জেনারেল রাইটিং :-উপকারীর প্রতিদান।
আমি @tuhin002, আমি আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যগনকে আমার পক্ষ থেকে জানায় সালাম," আসসালামু আলাইকুম" সবাই কেমন আছেন ? আশা করি, মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে অনেক ভালো আছেন। আমি ও আপনাদের দোয়ায় এবং মহান আল্লাহুর অশেষ রহমতে ভাল আছি। আজকে আমি আলোচনা করবো জেনারেল রাইটিং উপকারীর প্রতিদান। আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে। তাই শুরু করছি আমার আজকের ব্লগ...
বর্তমানে আমরা এমন একটা সময় বসবাস করছি, যে সময়টা মানুষ মানুষকে কোনভাবে মূল্যায়ন করছে এবং মানুষ মানুষের সাথে কি ধরনের ব্যবহার করছে সেটা বোঝা অনেকটা কঠিন হয়ে পড়েছে। অতীতের সময় মানুষ ছিল খুবই স্বজনপ্রীতি। একজন মানুষ অন্য মানুষের কাছ থেকে কোন কিছু খুব সহজে নিজের দুরবস্থার কথা ব্যক্ত করত এবং তার সেই দুরবস্থা থেকে কিছুটা উত্তোলন করার জন্য পাশের মানুষ গুলো সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিত। যদিও তখনকার সময় মানুষজন যদি কাউকে কিছু দিতো তাহলে সেটা ফিরিয়ে নিত না। কারণ যাদেরকে দেয়া হতো তাদের তেমন কিছু ছিল না। আর সত্যি বলতে তখন কি মানুষ ছিল সহজ সরল মানুষ যা যাকে যা দিয়েছে এমনি দিয়ে দিয়েছে। দেনা পাওনার বিষয়টা আমার মনে হয় জন্মলগ্ন থেকেই শুরু হয়েছে। আর সেই বিষয়টা এখন পর্যন্ত চলছে। কিন্তু তখন এবং এখনকার মধ্যে অনেকটা তফাৎ রয়েছে। আমি বা আপনি একজনের কাছে যদি কোন কিছু ধার করি নিশ্চয়ই আমার অভাবগ্রস্ত বাবা মা না থাকার কারণেই কিন্তু সেটা নিয়ে থাকি। আর মানুষ সম্ভাব্য স্বয়ং সম্পূর্ণ না।
মানুষ মানুষের উপকার করবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এই উপকার করার পরে যদি উপকারী ব্যক্তি যদি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাহলে উপকার করার বিষয়টা আর থাকে না। আমার সাথে আপনারা সবাই একমত হবেন, একটু লক্ষ্য করে দেখবেন আপনি যদি কাউকে কোন কিছু ধার স্বরূপ দিয়ে থাকেন ওই ব্যক্তি আপনার দেখলে সে চেষ্টা করবে তাকে তার চোখের আড়াল হতে অন্যদিকে চলে যাওয়ার জন্য। একটা বিষয় আমি বিপদগ্রস্ত বা আমি অসহায় আমি আপনার কাছে কিছু টাকা ধার হিসেবে চেয়েছি। আমার এই দুরবস্থা সময় আপনি আমাকে সেটা দিয়েছেন। যখন আমার দেয়ার মত সময় হয়েছে তখন আমি কি করি সেটা দেয়ার তো কোন কথাই নেই বরং সে তাকে দেখলামই পালিয়ে যাই। এই রীতিনীতিটা এখন আমাদের সমাজে অহরহ ঘটে চলেছে। এর ফলে কিন্তু আমরাই বিপদগ্রস্ত হয়েছি। এর কারণ হলো বর্তমান সময়ে কেউ বিপদগ্রস্ত বা কারো কোন কিছু দরকার হলে মানুষ তার পাশে দাঁড়াতে ভয় পাই। শুধু এই কারণে যদি ওই জিনিসটা আমি তাকে দিয়ে উপকার করবো কিন্তু পরবর্তীতে সে তো আমাকে ফিরিয়ে দিবে না। এইযে না ফিরিয়ে দেয়ার মানসিকতা মানুষের মধ্যে এমন ভাবে চেপে বসেছে। এর কারণে মানুষ মানুষের সাহায্য করতে ভুলে যাচ্ছে। বিপদে মানুষের পাশে দাঁড়াতে মানুষ ইতস্ত বোধ করছে।
