍🦰আমার নিজের পরিচয়👨‍🦰


1666192548913_1666192548801_1666192548599_1666192548416_1666192548270_1666192548091_1666192547839_1666192547665_1666192022150.jpg

আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।


Logo.png

(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )


4gZTTLyoV1msFb1u1BdB14ZHSP5sNg8hbP9cbJyTmUqfzLdXDsNijBKWNGJn5ogmozSiA7cyReMsKwomyC79dv8nHgZj3RKbXhPtULzHviAUBY9Vc8ousmvcnNywqK...hMHPzmtXdqcE25kuBukgtAciNVXSHonSRqmAmfHf9YgyuYwwZo1Nd9dUCogeVvSsKh3MRCxw1Khi2NyeZh4Rt4J9n7wTsZvJ1tiUMafwrMjZ5AQz2ERchsjjJv.png

VOTE @bangla.witness as witness


witness_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_proxy_vote.png

3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPxFqYAEtmnwbJrshP4Tdaov4BmxkXJqLhx2USjht6Vy2soth7e34k1TKBQ2RZ2vXNJBF8X9uKH9aLNKFV...xU6W1ggWaLoBhkXz82k34bfNqfnFypapZe2oHzEHELJzLj6msr2RorLQSivfSXJaPiBZmUdQYzewFKsaGxDCyC6yRhEDYu8mNwzeEnkjmmjmpLrQEyQZKZnCTp.png

Posted using SteemPro Mobile

Sort:  
 2 months ago 

অসাধারণ কিছু রেনডম ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার ফটোগ্রাফিগুলো বেশ চমৎকার হয়েছে। আমার কাছে সবচেয়ে ভালো লেগেছে রক্তকরবী ফুলের ফটোগ্রাফি। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি ফটোগ্রাফি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 months ago 

আপনাদের ভাল লাগার জন্যই চেষ্টা করি ভালো ফটোগ্রাফি করার জন্য। এই ফটোগ্রাফি গুলোর মধ্যে রক্ত কবরি ফুলের ফটোগ্রাফি ভালো লেগেছে জেনে বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 months ago 

খুবই সুন্দর সুন্দর ফুলের ফটোগ্রাফি করেছেন। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি দেখে অনেক ভালো লাগলো। এত সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।

 2 months ago 

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 2 months ago 

সুন্দর সুন্দর ফোটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে।

 2 months ago 

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য।

 2 months ago 

খুবই সুন্দর সুন্দর কিছু রেনডম ফটোগ্ৰাফি শেয়ার করেছেন। আসলে ভিন্ন ভিন্ন ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। তাছাড়া রক্তকরবী ফুল এর আগে আমার দেখা হয়নি। প্রতিটা ফটোগ্ৰাফি আপনি দারুন ভাবে ক্যাপচার করেছেন। ধন্যবাদ সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 2 months ago 

শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো আপনার ভালো লেগেছে সেটা জেনে বেশ ভালো লাগলো। আপনাদের ভাল লাগার জন্য আমার প্রচেষ্টা। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 2 months ago 

ওয়াও ভাই আপনি দারুন দারুন ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। প্রথম ফুলের নামটি আমিও জানতাম না আজকের পোস্ট থেকে জানা হয়ে গেলো। রক্তকবরী ফুলগুলো দেখতে অনেক সুন্দর লাগে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে বিস্তারিতভাবে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।

 2 months ago 

রক্ত কবরি ফুল গুলো আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে ভাই। যাক আপনি আমার পোষ্টের মাধ্যমে রক্ত কবরি ফুলটি সম্পর্কে ধারণা পেলেন এটা যেন বেশ ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 months ago 

আপনার মাধ্যমে চমৎকার একটি ফুলের সাথে পরিচিত হতে পেরেছি। দেখে অনেক ভালো লাগলো রক্তকরবী ফুলের ফটোগ্রাফি। এছাড়াও অন্যান্য ফুলের ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ছিলো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 months ago 

আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 2 months ago 

খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন। ফুল মানুষের ঈদের আনন্দ কাটানো মুহূর্ত সব মিলিয়ে দারুন ফটোগ্রাফি করেছেন। খুব সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফি গুলো উপস্থাপনা করেছেন। আসলেই রক্তকরবী ফুলটির একটি কবিতা আছে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্যে ।

 2 months ago 

আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 2 months ago 

আজকে আপনি ভিন্ন রকম রেনডম ফটোগ্রাফি করেছেন। আসলে রেনডম ফটোগ্রাফির মধ্যে বিভিন্ন ধরনের ফটোগ্রাফি দেখা যায়। তবে আপনার নাম না জানা ফুলের ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। এবং পাতাবাহারের ফটোগ্রাফিও দেখে খুব ভালো লাগলো। সুন্দর করে ফটোগ্রাফিগুলো করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 months ago 

আপনাকে ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

 2 months ago 

অসাধারণ ‌কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন ভাইয়া। পাতাবাহারের গাছটা আসলেই খুব সুন্দর। ফটোগ্রাফি টা দেখে ভালো লাগলো। রক্তকরবী ফুল আগে কখনো দেখিনি। আজকে প্রথম আপনার পোস্টে দেখলাম। চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।

 2 months ago 

আপনাদের ভালো লাগলে নিজের কাজে সার্থকতা খুঁজে পাই। এই প্রথম আমার পোষ্টের মধ্য দিয়ে আপনি রক্তকবরি ফুলটি দেখলেন এটা দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।