দিন যত সামনে দিকে এগিয়ে যাচ্ছে তত মানুষের মধ্যে ধার দেনার বিষয়টি শেষ হয়ে যাচ্ছে। আমাদের সমাজে আমি অনেক লক্ষ্য করে দেখেছি অনেক মানুষ একজনের কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছে কিন্তু সেই টাকা দেয়ার কোন ইচ্ছা আমি দেখি নাই। আবার কোন কারনে যদি সেই টাকা তার কাছ থেকে চাইতে গেছে সে রাগ করে। তার মুখের কথা শুনে মনে হয় যেন তাকে টাকাটা ধার দে আমি পাপ করে ফেলেছি। মানুষের এই আচরণ কিন্তু দিন দিন মানুষের মধ্যে সম্পৃক্ততা হারিয়ে ফেলছে। যুগের কত পরিবর্তনে একটা সময় মানুষ কাউকে কোন কিছু দিলে সেটা ফিরিয়ে নেয়ার মতো মানসিকতা তৈরি করে নাই। যেহেতু বর্তমান সময়ে প্রত্যেকটা মানুষের জীবনযাত্রা অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে। এর মধ্যে থেকেও কেউ যদি কাউকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছে পরবর্তীতে তাকে হয়রানি হতে হচ্ছে। আর এই ধরনের জটিলতার কারণে মানুষ মানুষের উপকার করার ইচ্ছাটা দিন দিন কমে যাচ্ছে। আপনি কারোর কাছ থেকে কোন কিছু নিয়ে যদি তা না চাওয়ার আগে সেই জিনিসটা আপনি তার কাছে ফিরিয়ে দেন তাহলে আপনি দেখবেন বারবার সে তার কাছে যাবেন বারবার আপনাকে দেয়ার চেষ্টা করবে।
আমরা ব্যাকরণে বইতে পড়েছি উপকারে যে অপকার করে তাকে কি অকৃতজ্ঞ বলে। এই অকৃতজ্ঞ বিষয়টি মানুষের মধ্যে এখন বেশি বিরাজমান। মানুষকে উপকার করলে সেই মানুষ উপকারে প্রতিদান তো দেয়ার দূরে থাক,সে আপনার প্রতি এমন একটা আচরণ করবে তারে আচরণে আপনি হতভম্ব হয়ে যাবেন। শেখেন আপনি তাকে কি বলবেন সেটা বোঝার মত আপনার কোন মানসিক পরিস্থিতি থাকবে না। আর এর কারণে বর্তমান সমাজে মানুষকে উপকার করার বিষয়টা দিন দিন নিম্নগামী দিকে চলে এসেছে। মানুষ ইচ্ছা করে অনেক সময় মানুষকে আর উপকার করতে চায় না। কারণ মানুষের মধ্যে সেই কৃতজ্ঞতা বোধ নাই।
ভূল ত্রুটি হলে অবশ্যই ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই প্রত্যাশায় নিয়ে শেষ করছি। আল্লাহ হাফেজ। |
---|
আজ এই পর্যন্ত। সাথে থাকার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
ডিভাইস | poco M2 |
---|---|
লোকেশন | মেহেরপুর |
👨🦰আমার নিজের পরিচয়👨🦰
আমি আবুল বাশার খায়রুল আলম তুহিন। আমার জন্ম ১১ এপ্রিল ১৯৯৫ সালে। আমার বাসা মেহেরপুর জেলা,গাংনী থানা, জুগীর গোফা গ্রাম। আমি বিবাহিত। বর্তমানে আমার একটা পুত্র সন্তান আছে। আমি গ্রাজুয়েশন শেষ করেছি রাজশাহী নিউ গভমেন্ট ডিগ্রী কলেজ থেকে। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জানাই প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। আমার মাতৃভাষা বাংলা। আমি বাংলা ব্লগে কাজ করতে অনেক ভালোবাসি। এই ব্লগে কাজ করার মাধ্যমে আলাদা প্রশান্তি পায়। আমি ছবি আঁকতে,গান গাইতে,কবিতা লিখতে অনেক পছন্দ করি। এছাড়া আমি বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে খুব পছন্দ করি। আর আমি স্টিমেটে জয়েন করেছি (২৭ - ০৬ - ২০২২) সালে। সংক্ষিপ্ত আকারে আমার নিজের পরিচয় আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম। সবাই আমার জন্য দোয়া করবেন। আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জন্য শুভকামনা রইলো।
(১০% প্রিয় লাজুক খ্যাঁক এর জন্য )
VOTE @bangla.witness as witness
OR
https://twitter.com/ABashar45/status/1727291748660228347?t=Usl5tbAt_RhaTJm-T0NnIg&s=19
সত্যি বলেছেন ভাই মানুষ মানুষকেই উপকার করবে এটাই তো স্বাভাবিক। তবে কিছু কিছু কারণে মাঝেমধ্যে সত্যিই কারো কারো উপকার করতে ইচ্ছা করে না। কারণ কিছু কিছু মানুষ খুব সেলফিস হয়। তবে তার পরেও ভালো মানুষ সেসব মনে না রেখে উপকার করেই যায়। অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি চ্যানেল রাইটিং পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার।
ভাই কমেন্টে বেশ কিছু ভুল রয়েছে আশা করি ঠিক করে নিবেন।